Ajker Patrika

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে আলাপ চলছে: বিজিবি মহাপরিচালক 

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৫৩
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে আলাপ চলছে: বিজিবি মহাপরিচালক 

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পত্রালাপ চলছে। মানবিক কারণে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। 

আজ বুধবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘গত দুই দিনের তুলনায় আজ গোলাগুলির পরিমাণ কম। এর আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ছোড়া গোলাবারুদ ও মর্টার শেলের অংশ এসে আমাদের সীমান্ত এলাকায় পড়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সব পর্যায়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বিজিবিকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন।’ 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের সময় যদি বর্ডার লাইনে ফায়ার করে, তাহলে গোলাবারুদের কিছু কিছু অংশ আমাদের সীমান্তে চলে আসে। সেই সম্ভাবনা যাতে জিরোতে চলে আসে সে জন্য গতকাল আমি মিয়ানমার দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁকেও বিষয়টি বলেছি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাই বলেছেন।’ 

সীমান্তের সব বাসিন্দাকে সরে যেতে নির্দেশ দেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘তমব্রু ও ঘুমধুম ছাড়াও অন্য সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে। তবে আমরা এখনই সীমান্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরতে বলব না। কারণ এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন সরে যেতে বলব।’ 

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত দিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পত্রালাপ হচ্ছে উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক কারণে ২৬৪ বিজিপি সদস্যকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন নারী ও দুজন শিশু আছে।’ 

বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সব সদস্যের খোঁজ-খবর নেন এবং আহত বিজিপি সদস্যদের দেখতে তিনি হাসপাতালেও যান। 

অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত