বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সচিবালয়ে আজ রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ওই সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি ছোড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সময় যে পরিস্থিতি, ওই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের পর ওই জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। এখন কারফিউ প্রত্যাহার করে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে। অন্যায় করলে সে গ্রেপ্তার হবে। আমি একটি কথাই বলেছি, কোনো অবস্থায় যেন দুষ্কৃতকারী ছাড় না পায়। আর যে অপরাধ করেনি, সে যেন ধরা না পড়ে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়...আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না।’
গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি জানিয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ মামলা করবে কি করবে না, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বলবে। গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
গোপালগঞ্জের ঘটনায় নয়টি শিশুকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানতে চান—কোন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন হয়েছে। তখন তাঁকে জানানো হয় দৈনিক সমকাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আজ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তরফ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে, হরতাল হয়েছে কি না সেটা বলেন। দুটি গাড়ি (পোড়ানো) হয়েছে সত্যি কথা। নাশকতাটা হয়েছে। অন্যান্য হরতাল কল (আহ্বান) করার সময় এই নাশকতাটা আরও বেশি হয়েছে। তার থেকে আমরা (নাশকতার পরিমাণ) অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি কি না, সেটি আপনারা দেখবেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেই প্রস্তুতি, আরও তো অনেক সময় রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়ে গেছে, আমাদের ট্রেনিং হচ্ছে, আমরা ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। আমরা তো প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। আল্লায় দিলে (নির্বাচন) করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম, তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তাঁরা ফিডব্যাক দিয়েছেন, তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাঁরা বললেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, সেটি আপনারা বলতে পারবেন।’
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সচিবালয়ে আজ রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ওই সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি ছোড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সময় যে পরিস্থিতি, ওই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের পর ওই জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। এখন কারফিউ প্রত্যাহার করে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে। অন্যায় করলে সে গ্রেপ্তার হবে। আমি একটি কথাই বলেছি, কোনো অবস্থায় যেন দুষ্কৃতকারী ছাড় না পায়। আর যে অপরাধ করেনি, সে যেন ধরা না পড়ে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়...আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না।’
গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি জানিয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ মামলা করবে কি করবে না, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বলবে। গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
গোপালগঞ্জের ঘটনায় নয়টি শিশুকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানতে চান—কোন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন হয়েছে। তখন তাঁকে জানানো হয় দৈনিক সমকাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আজ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তরফ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে, হরতাল হয়েছে কি না সেটা বলেন। দুটি গাড়ি (পোড়ানো) হয়েছে সত্যি কথা। নাশকতাটা হয়েছে। অন্যান্য হরতাল কল (আহ্বান) করার সময় এই নাশকতাটা আরও বেশি হয়েছে। তার থেকে আমরা (নাশকতার পরিমাণ) অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি কি না, সেটি আপনারা দেখবেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেই প্রস্তুতি, আরও তো অনেক সময় রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়ে গেছে, আমাদের ট্রেনিং হচ্ছে, আমরা ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। আমরা তো প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। আল্লায় দিলে (নির্বাচন) করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম, তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তাঁরা ফিডব্যাক দিয়েছেন, তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাঁরা বললেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, সেটি আপনারা বলতে পারবেন।’
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সচিবালয়ে আজ রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ওই সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি ছোড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সময় যে পরিস্থিতি, ওই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের পর ওই জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। এখন কারফিউ প্রত্যাহার করে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে। অন্যায় করলে সে গ্রেপ্তার হবে। আমি একটি কথাই বলেছি, কোনো অবস্থায় যেন দুষ্কৃতকারী ছাড় না পায়। আর যে অপরাধ করেনি, সে যেন ধরা না পড়ে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়...আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না।’
গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি জানিয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ মামলা করবে কি করবে না, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বলবে। গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
গোপালগঞ্জের ঘটনায় নয়টি শিশুকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানতে চান—কোন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন হয়েছে। তখন তাঁকে জানানো হয় দৈনিক সমকাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আজ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তরফ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে, হরতাল হয়েছে কি না সেটা বলেন। দুটি গাড়ি (পোড়ানো) হয়েছে সত্যি কথা। নাশকতাটা হয়েছে। অন্যান্য হরতাল কল (আহ্বান) করার সময় এই নাশকতাটা আরও বেশি হয়েছে। তার থেকে আমরা (নাশকতার পরিমাণ) অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি কি না, সেটি আপনারা দেখবেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেই প্রস্তুতি, আরও তো অনেক সময় রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়ে গেছে, আমাদের ট্রেনিং হচ্ছে, আমরা ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। আমরা তো প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। আল্লায় দিলে (নির্বাচন) করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম, তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তাঁরা ফিডব্যাক দিয়েছেন, তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাঁরা বললেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, সেটি আপনারা বলতে পারবেন।’
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সচিবালয়ে আজ রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ওই সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি ছোড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সময় যে পরিস্থিতি, ওই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের পর ওই জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। এখন কারফিউ প্রত্যাহার করে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে। অন্যায় করলে সে গ্রেপ্তার হবে। আমি একটি কথাই বলেছি, কোনো অবস্থায় যেন দুষ্কৃতকারী ছাড় না পায়। আর যে অপরাধ করেনি, সে যেন ধরা না পড়ে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়...আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না।’
গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি জানিয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ মামলা করবে কি করবে না, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বলবে। গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
গোপালগঞ্জের ঘটনায় নয়টি শিশুকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানতে চান—কোন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন হয়েছে। তখন তাঁকে জানানো হয় দৈনিক সমকাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আজ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তরফ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে, হরতাল হয়েছে কি না সেটা বলেন। দুটি গাড়ি (পোড়ানো) হয়েছে সত্যি কথা। নাশকতাটা হয়েছে। অন্যান্য হরতাল কল (আহ্বান) করার সময় এই নাশকতাটা আরও বেশি হয়েছে। তার থেকে আমরা (নাশকতার পরিমাণ) অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি কি না, সেটি আপনারা দেখবেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেই প্রস্তুতি, আরও তো অনেক সময় রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়ে গেছে, আমাদের ট্রেনিং হচ্ছে, আমরা ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। আমরা তো প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। আল্লায় দিলে (নির্বাচন) করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম, তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তাঁরা ফিডব্যাক দিয়েছেন, তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাঁরা বললেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, সেটি আপনারা বলতে পারবেন।’
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিত
৮ মিনিট আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
যুক্তিতর্ক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে এই বিচার তাদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
যুক্তিতর্ক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে এই বিচার তাদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
২০ জুলাই ২০২৫অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
২০ জুলাই ২০২৫আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিত
৮ মিনিট আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
২০ জুলাই ২০২৫আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিত
৮ মিনিট আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেমানবতাবিরোধী অপরাধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
২০ জুলাই ২০২৫আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিত
৮ মিনিট আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
২ ঘণ্টা আগে