মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করা ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। ভোটার তালিকা থেকেও তাঁদের নাম তাৎক্ষণিক বাদ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে ১৮ মার্চের সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে তথ্যের কোনো ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ১৯ মার্চ করা সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে এ সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর, হবে তা বলা হয়নি।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (পরিচালনা) ও ইসির উপসচিব (নির্বাচন সহায়তা ও সমন্বয়) এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।
এ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বা ইতিমধ্যে কতজনের এনআইডি বাতিল করা হয়েছে—এ প্রশ্নে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০১৭ সালে ১১৯, ২০১৮ সালে ৩৬৫, ২০১৯ সালে ৩৫৬, ২০২০ সালে ৩২৩, ২০২১ সালে ১৬৫, ২০২২ সালে ৪২১, ২০২৩ সালে ৫৪৮ এবং ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে সবচেয়ে বেশি নাগরিকত্ব নিয়েছেন ইউরোপের দেশ জার্মানির। এরপর রয়েছে অস্ট্রিয়া এবং এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। একই সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর নাগরিকত্ব ত্যাগের তথ্য হারিয়ে গেছে। ফলে ২০১৭ সালের আগে কতজন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, সে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেই। তাঁদের ধারণা, ২০১৭ সালের আগে সংখ্যাটি এখনকার তুলনায় বেশ কম ছিল।
সূত্র জানায়, গত ৮ বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করা ব্যক্তিরা ৪০টির বেশি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ২৮১ জন জার্মানির, ৩৯২ জন অস্ট্রিয়ার, ১৮০ জন সিঙ্গাপুরের, ১৫১ জন ভারতের, ৫৭ জন নরওয়ের, ২৫ জন যুক্তরাজ্যের, ১৭ জন ইউক্রেনের, ১৫ জন শ্রীলঙ্কার, ১৩ জন করে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের, ১১ জন ইন্দোনেশিয়ার ও ৯ জন বুলগেরিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তান ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়েছেন চারজন করে।
কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার শর্ত হিসেবে আগের দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। আবার কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর নাগরিক হিসেবে শপথ নিতে হলে আগের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। এ জন্য ওই বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।
ইসির নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করা এই ব্যক্তিদের বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল হবে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ পড়বে।
বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশও বিদেশি কিছু ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে প্রথম চারজন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। এরপর ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ জন বিদেশি। ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতিবছরই কিছু না কিছু বিদেশিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
দ্বৈত নাগরিক ৩৪ হাজার: ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করছে সরকার। ওই বছর ২২৭ জনকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত কমবেশি ৩৪ হাজারজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করা ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। ভোটার তালিকা থেকেও তাঁদের নাম তাৎক্ষণিক বাদ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে ১৮ মার্চের সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে তথ্যের কোনো ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ১৯ মার্চ করা সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে এ সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর, হবে তা বলা হয়নি।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (পরিচালনা) ও ইসির উপসচিব (নির্বাচন সহায়তা ও সমন্বয়) এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।
এ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বা ইতিমধ্যে কতজনের এনআইডি বাতিল করা হয়েছে—এ প্রশ্নে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০১৭ সালে ১১৯, ২০১৮ সালে ৩৬৫, ২০১৯ সালে ৩৫৬, ২০২০ সালে ৩২৩, ২০২১ সালে ১৬৫, ২০২২ সালে ৪২১, ২০২৩ সালে ৫৪৮ এবং ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে সবচেয়ে বেশি নাগরিকত্ব নিয়েছেন ইউরোপের দেশ জার্মানির। এরপর রয়েছে অস্ট্রিয়া এবং এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। একই সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর নাগরিকত্ব ত্যাগের তথ্য হারিয়ে গেছে। ফলে ২০১৭ সালের আগে কতজন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, সে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেই। তাঁদের ধারণা, ২০১৭ সালের আগে সংখ্যাটি এখনকার তুলনায় বেশ কম ছিল।
সূত্র জানায়, গত ৮ বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করা ব্যক্তিরা ৪০টির বেশি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ২৮১ জন জার্মানির, ৩৯২ জন অস্ট্রিয়ার, ১৮০ জন সিঙ্গাপুরের, ১৫১ জন ভারতের, ৫৭ জন নরওয়ের, ২৫ জন যুক্তরাজ্যের, ১৭ জন ইউক্রেনের, ১৫ জন শ্রীলঙ্কার, ১৩ জন করে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের, ১১ জন ইন্দোনেশিয়ার ও ৯ জন বুলগেরিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তান ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়েছেন চারজন করে।
কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার শর্ত হিসেবে আগের দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। আবার কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর নাগরিক হিসেবে শপথ নিতে হলে আগের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। এ জন্য ওই বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।
ইসির নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করা এই ব্যক্তিদের বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল হবে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ পড়বে।
বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশও বিদেশি কিছু ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে প্রথম চারজন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। এরপর ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ জন বিদেশি। ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতিবছরই কিছু না কিছু বিদেশিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
দ্বৈত নাগরিক ৩৪ হাজার: ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করছে সরকার। ওই বছর ২২৭ জনকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত কমবেশি ৩৪ হাজারজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে প্রস্তাব ও আইনের খসড়া পাঠানোর পর আইন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, বাণিজ্যিক আদালত গঠন করে আইন মন্ত্রণালয় শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
৭ ঘণ্টা আগেচূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। এখন সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর করাটাই শুধু বাকি। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে শেষ সময়ের কাজটুকু সমাধা হওয়া নিয়েই দেখা দেয় গুরুতর সংকট। সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে গতকাল বুধবার দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের...
৭ ঘণ্টা আগেপশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায়...
৮ ঘণ্টা আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
৯ ঘণ্টা আগে