Ajker Patrika

ফেব্রুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার ২৯১ নারী ও শিশু: এমএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ১৩
ফেব্রুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার ২৯১ নারী ও শিশু: এমএসএফ

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯১ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৪২টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৩টি, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ২টি। 

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এমএসএফ প্রতি মাসে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে ধর্ষণের শিকার ৪২ জনের মধ্যে ১৩টি শিশু, ১৬ জন কিশোরী রয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টা ১১টি, যৌন হয়রানি ৩২টি ও শারীরিক নির্যাতনের ৩১টি ঘটনা ঘটেছে। এ সময়কালে ১টি শিশু, ১৫ জন কিশোরী ও ৪৭ জন নারীসহ মোট ৬৩ জন আত্মহত্যা করেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতারোধে দেশে আইন থাকা সত্ত্বেও অপরাধ দমনে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকা দেখা যায়নি।

এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে কারা হেফাজতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসেও কারা হেফাজতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে কারা হেফাজতে মৃত ১৯ ব্যক্তির মধ্যে ৯ জন কয়েদি ও ১০ জন হাজতি। 

এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৩ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আহত ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন ১০ জন এবং হুমকির সম্মুখীন ৩ জন। 
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে ৩টি মামলা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের পরে সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পুলিশি বলপ্রয়োগের ঘটনা অব্যাহত ছিল। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক ও নির্বাচন-পরবর্তী ২৯টি সহিংসতার ঘটনার শিকার হয়েছেন ২৬৪ জন মানুষ। যাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫৯ জন মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনা, হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতনে মৃত্যু ও অপতৎপরতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। 

পুলিশের ভয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসার অভাবে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অবিরত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। সাইবার নিরাপত্তা আইন বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে নাগরিকদের বাক্‌স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা বহাল রাখা হয়েছে। 

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নাগরিকের হতাহত ও জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সংখ্যালঘু নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। গণপিটুনিতে হতাহতে সংখ্যা ও অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। 

সামগ্রিক বিবেচনায় এমএসএফ মনে করে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও আইনি পরিবেশ উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার করার পাশাপাশি সব ধরনের সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও ভীতিকর পরিবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি যে মাপের লোক, আমারে সে মাপের অস্ত্র দিয়া ফাঁসাইতি’

দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

অবশেষে ইকবালের পরিবারমুক্ত হলো প্রিমিয়ার ব্যাংক

‘হেল্প, হেল্প’ বলে চিৎকার—শিক্ষক এগিয়ে যেতেই গলায় ছুরি চালাল কিশোরী

‘আপত্তিকর’ ভিডিও: বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেন গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত