নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারায়ণগঞ্জ সিটি কেপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কাছে যে ওয়াদা দিয়ে ভোট নিয়েছেন, সেই ওয়াদা কখনো ভুলবেন না। মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।
আজ বুধবার মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিদের এমন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মেয়র আইভীকে শপথবাক্য পাঠ করান। নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য নিজের স্বার্থ না দেখে পরের স্বার্থে কাজ করা, জনগণকে কতটুকু দিতে পারলাম, কতটুক তাদের জন্য করতে পারলাম, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। যতটুকু আপনি দিতে পারবেন, তাতেই আত্মতৃপ্তি, নিজের ভোগবিলাসে না। রাজনৈতিক নেতা হতে হলে জনকল্যাণে কাজ করতে হয়, নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের সেই আদর্শ শিখিয়ে গেছেন। আমি আশা করি, সেই আদর্শ নিয়েই আপনারা চলবেন। তাহলে আপনার নেতৃত্বও থাকবে, জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবেন, বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।’
জনপ্রতিনিধিদের এটা মনে রাখতে হবে যে মানুষ ‘খুব সচেতন’। সেটা মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
নাসিক নির্বাচনের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। জনগণ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং তাদের মনমতো প্রার্থী নির্বাচন করতে পেরেছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনসহ নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ নারায়ণগঞ্জ ঢাকার ঠিক পাশেই এবং নারায়ণগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। কাজেই সেই ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্ব অপরিসীম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদিও আমাদের বিরোধী দল অনেক অপপ্রচার চালায়, কিন্তু তারা কখনো আয়নায় নিজের চেহারা দেখে না যে এই বিএনপি-জামায়াত অথবা অন্যরা যারা এই ধরনের সমালোচনা করে থাকে, তাদের প্রতিষ্ঠা কার হাত দিয়ে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে। জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার কোনো অভ্যাসই তাদের ছিল না বরং কেড়ে নেওয়া, চুরি করাই তাদের অভ্যাস ছিল।’
বিএনপি গণতন্ত্রের অর্থও বোঝে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘জনগণের অধিকারের অর্থও তারা বোঝে না। সেই শিক্ষাই তাদের নাই। তারা বোঝে সন্ত্রাস, তারা বোঝে দুর্নীতি, তারা বোঝে জঙ্গিবাদ। তারা বাংলা ভাই সৃষ্টি করতে পারে, তারা মানুষ হত্যা করতে পারে, হাত কাটতে পারে, চোখ কাটতে পারে, মানুষের ঘরবাড়ি দখল করতে পারে—এইগুলো তারা পারে। সেই সুযোগটা পাচ্ছে না বলেই বোধহয় তাদের বেশি আক্ষেপ।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের তো নেতৃত্ব বলে কিছু নেই। একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি, আমরা দয়া করে তাকে তার বাড়িতে থাকার একটা সুযোগ করে দিয়েছি। আরেকজন দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতি… সেই দুর্নীতির তথ্য ছিল… আমরা না, এটা আমেরিকার এফবিআই তুলে ধরেছে, তারাই সাক্ষ্য দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০০৭ সাল বা ২০০৮ সালের দিকে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দেয় যে ‘আর কোনো দিন রাজনীতি করব না’, এই মুচলেকা দিয়েই দেশ থেকে চলে গিয়েছিল খালেদার ছেলে তারেক রহমান। এখন বিদেশেই সে থাকে। কাজেই বিদেশে থেকে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলের চেয়ারপারসন হয়, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে...সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবার ফিউজেটিভ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আসলে নির্বাচনই চায় না। তারা নির্বাচনের অর্থ বোঝে না। ভোট চুরি করতে জানে, কিন্তু জনগণের ভোট নিতে জানে না। জনগণের যে ভোট দেবার অধিকার, সে অধিকারে তারা বিশ্বাস করে না। এটা হলো বাস্তবতা।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি কেপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কাছে যে ওয়াদা দিয়ে ভোট নিয়েছেন, সেই ওয়াদা কখনো ভুলবেন না। মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।
আজ বুধবার মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিদের এমন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মেয়র আইভীকে শপথবাক্য পাঠ করান। নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য নিজের স্বার্থ না দেখে পরের স্বার্থে কাজ করা, জনগণকে কতটুকু দিতে পারলাম, কতটুক তাদের জন্য করতে পারলাম, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। যতটুকু আপনি দিতে পারবেন, তাতেই আত্মতৃপ্তি, নিজের ভোগবিলাসে না। রাজনৈতিক নেতা হতে হলে জনকল্যাণে কাজ করতে হয়, নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের সেই আদর্শ শিখিয়ে গেছেন। আমি আশা করি, সেই আদর্শ নিয়েই আপনারা চলবেন। তাহলে আপনার নেতৃত্বও থাকবে, জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবেন, বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।’
জনপ্রতিনিধিদের এটা মনে রাখতে হবে যে মানুষ ‘খুব সচেতন’। সেটা মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
নাসিক নির্বাচনের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। জনগণ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং তাদের মনমতো প্রার্থী নির্বাচন করতে পেরেছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনসহ নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ নারায়ণগঞ্জ ঢাকার ঠিক পাশেই এবং নারায়ণগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। কাজেই সেই ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্ব অপরিসীম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদিও আমাদের বিরোধী দল অনেক অপপ্রচার চালায়, কিন্তু তারা কখনো আয়নায় নিজের চেহারা দেখে না যে এই বিএনপি-জামায়াত অথবা অন্যরা যারা এই ধরনের সমালোচনা করে থাকে, তাদের প্রতিষ্ঠা কার হাত দিয়ে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে। জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার কোনো অভ্যাসই তাদের ছিল না বরং কেড়ে নেওয়া, চুরি করাই তাদের অভ্যাস ছিল।’
বিএনপি গণতন্ত্রের অর্থও বোঝে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘জনগণের অধিকারের অর্থও তারা বোঝে না। সেই শিক্ষাই তাদের নাই। তারা বোঝে সন্ত্রাস, তারা বোঝে দুর্নীতি, তারা বোঝে জঙ্গিবাদ। তারা বাংলা ভাই সৃষ্টি করতে পারে, তারা মানুষ হত্যা করতে পারে, হাত কাটতে পারে, চোখ কাটতে পারে, মানুষের ঘরবাড়ি দখল করতে পারে—এইগুলো তারা পারে। সেই সুযোগটা পাচ্ছে না বলেই বোধহয় তাদের বেশি আক্ষেপ।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের তো নেতৃত্ব বলে কিছু নেই। একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি, আমরা দয়া করে তাকে তার বাড়িতে থাকার একটা সুযোগ করে দিয়েছি। আরেকজন দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতি… সেই দুর্নীতির তথ্য ছিল… আমরা না, এটা আমেরিকার এফবিআই তুলে ধরেছে, তারাই সাক্ষ্য দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০০৭ সাল বা ২০০৮ সালের দিকে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দেয় যে ‘আর কোনো দিন রাজনীতি করব না’, এই মুচলেকা দিয়েই দেশ থেকে চলে গিয়েছিল খালেদার ছেলে তারেক রহমান। এখন বিদেশেই সে থাকে। কাজেই বিদেশে থেকে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলের চেয়ারপারসন হয়, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে...সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবার ফিউজেটিভ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আসলে নির্বাচনই চায় না। তারা নির্বাচনের অর্থ বোঝে না। ভোট চুরি করতে জানে, কিন্তু জনগণের ভোট নিতে জানে না। জনগণের যে ভোট দেবার অধিকার, সে অধিকারে তারা বিশ্বাস করে না। এটা হলো বাস্তবতা।’
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হালাল পণ্যবাজারে জায়গা করে নিতে হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তুলতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছে দেশটি। গতকাল মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে এক হোটেলে মালয়েশিয়ার হালাল শিল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগের দুয়ার খুলছে। মালয়েশিয়া সরকার দেশটির অর্থনীতিতে উচ্চ-দক্ষতার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ ভিসা চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে...
৯ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। দেশের ২০২৪ সালের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউকেএম)।
১ ঘণ্টা আগে