নীলফামারী প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা সীমাবদ্ধতায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যায়নি। সাংবাদিকেরাই ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করছি। সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।’
এ সময় কমিশনার আরও বলেন, ‘সাংবাদিকেরা ভোটেকেন্দ্র থেকে লাইভ সম্প্রচার করতে পারবে, তবে এ ক্ষেত্রে যেন ভোট কার্যক্রমের কোনো ক্ষতি বা ব্যাঘাত না হয়—সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে। ভোটের পরিবেশ বজায় রাখতে ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে দুজন সাংবাদিক ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের প্রিসাইডিং কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে না। তবে শুধু অবগত করতে হবে।’
বর্তমানে ভোটের পরিবেশ অনেক ভালো রয়েছে মন্তব্য করে প্রার্থীদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনের পরিবেশের উন্নতি ঘটছে। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে বিনয়ের সঙ্গে বলছি। আপনারা যদি আমাদের আর একটু সহযোগিতা দিয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি, কাটাকাটিসহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না করেন, তবে নির্বাচনের পরিবেশ আরও অনেক সুন্দর হবে।’
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এত বড় মহাযজ্ঞ নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমনকি কমিশনের অধীনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, তাদের দিয়েও সম্ভব নয়। আপনারা যাঁরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আছেন, আপনারাই আমাদের বড় শক্তি। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মহাযজ্ঞ আমরা কখনই সম্ভব করতে পারব না। তাই আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আপনারা এবং আমরা একত্রিত হয়ে আন্তরিকভাবে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে কাজ করলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারব।’
ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং নিরপেক্ষভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্নে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ জন্য সারা দেশে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিএনপির লিফলেট বিতরণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাটা তাঁর একটা অধিকার। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করেছে। সেই আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করা কিংবা বাধা দেওয়া সেটা কিন্তু অসাংবিধানিক কাজ। এমন অসাংবিধানিক কাজ যদি কেউ করেন তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিফলেট বিতরণ করাটা তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার। লিফলেট বিতরণ করা কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। কিন্তু এটা বিতরণ করতে গিয়ে বা বিতরণকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তখনই তাঁরা অপরাধী হবেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
এ সময় রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফর, অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম রশিদুল হক, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা সীমাবদ্ধতায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যায়নি। সাংবাদিকেরাই ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করছি। সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।’
এ সময় কমিশনার আরও বলেন, ‘সাংবাদিকেরা ভোটেকেন্দ্র থেকে লাইভ সম্প্রচার করতে পারবে, তবে এ ক্ষেত্রে যেন ভোট কার্যক্রমের কোনো ক্ষতি বা ব্যাঘাত না হয়—সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে। ভোটের পরিবেশ বজায় রাখতে ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে দুজন সাংবাদিক ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের প্রিসাইডিং কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে না। তবে শুধু অবগত করতে হবে।’
বর্তমানে ভোটের পরিবেশ অনেক ভালো রয়েছে মন্তব্য করে প্রার্থীদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনের পরিবেশের উন্নতি ঘটছে। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে বিনয়ের সঙ্গে বলছি। আপনারা যদি আমাদের আর একটু সহযোগিতা দিয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি, কাটাকাটিসহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না করেন, তবে নির্বাচনের পরিবেশ আরও অনেক সুন্দর হবে।’
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এত বড় মহাযজ্ঞ নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমনকি কমিশনের অধীনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, তাদের দিয়েও সম্ভব নয়। আপনারা যাঁরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আছেন, আপনারাই আমাদের বড় শক্তি। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মহাযজ্ঞ আমরা কখনই সম্ভব করতে পারব না। তাই আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আপনারা এবং আমরা একত্রিত হয়ে আন্তরিকভাবে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে কাজ করলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারব।’
ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং নিরপেক্ষভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্নে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ জন্য সারা দেশে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিএনপির লিফলেট বিতরণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাটা তাঁর একটা অধিকার। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করেছে। সেই আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করা কিংবা বাধা দেওয়া সেটা কিন্তু অসাংবিধানিক কাজ। এমন অসাংবিধানিক কাজ যদি কেউ করেন তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিফলেট বিতরণ করাটা তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার। লিফলেট বিতরণ করা কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। কিন্তু এটা বিতরণ করতে গিয়ে বা বিতরণকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তখনই তাঁরা অপরাধী হবেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
এ সময় রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফর, অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম রশিদুল হক, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোটকেন্দ্র নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটি সংশোধন হলে ভোটকেন্দ্র-সংক্রান্ত কমিটির দায়িত্ব থেকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বাদ দেওয়া হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। নতুন আইনে বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক আর ধর্ষণ নয়, প্রতারণা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এর জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশকে একটি নজরদারিভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়—এ ধরনের নজরদারি থেকে আমাদের রাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে।’
৪ ঘণ্টা আগে