নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধান-সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি আজ বুধবার হাইকোর্টে শুরু হয়েছে। বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা যদি স্বাধীন বিচার বিভাগ করতে পারতাম, তাহলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে যেসব নেগেটিভ কথা হয়, তা আসত না। এমনও হয়েছে (বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে) রাত ১০টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। কান্না করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। পরে দেখেছি, আমরা যতটা না অসহায়, তার চেয়ে বেশি অসহায় ছিলেন বিচারকেরা।’
তিনি বলেন, ‘এমনও হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের কথা শোনেননি, জামিন দিয়েছেন। এতে বিচারককে বান্দরবান পাঠানো হয়েছে। তাঁরা (বিচারকেরা) জাতির জন্য কীভাবে কাজ করবেন, যদি নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন।’
শুনানিতে শিশির মনির আরও বলেন, আগে বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলার বিষয়ে ক্ষমতা ছিল সুপ্রিম কোর্টের হাতে। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শের বিধান রাখা হয়।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচার-কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান, ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে।
শিশির মনির শুনানিতে বলেন, বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি করতে সরকার আপিল বিভাগে অন্তত ৫৮ বার সময় নিয়েছিল। শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করলেও তৎকালীন প্রধান বিচারপতি তাতে স্বাক্ষর করেননি। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে তা অনুমোদন করানো হয়। তাঁরা চান, রাষ্ট্রপতির নয়, সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে। তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন ১০ আইনজীবী। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ২৭ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধান-সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি আজ বুধবার হাইকোর্টে শুরু হয়েছে। বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা যদি স্বাধীন বিচার বিভাগ করতে পারতাম, তাহলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে যেসব নেগেটিভ কথা হয়, তা আসত না। এমনও হয়েছে (বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে) রাত ১০টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। কান্না করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। পরে দেখেছি, আমরা যতটা না অসহায়, তার চেয়ে বেশি অসহায় ছিলেন বিচারকেরা।’
তিনি বলেন, ‘এমনও হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের কথা শোনেননি, জামিন দিয়েছেন। এতে বিচারককে বান্দরবান পাঠানো হয়েছে। তাঁরা (বিচারকেরা) জাতির জন্য কীভাবে কাজ করবেন, যদি নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন।’
শুনানিতে শিশির মনির আরও বলেন, আগে বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলার বিষয়ে ক্ষমতা ছিল সুপ্রিম কোর্টের হাতে। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শের বিধান রাখা হয়।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচার-কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান, ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে।
শিশির মনির শুনানিতে বলেন, বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি করতে সরকার আপিল বিভাগে অন্তত ৫৮ বার সময় নিয়েছিল। শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করলেও তৎকালীন প্রধান বিচারপতি তাতে স্বাক্ষর করেননি। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে তা অনুমোদন করানো হয়। তাঁরা চান, রাষ্ট্রপতির নয়, সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে। তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন ১০ আইনজীবী। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ২৭ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বহুল প্রত্যাশিত লন্ডন বৈঠক সমঝোতার সুর শোনালেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে চ্যালেঞ্জও আছে। এই চ্যালেঞ্জের কারণ, ওই বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় থাকা শর্তগুলো। শর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে জুলাই সনদ, জরুরি সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা
৮ ঘণ্টা আগেদেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগেগত এক সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গতকাল শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে, দেশের মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৪০০।
১৫ ঘণ্টা আগেআইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
১৮ ঘণ্টা আগে