নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটরিয়ামে আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিবিএসের তথ্যমতে, ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনসংখ্যার মধ্যে পল্লি অঞ্চলে বসবাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন এবং শহরে বসবাস ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জনের।
মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৪৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও নারী ৫০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি।
দেশে গত চার দশকে সাধারণ শিক্ষায় পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর হার কমেছে। তবে বেড়েছে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ১৯৮১ সালের আদমশুমারিতে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছিল ৯৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। কিন্তু ২০২২ সালের জনশুমারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৪১ বছরের ব্যবধানে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কমেছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
অন্যদিকে ১৯৮১ সালে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, মূলধারা বা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৭ জন, ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৬৫৭ জন। এ ছাড়া অন্যান্য (ইংরেজি মাধ্যম) শিক্ষায় শিক্ষিত ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৭১৪ জন।
জনশুমারির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সাল শেষে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশে। ১৯৭৪ সালের শুমারিতে যা ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ১৯৭৪ সালে এমন জনগোষ্ঠী ছিল ৭৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশে।
শুমারির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া নাগরিক রয়েছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, নবম বা দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ৭ শতাংশ নাগরিক। তা ছাড়া এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা নাগরিক রয়েছে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রয়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
দেশে স্নাতক বা সমমান পাস নাগরিক ২০২২ সাল শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। অথচ আগের শুমারিতে এই হার ছিল মাত্র ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। দেশে বর্তমানে স্নাতকোত্তর বা সমমান পাস নাগরিক রয়েছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিক রয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) নাসিমা বেগম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ।
দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটরিয়ামে আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিবিএসের তথ্যমতে, ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনসংখ্যার মধ্যে পল্লি অঞ্চলে বসবাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন এবং শহরে বসবাস ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জনের।
মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৪৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও নারী ৫০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি।
দেশে গত চার দশকে সাধারণ শিক্ষায় পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর হার কমেছে। তবে বেড়েছে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ১৯৮১ সালের আদমশুমারিতে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছিল ৯৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। কিন্তু ২০২২ সালের জনশুমারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৪১ বছরের ব্যবধানে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কমেছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
অন্যদিকে ১৯৮১ সালে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, মূলধারা বা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৭ জন, ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৬৫৭ জন। এ ছাড়া অন্যান্য (ইংরেজি মাধ্যম) শিক্ষায় শিক্ষিত ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৭১৪ জন।
জনশুমারির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সাল শেষে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশে। ১৯৭৪ সালের শুমারিতে যা ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ১৯৭৪ সালে এমন জনগোষ্ঠী ছিল ৭৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশে।
শুমারির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া নাগরিক রয়েছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, নবম বা দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ৭ শতাংশ নাগরিক। তা ছাড়া এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা নাগরিক রয়েছে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রয়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
দেশে স্নাতক বা সমমান পাস নাগরিক ২০২২ সাল শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। অথচ আগের শুমারিতে এই হার ছিল মাত্র ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। দেশে বর্তমানে স্নাতকোত্তর বা সমমান পাস নাগরিক রয়েছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিক রয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) নাসিমা বেগম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ।
গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
৫ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
১০ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড..
১০ ঘণ্টা আগেমজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
১২ ঘণ্টা আগে