মো. আরিফুজ্জামান, ঢাকা

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণব্যয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্মাণব্যয়ে এশিয়ায় শীর্ষে রূপপুর
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয় মূলত হিসাব করা হয় প্রতি ১ হাজার ওয়াট (১ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে। একে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্টও বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয়কে মোট উৎপাদন সক্ষমতা (কিলোওয়াট হিসাবে) দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় গড়ে ১ হাজার ৫৫৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৭ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮১ ডলার (৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৪ টাকা)। কিন্তু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৫ হাজার ৮৯০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ টাকা। এমনকি যে রাশিয়ার প্রযুক্তিতে রূপপুর নির্মিত হচ্ছে, সেখানেও একই প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৪ হাজার ৭৫ ডলার (৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪ টাকা)। কেবল যুক্তরাজ্য ও হাঙ্গেরিতে এই ব্যয় ৬ হাজার ডলারের বেশি।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই নির্মাণব্যয় বেশি
ভারত, তুরস্ক, ইরান, বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রোসাটম। এখনো তারা কিছু দেশে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এসব দেশে রোসাটমের নির্মাণব্যয়ের তুলনায় রূপপুরের নির্মাণব্যয় বেশি।
ভারতের কুদামকুলামে রাশিয়ার ভিভিইআর ১০০০ প্রযুক্তিতে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। সেখানে একই প্রযুক্তির আরও দুটি ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। এখানকার প্রথম দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় ১৭ হাজার ২৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। তিন ও চার নম্বর ইউনিটের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। এই দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৭৪৭ কোটি রুপি (৫৬ হাজার ৫২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। ভারতের কুদামকুলামে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ দুই ইউনিটের নির্মাণ খরচ হবে ৫ হাজার কোটি রুপি (৭ হাজার ১১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার কিছু বেশি)। অর্থাৎ ছয় ইউনিট নির্মাণে মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা।
রাশিয়ার রোসাটম ফিনল্যান্ডে ১২০০ মেগাওয়াটের ভিভিইআর প্রযুক্তির একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এটি নির্মাণে ৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকার কিছু বেশি) ব্যয় ধরা হয়েছে, এখানে ইউনিটপ্রতি নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্ট ৫ হাজার ডলার।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তুলনামূলক কম টাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে তুরস্কে। তুরস্কের আক্কুইউ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চার ইউনিটের (প্রতি ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট)। কেন্দ্রটি থেকে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চার ইউনিটের এ কেন্দ্রের পেছনে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা)। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০০ ডলার (৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৩ টাকা)।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত জেনারেল কন্ট্রাক্ট (সাধারণ চুক্তি) অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই ব্যয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ আকারে বাংলাদেশকে দিচ্ছে, বাকি ১০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে। রূপপুর প্রকল্পের শুরুর দিকে প্রকল্পের সমীক্ষা, ভূমি উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন এবং কিছু ভৌত অবকাঠামোর কাজে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। এই ব্যয় সাধারণ চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নির্মাণব্যয়ের এই অর্থের কথাই উল্লেখ করেছে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। তিনি একাধারে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। বর্তমানে তিনি এই তিন পদেই আছেন। রূপপুরের সব ব্যয় ও চুক্তির বিষয়ে জানতে শৌকত আকবরের কাছে দফায় দফায় ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছে ইমেইল করেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
যেসব ব্যয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি
রূপপুরের মূল প্রকল্পের নির্মাণব্যয়ের বাইরে আরও ১৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রূপপুর প্রকল্পের জন্য ২২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্পের পেছনেই এই অর্থ ব্যয় হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেটের (ডিবিটি) বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবিলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এসব প্রকল্পের ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি সূত্র বলেছে, রূপপুরের বিদ্যুৎ দেশের আট জেলায় সরবরাহে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৮২ কোটি। এই অর্থ ভারত থেকে ঋণ আকারে নিয়েছে বাংলাদেশ। সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ করছে তিনটি ভারতীয় কোম্পানি। এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের তথ্যপ্রযুক্তির পেছনে আরও ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকল্প অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে পাবনার পাকশী পর্যন্ত নদীপথ খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং) ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা। তবে ২০১৮ সালে করা এই ড্রেজিং করার এক বছরের মাথায় নদীর নাব্যতা আগের অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪২ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাটাই ছিল অপ্রয়োজনীয়। এত অর্থ ব্যয় করে এই প্রকল্প করার মানে নেই। বাংলাদেশে যেকোনো প্রকল্প অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটার স্বচ্ছতা নেই।
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণব্যয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্মাণব্যয়ে এশিয়ায় শীর্ষে রূপপুর
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয় মূলত হিসাব করা হয় প্রতি ১ হাজার ওয়াট (১ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে। একে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্টও বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয়কে মোট উৎপাদন সক্ষমতা (কিলোওয়াট হিসাবে) দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় গড়ে ১ হাজার ৫৫৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৭ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮১ ডলার (৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৪ টাকা)। কিন্তু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৫ হাজার ৮৯০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ টাকা। এমনকি যে রাশিয়ার প্রযুক্তিতে রূপপুর নির্মিত হচ্ছে, সেখানেও একই প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৪ হাজার ৭৫ ডলার (৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪ টাকা)। কেবল যুক্তরাজ্য ও হাঙ্গেরিতে এই ব্যয় ৬ হাজার ডলারের বেশি।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই নির্মাণব্যয় বেশি
ভারত, তুরস্ক, ইরান, বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রোসাটম। এখনো তারা কিছু দেশে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এসব দেশে রোসাটমের নির্মাণব্যয়ের তুলনায় রূপপুরের নির্মাণব্যয় বেশি।
ভারতের কুদামকুলামে রাশিয়ার ভিভিইআর ১০০০ প্রযুক্তিতে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। সেখানে একই প্রযুক্তির আরও দুটি ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। এখানকার প্রথম দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় ১৭ হাজার ২৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। তিন ও চার নম্বর ইউনিটের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। এই দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৭৪৭ কোটি রুপি (৫৬ হাজার ৫২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। ভারতের কুদামকুলামে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ দুই ইউনিটের নির্মাণ খরচ হবে ৫ হাজার কোটি রুপি (৭ হাজার ১১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার কিছু বেশি)। অর্থাৎ ছয় ইউনিট নির্মাণে মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা।
রাশিয়ার রোসাটম ফিনল্যান্ডে ১২০০ মেগাওয়াটের ভিভিইআর প্রযুক্তির একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এটি নির্মাণে ৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকার কিছু বেশি) ব্যয় ধরা হয়েছে, এখানে ইউনিটপ্রতি নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্ট ৫ হাজার ডলার।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তুলনামূলক কম টাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে তুরস্কে। তুরস্কের আক্কুইউ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চার ইউনিটের (প্রতি ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট)। কেন্দ্রটি থেকে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চার ইউনিটের এ কেন্দ্রের পেছনে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা)। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০০ ডলার (৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৩ টাকা)।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত জেনারেল কন্ট্রাক্ট (সাধারণ চুক্তি) অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই ব্যয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ আকারে বাংলাদেশকে দিচ্ছে, বাকি ১০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে। রূপপুর প্রকল্পের শুরুর দিকে প্রকল্পের সমীক্ষা, ভূমি উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন এবং কিছু ভৌত অবকাঠামোর কাজে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। এই ব্যয় সাধারণ চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নির্মাণব্যয়ের এই অর্থের কথাই উল্লেখ করেছে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। তিনি একাধারে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। বর্তমানে তিনি এই তিন পদেই আছেন। রূপপুরের সব ব্যয় ও চুক্তির বিষয়ে জানতে শৌকত আকবরের কাছে দফায় দফায় ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছে ইমেইল করেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
যেসব ব্যয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি
রূপপুরের মূল প্রকল্পের নির্মাণব্যয়ের বাইরে আরও ১৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রূপপুর প্রকল্পের জন্য ২২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্পের পেছনেই এই অর্থ ব্যয় হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেটের (ডিবিটি) বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবিলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এসব প্রকল্পের ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি সূত্র বলেছে, রূপপুরের বিদ্যুৎ দেশের আট জেলায় সরবরাহে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৮২ কোটি। এই অর্থ ভারত থেকে ঋণ আকারে নিয়েছে বাংলাদেশ। সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ করছে তিনটি ভারতীয় কোম্পানি। এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের তথ্যপ্রযুক্তির পেছনে আরও ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকল্প অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে পাবনার পাকশী পর্যন্ত নদীপথ খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং) ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা। তবে ২০১৮ সালে করা এই ড্রেজিং করার এক বছরের মাথায় নদীর নাব্যতা আগের অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪২ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাটাই ছিল অপ্রয়োজনীয়। এত অর্থ ব্যয় করে এই প্রকল্প করার মানে নেই। বাংলাদেশে যেকোনো প্রকল্প অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটার স্বচ্ছতা নেই।
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
১১ মিনিট আগে
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৮ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩৫ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে—এই নির্বাচন ও গণভোট সেই পথরেখাকে দৃঢ় করবে, গণমানুষের মতকে প্রাধান্য দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি আরও সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে। নির্বাচন ও গণভোটকে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।’
দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ, প্রার্থী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং সর্বোপরি দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নির্বাচন ও গণভোটকে একটি জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করুন। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক আচরণ আমাদের সামনের দিনগুলোকে আরও স্থিতিশীল করবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নতুন ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। আপনাদের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণে সফল হব—এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে—এই নির্বাচন ও গণভোট সেই পথরেখাকে দৃঢ় করবে, গণমানুষের মতকে প্রাধান্য দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি আরও সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে। নির্বাচন ও গণভোটকে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।’
দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ, প্রার্থী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং সর্বোপরি দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নির্বাচন ও গণভোটকে একটি জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করুন। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক আচরণ আমাদের সামনের দিনগুলোকে আরও স্থিতিশীল করবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নতুন ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। আপনাদের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণে সফল হব—এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৮ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩৫ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি দিনটিকে ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে সবার সমন্বিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে। সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচারকাজ ও বিচারব্যবস্থা পরিচালনার সাংবিধানিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। আজ থেকে এর সাফল্য যেমন আমরা উপভোগ করব, তেমনি এর ব্যর্থতার দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তাবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।

আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি দিনটিকে ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে সবার সমন্বিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে। সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচারকাজ ও বিচারব্যবস্থা পরিচালনার সাংবিধানিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। আজ থেকে এর সাফল্য যেমন আমরা উপভোগ করব, তেমনি এর ব্যর্থতার দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তাবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
১১ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩৫ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই তিন উপদেষ্টা আগে যেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিলেন তাঁর সঙ্গে নতুন করে এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যোগ হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পদ থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টার পদ থেকে মো. মাহফুজ আলম গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাঁদের পদত্যাগপত্র কার্যকর হয়েছে। এরপর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দেওয়া হলো।

দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই তিন উপদেষ্টা আগে যেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিলেন তাঁর সঙ্গে নতুন করে এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যোগ হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পদ থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টার পদ থেকে মো. মাহফুজ আলম গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাঁদের পদত্যাগপত্র কার্যকর হয়েছে। এরপর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দেওয়া হলো।

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
১১ মিনিট আগে
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৮ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের এমন বিধান নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থীদের ভোট করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেশাদ ইমাম ও সাহেদুল আজম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে—এমন বিধান যুক্ত করে গত ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
সে সময় এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে তারা আপত্তির কথা তুলেও ধরে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরপর বিষয়টি বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। তখন অবশ্য জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আরপিও সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়। পরে সেই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের এমন বিধান নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থীদের ভোট করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেশাদ ইমাম ও সাহেদুল আজম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে—এমন বিধান যুক্ত করে গত ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
সে সময় এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে তারা আপত্তির কথা তুলেও ধরে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরপর বিষয়টি বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। তখন অবশ্য জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আরপিও সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়। পরে সেই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
১১ মিনিট আগে
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৮ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩৫ মিনিট আগে