মানা হচ্ছে না আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার হাত থেকে বাঁচাতে আইন লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার তাগিদ আইনজ্ঞদের। এ ছাড়া সরকারকে এই বিষয়ে প্রচার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেন তাঁরা।
সম্প্রতি কুমিল্লায় এক নারীকে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ওই নারীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর আগে মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশুটির পরিচয় প্রকাশ করা হয় সামাজিকমাধ্যমে, এমনকি মূলধারার কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অনেকে ওই শিশুর বোনের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করে। দুটি ঘটনার ছবি-ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। অবশ্য এ রকম ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) ছবি বা পরিচয় প্রকাশ করলে তাঁর স্বজনেরা হেয় হবে। ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ না করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কারও পরিচয় প্রকাশ করলেও একই অবস্থা হবে। আইনে এসব নিষিদ্ধ এবং শাস্তির বিধানও আছে। এরপরও এসব করা হচ্ছে। কারণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই। আইন অনুযায়ী কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে বা যারা এ রকম প্রকাশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে একবার ব্যবস্থা নিলে আর কেউ এমনটি করত না। তাই যে আইন লঙ্ঘন করে ভুক্তভোগী বা তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করবে, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশে বিধিনিষেধ না মানায় এর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রিট করা হয়েছিল হাইকোর্টে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৮ মার্চ নির্দেশনা দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। যাতে ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীর পরিচয় (পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ছবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলের নামসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য) অনলাইন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
হাইকোর্টে ওই রিট করেছিলেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের তখনকার নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান। তিনি এখন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভুক্তভোগী, তাঁর পরিবার ও বাসস্থানসহ এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না–যাতে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো বটেই, মূলধারার গণমাধ্যমও আইন মানছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি বন্ধ করতে অবশ্যই আইনে বর্ণিত শাস্তি প্রয়োগ করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে অন্যরা এটা দেখে শিক্ষা নেয়। তাহলেই এটি বন্ধ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা সে সম্পর্কিত সংবাদ বা তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে, যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। আর ১৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে দায়ী ব্যক্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
শিশু আইনের ২৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, শিশু-আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলায় জড়িত বা সাক্ষ্য প্রদানকারী কোনো শিশুর ছবি বা এমন কোনো বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটে প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না; যা সংশ্লিষ্ট শিশুকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
শিশু আইনের ৮১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। যার দ্বারা শিশুটিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। ৮১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি উপধারা(১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক এক বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া ৮১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে তাদের নিবন্ধন অনধিক ২ মাসের জন্য স্থগিত রাখাসহ অনধিক ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিচয় প্রকাশ না করতে বলা হয়েছে। আইন থাকার পরও ভুক্তভোগী এবং তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাঁরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। অথচ তথ্য মন্ত্রণালয় এসব ছবি-ভিডিও অপসারণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকে। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। তাই নির্যাতনের শিকার ও তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশিত হয়, এমন কোনো ঘটনা মিডিয়ায় এলে সঙ্গে সঙ্গেই তা অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আইন লঙ্ঘন করে যারা এসব করবে, তাদের আইনের আওতায় নিতে হবে। মূলধারার গণমাধ্যম হলে তাদেরও শাস্তির আওতায় নেওয়া উচিত। এ ছাড়া আইনের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি প্রচার চালানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার হাত থেকে বাঁচাতে আইন লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার তাগিদ আইনজ্ঞদের। এ ছাড়া সরকারকে এই বিষয়ে প্রচার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেন তাঁরা।
সম্প্রতি কুমিল্লায় এক নারীকে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ওই নারীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর আগে মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশুটির পরিচয় প্রকাশ করা হয় সামাজিকমাধ্যমে, এমনকি মূলধারার কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অনেকে ওই শিশুর বোনের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করে। দুটি ঘটনার ছবি-ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। অবশ্য এ রকম ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) ছবি বা পরিচয় প্রকাশ করলে তাঁর স্বজনেরা হেয় হবে। ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ না করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কারও পরিচয় প্রকাশ করলেও একই অবস্থা হবে। আইনে এসব নিষিদ্ধ এবং শাস্তির বিধানও আছে। এরপরও এসব করা হচ্ছে। কারণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই। আইন অনুযায়ী কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে বা যারা এ রকম প্রকাশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে একবার ব্যবস্থা নিলে আর কেউ এমনটি করত না। তাই যে আইন লঙ্ঘন করে ভুক্তভোগী বা তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করবে, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশে বিধিনিষেধ না মানায় এর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রিট করা হয়েছিল হাইকোর্টে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৮ মার্চ নির্দেশনা দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। যাতে ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীর পরিচয় (পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ছবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলের নামসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য) অনলাইন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
হাইকোর্টে ওই রিট করেছিলেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের তখনকার নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান। তিনি এখন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভুক্তভোগী, তাঁর পরিবার ও বাসস্থানসহ এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না–যাতে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো বটেই, মূলধারার গণমাধ্যমও আইন মানছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি বন্ধ করতে অবশ্যই আইনে বর্ণিত শাস্তি প্রয়োগ করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে অন্যরা এটা দেখে শিক্ষা নেয়। তাহলেই এটি বন্ধ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা সে সম্পর্কিত সংবাদ বা তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে, যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। আর ১৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে দায়ী ব্যক্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
শিশু আইনের ২৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, শিশু-আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলায় জড়িত বা সাক্ষ্য প্রদানকারী কোনো শিশুর ছবি বা এমন কোনো বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটে প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না; যা সংশ্লিষ্ট শিশুকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
শিশু আইনের ৮১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। যার দ্বারা শিশুটিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। ৮১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি উপধারা(১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক এক বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া ৮১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে তাদের নিবন্ধন অনধিক ২ মাসের জন্য স্থগিত রাখাসহ অনধিক ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিচয় প্রকাশ না করতে বলা হয়েছে। আইন থাকার পরও ভুক্তভোগী এবং তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাঁরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। অথচ তথ্য মন্ত্রণালয় এসব ছবি-ভিডিও অপসারণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকে। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। তাই নির্যাতনের শিকার ও তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশিত হয়, এমন কোনো ঘটনা মিডিয়ায় এলে সঙ্গে সঙ্গেই তা অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আইন লঙ্ঘন করে যারা এসব করবে, তাদের আইনের আওতায় নিতে হবে। মূলধারার গণমাধ্যম হলে তাদেরও শাস্তির আওতায় নেওয়া উচিত। এ ছাড়া আইনের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি প্রচার চালানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।
মানা হচ্ছে না আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার হাত থেকে বাঁচাতে আইন লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার তাগিদ আইনজ্ঞদের। এ ছাড়া সরকারকে এই বিষয়ে প্রচার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেন তাঁরা।
সম্প্রতি কুমিল্লায় এক নারীকে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ওই নারীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর আগে মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশুটির পরিচয় প্রকাশ করা হয় সামাজিকমাধ্যমে, এমনকি মূলধারার কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অনেকে ওই শিশুর বোনের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করে। দুটি ঘটনার ছবি-ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। অবশ্য এ রকম ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) ছবি বা পরিচয় প্রকাশ করলে তাঁর স্বজনেরা হেয় হবে। ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ না করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কারও পরিচয় প্রকাশ করলেও একই অবস্থা হবে। আইনে এসব নিষিদ্ধ এবং শাস্তির বিধানও আছে। এরপরও এসব করা হচ্ছে। কারণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই। আইন অনুযায়ী কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে বা যারা এ রকম প্রকাশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে একবার ব্যবস্থা নিলে আর কেউ এমনটি করত না। তাই যে আইন লঙ্ঘন করে ভুক্তভোগী বা তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করবে, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশে বিধিনিষেধ না মানায় এর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রিট করা হয়েছিল হাইকোর্টে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৮ মার্চ নির্দেশনা দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। যাতে ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীর পরিচয় (পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ছবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলের নামসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য) অনলাইন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
হাইকোর্টে ওই রিট করেছিলেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের তখনকার নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান। তিনি এখন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভুক্তভোগী, তাঁর পরিবার ও বাসস্থানসহ এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না–যাতে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো বটেই, মূলধারার গণমাধ্যমও আইন মানছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি বন্ধ করতে অবশ্যই আইনে বর্ণিত শাস্তি প্রয়োগ করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে অন্যরা এটা দেখে শিক্ষা নেয়। তাহলেই এটি বন্ধ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা সে সম্পর্কিত সংবাদ বা তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে, যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। আর ১৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে দায়ী ব্যক্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
শিশু আইনের ২৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, শিশু-আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলায় জড়িত বা সাক্ষ্য প্রদানকারী কোনো শিশুর ছবি বা এমন কোনো বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটে প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না; যা সংশ্লিষ্ট শিশুকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
শিশু আইনের ৮১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। যার দ্বারা শিশুটিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। ৮১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি উপধারা(১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক এক বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া ৮১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে তাদের নিবন্ধন অনধিক ২ মাসের জন্য স্থগিত রাখাসহ অনধিক ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিচয় প্রকাশ না করতে বলা হয়েছে। আইন থাকার পরও ভুক্তভোগী এবং তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাঁরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। অথচ তথ্য মন্ত্রণালয় এসব ছবি-ভিডিও অপসারণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকে। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। তাই নির্যাতনের শিকার ও তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশিত হয়, এমন কোনো ঘটনা মিডিয়ায় এলে সঙ্গে সঙ্গেই তা অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আইন লঙ্ঘন করে যারা এসব করবে, তাদের আইনের আওতায় নিতে হবে। মূলধারার গণমাধ্যম হলে তাদেরও শাস্তির আওতায় নেওয়া উচিত। এ ছাড়া আইনের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি প্রচার চালানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার হাত থেকে বাঁচাতে আইন লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার তাগিদ আইনজ্ঞদের। এ ছাড়া সরকারকে এই বিষয়ে প্রচার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেন তাঁরা।
সম্প্রতি কুমিল্লায় এক নারীকে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ওই নারীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর আগে মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশুটির পরিচয় প্রকাশ করা হয় সামাজিকমাধ্যমে, এমনকি মূলধারার কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অনেকে ওই শিশুর বোনের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করে। দুটি ঘটনার ছবি-ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। অবশ্য এ রকম ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) ছবি বা পরিচয় প্রকাশ করলে তাঁর স্বজনেরা হেয় হবে। ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ না করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কারও পরিচয় প্রকাশ করলেও একই অবস্থা হবে। আইনে এসব নিষিদ্ধ এবং শাস্তির বিধানও আছে। এরপরও এসব করা হচ্ছে। কারণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই। আইন অনুযায়ী কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে বা যারা এ রকম প্রকাশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে একবার ব্যবস্থা নিলে আর কেউ এমনটি করত না। তাই যে আইন লঙ্ঘন করে ভুক্তভোগী বা তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করবে, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশে বিধিনিষেধ না মানায় এর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রিট করা হয়েছিল হাইকোর্টে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৮ মার্চ নির্দেশনা দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। যাতে ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীর পরিচয় (পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ছবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলের নামসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য) অনলাইন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
হাইকোর্টে ওই রিট করেছিলেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের তখনকার নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান। তিনি এখন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভুক্তভোগী, তাঁর পরিবার ও বাসস্থানসহ এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না–যাতে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো বটেই, মূলধারার গণমাধ্যমও আইন মানছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি বন্ধ করতে অবশ্যই আইনে বর্ণিত শাস্তি প্রয়োগ করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে অন্যরা এটা দেখে শিক্ষা নেয়। তাহলেই এটি বন্ধ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা সে সম্পর্কিত সংবাদ বা তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে, যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। আর ১৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে দায়ী ব্যক্তি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
শিশু আইনের ২৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, শিশু-আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলায় জড়িত বা সাক্ষ্য প্রদানকারী কোনো শিশুর ছবি বা এমন কোনো বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটে প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না; যা সংশ্লিষ্ট শিশুকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
শিশু আইনের ৮১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। যার দ্বারা শিশুটিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। ৮১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি উপধারা(১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক এক বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া ৮১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে তাদের নিবন্ধন অনধিক ২ মাসের জন্য স্থগিত রাখাসহ অনধিক ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিচয় প্রকাশ না করতে বলা হয়েছে। আইন থাকার পরও ভুক্তভোগী এবং তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাঁরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। অথচ তথ্য মন্ত্রণালয় এসব ছবি-ভিডিও অপসারণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকে। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। তাই নির্যাতনের শিকার ও তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশিত হয়, এমন কোনো ঘটনা মিডিয়ায় এলে সঙ্গে সঙ্গেই তা অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আইন লঙ্ঘন করে যারা এসব করবে, তাদের আইনের আওতায় নিতে হবে। মূলধারার গণমাধ্যম হলে তাদেরও শাস্তির আওতায় নেওয়া উচিত। এ ছাড়া আইনের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি প্রচার চালানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার
০৩ জুলাই ২০২৫হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার
০৩ জুলাই ২০২৫বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিচালক তিনটি, অতিরিক্ত পরিচালক ও উপপরিচালক ৯টি করে, সহকারী পরিচালক তিনটি, পুলিশ ইন্সপেক্টর তিনটি, সুবেদার মেজর সব ক্যাটাগরির তিনটি, সুবেদার ১৮টি, নায়েব সুবেদার ৫৭টি, হাবিলদার ২৪০টি, নায়েক ২৮৫টি, ল্যান্স নায়েক (অফিস সহকারী) ১৫টি, ল্যান্স নায়েক ৩২৭টি, সিপাহি অফিস সহকারী ১৫টি, সিপাহি ১ হাজার ২২১টি, ইমাম বেসামরিক তিনটি, হিসাবরক্ষক তিনটি, উচ্চমান সহকারী তিনটি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, মিডওয়াইফ তিনটি, অফিস সহায়ক তিনটি, হাবিলদার সাতটি, নায়েক পাঁচটি, ল্যান্স নায়েক ছয়টি, সিপাহি ১৪টিসহ মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে।
বর্তমানে বিজিবির সংখ্যা রয়েছে ৫৭ হাজার ৪৭৭টি। নতুন ২ হাজার ২৫৮টি যুক্ত হলে মোট সংখ্যা হবে ৫৯ হাজার ৭৩৫টি।
শর্তে বলা হয়, সরকারি আদেশের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। অর্থ বিভাগের জিও পৃষ্ঠাঙ্কনের তারিখ থেকে পদ তৈরি করতে হবে। যেসব পদ নিয়োগবিধিতে নেই, সেসব পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আউটসোর্সিং নীতিমালা প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা অনুসারে ইলেকট্রিশিয়ান, ট্রেইলার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, কুট মেকার, বাবুর্চি, মেসওয়েটার, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেবা ক্রয়ে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিনটি বিজিবি ব্যাটালিয়নে ৭৪২ জন করে মোট ২ হাজার ২২৬টি এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতালের জন্য ৩২টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পদগুলো মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত সুরক্ষা ও বিজিবির জনবল বাড়াতে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতে যেখানে প্রতি কিলোমিটারে ১৫ জন বিএসএফ সদস্য রয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে মাত্র দুজন। এ কারণে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি হচ্ছে। এতে বিজিবির জনবল বাড়বে এবং সীমান্ত সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিচালক তিনটি, অতিরিক্ত পরিচালক ও উপপরিচালক ৯টি করে, সহকারী পরিচালক তিনটি, পুলিশ ইন্সপেক্টর তিনটি, সুবেদার মেজর সব ক্যাটাগরির তিনটি, সুবেদার ১৮টি, নায়েব সুবেদার ৫৭টি, হাবিলদার ২৪০টি, নায়েক ২৮৫টি, ল্যান্স নায়েক (অফিস সহকারী) ১৫টি, ল্যান্স নায়েক ৩২৭টি, সিপাহি অফিস সহকারী ১৫টি, সিপাহি ১ হাজার ২২১টি, ইমাম বেসামরিক তিনটি, হিসাবরক্ষক তিনটি, উচ্চমান সহকারী তিনটি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, মিডওয়াইফ তিনটি, অফিস সহায়ক তিনটি, হাবিলদার সাতটি, নায়েক পাঁচটি, ল্যান্স নায়েক ছয়টি, সিপাহি ১৪টিসহ মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে।
বর্তমানে বিজিবির সংখ্যা রয়েছে ৫৭ হাজার ৪৭৭টি। নতুন ২ হাজার ২৫৮টি যুক্ত হলে মোট সংখ্যা হবে ৫৯ হাজার ৭৩৫টি।
শর্তে বলা হয়, সরকারি আদেশের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। অর্থ বিভাগের জিও পৃষ্ঠাঙ্কনের তারিখ থেকে পদ তৈরি করতে হবে। যেসব পদ নিয়োগবিধিতে নেই, সেসব পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আউটসোর্সিং নীতিমালা প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা অনুসারে ইলেকট্রিশিয়ান, ট্রেইলার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, কুট মেকার, বাবুর্চি, মেসওয়েটার, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেবা ক্রয়ে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিনটি বিজিবি ব্যাটালিয়নে ৭৪২ জন করে মোট ২ হাজার ২২৬টি এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতালের জন্য ৩২টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পদগুলো মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত সুরক্ষা ও বিজিবির জনবল বাড়াতে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতে যেখানে প্রতি কিলোমিটারে ১৫ জন বিএসএফ সদস্য রয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে মাত্র দুজন। এ কারণে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি হচ্ছে। এতে বিজিবির জনবল বাড়বে এবং সীমান্ত সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার
০৩ জুলাই ২০২৫বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক ফের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এনায়েত করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এনায়েত করিমকে দুই দিন ও ১৯ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। এবার তৃতীয় দফা তাঁকে রিমান্ডে দেওয়া হলো।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় এনায়েত করিমকে। এ সময় পুলিশ তাঁর গাড়ি থামালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
পুলিশ জানায়, তাঁর কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক বিশ্লেষণে ফোন থেকে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে একই দিন তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এনায়েত করিমের মোবাইল ফোন ও তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এনায়েত করিমকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, তিনি বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। তিনি গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্ক থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে এই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি বিশেষ একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের নিমিত্তে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানান। তিনি গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করেন। পরে গুলশানের বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করতে থাকেন।
এর মধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে এবং বিভিন্ন বাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমেরিকান সরকার হতাশ।
২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় রহিত করবেন বলে জানান আসামি। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে সেনাবাহিনী-সমর্থিত নতুন জাতীয় সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। নতুন এই সরকারে কারা অংশ নেবেন এবং সরকারপ্রধান কে হবেন—তা আমেরিকা নির্ধারণ করে দেবে বলে জানান। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বর্তমান অবস্থান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা সংস্থার নিকট হস্তান্তর করতেন বলে জানান। এনায়েত করিম বাংলাদেশে এসে জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছেন।
উল্লেখ্য, এনায়েত করিমকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক ফের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এনায়েত করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এনায়েত করিমকে দুই দিন ও ১৯ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। এবার তৃতীয় দফা তাঁকে রিমান্ডে দেওয়া হলো।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় এনায়েত করিমকে। এ সময় পুলিশ তাঁর গাড়ি থামালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
পুলিশ জানায়, তাঁর কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক বিশ্লেষণে ফোন থেকে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে একই দিন তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এনায়েত করিমের মোবাইল ফোন ও তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এনায়েত করিমকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, তিনি বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। তিনি গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্ক থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে এই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি বিশেষ একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের নিমিত্তে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানান। তিনি গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করেন। পরে গুলশানের বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করতে থাকেন।
এর মধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে এবং বিভিন্ন বাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমেরিকান সরকার হতাশ।
২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় রহিত করবেন বলে জানান আসামি। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে সেনাবাহিনী-সমর্থিত নতুন জাতীয় সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। নতুন এই সরকারে কারা অংশ নেবেন এবং সরকারপ্রধান কে হবেন—তা আমেরিকা নির্ধারণ করে দেবে বলে জানান। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বর্তমান অবস্থান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা সংস্থার নিকট হস্তান্তর করতেন বলে জানান। এনায়েত করিম বাংলাদেশে এসে জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছেন।
উল্লেখ্য, এনায়েত করিমকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন কোনো কিছু প্রচার ও প্রকাশ না করার আইন রয়েছে। এই বিষয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও। এরপরও অহরহ প্রকাশ করা হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিচয়। এতে করে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বজনেরা সমাজে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে বিড়ম্বনার
০৩ জুলাই ২০২৫বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে