কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মত প্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) চূড়ান্ত করার আগে এর ত্রুটি সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারকে লেখা তাঁর ২৮ আগস্টের একটি চিঠি জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এক টুইটে প্রকাশ করেছে।
চিঠিটি কোথায় কার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে—এমন প্রশ্নে আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ারের চিঠি জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। যে চিঠির কথা বলা হচ্ছে, তা আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য বলে তিনি জানান।
চিঠিতে আইরিন খান লিখেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক বিধান সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ত্রুটি বহাল থাকায় তিনি চিঠিতে হতাশা ব্যক্ত করেন।
জাতিসংঘের বাংলাদেশি এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মত প্রকাশের অনেক ব্যবস্থাকে সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়ায় ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়ার কথা নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কড়া নজরদারি না থাকলে এসব ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহারের আশঙ্কা আছে।
সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়াকে আন্তর্জাতিক আইনের মানে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়ে আইরিন খান বলেন, মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিধান (আইসিসিপিআর–ইন্টারন্যাশনাল কোভন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস) অনুযায়ী ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের মত প্রকাশের অধিকার বৈধ। বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আইসিসিপিআর মেনে চলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এই অঙ্গীকার মেনে চলতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু খসড়া সাইবার সিকিউরিটি আইনের কয়েকটি ধারা আইসিসিপিআরের অনেকগুলো বিধিবিধানের সরাসরি পরিপন্থী।
আইরিন খান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে সমালোচনামূলক মত প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন, যাতে মানুষ এসব বিষয়ে শ্রদ্ধার মনোভাব পোষণ করে। ব্যক্তির মানহানির ক্ষেত্রে কেবল সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মামলা দায়েরের বিধান আইনে রাখার পক্ষে মত দেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে কোনো কিছু সরিয়ে নিতে হলে এবং সামাজিক মাধ্যমে কিছু বন্ধ করতে হলে তা কেবল উপযুক্ত আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হওয়া দরকার বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন আইরিন খান।
মত প্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) চূড়ান্ত করার আগে এর ত্রুটি সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারকে লেখা তাঁর ২৮ আগস্টের একটি চিঠি জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এক টুইটে প্রকাশ করেছে।
চিঠিটি কোথায় কার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে—এমন প্রশ্নে আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ারের চিঠি জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। যে চিঠির কথা বলা হচ্ছে, তা আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য বলে তিনি জানান।
চিঠিতে আইরিন খান লিখেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক বিধান সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ত্রুটি বহাল থাকায় তিনি চিঠিতে হতাশা ব্যক্ত করেন।
জাতিসংঘের বাংলাদেশি এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মত প্রকাশের অনেক ব্যবস্থাকে সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়ায় ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়ার কথা নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কড়া নজরদারি না থাকলে এসব ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহারের আশঙ্কা আছে।
সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়াকে আন্তর্জাতিক আইনের মানে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়ে আইরিন খান বলেন, মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিধান (আইসিসিপিআর–ইন্টারন্যাশনাল কোভন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস) অনুযায়ী ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের মত প্রকাশের অধিকার বৈধ। বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আইসিসিপিআর মেনে চলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এই অঙ্গীকার মেনে চলতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু খসড়া সাইবার সিকিউরিটি আইনের কয়েকটি ধারা আইসিসিপিআরের অনেকগুলো বিধিবিধানের সরাসরি পরিপন্থী।
আইরিন খান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে সমালোচনামূলক মত প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন, যাতে মানুষ এসব বিষয়ে শ্রদ্ধার মনোভাব পোষণ করে। ব্যক্তির মানহানির ক্ষেত্রে কেবল সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মামলা দায়েরের বিধান আইনে রাখার পক্ষে মত দেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে কোনো কিছু সরিয়ে নিতে হলে এবং সামাজিক মাধ্যমে কিছু বন্ধ করতে হলে তা কেবল উপযুক্ত আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হওয়া দরকার বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন আইরিন খান।
সমালোচনার মুখে নিয়োগ দেওয়ার দুই দিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র (গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া) হিসেবে মুহাম্মদ আবু আবিদের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ১৫ এপ্রিল তাঁকে খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যদিও জনপ্রশাসন
২ মিনিট আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস
৩৭ মিনিট আগেপ্রকৃত মৎস্যচাষিদের স্বার্থে হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত নয়। হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে। হাওর সেখানকার মানুষের অধিকারের জায়গা, আর তা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে
১ ঘণ্টা আগেপুলিশ সদস্যদের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে