নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে তা নেই, যাতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থাকায় স্নাতকোত্তরের পরেও ৬ থেকে ৭ বছর সময় পেয়ে থাকে চাকর প্রার্থীরা। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে দুই-এক বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
ফরহাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করায় শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি, তারা চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে।
এসব কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও এর অধীনে অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ/স্বায়ত্তশাসিত/জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি এমন সব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখ নির্ধারণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
দেশে বর্তমানে ১৭০ জন কর্মকর্তা চুক্তিভিত্তিক কর্মরত আছেন বলে জানান ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের মধ্যে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।
ভোলা-২ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ করে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের রিকুইজিশনে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করে থাকে। ২৮তম থেকে ৩৯তম বিএসএস পরীক্ষায় ৩৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রদান করেছে পিএসসি।
একই সময়ে নন-ক্যাডারে প্রথম শ্রেণির পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির (১০, ১১ ও ১২তম গ্রেডে) ৫ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত নবম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডে ৪ হাজার ২৮৫ জনকে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির (১০, ১১ ও ১২তম গ্রেড) বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে ৩২ হাজার ৭৬৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে তা নেই, যাতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থাকায় স্নাতকোত্তরের পরেও ৬ থেকে ৭ বছর সময় পেয়ে থাকে চাকর প্রার্থীরা। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে দুই-এক বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
ফরহাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করায় শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি, তারা চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে।
এসব কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও এর অধীনে অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ/স্বায়ত্তশাসিত/জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি এমন সব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখ নির্ধারণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
দেশে বর্তমানে ১৭০ জন কর্মকর্তা চুক্তিভিত্তিক কর্মরত আছেন বলে জানান ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের মধ্যে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।
ভোলা-২ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ করে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের রিকুইজিশনে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করে থাকে। ২৮তম থেকে ৩৯তম বিএসএস পরীক্ষায় ৩৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রদান করেছে পিএসসি।
একই সময়ে নন-ক্যাডারে প্রথম শ্রেণির পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির (১০, ১১ ও ১২তম গ্রেডে) ৫ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত নবম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডে ৪ হাজার ২৮৫ জনকে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির (১০, ১১ ও ১২তম গ্রেড) বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে ৩২ হাজার ৭৬৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে গত ২৫ মার্চ গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের সময়সীমা কমিয়ে ৯০ কার্যদিবসে...
১১ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তোলে পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের বিবৃতিতে এই ইস্যুর উল্লেখ না থাকলেও ঢাকা একাত্তরের গণহত্যা, ক্ষতিপূরণসহ একাধিক ঐতিহাসিক বিষয় উত্থাপন করে। বৈঠকে সার্ক পুনরুজ্জীবন এবং
১৫ ঘণ্টা আগেবিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন
১৬ ঘণ্টা আগেনারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেসব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৭ ঘণ্টা আগে