কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহ তহবিলে তীব্র ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, জরুরি তহবিল দেওয়ার মাধ্যমে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা না গেলে ১০ লাখের বেশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে।
আজ শুক্রবার ঢাকা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি এ সতর্কতা জারি করে।
সংস্থাটি বলছে, জরুরি নতুন তহবিল না পেলে রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশনের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ বর্তমানের সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার থেকে প্রায় অর্ধেক করে ছয় মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আর এটা ঘটবে এমন সময় যখন রমজানের শেষের দিকে তাঁরা ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ডব্লিউএফপি বলছে, আগামী এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দরকার। আর চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর মধ্যে একটি অভিহিত করে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির পরিচালক ডম স্ক্যাল্পেলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের ক্ষুধার গভীরে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’
এর আগে ২০২৩ সালে তহবিলের তীব্র সীমাবদ্ধতার কারণে ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে প্রতি ব্যক্তির রেশন ১২ মার্কিন ডলার থেকে ৮ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর পরিণতিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মাত্রার বাড়ে। এরপর তহবিল পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।
ডব্লিউএফপি বলছে, রোহিঙ্গাদের মতো যেসব জনগোষ্ঠীর কোনো আইনি মর্যাদা নেই, ক্যাম্পের বাইরে চলাচলের স্বাধীনতা নেই এবং টেকসই জীবিকার সুযোগ নেই, বরাদ্দে কাটছাঁট তাঁদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে। ২০২৩ সালের মতো, বিশেষ করে নারী ও মেয়েরা শোষণ, পাচার, পতিতাবৃত্তি এবং পারিবারিক সহিংসতার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। শিশুদের স্কুল থেকে বের করে শিশুশ্রমে বাধ্য করা হতে পারে। অন্যদিকে পরিবারগুলো বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হতে পারে।
ডব্লিউএফপি বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সংঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নেমেছে, যাদের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের ক্রমাগত আগমন ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার নেই—এমনটা উল্লেখ করে স্ক্যাল্পেলি বলেন, এখন আগের চেয়েও বেশি তাদের পাশে দাঁড়ানো সবার প্রয়োজন। এই খাদ্য সহায়তাই তাদের বেঁচে থাকা এবং হতাশার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। এই সংকট যাতে আরও বাড়তে না পারে সে জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা জরুরিভাবে প্রয়োজন।
বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহ তহবিলে তীব্র ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, জরুরি তহবিল দেওয়ার মাধ্যমে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা না গেলে ১০ লাখের বেশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে।
আজ শুক্রবার ঢাকা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি এ সতর্কতা জারি করে।
সংস্থাটি বলছে, জরুরি নতুন তহবিল না পেলে রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশনের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ বর্তমানের সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার থেকে প্রায় অর্ধেক করে ছয় মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আর এটা ঘটবে এমন সময় যখন রমজানের শেষের দিকে তাঁরা ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ডব্লিউএফপি বলছে, আগামী এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দরকার। আর চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর মধ্যে একটি অভিহিত করে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির পরিচালক ডম স্ক্যাল্পেলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের ক্ষুধার গভীরে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’
এর আগে ২০২৩ সালে তহবিলের তীব্র সীমাবদ্ধতার কারণে ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে প্রতি ব্যক্তির রেশন ১২ মার্কিন ডলার থেকে ৮ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর পরিণতিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মাত্রার বাড়ে। এরপর তহবিল পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।
ডব্লিউএফপি বলছে, রোহিঙ্গাদের মতো যেসব জনগোষ্ঠীর কোনো আইনি মর্যাদা নেই, ক্যাম্পের বাইরে চলাচলের স্বাধীনতা নেই এবং টেকসই জীবিকার সুযোগ নেই, বরাদ্দে কাটছাঁট তাঁদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে। ২০২৩ সালের মতো, বিশেষ করে নারী ও মেয়েরা শোষণ, পাচার, পতিতাবৃত্তি এবং পারিবারিক সহিংসতার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। শিশুদের স্কুল থেকে বের করে শিশুশ্রমে বাধ্য করা হতে পারে। অন্যদিকে পরিবারগুলো বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হতে পারে।
ডব্লিউএফপি বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সংঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নেমেছে, যাদের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের ক্রমাগত আগমন ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার নেই—এমনটা উল্লেখ করে স্ক্যাল্পেলি বলেন, এখন আগের চেয়েও বেশি তাদের পাশে দাঁড়ানো সবার প্রয়োজন। এই খাদ্য সহায়তাই তাদের বেঁচে থাকা এবং হতাশার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। এই সংকট যাতে আরও বাড়তে না পারে সে জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা জরুরিভাবে প্রয়োজন।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ফের উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আগামী ৬ বছরের ব্যবধানে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ১২ লাখ শ্রমিক নেবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক নেবে বিনা খরচে।
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় এবার বিদ্যুৎ-চালিত (ইলেকট্রিক) বাস নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে পাঠানো এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পে ৪০০ বিদ্যুৎ-চালিত বাস কেনা হবে। এসব বাসের ডিপো...
৯ ঘণ্টা আগেধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়েরকৃত নির্বাচনী মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল দায়ের না করা বিষয়ে কোন আইনি জটিলতা আছে কিনা-সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের দাম জুলাই থেকে ২০ শতাংশ কমছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ‘মূল্য এ বছরের জুলাই মাস থেকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী (আইএসপি) ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ হারে কমানো হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগে