নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এই তারিখ ধার্য করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি ফেরত পাঠানো হয়। গত ৫ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মামলাটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগ পত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগ পত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।
এই মামলায় ৪৭ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমানসহ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী রয়েছেন।
গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল।
এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এরমধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাদেরকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে গত বছর ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে অধিকতার তদন্ত শেষে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তারা হলেন আসলাম খোন্দকার, আসিফুর রহমান, নিশান মাহফুজ, বিল্লাল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, অনিমেষ রায়, সামছুল আলম চৌধুরী, দীপক মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, সফিকুল ইসলাম, ফকির বেলায়েত, গোলাম মোহাম্মদ নাসির, জামাল আহমেদ খান, বেলায়েত মোল্লা, আহসান হোসেন খান, অমিতাভ বোস, চৌধুরী মো. হাসান, জাফর ইকবাল, সাজ্জাদের স্ত্রী আফরোজা পারভীন, সোহেলী ইমরুজ, সাহেব সরোয়ার, মো. নাসির, সাজ্জাদ হোসেন, স্বপন কুমার পাল, জাহিদ বেপারী, খলিফা কামাল, নাফিজুল, রিয়াজ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান, সুমন সাহা, আব্দুল জলিল শেখ, মাহতাব, খন্দকার শাহিন আহমেদ ও আরিফুর রহমান দোলন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এই তারিখ ধার্য করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি ফেরত পাঠানো হয়। গত ৫ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মামলাটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগ পত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগ পত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।
এই মামলায় ৪৭ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমানসহ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী রয়েছেন।
গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল।
এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এরমধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাদেরকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে গত বছর ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে অধিকতার তদন্ত শেষে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তারা হলেন আসলাম খোন্দকার, আসিফুর রহমান, নিশান মাহফুজ, বিল্লাল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, অনিমেষ রায়, সামছুল আলম চৌধুরী, দীপক মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, সফিকুল ইসলাম, ফকির বেলায়েত, গোলাম মোহাম্মদ নাসির, জামাল আহমেদ খান, বেলায়েত মোল্লা, আহসান হোসেন খান, অমিতাভ বোস, চৌধুরী মো. হাসান, জাফর ইকবাল, সাজ্জাদের স্ত্রী আফরোজা পারভীন, সোহেলী ইমরুজ, সাহেব সরোয়ার, মো. নাসির, সাজ্জাদ হোসেন, স্বপন কুমার পাল, জাহিদ বেপারী, খলিফা কামাল, নাফিজুল, রিয়াজ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান, সুমন সাহা, আব্দুল জলিল শেখ, মাহতাব, খন্দকার শাহিন আহমেদ ও আরিফুর রহমান দোলন।
এজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
১৫ মিনিট আগেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক
৩১ মিনিট আগেজুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির...
২ ঘণ্টা আগেনিট পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ জন। গতকাল শনিবার বিকেলে যাচাই-বাছাই শেষে রাতে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচন
৩ ঘণ্টা আগে