জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
বাংলা ভাষার প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি কথা বলতেন শিকড়ের ভাষায়। যে ভাষা সহজে বুঝতে পারে প্রান্তিক মানুষ, সেটাই ছিল তাঁর মুখের ভাষা।
১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটি ছিল অনেক বড়। তাতে তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের কথা। বাংলা একাডেমি স্থাপনের কথা। ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন, ‘মুক্ত পরিবেশেই ভাষার বিকাশ হয়। ঘরে বসে ভাষার পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা যায় না। এর পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয় ব্যবহারের ভেতর দিয়ে। ভাষার গতি নদীর স্রোতোধারার মতো। ভাষা নিজেই তার গতিপথ রচনা করে নেয়। কেউ এর গতি রোধ করতে পারে না।’
নিজ ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের উচ্চতম পর্যায় পর্যন্ত যাবতীয় সরকারি নথিপত্র ও অন্যান্য কাজকর্ম বাংলায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন চীন সফরে গেলেন, তখন তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলায়। ১৯৫২ সালের অক্টোবরে শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে তিনি চীনে যান। ভাষা আন্দোলন তখনো তাজা তাঁর মনজুড়ে। তাই বক্তৃতা করলেন বাংলা ভাষায়। এ নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা আমার মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় বক্তৃতা করা উচিত। কারণ, পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলনের কথা দুনিয়ার সকল দেশের লোকই কিছু কিছু জানে। ...দুনিয়ার সকল দেশের লোকই যার যার মাতৃভাষায় বক্তৃতা করে। শুধু আমরাই ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করে নিজেদের গর্বিত মনে করি। ...অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করল, “ভারত থেকে একজন বাংলায় বক্তৃতা করলেন, আর পাকিস্তান থেকেও একজন বক্তৃতা করলেন, ব্যাপার কী?” আমি বললাম, বাংলাদেশ ভাগ হয়ে এক ভাগ ভারত আর এক ভাগ পাকিস্তানে পড়েছে। বাংলা ভাষা যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষা এ অনেকেই জানে। ...দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ভাষার অন্যতম বাংলা।’ (শেখ মুজিবুর রহমান, আমার দেখা নয়া চীন, পৃষ্ঠা ৪৩–৪৪)
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর নিখাদ ভালোবাসা তাঁকে মিলিয়ে দিয়েছিল দেশের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে। এ কারণেই তিনি সাধারণের ভাষা বুঝতে পারতেন এবং কথা বলতে পারতেন সাধারণ মানুষের ভাষায়।
বাংলা ভাষার প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি কথা বলতেন শিকড়ের ভাষায়। যে ভাষা সহজে বুঝতে পারে প্রান্তিক মানুষ, সেটাই ছিল তাঁর মুখের ভাষা।
১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটি ছিল অনেক বড়। তাতে তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের কথা। বাংলা একাডেমি স্থাপনের কথা। ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন, ‘মুক্ত পরিবেশেই ভাষার বিকাশ হয়। ঘরে বসে ভাষার পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা যায় না। এর পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয় ব্যবহারের ভেতর দিয়ে। ভাষার গতি নদীর স্রোতোধারার মতো। ভাষা নিজেই তার গতিপথ রচনা করে নেয়। কেউ এর গতি রোধ করতে পারে না।’
নিজ ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের উচ্চতম পর্যায় পর্যন্ত যাবতীয় সরকারি নথিপত্র ও অন্যান্য কাজকর্ম বাংলায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন চীন সফরে গেলেন, তখন তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলায়। ১৯৫২ সালের অক্টোবরে শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে তিনি চীনে যান। ভাষা আন্দোলন তখনো তাজা তাঁর মনজুড়ে। তাই বক্তৃতা করলেন বাংলা ভাষায়। এ নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা আমার মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় বক্তৃতা করা উচিত। কারণ, পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলনের কথা দুনিয়ার সকল দেশের লোকই কিছু কিছু জানে। ...দুনিয়ার সকল দেশের লোকই যার যার মাতৃভাষায় বক্তৃতা করে। শুধু আমরাই ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করে নিজেদের গর্বিত মনে করি। ...অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করল, “ভারত থেকে একজন বাংলায় বক্তৃতা করলেন, আর পাকিস্তান থেকেও একজন বক্তৃতা করলেন, ব্যাপার কী?” আমি বললাম, বাংলাদেশ ভাগ হয়ে এক ভাগ ভারত আর এক ভাগ পাকিস্তানে পড়েছে। বাংলা ভাষা যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষা এ অনেকেই জানে। ...দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ভাষার অন্যতম বাংলা।’ (শেখ মুজিবুর রহমান, আমার দেখা নয়া চীন, পৃষ্ঠা ৪৩–৪৪)
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর নিখাদ ভালোবাসা তাঁকে মিলিয়ে দিয়েছিল দেশের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে। এ কারণেই তিনি সাধারণের ভাষা বুঝতে পারতেন এবং কথা বলতে পারতেন সাধারণ মানুষের ভাষায়।
কৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য কৃষকদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ইতিমধ্যে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি ছিল এ বিষয়ে অংশীজনদের মতামত জানানোর শেষ দিন।
৪ ঘণ্টা আগেহাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
৪ ঘণ্টা আগেগতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
১০ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
১৬ ঘণ্টা আগে