Ajker Patrika

‘পেট্রোবাংলা অচিরেই দেউলিয়া হয়ে যাবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, ১৭: ১৩
‘পেট্রোবাংলা অচিরেই দেউলিয়া হয়ে যাবে’

ঢাকা: তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ভর্তুকির পুরো টাকা দিচ্ছে না অর্থ মন্ত্রণালয়। আমদানিতে বছরে ৩ হজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। অথচ ভর্তুকি লাগে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এটি সমন্বয় করতে পেট্রোবাংলা নিজস্ব তহবিলের টাকা খরচ করছে। পাশাপাশি দুই বছরে সরকারি কোষাগারে পেট্রোবাংলা থেকে নেওয়া হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এসব কারণে পেট্রোবাংলা অচিরেই দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

আজ শনিবার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আওতাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা (বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন) ও বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছি আমরা। অথচ এলএনজি আমদানি খরচ মেটাতে বছরে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা লাগলেও অর্থ বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এভাবে চলতে থাকলে পেট্রোবাংলা অচিরেই দেউলিয়া হয়ে যাবে।’

‘বাংলাদেশে শিল্পের ভবিষ্যৎ জ্বালানি উৎস: এলপিজি এবং এলএনজি’ শীর্ষক আলোচনায় জ্বালানি সচিব আরও জানান, করোনা মহামারির মধ্যেও ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস যোগ হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। আরও গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করছে বাপেক্স (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড)।

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মোট ব্যবহারের মাত্র এক ভাগ শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে সাশ্রয়ী করার কাজ চলছে উল্লেখ করে সচিব আনিছুর রহমান বলেন, প্রয়োজনে এলপিজি ব্যবসার বাধা দূর করতে আইন-নীতির পরিবর্তন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত