কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের জের ধরে এনজিও ও মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা প্রাথমিক খসড়া করে দিয়েছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেশে বৈঠকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এমন আলোচনা হয়নি। বৈঠকে আমরা জানিয়েছি যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বেশ স্বচ্ছ। আমাদের দেশের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। এ জন্য বাংলাদেশে ৭২ শতাংশের নিচে কখনো ভোট পরে না। বাংলাদেশে নির্বাচন একটি উৎসব। যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়, জোর করে মানুষ আনতে হয় না। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানো ঠিক হবে না।’
সরকার সব দলকে নির্বাচনে চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব দলই মোটামুটি নির্বাচনে আসে। কিন্তু একটি বড় দল রয়েছে তারা জনসম্মুখে বলে, তারা নির্বাচন করবে না। কেউ যদি নিজ ইচ্ছায় নির্বাচন না করতে চায়…। তারা জনগণকে ভয় পায়। কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জন্ম হয়নি। সেনানিবাসে তাদের জন্ম। তারা ওই ধরনের জিনিস আশা করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।’
বাংলাদেশের নির্বাচনে স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কী জানিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের মেয়র হচ্ছে বিএনপির। আমি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। যখন নির্বাচন হয়, তখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে ছিল। তিনি (রাষ্ট্রদূত) দেখেছেন কত ভালো নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে। কোথাও কারচুপি হয়নি। হ্যাঁ, এত বড় দেশ, কোথাও কোথাও কারচুপি হতে পারে। কিন্তু যেখানে কারচুপি হয়েছে সেখানে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশে স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে নতুন করে আমরা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করেছি। এ আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে স্বচ্ছ মানুষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই সরকার নির্বাচন করে। বাংলাদেশেও সেই নিয়মেই হবে। দুনিয়ায় এভাবে হয়ে থাকে।’
বৈঠকে র্যাবের বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছ কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে বলেছি যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত (সাবেক) মরিয়ার্টি বলেছিলেন যে, র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। আর আপনারা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন।’
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কত সময়ে লাগতে পারে? এর উত্তরে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যম দেখে কিছু তথ্য পায়। আর কিছু এনজিও তথ্য দেয়। এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর একদল রয়েছে, যারা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়, তাই বাংলাদেশের খারাপ চিত্র দিলে তাদের লাভ হয়। অনেক বাংলাদেশি মার্কিন দূতাবাসে চাকরি করেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরাই এ খসড়া তৈরি করেন। তাঁরা (মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা) খালি দোষ খোঁজেন। খালি দোষ খোঁজা আমাদের বাঙালির চরিত্র।’
দেশে সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার না দেওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনটি তথ্যনির্ভর না। তারপরও কিছু কিছু মতামত এসেছে। তারা আমাদের ধর্মের ওপর আঘাত দিতে চায়। এগুলো আমরা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছি। এ নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে অনেক আলোচনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছি, গত ৫০ বছর আপনাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। আমরা চাই ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও উন্নত করতে। এ সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরাও চাই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। বাংলাদেশের খুব প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন করেছে, তা অনুকরণীয়।’
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কোনো খুনিকে রাখতে দিতে চায় না। বিষয়টিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি পররাষ্ট্র দপ্তরের বিষয় নয়। তবে কার্যক্রম যাতে দ্রুত হয়, বিষয়টি দেখবেন। ২০০১ সালের তৎকালীন মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে পাঠানোর। তবে সে সময়ে বাংলাদেশে যারা নতুন সরকার গঠন করেছিলেন, তাঁরা বিষয়টি আটকে দিয়েছেন।’
ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ তার নীতিতে রয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’

সদ্য প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের জের ধরে এনজিও ও মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা প্রাথমিক খসড়া করে দিয়েছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেশে বৈঠকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এমন আলোচনা হয়নি। বৈঠকে আমরা জানিয়েছি যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বেশ স্বচ্ছ। আমাদের দেশের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। এ জন্য বাংলাদেশে ৭২ শতাংশের নিচে কখনো ভোট পরে না। বাংলাদেশে নির্বাচন একটি উৎসব। যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়, জোর করে মানুষ আনতে হয় না। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানো ঠিক হবে না।’
সরকার সব দলকে নির্বাচনে চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব দলই মোটামুটি নির্বাচনে আসে। কিন্তু একটি বড় দল রয়েছে তারা জনসম্মুখে বলে, তারা নির্বাচন করবে না। কেউ যদি নিজ ইচ্ছায় নির্বাচন না করতে চায়…। তারা জনগণকে ভয় পায়। কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জন্ম হয়নি। সেনানিবাসে তাদের জন্ম। তারা ওই ধরনের জিনিস আশা করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।’
বাংলাদেশের নির্বাচনে স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কী জানিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের মেয়র হচ্ছে বিএনপির। আমি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। যখন নির্বাচন হয়, তখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে ছিল। তিনি (রাষ্ট্রদূত) দেখেছেন কত ভালো নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে। কোথাও কারচুপি হয়নি। হ্যাঁ, এত বড় দেশ, কোথাও কোথাও কারচুপি হতে পারে। কিন্তু যেখানে কারচুপি হয়েছে সেখানে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশে স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে নতুন করে আমরা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করেছি। এ আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে স্বচ্ছ মানুষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই সরকার নির্বাচন করে। বাংলাদেশেও সেই নিয়মেই হবে। দুনিয়ায় এভাবে হয়ে থাকে।’
বৈঠকে র্যাবের বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছ কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে বলেছি যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত (সাবেক) মরিয়ার্টি বলেছিলেন যে, র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। আর আপনারা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন।’
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কত সময়ে লাগতে পারে? এর উত্তরে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যম দেখে কিছু তথ্য পায়। আর কিছু এনজিও তথ্য দেয়। এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর একদল রয়েছে, যারা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়, তাই বাংলাদেশের খারাপ চিত্র দিলে তাদের লাভ হয়। অনেক বাংলাদেশি মার্কিন দূতাবাসে চাকরি করেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরাই এ খসড়া তৈরি করেন। তাঁরা (মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা) খালি দোষ খোঁজেন। খালি দোষ খোঁজা আমাদের বাঙালির চরিত্র।’
দেশে সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার না দেওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনটি তথ্যনির্ভর না। তারপরও কিছু কিছু মতামত এসেছে। তারা আমাদের ধর্মের ওপর আঘাত দিতে চায়। এগুলো আমরা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছি। এ নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে অনেক আলোচনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছি, গত ৫০ বছর আপনাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। আমরা চাই ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও উন্নত করতে। এ সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরাও চাই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। বাংলাদেশের খুব প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন করেছে, তা অনুকরণীয়।’
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কোনো খুনিকে রাখতে দিতে চায় না। বিষয়টিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি পররাষ্ট্র দপ্তরের বিষয় নয়। তবে কার্যক্রম যাতে দ্রুত হয়, বিষয়টি দেখবেন। ২০০১ সালের তৎকালীন মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে পাঠানোর। তবে সে সময়ে বাংলাদেশে যারা নতুন সরকার গঠন করেছিলেন, তাঁরা বিষয়টি আটকে দিয়েছেন।’
ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ তার নীতিতে রয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের জের ধরে এনজিও ও মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা প্রাথমিক খসড়া করে দিয়েছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেশে বৈঠকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এমন আলোচনা হয়নি। বৈঠকে আমরা জানিয়েছি যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বেশ স্বচ্ছ। আমাদের দেশের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। এ জন্য বাংলাদেশে ৭২ শতাংশের নিচে কখনো ভোট পরে না। বাংলাদেশে নির্বাচন একটি উৎসব। যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়, জোর করে মানুষ আনতে হয় না। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানো ঠিক হবে না।’
সরকার সব দলকে নির্বাচনে চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব দলই মোটামুটি নির্বাচনে আসে। কিন্তু একটি বড় দল রয়েছে তারা জনসম্মুখে বলে, তারা নির্বাচন করবে না। কেউ যদি নিজ ইচ্ছায় নির্বাচন না করতে চায়…। তারা জনগণকে ভয় পায়। কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জন্ম হয়নি। সেনানিবাসে তাদের জন্ম। তারা ওই ধরনের জিনিস আশা করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।’
বাংলাদেশের নির্বাচনে স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কী জানিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের মেয়র হচ্ছে বিএনপির। আমি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। যখন নির্বাচন হয়, তখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে ছিল। তিনি (রাষ্ট্রদূত) দেখেছেন কত ভালো নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে। কোথাও কারচুপি হয়নি। হ্যাঁ, এত বড় দেশ, কোথাও কোথাও কারচুপি হতে পারে। কিন্তু যেখানে কারচুপি হয়েছে সেখানে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশে স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে নতুন করে আমরা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করেছি। এ আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে স্বচ্ছ মানুষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই সরকার নির্বাচন করে। বাংলাদেশেও সেই নিয়মেই হবে। দুনিয়ায় এভাবে হয়ে থাকে।’
বৈঠকে র্যাবের বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছ কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে বলেছি যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত (সাবেক) মরিয়ার্টি বলেছিলেন যে, র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। আর আপনারা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন।’
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কত সময়ে লাগতে পারে? এর উত্তরে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যম দেখে কিছু তথ্য পায়। আর কিছু এনজিও তথ্য দেয়। এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর একদল রয়েছে, যারা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়, তাই বাংলাদেশের খারাপ চিত্র দিলে তাদের লাভ হয়। অনেক বাংলাদেশি মার্কিন দূতাবাসে চাকরি করেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরাই এ খসড়া তৈরি করেন। তাঁরা (মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা) খালি দোষ খোঁজেন। খালি দোষ খোঁজা আমাদের বাঙালির চরিত্র।’
দেশে সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার না দেওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনটি তথ্যনির্ভর না। তারপরও কিছু কিছু মতামত এসেছে। তারা আমাদের ধর্মের ওপর আঘাত দিতে চায়। এগুলো আমরা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছি। এ নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে অনেক আলোচনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছি, গত ৫০ বছর আপনাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। আমরা চাই ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও উন্নত করতে। এ সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরাও চাই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। বাংলাদেশের খুব প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন করেছে, তা অনুকরণীয়।’
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কোনো খুনিকে রাখতে দিতে চায় না। বিষয়টিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি পররাষ্ট্র দপ্তরের বিষয় নয়। তবে কার্যক্রম যাতে দ্রুত হয়, বিষয়টি দেখবেন। ২০০১ সালের তৎকালীন মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে পাঠানোর। তবে সে সময়ে বাংলাদেশে যারা নতুন সরকার গঠন করেছিলেন, তাঁরা বিষয়টি আটকে দিয়েছেন।’
ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ তার নীতিতে রয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’

সদ্য প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের জের ধরে এনজিও ও মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা প্রাথমিক খসড়া করে দিয়েছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেশে বৈঠকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এমন আলোচনা হয়নি। বৈঠকে আমরা জানিয়েছি যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বেশ স্বচ্ছ। আমাদের দেশের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। এ জন্য বাংলাদেশে ৭২ শতাংশের নিচে কখনো ভোট পরে না। বাংলাদেশে নির্বাচন একটি উৎসব। যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়, জোর করে মানুষ আনতে হয় না। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানো ঠিক হবে না।’
সরকার সব দলকে নির্বাচনে চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব দলই মোটামুটি নির্বাচনে আসে। কিন্তু একটি বড় দল রয়েছে তারা জনসম্মুখে বলে, তারা নির্বাচন করবে না। কেউ যদি নিজ ইচ্ছায় নির্বাচন না করতে চায়…। তারা জনগণকে ভয় পায়। কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জন্ম হয়নি। সেনানিবাসে তাদের জন্ম। তারা ওই ধরনের জিনিস আশা করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।’
বাংলাদেশের নির্বাচনে স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কী জানিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের মেয়র হচ্ছে বিএনপির। আমি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। যখন নির্বাচন হয়, তখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে ছিল। তিনি (রাষ্ট্রদূত) দেখেছেন কত ভালো নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে। কোথাও কারচুপি হয়নি। হ্যাঁ, এত বড় দেশ, কোথাও কোথাও কারচুপি হতে পারে। কিন্তু যেখানে কারচুপি হয়েছে সেখানে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশে স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে নতুন করে আমরা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করেছি। এ আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে স্বচ্ছ মানুষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই সরকার নির্বাচন করে। বাংলাদেশেও সেই নিয়মেই হবে। দুনিয়ায় এভাবে হয়ে থাকে।’
বৈঠকে র্যাবের বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছ কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে বলেছি যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত (সাবেক) মরিয়ার্টি বলেছিলেন যে, র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। আর আপনারা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন।’
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কত সময়ে লাগতে পারে? এর উত্তরে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যম দেখে কিছু তথ্য পায়। আর কিছু এনজিও তথ্য দেয়। এনজিওরা সব সময়ে বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর একদল রয়েছে, যারা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়, তাই বাংলাদেশের খারাপ চিত্র দিলে তাদের লাভ হয়। অনেক বাংলাদেশি মার্কিন দূতাবাসে চাকরি করেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরাই এ খসড়া তৈরি করেন। তাঁরা (মার্কিন দূতাবাসের বাংলাদেশি কর্মকর্তারা) খালি দোষ খোঁজেন। খালি দোষ খোঁজা আমাদের বাঙালির চরিত্র।’
দেশে সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার না দেওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনটি তথ্যনির্ভর না। তারপরও কিছু কিছু মতামত এসেছে। তারা আমাদের ধর্মের ওপর আঘাত দিতে চায়। এগুলো আমরা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছি। এ নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে অনেক আলোচনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছি, গত ৫০ বছর আপনাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। আমরা চাই ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও উন্নত করতে। এ সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরাও চাই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। বাংলাদেশের খুব প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন করেছে, তা অনুকরণীয়।’
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কোনো খুনিকে রাখতে দিতে চায় না। বিষয়টিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি পররাষ্ট্র দপ্তরের বিষয় নয়। তবে কার্যক্রম যাতে দ্রুত হয়, বিষয়টি দেখবেন। ২০০১ সালের তৎকালীন মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে পাঠানোর। তবে সে সময়ে বাংলাদেশে যারা নতুন সরকার গঠন করেছিলেন, তাঁরা বিষয়টি আটকে দিয়েছেন।’
ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ তার নীতিতে রয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সিলেট

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।
২১ এপ্রিল ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।
২১ এপ্রিল ২০২২
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।
২১ এপ্রিল ২০২২
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের আনতে পারেন না। তখন আমি বলেছি, আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। আমাদের এখানে সুযোগ সবার জন্য সমান। বাকি সব দল আসে, ওরা যদি না আসে আমি কী করব? তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, না এলে তো আপনার কিছু করার নাই।
২১ এপ্রিল ২০২২
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে