নিরাপদ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখনো তলানিতেই। বিশ্বের ৬০টি শহরের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে একটি সূচক প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট। এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৫৪ তম।
ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, পরিবেশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা—এই পাঁচ মানদণ্ডে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬০টি শহরের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এই সূচক তৈরি করেছে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট। সবগুলো মানদণ্ড মিলিয়ে ঢাকার অবস্থান ৫৪ তম। এর আগে ২০১৯ সালে অনুরূপ একটি সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ৫৬।
ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট এই নিয়ে তৃতীয়বার এই সূচক প্রকাশ করল। ২০১৭ সালে প্রকাশিত প্রথম সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ৫৮। এই হিসেবে গত ছয় বছরে ঢাকা এগিয়েছে চার ধাপ। কিন্তু এখনো নিরাপদ শহর হিসাবে গড় মানও অর্জন করতে পারেনি ঢাকা। এবারের সূচকে সবগুলো মানদণ্ড মিলিয়ে ঢাকা ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৯ পয়েন্ট পেয়েছে, যা গড় মানের চেয়েও কম। সামগ্রিক গড় মান ছিল ৬৬ দশমিক ১ পয়েন্ট। যত গৌরবই করা হোক না কেন, প্রাপ্ত পয়েন্টের হিসাবে ঢাকা মাঝারি মানের একটি শহর শুধু।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ঢাকার চেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছে শুধু করাচি ও ইয়াঙ্গুন। এই দুই শহরের অবস্থান যথাক্রমে ৫৯ ও ৬০। ভারতের নয়াদিল্লি ও মুম্বাইও রয়েছে ঢাকার ওপরে, যাদের অবস্থান যথাক্রমে ৪৮ ও ৫০।
এবারের সূচকে ঢাকা সবচেয়ে বাজে ফল করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা সূচকে। এ ক্ষেত্রে মাত্র ৩৯ পয়েন্ট পেয়ে ৬০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ৫৬ তম। অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও ঢাকা খুব একটা উন্নতি করেনি। যদিও গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকা একের পর এক অবকাঠামো উন্নয়নই দেখছে। এ ক্ষেত্রে ৪৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট পেয়ে ঢাকার অবস্থান ৫৫ তম।
ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সূচক তৈরির সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। গোটা বিশ্বেই কোভিড-১৯ মহামারি এক নতুন বাস্তবতা এনে হাজির করেছিল। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছিল শহরগুলোর ওপর। ফলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ইস্যুটি এই সূচকে বড় প্রভাবক হয়ে উঠেছিল।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সূচকে ঢাকা ৫০ দশমিক ৯ পয়েন্ট পেয়ে ৫২ তম অবস্থান নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে গড় মান ৬৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রেও ঢাকার অবস্থান হতাশাজনক বলা যায়। দক্ষিণ এশীয় শহরগুলোর মধ্যে এই সূচকে ঢাকার নিচে রয়েছে শুধু করাচি। তাদের অবস্থান ৫৫ তম। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পরিবেশগত নিরাপত্তায় ঢাকার পয়েন্ট যথাক্রমে ৪৬ দশমিক ৬ ও ৫৮ দশমিক ২ পয়েন্ট। এই দুই ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থান যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৭ তম।
ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিরাপদ শহরের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। মহামারি পরিস্থিতিতে এটাই স্বাভাবিক। এই মহামারির সঙ্গে গত শতকের স্প্যানিশ ফ্লুয়ের তুলনাই শুধু টানা যেতে পারে। সে সময় মাত্র ১৪ শতাংশ লোক শহরে বাস করত। কিন্তু এখন এ হার ৫৭ শতাংশ। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যে দেশ যত কম উন্নত, সে দেশে নগরায়ণ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই নগরায়ণ অন্য নাগরিক সুবিধাগুলোকে নিশ্চিত করে না। ফলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ওপর এর বড় প্রভাব পড়ে।
এবারের সূচকে নিরাপদ শহরের শীর্ষস্থানে জায়গা পেয়েছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। শহরটি পেয়েছে ৮২ দশমিক ৪ পয়েন্ট। শীর্ষ দশে থাকা বাকি শহরগুলো হলো—টরন্টো, সিঙ্গাপুর, সিডনি, টোকিও, আমস্টারডাম, ওয়েলিংটন, হংকং, মেলবোর্ন ও স্টকহোম। এর মধ্যে হংকং ও মেলবোর্ন যৌথভাবে রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। এ দুই শহরেরই প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৮ দশমিক ৬। তালিকায় যদিও শহর দুটিকে যথাক্রমে অষ্টম ও নবম অবস্থানে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নিউইয়র্ক ১১, লন্ডন ১৫, প্যারিস ২৩, দুবাই ৩৫, ইস্তাম্বুল ৩৭ ও রিয়াদ রয়েছে ৪৯ তম অবস্থানে।
নিরাপদ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখনো তলানিতেই। বিশ্বের ৬০টি শহরের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে একটি সূচক প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট। এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৫৪ তম।
ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, পরিবেশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা—এই পাঁচ মানদণ্ডে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬০টি শহরের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এই সূচক তৈরি করেছে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট। সবগুলো মানদণ্ড মিলিয়ে ঢাকার অবস্থান ৫৪ তম। এর আগে ২০১৯ সালে অনুরূপ একটি সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ৫৬।
ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট এই নিয়ে তৃতীয়বার এই সূচক প্রকাশ করল। ২০১৭ সালে প্রকাশিত প্রথম সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ৫৮। এই হিসেবে গত ছয় বছরে ঢাকা এগিয়েছে চার ধাপ। কিন্তু এখনো নিরাপদ শহর হিসাবে গড় মানও অর্জন করতে পারেনি ঢাকা। এবারের সূচকে সবগুলো মানদণ্ড মিলিয়ে ঢাকা ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৯ পয়েন্ট পেয়েছে, যা গড় মানের চেয়েও কম। সামগ্রিক গড় মান ছিল ৬৬ দশমিক ১ পয়েন্ট। যত গৌরবই করা হোক না কেন, প্রাপ্ত পয়েন্টের হিসাবে ঢাকা মাঝারি মানের একটি শহর শুধু।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ঢাকার চেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছে শুধু করাচি ও ইয়াঙ্গুন। এই দুই শহরের অবস্থান যথাক্রমে ৫৯ ও ৬০। ভারতের নয়াদিল্লি ও মুম্বাইও রয়েছে ঢাকার ওপরে, যাদের অবস্থান যথাক্রমে ৪৮ ও ৫০।
এবারের সূচকে ঢাকা সবচেয়ে বাজে ফল করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা সূচকে। এ ক্ষেত্রে মাত্র ৩৯ পয়েন্ট পেয়ে ৬০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ৫৬ তম। অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও ঢাকা খুব একটা উন্নতি করেনি। যদিও গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকা একের পর এক অবকাঠামো উন্নয়নই দেখছে। এ ক্ষেত্রে ৪৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট পেয়ে ঢাকার অবস্থান ৫৫ তম।
ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সূচক তৈরির সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। গোটা বিশ্বেই কোভিড-১৯ মহামারি এক নতুন বাস্তবতা এনে হাজির করেছিল। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছিল শহরগুলোর ওপর। ফলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ইস্যুটি এই সূচকে বড় প্রভাবক হয়ে উঠেছিল।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সূচকে ঢাকা ৫০ দশমিক ৯ পয়েন্ট পেয়ে ৫২ তম অবস্থান নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে গড় মান ৬৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রেও ঢাকার অবস্থান হতাশাজনক বলা যায়। দক্ষিণ এশীয় শহরগুলোর মধ্যে এই সূচকে ঢাকার নিচে রয়েছে শুধু করাচি। তাদের অবস্থান ৫৫ তম। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পরিবেশগত নিরাপত্তায় ঢাকার পয়েন্ট যথাক্রমে ৪৬ দশমিক ৬ ও ৫৮ দশমিক ২ পয়েন্ট। এই দুই ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থান যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৭ তম।
ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিরাপদ শহরের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। মহামারি পরিস্থিতিতে এটাই স্বাভাবিক। এই মহামারির সঙ্গে গত শতকের স্প্যানিশ ফ্লুয়ের তুলনাই শুধু টানা যেতে পারে। সে সময় মাত্র ১৪ শতাংশ লোক শহরে বাস করত। কিন্তু এখন এ হার ৫৭ শতাংশ। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যে দেশ যত কম উন্নত, সে দেশে নগরায়ণ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই নগরায়ণ অন্য নাগরিক সুবিধাগুলোকে নিশ্চিত করে না। ফলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ওপর এর বড় প্রভাব পড়ে।
এবারের সূচকে নিরাপদ শহরের শীর্ষস্থানে জায়গা পেয়েছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। শহরটি পেয়েছে ৮২ দশমিক ৪ পয়েন্ট। শীর্ষ দশে থাকা বাকি শহরগুলো হলো—টরন্টো, সিঙ্গাপুর, সিডনি, টোকিও, আমস্টারডাম, ওয়েলিংটন, হংকং, মেলবোর্ন ও স্টকহোম। এর মধ্যে হংকং ও মেলবোর্ন যৌথভাবে রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। এ দুই শহরেরই প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৮ দশমিক ৬। তালিকায় যদিও শহর দুটিকে যথাক্রমে অষ্টম ও নবম অবস্থানে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নিউইয়র্ক ১১, লন্ডন ১৫, প্যারিস ২৩, দুবাই ৩৫, ইস্তাম্বুল ৩৭ ও রিয়াদ রয়েছে ৪৯ তম অবস্থানে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে
২ ঘণ্টা আগেসংলাপে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোকে দুই ভাগে করা হয়েছে। কতগুলো সংস্কার আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে করা যাবে। রাজনীতিকদের এ ব্যাপারে দ্বিমতের সুযোগ খুব কম। শত শত সুপারিশ আছে, যেগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। আর কতগুলো সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মৌলিক
২ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধন প্রত্যাশীদের আগামী ১০ আগস্ট বিকেল ৫টার মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১৪টি রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকে বসেছেন। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে