Ajker Patrika

উপসচিব কোটা নিয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনার দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
উপসচিব কোটা নিয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনার দাবি

উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনার দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। আজ সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমিশনের দাখিলকৃত সুপারিশের মধ্যে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু কিছু প্রস্তাবের বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা নিয়ে অধিকতর পর্যালোচনা করা উচিত বলে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে। তার মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডের পদ উপসচিবসহ তদূর্ধ্ব যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবকে ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস’-এ অন্তর্ভুক্ত করে উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসি কর্তৃক পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য সার্ভিস থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদানকে অধিকতর যৌক্তিক বলে কমিশন মন্তব্য করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ১০ বছরব্যাপী সব পক্ষের বক্তব্য শুনার পর আপিল বিভাগের রায় ও রিভিউ শেষে ২০১৬ সালে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয় এবং উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। সুতরাং, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এই মতামত উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ কোটা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা অধিকতর যৌক্তিক মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের কোনো কোটা নেই; বরং প্রশাসন ক্যাডারের শতভাগ পদ থেকে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্যই ১৯৮৯ সালে কোটার প্রচলন করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত