নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত দুই বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ। আজ শনিবার সকালে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘অন্তহীন দুঃস্বপ্ন-বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে মুখ্য আলোচকের আলোচনায় তিনি এই তথ্য জানান।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ। তিনি জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮৯০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮৪২ জনকে আটক করা হয়। ওয়েবিনারে আলোচকেরা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ও পরিধি হরণকারী এবং বিতর্কিত এসব আইন প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আলী রীয়াজ বলেন, প্রতি মাসে গড়ে ৩৪টি মামলায় ৮৬ জনের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ জামিন পেলেও অনেকেই এখনো জামিন পাননি। তথ্য না পাওয়ায় কতজন আটক আছে, তা-ও জানা সম্ভব হচ্ছে না।
লেখক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই আইনে রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত হচ্ছেন। ৮২০ জনের পেশার তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ রাজনীতিবিদ ও ২৫ শতাংশ সাংবাদিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে এই আইনের শিকার হচ্ছেন ছাত্র ও ব্যবসায়ীরা। এই আইনে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ১৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এই আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ১০৮টি মামলা করেছেন ৯৬ জন অর্থাৎ একই ব্যক্তি একাধিক মামলা করেছেন। অভিযুক্ত এবং আটক ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশি। রাজধানীর বাইরে যাঁরা সাংবাদিকতা করছেন, এই আইন তাঁদের জন্য একটি বড় রকমের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এসব মামলা প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, যাঁরা এই মামলাগুলো করছেন, তাঁদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় রাজনীতিবিদের সংখ্যাই বেশি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা মোট ১৫৪টি মামলা করেছেন। এগুলো কোনো না কোনোভাবে সরকারের অনুমোদন বা ইঙ্গিত পেয়েই করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিগত মামলা হয়েছে ২০৬টি।
ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘একটি বিশেষ মতাদর্শের মানুষকে রক্ষা করার জন্য কোনো আইন হতে পারে না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো নিয়ে যে আইনটি হচ্ছে, তা নিয়েও আমরা খুবই চিন্তিত। এটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) থেকেও ভয়ংকর। আমাদের সাইবার ট্রাইব্যুনালে যেসব বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সাইবার সম্পর্কে ধারণা খুবই কম। ডিএসএ মামলায় জেলে মানুষ মারা গেছে, অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নির্বাচন আসছে, ভবিষ্যতে ডিএসএর ব্যবহার কত ব্যাপক হবে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’
আইসিটি আইনে যে সমস্যাগুলো ছিল ডিএসএতেও সেই সমস্যাগুলো রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তিনি বলেন, ‘এখন আবার আরেকটি আইন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বলতে কী বোঝায়? রাষ্ট্র এবং সরকার কিন্তু এক বিষয় না। আগে রাজা-বাদশা যারা ছিল তারাই ছিল রাষ্ট্র-সরকার। কিন্তু স্বাধীন দেশ হওয়ার পর মানুষের চিন্তায় রাষ্ট্র-সরকারের ধারণা আলাদা হলেও আমাদের দেশে তা আসলে কতটুকু হয়েছে, তা ভেবে দেখা দরকার। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলতে কী? কারও অনুভূতি যদি ঠুনকো হয়ে থাকে? কার অনুভূতি? এ রকম ব্লাসফেমি অফেন্স আমরা রাখতে চাই কি না? আধুনিক রাষ্ট্রে এমন ব্লাসফেমি আইন আছে কি? এসব প্রশ্নের সমাধান জরুরি। সবচেয়ে জরুরি হলো, ডেটা প্রটেকশন। আমার তথ্যের মালিক যদি আমি হই তাহলে সরকার কেন আমার তথ্য নিয়ে যাবে? চুনকাম করে, মেকআপ করে ভাবমূর্তি রক্ষা করে লাভ নেই। নিজের ভেতরে ঠিক করতে হবে। জনগণ হচ্ছে মালিক। তাঁর তথ্য তাঁর সম্পত্তি। তাঁর তথ্য, সম্পত্তি রক্ষা করাই রাষ্ট্রের কাজ।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের হাতে কড়া পরিয়ে শৃঙ্খলিত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র কতগুলো আইন করে জনগণের অধিকার রক্ষা করার বদলে আরও ক্ষুণ্ণ করছে। এই আইনগুলো এখন অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। এসব অস্ত্র যখন যার বিরুদ্ধে প্রয়োজন সেখানে প্রয়োগ করা হয়। ক্ষমতাসীন ও তাদের অনুগতরা শুধু আইন দিয়ে না, তারা নিজেরাও নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। যে আইনগুলো হচ্ছে, এসবের কোনোটাই জনগণের স্বার্থে নয়, এগুলো ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে। এগুলো প্রতিরোধ করা না গেলে আমাদের জীবযাপন আরও দুঃসহ হবে।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নানাভাবে খর্ব হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা কী মানুষের আছে? রাজনৈতিক দলের নেতারাই যদি কথা বলতে না পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কথা বলবে কীভাবে? ডিএসএর ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মুক্তভাবে তথ্য, কথা আদান-প্রদানের যে জায়গা ছিল, তা সংকুচিত হয়ে গেছে। আমি নতুন বই লিখতে এখন ভয় পাই। এখন আরও একটি আইন হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে এসব আইন করে গণতান্ত্রিক সরকারের খুব বেশি সুবিধা হবে না।’
গত দুই বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ। আজ শনিবার সকালে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘অন্তহীন দুঃস্বপ্ন-বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে মুখ্য আলোচকের আলোচনায় তিনি এই তথ্য জানান।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ। তিনি জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮৯০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮৪২ জনকে আটক করা হয়। ওয়েবিনারে আলোচকেরা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ও পরিধি হরণকারী এবং বিতর্কিত এসব আইন প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আলী রীয়াজ বলেন, প্রতি মাসে গড়ে ৩৪টি মামলায় ৮৬ জনের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ জামিন পেলেও অনেকেই এখনো জামিন পাননি। তথ্য না পাওয়ায় কতজন আটক আছে, তা-ও জানা সম্ভব হচ্ছে না।
লেখক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই আইনে রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত হচ্ছেন। ৮২০ জনের পেশার তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ রাজনীতিবিদ ও ২৫ শতাংশ সাংবাদিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে এই আইনের শিকার হচ্ছেন ছাত্র ও ব্যবসায়ীরা। এই আইনে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ১৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এই আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ১০৮টি মামলা করেছেন ৯৬ জন অর্থাৎ একই ব্যক্তি একাধিক মামলা করেছেন। অভিযুক্ত এবং আটক ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশি। রাজধানীর বাইরে যাঁরা সাংবাদিকতা করছেন, এই আইন তাঁদের জন্য একটি বড় রকমের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এসব মামলা প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, যাঁরা এই মামলাগুলো করছেন, তাঁদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় রাজনীতিবিদের সংখ্যাই বেশি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা মোট ১৫৪টি মামলা করেছেন। এগুলো কোনো না কোনোভাবে সরকারের অনুমোদন বা ইঙ্গিত পেয়েই করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিগত মামলা হয়েছে ২০৬টি।
ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘একটি বিশেষ মতাদর্শের মানুষকে রক্ষা করার জন্য কোনো আইন হতে পারে না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো নিয়ে যে আইনটি হচ্ছে, তা নিয়েও আমরা খুবই চিন্তিত। এটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) থেকেও ভয়ংকর। আমাদের সাইবার ট্রাইব্যুনালে যেসব বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সাইবার সম্পর্কে ধারণা খুবই কম। ডিএসএ মামলায় জেলে মানুষ মারা গেছে, অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নির্বাচন আসছে, ভবিষ্যতে ডিএসএর ব্যবহার কত ব্যাপক হবে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’
আইসিটি আইনে যে সমস্যাগুলো ছিল ডিএসএতেও সেই সমস্যাগুলো রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তিনি বলেন, ‘এখন আবার আরেকটি আইন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বলতে কী বোঝায়? রাষ্ট্র এবং সরকার কিন্তু এক বিষয় না। আগে রাজা-বাদশা যারা ছিল তারাই ছিল রাষ্ট্র-সরকার। কিন্তু স্বাধীন দেশ হওয়ার পর মানুষের চিন্তায় রাষ্ট্র-সরকারের ধারণা আলাদা হলেও আমাদের দেশে তা আসলে কতটুকু হয়েছে, তা ভেবে দেখা দরকার। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলতে কী? কারও অনুভূতি যদি ঠুনকো হয়ে থাকে? কার অনুভূতি? এ রকম ব্লাসফেমি অফেন্স আমরা রাখতে চাই কি না? আধুনিক রাষ্ট্রে এমন ব্লাসফেমি আইন আছে কি? এসব প্রশ্নের সমাধান জরুরি। সবচেয়ে জরুরি হলো, ডেটা প্রটেকশন। আমার তথ্যের মালিক যদি আমি হই তাহলে সরকার কেন আমার তথ্য নিয়ে যাবে? চুনকাম করে, মেকআপ করে ভাবমূর্তি রক্ষা করে লাভ নেই। নিজের ভেতরে ঠিক করতে হবে। জনগণ হচ্ছে মালিক। তাঁর তথ্য তাঁর সম্পত্তি। তাঁর তথ্য, সম্পত্তি রক্ষা করাই রাষ্ট্রের কাজ।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের হাতে কড়া পরিয়ে শৃঙ্খলিত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র কতগুলো আইন করে জনগণের অধিকার রক্ষা করার বদলে আরও ক্ষুণ্ণ করছে। এই আইনগুলো এখন অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। এসব অস্ত্র যখন যার বিরুদ্ধে প্রয়োজন সেখানে প্রয়োগ করা হয়। ক্ষমতাসীন ও তাদের অনুগতরা শুধু আইন দিয়ে না, তারা নিজেরাও নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। যে আইনগুলো হচ্ছে, এসবের কোনোটাই জনগণের স্বার্থে নয়, এগুলো ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে। এগুলো প্রতিরোধ করা না গেলে আমাদের জীবযাপন আরও দুঃসহ হবে।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নানাভাবে খর্ব হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা কী মানুষের আছে? রাজনৈতিক দলের নেতারাই যদি কথা বলতে না পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কথা বলবে কীভাবে? ডিএসএর ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মুক্তভাবে তথ্য, কথা আদান-প্রদানের যে জায়গা ছিল, তা সংকুচিত হয়ে গেছে। আমি নতুন বই লিখতে এখন ভয় পাই। এখন আরও একটি আইন হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে এসব আইন করে গণতান্ত্রিক সরকারের খুব বেশি সুবিধা হবে না।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে গেলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগেগত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। এই বছরের এপ্রিলে ব্যাংককে মোদি এবং ইউনূসের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ হলেও দুই দেশের মধ্যে শীতলতা কমেনি। এর মধ্যেই বাংলাদেশের ক্রমাগত অভিযোগ, ভারতের সীমান্তরক্ষীরা পুশ-ইন করে সীমান্ত দিয়ে মানুষ ঢোকাচ্ছেন। এতে সম্পর্কে আরও দূরত্ব
১৩ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অপরাধ প্রমাণিত না হলে কেন একটা নির্দোষ লোককে আমরা সাজা দেব? অপরাধ প্রমাণিত হলেই তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। সরকার চেষ্টা করছে অপরাধ করেননি এমন কারও যাতে শাস্তি না হয়। তাই প্রতিটি মামলার গভীর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেকানাডার অন্টারিও প্রদেশের কুইন্টা লেকে কায়াক বোট উল্টে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানের অভিজ্ঞ পাইলট ক্যাপ্টেন মো. সাইফুজ্জামান (গুড্ডু) এবং বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গার্মেন্টস খাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল্লা হিল রাকিব (পাপ্পু)।
১৫ ঘণ্টা আগে