Ajker Patrika

লুটের জব্দ করা টাকায় কল্যাণ তহবিল হবে: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ২১: ০৩
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: পিআইডি
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: পিআইডি

দেশ থেকে লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ ও সম্পদের ব্যবস্থাপনায় বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক ও আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে এবং একটি অংশ ব্যয় করা হবে দরিদ্র জনগণের কল্যাণে সহযোগিতায়। সবকিছুই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

আজ সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গভর্নর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।

গভর্নর বলেন, লুটেরাদের জব্দ টাকা ও অবরুদ্ধ শেয়ারের ব্যবস্থাপনায় আলাদা একটি তহবিল গঠনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে এসব অর্থ সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এই তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি দরিদ্রদের উন্নয়নেও ব্যয় করা হবে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বর্তমানে দেশে জব্দ করা স্থাবর সম্পত্তি ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা এবং অস্থাবর সম্পত্তি ৪২ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রায় জব্দ ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার, এ ছাড়া ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের ১২৫টি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে, যার কাজ এখনো চলমান।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের জব্দ করা সম্পদের মূল্য হতে পারে ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এগুলো একটি স্ট্র্যাটেজিক বিনিয়োগকারীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। জব্দ করা অর্থ আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণে ব্যবহৃত হবে।

গভর্নর বলেন, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ দুর্নীতির মাধ্যমে ৬৫০ কোটি টাকার বেশি ই-মানি তৈরি করেছে এবং ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ভাতা জালিয়াতি করেছে। তিনি সতর্ক করেন, এখনো তাদের দুর্নীতির আশঙ্কা থাকলেও বড়ধরনের নতুন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে তারা তাদের অপকর্মের প্রমাণ মুছে ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ইতিমধ্যে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চলছে এবং যৌথ তদন্তে দলের বিদেশি প্রশিক্ষকের সহায়তায় কাজ এগিয়ে চলছে। ইউকে, ইউএসএ, কানাডা, ইউএই ও সিঙ্গাপুর সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, সঠিক প্রমাণ পেলে পাচারকারীরা ওইসব দেশের নাগরিকত্বও হারাতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যাংক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকার ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট’ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও একসঙ্গে সবকিছু করা সম্ভব নয়, ধাপে ধাপে সক্ষমতা অনুযায়ী এগোনো হবে বলে জানান গভর্নর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে কোরআন শরিফ দেখেননি, দাবি ফায়ার সার্ভিসের

দিনাজপুরে নিহত মাইক্রোবাস-আরোহীদের সবাই সরকারি কর্মকর্তা

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স: রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আসন নেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

ফরিদপুরে গাড়ির চাকায় ছিন্নভিন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তি, অক্ষত শুধু পায়ের জুতা

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর: উপদেষ্টা ফারুকী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত