জবি প্রতিনিধি
সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা পরবর্তী ১৩ বছর দেশের মানুষের ওপর সবকিছু চাপিয়ে দিয়েছিল। এতে সাহায্য করেছিল ভারত। বাংলাদেশকে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় রাখার জন্য।’
রোববার (১৭ নভেম্বর) জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সে সময় সব মিডিয়া গণজাগরণ মঞ্চের বন্দনায় মুখর ছিল, কোনো মিডিয়ার তখন সাহস ছিল না গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে লেখার। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের যে নেচার ছিল, তা দেখেই বুঝতে পারছিলাম এটা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে।’
বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে বয়ান সেটা ছিল মূলত হিন্দুদের জন্য উল্লেখ করে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মুসলমানের জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদের এই বয়ান ছিল না। বাঙালি জাতীয়তাবাদে মুসলমানের কোনো জায়গা ছিল না। আওয়ামী লীগ ও ভারত মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদটা বাংলাদেশের মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। ভারত বাংলাদেশকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে জিও পলিটিকসের কারণে। ১৯৭১ সালে ভারতের যে সহায়তা সেটা বিজনেস ট্রানজেকশন ছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কেন আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।’
ড. মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘ভারতীয় হ্যাজিমনি (আধিপত্য) এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়নি, তবে এটা শেষ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আমাদের জুলাই বিপ্লবের জন্য। জুলাই বিপ্লব সফল হতে হলে ভারতীয় হ্যাজিমনি উৎখাত করতে হবে। আমি মনে করি, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাঙালি মুসলমানের রেনেসাঁর একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সবকিছুতে পারদর্শী হতে হবে। তাহলে আমরা বাঙালি মুসলমানদের রেনেসাঁর একটি স্বপ্ন দেখতে পাব। জুলাই বিপ্লব সফল করতে বাঙালি মুসলমানদের আইডেনটিটি ধারণ করতে হবে। বাঙালি মুসলমানদের আলাদা কালচার, ঐতিহ্য আছে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি চাই। আমাদের বিপ্লবের স্পিরিট নিয়ে লড়াইটা ধরে রাখতে হবে। লড়াইটা হবে ভারতীয় হ্যাজিমনি নিয়ে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে জন্ম না নেয়, সে জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিদীপ্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।’
শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ শীর্ষক আলোচনা সভায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা পরবর্তী ১৩ বছর দেশের মানুষের ওপর সবকিছু চাপিয়ে দিয়েছিল। এতে সাহায্য করেছিল ভারত। বাংলাদেশকে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় রাখার জন্য।’
রোববার (১৭ নভেম্বর) জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সে সময় সব মিডিয়া গণজাগরণ মঞ্চের বন্দনায় মুখর ছিল, কোনো মিডিয়ার তখন সাহস ছিল না গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে লেখার। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের যে নেচার ছিল, তা দেখেই বুঝতে পারছিলাম এটা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে।’
বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে বয়ান সেটা ছিল মূলত হিন্দুদের জন্য উল্লেখ করে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মুসলমানের জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদের এই বয়ান ছিল না। বাঙালি জাতীয়তাবাদে মুসলমানের কোনো জায়গা ছিল না। আওয়ামী লীগ ও ভারত মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদটা বাংলাদেশের মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। ভারত বাংলাদেশকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে জিও পলিটিকসের কারণে। ১৯৭১ সালে ভারতের যে সহায়তা সেটা বিজনেস ট্রানজেকশন ছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কেন আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।’
ড. মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘ভারতীয় হ্যাজিমনি (আধিপত্য) এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়নি, তবে এটা শেষ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আমাদের জুলাই বিপ্লবের জন্য। জুলাই বিপ্লব সফল হতে হলে ভারতীয় হ্যাজিমনি উৎখাত করতে হবে। আমি মনে করি, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাঙালি মুসলমানের রেনেসাঁর একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সবকিছুতে পারদর্শী হতে হবে। তাহলে আমরা বাঙালি মুসলমানদের রেনেসাঁর একটি স্বপ্ন দেখতে পাব। জুলাই বিপ্লব সফল করতে বাঙালি মুসলমানদের আইডেনটিটি ধারণ করতে হবে। বাঙালি মুসলমানদের আলাদা কালচার, ঐতিহ্য আছে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি চাই। আমাদের বিপ্লবের স্পিরিট নিয়ে লড়াইটা ধরে রাখতে হবে। লড়াইটা হবে ভারতীয় হ্যাজিমনি নিয়ে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে জন্ম না নেয়, সে জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিদীপ্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।’
শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ শীর্ষক আলোচনা সভায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঁচ দশকের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই চড়াই-উতরাইয়ের। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে এ সম্পর্ক টিকে ছিল সুতোর ওপর। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নিলে দেশটির চিরবৈরী পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে সক্রিয় হয়।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হচ্ছে আজ শনিবার। উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন প্রকল্পের (সিডিপিএল) পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল হক বলেন, তেল পরিবহনে শতাধিক
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
১৭ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
২০ ঘণ্টা আগে