Ajker Patrika

গ্রিসে ‘অস্ত্রবাহী’ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রসচিব

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২২, ২১: ০৫
গ্রিসে ‘অস্ত্রবাহী’ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রসচিব

গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে কাভালা শহরের কাছে পালেওচরি গ্রামে গতকাল শনিবার গভীর রাতে একটি কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহাজটি সাড়ে ১১ টন অস্ত্র ও মাইন নিয়ে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোৎসা স্টেফানোভিচের বরাত দিয়ে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। পরে দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

তবে এ দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেছেন, অস্ত্র বিমা করা ছিল।

আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গ্রিসে কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব বলেন।

গ্রিসে কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় বাংলাদেশের কী পরিমাণ অস্ত্র ছিল এবং কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে? এর উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ ধরনের সকল মালামাল বিমা করা থাকে। সেদিক থেকে আমরা নিরাপদ রয়েছি। এ ছাড়া অন্যান্য যে বিস্তারিত রয়েছে, এটা কেন হয়েছে, সেগুলো হয়তো আরও পরে জানা যাবে। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ক্রয় করে থাকি। সুতরাং তারই অংশ হিসেবে সার্বিয়া থেকেও অস্ত্র কিনে থাকি। এটি একটি দুর্ঘটনা।’

এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছি। এ ছাড়া ইতালিতে আমাদের যে রাষ্ট্রদূত রয়েছেন, যিনি সার্বিয়ারও দায়িত্ব পালন করেন, তিনিও বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন।’

আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটি এখনো জানা যায়নি। যাঁরা এগুলো ক্রয় করেছেন তাঁরা জানাবেন।’

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকা ইউক্রেনের উড়োজাহাজে কেন এমন পণ্য আনা হলো? এর উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এটি আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। যারা এটি সরবরাহ করেছে, তারাই এটি ব্যবস্থা করেছে। চুক্তিটি কী রকম ছিল, এতে আমাদের মতামতের ব্যবস্থা ছিল কি না, বিষয়গুলো দেখতে হবে।’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অনুযায়ী ল্যান্ডমাইন থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এখানে কী ধরনের অস্ত্র ছিল, বিস্তারিত এখনো আমরা জানি না।’

কোনো বাংলাদেশি এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, কোনো বাংলাদেশি এখানে ছিলেন না। বাংলাদেশি কারও থাকার কথাও নয়। যারা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাদেরই দিয়ে যাওয়ার কথা।’

এ অস্ত্রের ক্রয়াদেশ কে দিয়েছিল? জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এ বিষয়গুলোর সমন্বয় করে। এটি সেনাবাহিনীর, বিজিবি বা যে কোনো বাহিনীর হতে পারে।’

জাতিসংঘের ‘অ্যান্টি পারসোনাল মাইন’ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কি ল্যান্ডমাইন আমদানি করতে পারে? এর উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এখনো ঠিকমতো জানি না। আর যেই দলিলে সই করেছি সেটি অ্যান্টি পারসোনাল মাইন। ল্যান্ডমাইন তো নিষিদ্ধ। সুতরাং আমি নিশ্চিত এটি অন্য কিছু।’

নাশকতার আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করলে সচিব বলেন, ‘গ্রিসে আমাদের যে রাষ্ট্রদূত রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারব। এটি গ্রিস কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। আমার মনে হয় না গ্রিস আকাশসীমায় এ ধরনের কোনো সুযোগ রয়েছে।’

গ্রিসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়েছে কি না এর উত্তরে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত