জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থ পাচার রোধে ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। মাত্র ৫ মাসে ১৮ হাজারের বেশি ব্যাংক হিসাব তলব করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি। অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে বিগত সরকারের আমলের প্রভাবশালী অনেকের ব্যাংক ও বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব। এসব হিসাবে আটকা পড়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার পালাবদলের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপি, প্রধান বিচারপতি, সংসদের স্পিকার, চিফ হুইপ, সাবেক কয়েকজন পুলিশপ্রধান, বড় ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালীদের প্রায় ১৮ হাজার সন্দেহভাজন হিসাব যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিএফআইইউ। বিশেষ করে বড় লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ১৩০টি কেস নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি, যার সঙ্গে ব্যাংক-বিও হিসাব অবরুদ্ধ করে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। এসব কেসের সঙ্গে চার শতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তার মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান অন্যতম। শুধু সালমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগত যেসব হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়, তাতে আটকা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
বিএফআইইউর একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সন্দেহভাজন কয়েক হাজার লেনদেনের অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ১৮ হাজার হিসাবের তথ্য তলব করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি। তার মধ্যে ১৩০টি কেসের সঙ্গে যুক্ত সব হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। চলতি মাসে তথ্য পাওয়া আরও ৬০০ হিসাব যাচাই-বাছাই শেষ করা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিএফআইইউর প্রধানের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
বিএফআইইউর তথ্য অনুযায়ী, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার কোটি এবং পুঁজিবাজারের বিও হিসাব থেকে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা জব্দ করেছে বিএফআইইউ। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানেরই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের অন্যান্য হিসাবে আটকা অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএফআইইউ আইন অনুযায়ী কাজ করে। সংস্থাটি প্রথমে ৩০ দিনের জন্য হিসাবে ফ্রিজ করে। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ৬ মাস বাড়াতে পারে। এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আদালতের অনুমতি নিয়ে সময় আরও বাড়াতে পারে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর তাঁর আমলের মন্ত্রী-এমপি, বিভিন্ন সহযোগীসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিদের দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও ঋণ কেলেঙ্কারির খবর বেরিয়ে আসতে থাকে। এ অবস্থায় তাঁদের স্ত্রী-সন্তানসহ ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করতে বলা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের তালিকায় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী, গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তি, সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. মইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। এক এস আলমই পাচার করেছে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ফেরত আনাও কঠিন। বিএফআইইউ এত দিন কাজ করতে পারেনি। এখন সংস্থাটি চেষ্টা করছে। যেসব হিসাব জব্দ করেছে, তা ভালো কাজ। এটি না করলে আরও টাকা পাচার হতো। আবার হিসাব তলব করেছে অনেক। এগুলো নিয়ে কাজ করতে সময় লাগবে। সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসব অর্থ ফেরত আনতে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করে বিএফআইইউ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থ পাচার রোধে ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। মাত্র ৫ মাসে ১৮ হাজারের বেশি ব্যাংক হিসাব তলব করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি। অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে বিগত সরকারের আমলের প্রভাবশালী অনেকের ব্যাংক ও বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব। এসব হিসাবে আটকা পড়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার পালাবদলের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপি, প্রধান বিচারপতি, সংসদের স্পিকার, চিফ হুইপ, সাবেক কয়েকজন পুলিশপ্রধান, বড় ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালীদের প্রায় ১৮ হাজার সন্দেহভাজন হিসাব যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিএফআইইউ। বিশেষ করে বড় লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ১৩০টি কেস নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি, যার সঙ্গে ব্যাংক-বিও হিসাব অবরুদ্ধ করে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। এসব কেসের সঙ্গে চার শতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তার মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান অন্যতম। শুধু সালমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগত যেসব হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়, তাতে আটকা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
বিএফআইইউর একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সন্দেহভাজন কয়েক হাজার লেনদেনের অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ১৮ হাজার হিসাবের তথ্য তলব করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি। তার মধ্যে ১৩০টি কেসের সঙ্গে যুক্ত সব হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। চলতি মাসে তথ্য পাওয়া আরও ৬০০ হিসাব যাচাই-বাছাই শেষ করা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিএফআইইউর প্রধানের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
বিএফআইইউর তথ্য অনুযায়ী, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার কোটি এবং পুঁজিবাজারের বিও হিসাব থেকে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা জব্দ করেছে বিএফআইইউ। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানেরই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের অন্যান্য হিসাবে আটকা অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএফআইইউ আইন অনুযায়ী কাজ করে। সংস্থাটি প্রথমে ৩০ দিনের জন্য হিসাবে ফ্রিজ করে। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ৬ মাস বাড়াতে পারে। এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আদালতের অনুমতি নিয়ে সময় আরও বাড়াতে পারে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর তাঁর আমলের মন্ত্রী-এমপি, বিভিন্ন সহযোগীসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিদের দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও ঋণ কেলেঙ্কারির খবর বেরিয়ে আসতে থাকে। এ অবস্থায় তাঁদের স্ত্রী-সন্তানসহ ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করতে বলা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের তালিকায় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী, গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তি, সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. মইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। এক এস আলমই পাচার করেছে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ফেরত আনাও কঠিন। বিএফআইইউ এত দিন কাজ করতে পারেনি। এখন সংস্থাটি চেষ্টা করছে। যেসব হিসাব জব্দ করেছে, তা ভালো কাজ। এটি না করলে আরও টাকা পাচার হতো। আবার হিসাব তলব করেছে অনেক। এগুলো নিয়ে কাজ করতে সময় লাগবে। সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসব অর্থ ফেরত আনতে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করে বিএফআইইউ।
জুলাই আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাত ১১৪ জনের মরদেহ মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তোলা হবে। তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী...
৭ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার বিকেলে এই খসড়া ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে...
৩২ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৩৯ বাংলাদেশি। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসেন তাঁরা। আজ শনিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি। রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘বাস্তবতা’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মাহফুজ আলম।
৪ ঘণ্টা আগে