Ajker Patrika

হিরো আলমকে মারধরে নিন্দা প্রসঙ্গে যা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩, ০৯: ৪৩
Thumbnail image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। এসব কর্মসূচি প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘মানুষের কথা বলার ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করার অধিকার রয়েছে।’ হিরো আলমের ওপর হামলায় বাংলাদেশে জাতিসংঘ প্রতিনিধির পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো এবং পরে প্রতিনিধিকে ডেকে সরকারের অসন্তোষ জানানোর প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ জুলাই) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সরকারবিরোধী হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। অন্তত দুজন মারা গেছেন। কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছেন। এ অবস্থায় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মুখপাত্র কি মনে করেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ বিরাজ করছে? 

জবাবে স্টিফেন দুজারিক মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের এসব অধিকার রক্ষায় সহায়তা করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। সর্বত্র এটা হয়ে থাকে। এমন প্রশ্ন বহুবার তাঁকে করা হয়েছে জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনের আগে তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চান না। 

ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার ব্যাজধারী একদল লোক হামলা করেন। ওই হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছিলেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যে মৌলিক মানবাধিকার, তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে। এই টুইটের জেরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবাসিক প্রতিনিধিকে তলব করেছিল। 

এমন একটি টুইটের জন্য আবাসিক প্রতিনিধিকে তলব করা যায় কি না এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের বিষয়টি জানা আছে কি না—এমন প্রশ্ন করেছিলেন ওই সাংবাদিক। 

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের দলটির ওপর মহাসচিবের পূর্ণ আস্থা আছে।’

স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘জাতিসংঘের কোনো কর্মকর্তার মন্তব্যের সঙ্গে সে দেশের দ্বিমত থাকলে সরকার ওই কর্মকর্তাকে তলব করতেই পারে। এটাই যথাযথ প্রক্রিয়া। কোনো বক্তব্যে অসন্তোষ দেখা দিলে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই প্রক্রিয়া মেনে চলে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত