জিনাতুন নুর

পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ হাজার বছর সময়কে মধ্যযুগ ধরা হয়। সেটা ছিল সাংস্কৃতিক বিবর্তন ও ধর্মীয় ক্ষমতা চর্চার সুবর্ণ সময়। বিশ্বজুড়ে তখন জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, গড়ে উঠছে নতুন নতুন শহর। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যাই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শাসকশ্রেণির জন্য উপকারী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে। সেই সময়ে আটটি উল্লেখযোগ্য শহরের গোড়াপত্তন হয়। আয়তন বা জনসংখ্যার দিক থেকে নেহাত বিশাল না হলেও যুগের হিসাবে শহরগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই আট শহর নিয়েই আমাদের আজকের গল্প।
১। আঙ্খোর
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ এখনকার কম্বোডিয়ায় মধ্যযুগে খেমার সাম্রাজ্য ছিল প্রভাবশালী। ১১০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সেই সাম্রাজ্যে আঙ্খোর নামে শহর ছিল। আয়তন ও জনসংখ্যা উভয় দিক থেকেই শহরটি ছিল বিশাল। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম শহর হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ১ হাজার বর্গ কিলোমিটারজুড়ে (৩৯০ বর্গমাইল) বিস্তৃত সেই নগরে তখন প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস করত। ‘মন্দিরের শহর’ হিসেবে পরিচিত প্রাচীন এই নগরী ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা এবং একই সঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনস্থলও। তবে দেশটিতে কয়েক শ বছর ধরে চলমাণ সংঘাতের কারণে প্রত্নতাত্ত্বিক উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে এখনো উন্নয়নকাজ চলছে।
বিশাল ওই শহরের অনেক কিছুই কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে, কিন্তু আঙ্খোর ওয়াত নামে একটি স্থাপনা টিকে আছে। এটি ছিল খেমার সাম্রাজ্যের রাজধানী। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ বা বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এটি সুসংরক্ষিত আছে।
আঙ্খোর শহর ছিল দেবরাজদের শহর। তাদের হিন্দু দেবতা শিবের পার্থিব অবতার বলে মনে করা হতো। শহরটির জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়, সরকারি হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়ে। প্রাচীন এই রাজধানী শহরে ছিল বিমানবন্দরের রানওয়ের মতো প্রশস্ত রাস্তা, খাল ও ধানের খেত; ছিল হাতে কাটা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম জলাশয়; আর ফসলের বাম্পার উৎপাদনের জন্য বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র করে জটিল সেচব্যবস্থা।
২। বাগদাদ
মধ্যযুগের শুরুতে আব্বাসীয় খিলাফত বা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল আধুনিক ইরাকের বাগদাদ। ৭৬২ খ্রিষ্টাব্দে শহরটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং অষ্টম শতকের মধ্যে শেষ হয়। সেখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বাস ছিল। সে সময় শহরটি মধ্যপ্রাচ্যের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। ৭০০ খ্রিষ্টাব্দ ও ৯০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রায় বাগদাদ বা এর শহরতলিতে ১০ লাখ মানুষ বসবাস করত। ট্রাইগ্রিস নদীর উভয় পাশে দুটি অর্ধবৃত্ত নকশায় বাগদাদের গোড়াপত্তন হয়। আধুনিক অবকাঠমোর সঙ্গে শহরটিতে ছিল কৃত্রিম খাল, পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, বেশ কিছু নাগরিক চত্বর ও প্রশস্ত রাস্তা।
শহরটির সোনালি যুগের কয়েক শতাব্দী পর ইয়াকুত নামে এক আরব গবেষক সেখানে বাস করতেন। তাঁর মতে, বাগদাদের রাস্তাগুলো ৪০ হাত বা ৬০ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করা হয়েছিল এবং শহরে প্রাচীরের মধ্যে আবর্জনা ফেলা নিষিদ্ধ ছিল। দশম শতকের পরে আব্বাসীয় শাসনের পতন হয়। কারণ, মধ্যযুগে বাগদাদ শহরে দুটি বড় হামলা হয়। এর মধ্যে ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মোঙ্গলরা এবং ১৪০১ খ্রিষ্টাব্দে তাদেরই উত্তরসূরি তাইমুরের আক্রমণের শিকার হয়। আব্বাসীয়দের পতন হলেও বাগদাদ শহর গুরুত্ব হারায়নি। এটি এখনো আধুনিক ইরাকের রাজধানী এবং আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
৩। কনস্টান্টিনোপল
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বৃহৎ কেন্দ্রভূমি ছিল কনস্টান্টিনোপল। রোমান সম্রাট কনস্টান্টিনের আমলে ৩৩০ খ্রিষ্টাব্দে, অর্থাৎ প্রাচীন যুগে এই শহরের গোড়াপত্তন হয়। কিন্তু মধ্যযুগও কনস্টান্টিনোপল শহরের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল বলা যায়। পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর বিশ্বের মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য। তখনো কনস্টান্টিনোপল থেকেই রোম শাসন করতেন সম্রাট জাস্টিনিয়ান।
রোমান থেকে বাইজেন্টাইন, বাইজেন্টাইন থেকে অটোমান সাম্রাজ্য এবং রোমান সাম্রাজ্যে প্রত্যাবর্তনের এই বড় সময়ের পালাবদলের জোয়ারের মধ্যেও নিজ অবয়বে বহাল ছিল কনস্টান্টিনোপল। ইতিহাসের নানা সময়ে এই শহরে প্রায় কোটি মানুষের বাস ছিল এবং এটিই ছিল প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। ইউরোপ ও এশিয়া—দুই মহাদেশজুড়ে থাকা শহর হিসেবে অনন্য অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক বিষয় ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কনস্টান্টিনোপল মুখ্য ভূমিকা রাখে।
ভেনিস, মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্যের ব্যবসায়ী ও বণিকেরা এই শহরে আসত। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে শহরটি ব্যাপক পরিচিত পায়। কনস্টান্টিনোপল অবিরত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। তার পরও মধ্যযুগীয় বড় শহর হিসেবে শহরটি টিকে ছিল। শুধু তাই নয়, ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে এটি অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী হয়ে ওঠে। পুরো মধ্যযুগে এবং আধুনিক যুগেও কনস্টান্টিনোপলের প্রভাবশালী ভূমিকা অব্যাহত ছিল। কনস্টান্টিনোপলের নাম পাল্টেছে, এটির নাম এখন ইস্তানবুল। তুরস্কের বড় শহর হিসেবে এটি ইউরোপ ও এশিয়া—দুই মহাদেশের আন্তর্জাতিক বিষয়েই জোরালো প্রভাব রাখে।
৪। কায়রো
বাগদাদের বিপরীতে ইসলামি বিশ্বের বৃহত্তম শহর হিসেবে ৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মিসরে কায়রো শহর নির্মাণ করে ফাতেমীয় রাজবংশ। এই শহর যেমন ফাতেমীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল, তেমনি গোটা মধ্যযুগে ইসলামী শিক্ষা ও ক্ষমতার উৎসও ছিল এটি। কায়রো ‘হাজার মিনারের শহর’ হিসেবে পরিচিত। এটি বাস্তবিকই ইসলামি শহর। শহরজুড়ে হাজারের বেশি মসজিদ আছে বলে কেউ কেউ দাবি করেন এবং সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত নয়। মধ্যযুগের কায়রোতে এসব মসজিদ ইবাদতের জায়গার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনকেন্দ্র হিসেবেও কাজ করত। আল-হাসান মসজিদ ছিল এই শহরের প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র। সেখানে ধনী কিংবা গরিব হাজার হাজার মিসরীয় ও বিদেশি তরুণ শিক্ষা নিত।
মামলূক রাজবংশ শহরটি দখলে নিলে মসজিদগুলো হাসপাতাল ও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। দাসত্ব থেকে লড়াই করে ক্ষমতা অর্জন করায় মামলুক শাসকেরা শহরের প্রান্তিক মানুষের প্রতি যত্নশীল ছিল। তাঁরা শহরটিকে ক্রুসেডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ইসলামি দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বাণিজ্যপথের সঙ্গমস্থলে থাকায় শহরটি মধ্যযুগের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। অবস্থানগত কারণে কায়রো বিশ্বের অন্যতম ধনী মধ্যযুগীয় শহরে পরিণত হয়।
কায়রো এখনো মিসরের রাজধানী এবং একই সঙ্গে আরব বিশ্বের বৃহত্তম শহর। আধুনিককালের কিছু দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ঘটনার মধ্যেও এটি উত্তর আফ্রিকার ইসলামি শক্তির বড় কেন্দ্র।
৫। হ্যাংঝু
চীনের সাতটি প্রাচীন রাজধানীর মধ্যে হ্যাংঝু উল্লেখযোগ্য। সম্ভবত দ্বাদশ শতাব্দীতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শহরও এটি। গ্র্যান্ড ক্যানালের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ১০ লাখ মানুষের শহরটি একাধিক চীনা রাজবংশের রাজধানী ছিল।
অবস্থানগত কারণে হ্যাংঝু সমৃদ্ধি পায়। কারণ সিল্করোড নামে চীনের সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য পথের সঙ্গে এর সরাসরি সংযোগ ছিল। এটি বাণিজ্য নগরী হিসেবে বিকাশ লাভ করেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সুদূর ইরানেও মধ্যযুগে চীনা পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এটি ইউয়ে রাজ্য এবং দক্ষিণ সং রাজবংশের রাজধানী ছিল। এমনকি যখন এটি রাজধানী শহর ছিল না, তখনো কৌশলগত অবস্থানের কারণে হ্যাংঝু শক্তিশালী শহর ছিল।
ধনসম্পদের জন্য হ্যাংঝু সুপরিচিত ছিল। চীনা সংস্কৃতির মহান কেন্দ্রও ছিল এটি। প্রাচীন সাহিত্য ও বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত এই শহর। এর সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মার্কো পলো ও ইবনে বতুতার মতো পর্যটকককে আকৃষ্ট করেছিল। তাদের লেখায় শহরটির চমৎকার বর্ণনা উঠে এসেছে। মার্কো পলোর মতে, এটি নিঃসন্দেহে ‘বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে জমকালো শহর’। এই শহরের পাকা রাস্তা ও বিপুলসংখ্যক সেতু দেখে তিনি বিস্মিত হন। মার্কো পলোর লেখাগুলো ত্রয়োদশ শতাব্দীর হ্যাংঝুর জাঁকজমক অবস্থা তুলে ধরে। তখনো এটি বিশ্বের বৃহত্তম শহর ছিল। হ্যাংঝু এখনো গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। সেখানে প্রচুর পরিমাণে ধান ও রেশম উৎপাদন হয়। এখন রাজধানী না হলেও এটি অন্তত ১ কোটি মানুষের আধুনিক নগর।
৬। প্যারিস
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। মধ্যযুগের শুরুতে বিশাল বহুজাতিক শহরে বিকশিত হয় এটি। এর আগে এই শহরের তেমন গুরুত্ব ছিল না। দশম শতকের প্যারিসে একটি ক্যাথেড্র্যাল ছাড়া আর কিছু ছিল না। তবু প্রাদেশিক শহরের চেয়ে একটু বেশিই মর্যাদা পেত এই শহর। কিন্তু ক্যাপেশীয় রাজারা ইল দু লা সিতে থেকে ফ্রান্স শাসনের সিদ্ধান্ত নিলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। এটাকে যে তারা শুধু রাজপ্রাসাদে পরিণত করেছে, তাই নয়। এখানে নতুন নটর ডেম ক্যাথেড্রালকেও জায়গা দেওয়া হয়। ক্যাপেশীয়দের অধীনে প্যারিস একাধারে ধর্মীয়, শিক্ষা ও বাণিজ্য—তিন দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শিন নদীর বাম তীর ছিল ফরাসি গির্জা মঠের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ছিল বেশ কিছু কলেজ, যেগুলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ডান তীরে বন্দর, বণিকশ্রেণি ও বাজার প্যারিসকে বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত করে। ধর্ম ও শিক্ষার সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্যারিসকে স্বর্ণ ও রৌপ্যখচিত পান্ডুলিপির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে। পাশাপাশি এই শহরে প্রথম গথিক নির্মাণশৈলীর প্রচলন হয়।
১৩২৮ খ্রিষ্টাব্দের আগে প্যারিসের বাসিন্দা কত ছিল, তা নির্দিষ্ট ছিল না। কিন্তু সে বছরের আদমশুমারিতে শুধু শহরের ভেতরে ৬১ হাজার পরিবার পাওয়া যায়। তা থেকে সে সময় পুরো প্যারিসের জনসংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭০ হাজারের মধ্যে ছিল বলে অনুমান করা যায়। শহরটি মহামারি ও বহিঃশক্তির অবরোধের কবলে পড়ে কিছুটা বিপর্যস্ত হলে নিজেকে সামলে নিয়ে মধ্যযুগে পশ্চিমা বিশ্বের অনত্যম জনবহুল শহরে পরিণত হয়।
৭। তেনোচতিতলান
এখনকার মেক্সিকোতে অবস্থিত তেনোচতিতলান প্রাক-কলম্বিয়ান আমেরিকায়, অর্থাৎ ক্রিস্টোফার কলম্বাসের অভিযানের মাধ্যমে ইউরোপের উপনিবেশ হওয়ার আগে পর্যন্ত আমেরিকার বৃহত্তম শহর ছিল। পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত এক শতাব্দীজুড়ে এটি ছিল বিস্তৃত আজটেক সাম্রাজ্যের রাজধানী। টেক্সকোকো দ্বীপের মাঝখানে তেনোচতিতলান শহর গড়ে তোলা হয়। সেখানে ছিল রাজকীয় প্রাসাদ, মন্দির, বাজার ও অন্যান্য সরকারি ভবন। এ সবই আজটেক জনগোষ্ঠীর কল্যাণের পাশাপাশি শহর ও সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
অ্যাজটেক সম্রাজ্যের বিশাল বাণিজ্য নেটওয়ার্ক ছিল, যা তেনোচতিতলান থেকে ম্যাক্সিকো উপসাগর এবং সম্ভবত ইনকা সাম্রাজ্য পযন্ত বিস্তৃত ছিল। এই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি। সেই জনগোষ্ঠী এমন সামাজিক শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, যা মেসোআমেরিকান বিশ্বে সবচেয়ে জটিল।
স্পেনীয় বিজেতারা এই রাজধানী শহরে পৌঁছে একে সমৃদ্ধশালী হিসেবেই খুঁজে পায়। জনসংখ্যার দিক থেকে ইউরোপের ভেনিস কিংবা প্যারিসের সমকক্ষ ছিল। সম্রাট দ্বিতীয় মক্তেজুমার রাজপ্রাসাদ ছিল বিস্তৃত ভবন, যেখানে চিড়িয়াখানা, বোটানক্যিল গার্ডেন ও অ্যাকুরিয়াম ছিল। হেরনান কর্তেসের নেতৃত্বে স্পেনীয়রা শহরটিকে দখল করে নয়া স্পেনের রাজপ্রতিনিধির পৌরসভায় পরিণত করে। কয়েক শতাব্দী ধরে শহরটি স্পেনীয় শাসনের অধীনে থাকলেও মেক্সিকোর রাজধানী স্থানান্তরিত হয়নি; মধ্যযুগীয় রাজধানীটির আশপাশেই তা গড়ে ওঠে। আধুনিক ম্যাক্সিকো শহরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রে তেনোচতিতলানের অবস্থান। প্রায় ১ কোটি মানুষের শহরটি আমেরিকার মধ্যে অন্যতম জনবহুল।
৮। ভেনিস
মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ নৌশক্তিধর হিসেবে বিবেচিত ভেনিস। পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর পালিয়ে আসা শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে এই শহরের যাত্রা শুরু হয়। চারপাশ ঘিরে থাকা লেগুন বা উপহ্রদ কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভেনিসকে প্রজাতন্ত্রে পরিণত করতে সহায়তা করেছে। এই লেগুন ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় ইউরোপের বাকি অংশের সঙ্গে রোমানদের বৃহত্তর বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
রোমান সাম্রাজ্য ও অপর ইতালীয় শক্তি থেকে উচ্চমাত্রার স্বাধীনতা পেয়েছিল ভেনিস—সেটা ধর্ম ও শাসনব্যবস্থা উভয় দিক থেকেই ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল দখল করা শুরু করে এই নগররাষ্ট্র। ভেনিসের শাসক ছিলেন একজন ডিউক। তিনি ভেনিসের গ্রেট কাউন্সিল দ্বারা নির্বাচিত হতেন এবং আজীবন দায়িত্ব পালন করতেন। ভেনিস নামে প্রজাতন্ত্র হলেও এটি শাসন করত বড় ব্যবসায়ীদের গোষ্ঠী।
ক্রমাগত সমৃদ্ধ হতে হতে মধ্যযুগে শিল্প, স্থাপত্য ও প্রকাশনার বড় কেন্দ্রে পরিণত হয় ভেনিস। ইতালি রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণের আগে ভেনিসে রেনেসাঁ শুরু হয়। অর্থনৈতিক দক্ষতা এবং নৌ প্রজাতন্ত্রের সেবায় শিল্পের উন্নয়নের প্রত্যক্ষ পরণতি ছিল এই রেনেসাঁ। ষোড়শ শতকের আগপর্যন্ত ভেনিস ছিল কিছুটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এরপর আমেরিকা ও ইস্ট ইন্ডিজে বাণিজ্যপথ চালু হলে তার প্রভাব কমে। কারণ, তখন অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তিও বাণিজ্য বাড়িয়ে ভেনিসের সমকক্ষ প্রভাব অর্জন করে।
উনিশ শতকের শেষের দিকে একক ইতালি রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত হয় ভেনিস। এটি এখন ইতালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তবে আগের মতো প্রভাব আর নেই। চারপাশের খালের কারণে ভেনিস ছিল অনন্য এবং সম্পূর্ণরূপে নৌশক্তিনির্ভর। বিশাল নৌবহরের পরিবর্তে সেই খালগুলোতে এখন পর্যটকদের পছন্দের গন্ডোলা রাইড ও ওয়াটার ট্যাক্সি চলে।
(দ্য কালেক্টর থেকে অনূদিত)
লেখক: ইতিহাসে স্নাতকোত্তর, ইডেন কলেজ

পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ হাজার বছর সময়কে মধ্যযুগ ধরা হয়। সেটা ছিল সাংস্কৃতিক বিবর্তন ও ধর্মীয় ক্ষমতা চর্চার সুবর্ণ সময়। বিশ্বজুড়ে তখন জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, গড়ে উঠছে নতুন নতুন শহর। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যাই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শাসকশ্রেণির জন্য উপকারী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে। সেই সময়ে আটটি উল্লেখযোগ্য শহরের গোড়াপত্তন হয়। আয়তন বা জনসংখ্যার দিক থেকে নেহাত বিশাল না হলেও যুগের হিসাবে শহরগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই আট শহর নিয়েই আমাদের আজকের গল্প।
১। আঙ্খোর
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ এখনকার কম্বোডিয়ায় মধ্যযুগে খেমার সাম্রাজ্য ছিল প্রভাবশালী। ১১০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সেই সাম্রাজ্যে আঙ্খোর নামে শহর ছিল। আয়তন ও জনসংখ্যা উভয় দিক থেকেই শহরটি ছিল বিশাল। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম শহর হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ১ হাজার বর্গ কিলোমিটারজুড়ে (৩৯০ বর্গমাইল) বিস্তৃত সেই নগরে তখন প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস করত। ‘মন্দিরের শহর’ হিসেবে পরিচিত প্রাচীন এই নগরী ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা এবং একই সঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনস্থলও। তবে দেশটিতে কয়েক শ বছর ধরে চলমাণ সংঘাতের কারণে প্রত্নতাত্ত্বিক উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে এখনো উন্নয়নকাজ চলছে।
বিশাল ওই শহরের অনেক কিছুই কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে, কিন্তু আঙ্খোর ওয়াত নামে একটি স্থাপনা টিকে আছে। এটি ছিল খেমার সাম্রাজ্যের রাজধানী। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ বা বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এটি সুসংরক্ষিত আছে।
আঙ্খোর শহর ছিল দেবরাজদের শহর। তাদের হিন্দু দেবতা শিবের পার্থিব অবতার বলে মনে করা হতো। শহরটির জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়, সরকারি হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়ে। প্রাচীন এই রাজধানী শহরে ছিল বিমানবন্দরের রানওয়ের মতো প্রশস্ত রাস্তা, খাল ও ধানের খেত; ছিল হাতে কাটা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম জলাশয়; আর ফসলের বাম্পার উৎপাদনের জন্য বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র করে জটিল সেচব্যবস্থা।
২। বাগদাদ
মধ্যযুগের শুরুতে আব্বাসীয় খিলাফত বা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল আধুনিক ইরাকের বাগদাদ। ৭৬২ খ্রিষ্টাব্দে শহরটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং অষ্টম শতকের মধ্যে শেষ হয়। সেখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বাস ছিল। সে সময় শহরটি মধ্যপ্রাচ্যের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। ৭০০ খ্রিষ্টাব্দ ও ৯০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রায় বাগদাদ বা এর শহরতলিতে ১০ লাখ মানুষ বসবাস করত। ট্রাইগ্রিস নদীর উভয় পাশে দুটি অর্ধবৃত্ত নকশায় বাগদাদের গোড়াপত্তন হয়। আধুনিক অবকাঠমোর সঙ্গে শহরটিতে ছিল কৃত্রিম খাল, পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, বেশ কিছু নাগরিক চত্বর ও প্রশস্ত রাস্তা।
শহরটির সোনালি যুগের কয়েক শতাব্দী পর ইয়াকুত নামে এক আরব গবেষক সেখানে বাস করতেন। তাঁর মতে, বাগদাদের রাস্তাগুলো ৪০ হাত বা ৬০ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করা হয়েছিল এবং শহরে প্রাচীরের মধ্যে আবর্জনা ফেলা নিষিদ্ধ ছিল। দশম শতকের পরে আব্বাসীয় শাসনের পতন হয়। কারণ, মধ্যযুগে বাগদাদ শহরে দুটি বড় হামলা হয়। এর মধ্যে ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মোঙ্গলরা এবং ১৪০১ খ্রিষ্টাব্দে তাদেরই উত্তরসূরি তাইমুরের আক্রমণের শিকার হয়। আব্বাসীয়দের পতন হলেও বাগদাদ শহর গুরুত্ব হারায়নি। এটি এখনো আধুনিক ইরাকের রাজধানী এবং আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
৩। কনস্টান্টিনোপল
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বৃহৎ কেন্দ্রভূমি ছিল কনস্টান্টিনোপল। রোমান সম্রাট কনস্টান্টিনের আমলে ৩৩০ খ্রিষ্টাব্দে, অর্থাৎ প্রাচীন যুগে এই শহরের গোড়াপত্তন হয়। কিন্তু মধ্যযুগও কনস্টান্টিনোপল শহরের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল বলা যায়। পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর বিশ্বের মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য। তখনো কনস্টান্টিনোপল থেকেই রোম শাসন করতেন সম্রাট জাস্টিনিয়ান।
রোমান থেকে বাইজেন্টাইন, বাইজেন্টাইন থেকে অটোমান সাম্রাজ্য এবং রোমান সাম্রাজ্যে প্রত্যাবর্তনের এই বড় সময়ের পালাবদলের জোয়ারের মধ্যেও নিজ অবয়বে বহাল ছিল কনস্টান্টিনোপল। ইতিহাসের নানা সময়ে এই শহরে প্রায় কোটি মানুষের বাস ছিল এবং এটিই ছিল প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। ইউরোপ ও এশিয়া—দুই মহাদেশজুড়ে থাকা শহর হিসেবে অনন্য অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক বিষয় ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কনস্টান্টিনোপল মুখ্য ভূমিকা রাখে।
ভেনিস, মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্যের ব্যবসায়ী ও বণিকেরা এই শহরে আসত। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে শহরটি ব্যাপক পরিচিত পায়। কনস্টান্টিনোপল অবিরত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। তার পরও মধ্যযুগীয় বড় শহর হিসেবে শহরটি টিকে ছিল। শুধু তাই নয়, ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে এটি অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী হয়ে ওঠে। পুরো মধ্যযুগে এবং আধুনিক যুগেও কনস্টান্টিনোপলের প্রভাবশালী ভূমিকা অব্যাহত ছিল। কনস্টান্টিনোপলের নাম পাল্টেছে, এটির নাম এখন ইস্তানবুল। তুরস্কের বড় শহর হিসেবে এটি ইউরোপ ও এশিয়া—দুই মহাদেশের আন্তর্জাতিক বিষয়েই জোরালো প্রভাব রাখে।
৪। কায়রো
বাগদাদের বিপরীতে ইসলামি বিশ্বের বৃহত্তম শহর হিসেবে ৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মিসরে কায়রো শহর নির্মাণ করে ফাতেমীয় রাজবংশ। এই শহর যেমন ফাতেমীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল, তেমনি গোটা মধ্যযুগে ইসলামী শিক্ষা ও ক্ষমতার উৎসও ছিল এটি। কায়রো ‘হাজার মিনারের শহর’ হিসেবে পরিচিত। এটি বাস্তবিকই ইসলামি শহর। শহরজুড়ে হাজারের বেশি মসজিদ আছে বলে কেউ কেউ দাবি করেন এবং সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত নয়। মধ্যযুগের কায়রোতে এসব মসজিদ ইবাদতের জায়গার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনকেন্দ্র হিসেবেও কাজ করত। আল-হাসান মসজিদ ছিল এই শহরের প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র। সেখানে ধনী কিংবা গরিব হাজার হাজার মিসরীয় ও বিদেশি তরুণ শিক্ষা নিত।
মামলূক রাজবংশ শহরটি দখলে নিলে মসজিদগুলো হাসপাতাল ও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। দাসত্ব থেকে লড়াই করে ক্ষমতা অর্জন করায় মামলুক শাসকেরা শহরের প্রান্তিক মানুষের প্রতি যত্নশীল ছিল। তাঁরা শহরটিকে ক্রুসেডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ইসলামি দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বাণিজ্যপথের সঙ্গমস্থলে থাকায় শহরটি মধ্যযুগের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। অবস্থানগত কারণে কায়রো বিশ্বের অন্যতম ধনী মধ্যযুগীয় শহরে পরিণত হয়।
কায়রো এখনো মিসরের রাজধানী এবং একই সঙ্গে আরব বিশ্বের বৃহত্তম শহর। আধুনিককালের কিছু দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ঘটনার মধ্যেও এটি উত্তর আফ্রিকার ইসলামি শক্তির বড় কেন্দ্র।
৫। হ্যাংঝু
চীনের সাতটি প্রাচীন রাজধানীর মধ্যে হ্যাংঝু উল্লেখযোগ্য। সম্ভবত দ্বাদশ শতাব্দীতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শহরও এটি। গ্র্যান্ড ক্যানালের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ১০ লাখ মানুষের শহরটি একাধিক চীনা রাজবংশের রাজধানী ছিল।
অবস্থানগত কারণে হ্যাংঝু সমৃদ্ধি পায়। কারণ সিল্করোড নামে চীনের সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য পথের সঙ্গে এর সরাসরি সংযোগ ছিল। এটি বাণিজ্য নগরী হিসেবে বিকাশ লাভ করেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সুদূর ইরানেও মধ্যযুগে চীনা পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এটি ইউয়ে রাজ্য এবং দক্ষিণ সং রাজবংশের রাজধানী ছিল। এমনকি যখন এটি রাজধানী শহর ছিল না, তখনো কৌশলগত অবস্থানের কারণে হ্যাংঝু শক্তিশালী শহর ছিল।
ধনসম্পদের জন্য হ্যাংঝু সুপরিচিত ছিল। চীনা সংস্কৃতির মহান কেন্দ্রও ছিল এটি। প্রাচীন সাহিত্য ও বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত এই শহর। এর সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মার্কো পলো ও ইবনে বতুতার মতো পর্যটকককে আকৃষ্ট করেছিল। তাদের লেখায় শহরটির চমৎকার বর্ণনা উঠে এসেছে। মার্কো পলোর মতে, এটি নিঃসন্দেহে ‘বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে জমকালো শহর’। এই শহরের পাকা রাস্তা ও বিপুলসংখ্যক সেতু দেখে তিনি বিস্মিত হন। মার্কো পলোর লেখাগুলো ত্রয়োদশ শতাব্দীর হ্যাংঝুর জাঁকজমক অবস্থা তুলে ধরে। তখনো এটি বিশ্বের বৃহত্তম শহর ছিল। হ্যাংঝু এখনো গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। সেখানে প্রচুর পরিমাণে ধান ও রেশম উৎপাদন হয়। এখন রাজধানী না হলেও এটি অন্তত ১ কোটি মানুষের আধুনিক নগর।
৬। প্যারিস
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। মধ্যযুগের শুরুতে বিশাল বহুজাতিক শহরে বিকশিত হয় এটি। এর আগে এই শহরের তেমন গুরুত্ব ছিল না। দশম শতকের প্যারিসে একটি ক্যাথেড্র্যাল ছাড়া আর কিছু ছিল না। তবু প্রাদেশিক শহরের চেয়ে একটু বেশিই মর্যাদা পেত এই শহর। কিন্তু ক্যাপেশীয় রাজারা ইল দু লা সিতে থেকে ফ্রান্স শাসনের সিদ্ধান্ত নিলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। এটাকে যে তারা শুধু রাজপ্রাসাদে পরিণত করেছে, তাই নয়। এখানে নতুন নটর ডেম ক্যাথেড্রালকেও জায়গা দেওয়া হয়। ক্যাপেশীয়দের অধীনে প্যারিস একাধারে ধর্মীয়, শিক্ষা ও বাণিজ্য—তিন দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শিন নদীর বাম তীর ছিল ফরাসি গির্জা মঠের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ছিল বেশ কিছু কলেজ, যেগুলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ডান তীরে বন্দর, বণিকশ্রেণি ও বাজার প্যারিসকে বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত করে। ধর্ম ও শিক্ষার সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্যারিসকে স্বর্ণ ও রৌপ্যখচিত পান্ডুলিপির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে। পাশাপাশি এই শহরে প্রথম গথিক নির্মাণশৈলীর প্রচলন হয়।
১৩২৮ খ্রিষ্টাব্দের আগে প্যারিসের বাসিন্দা কত ছিল, তা নির্দিষ্ট ছিল না। কিন্তু সে বছরের আদমশুমারিতে শুধু শহরের ভেতরে ৬১ হাজার পরিবার পাওয়া যায়। তা থেকে সে সময় পুরো প্যারিসের জনসংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭০ হাজারের মধ্যে ছিল বলে অনুমান করা যায়। শহরটি মহামারি ও বহিঃশক্তির অবরোধের কবলে পড়ে কিছুটা বিপর্যস্ত হলে নিজেকে সামলে নিয়ে মধ্যযুগে পশ্চিমা বিশ্বের অনত্যম জনবহুল শহরে পরিণত হয়।
৭। তেনোচতিতলান
এখনকার মেক্সিকোতে অবস্থিত তেনোচতিতলান প্রাক-কলম্বিয়ান আমেরিকায়, অর্থাৎ ক্রিস্টোফার কলম্বাসের অভিযানের মাধ্যমে ইউরোপের উপনিবেশ হওয়ার আগে পর্যন্ত আমেরিকার বৃহত্তম শহর ছিল। পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত এক শতাব্দীজুড়ে এটি ছিল বিস্তৃত আজটেক সাম্রাজ্যের রাজধানী। টেক্সকোকো দ্বীপের মাঝখানে তেনোচতিতলান শহর গড়ে তোলা হয়। সেখানে ছিল রাজকীয় প্রাসাদ, মন্দির, বাজার ও অন্যান্য সরকারি ভবন। এ সবই আজটেক জনগোষ্ঠীর কল্যাণের পাশাপাশি শহর ও সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
অ্যাজটেক সম্রাজ্যের বিশাল বাণিজ্য নেটওয়ার্ক ছিল, যা তেনোচতিতলান থেকে ম্যাক্সিকো উপসাগর এবং সম্ভবত ইনকা সাম্রাজ্য পযন্ত বিস্তৃত ছিল। এই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি। সেই জনগোষ্ঠী এমন সামাজিক শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, যা মেসোআমেরিকান বিশ্বে সবচেয়ে জটিল।
স্পেনীয় বিজেতারা এই রাজধানী শহরে পৌঁছে একে সমৃদ্ধশালী হিসেবেই খুঁজে পায়। জনসংখ্যার দিক থেকে ইউরোপের ভেনিস কিংবা প্যারিসের সমকক্ষ ছিল। সম্রাট দ্বিতীয় মক্তেজুমার রাজপ্রাসাদ ছিল বিস্তৃত ভবন, যেখানে চিড়িয়াখানা, বোটানক্যিল গার্ডেন ও অ্যাকুরিয়াম ছিল। হেরনান কর্তেসের নেতৃত্বে স্পেনীয়রা শহরটিকে দখল করে নয়া স্পেনের রাজপ্রতিনিধির পৌরসভায় পরিণত করে। কয়েক শতাব্দী ধরে শহরটি স্পেনীয় শাসনের অধীনে থাকলেও মেক্সিকোর রাজধানী স্থানান্তরিত হয়নি; মধ্যযুগীয় রাজধানীটির আশপাশেই তা গড়ে ওঠে। আধুনিক ম্যাক্সিকো শহরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রে তেনোচতিতলানের অবস্থান। প্রায় ১ কোটি মানুষের শহরটি আমেরিকার মধ্যে অন্যতম জনবহুল।
৮। ভেনিস
মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ নৌশক্তিধর হিসেবে বিবেচিত ভেনিস। পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর পালিয়ে আসা শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে এই শহরের যাত্রা শুরু হয়। চারপাশ ঘিরে থাকা লেগুন বা উপহ্রদ কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভেনিসকে প্রজাতন্ত্রে পরিণত করতে সহায়তা করেছে। এই লেগুন ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় ইউরোপের বাকি অংশের সঙ্গে রোমানদের বৃহত্তর বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
রোমান সাম্রাজ্য ও অপর ইতালীয় শক্তি থেকে উচ্চমাত্রার স্বাধীনতা পেয়েছিল ভেনিস—সেটা ধর্ম ও শাসনব্যবস্থা উভয় দিক থেকেই ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল দখল করা শুরু করে এই নগররাষ্ট্র। ভেনিসের শাসক ছিলেন একজন ডিউক। তিনি ভেনিসের গ্রেট কাউন্সিল দ্বারা নির্বাচিত হতেন এবং আজীবন দায়িত্ব পালন করতেন। ভেনিস নামে প্রজাতন্ত্র হলেও এটি শাসন করত বড় ব্যবসায়ীদের গোষ্ঠী।
ক্রমাগত সমৃদ্ধ হতে হতে মধ্যযুগে শিল্প, স্থাপত্য ও প্রকাশনার বড় কেন্দ্রে পরিণত হয় ভেনিস। ইতালি রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণের আগে ভেনিসে রেনেসাঁ শুরু হয়। অর্থনৈতিক দক্ষতা এবং নৌ প্রজাতন্ত্রের সেবায় শিল্পের উন্নয়নের প্রত্যক্ষ পরণতি ছিল এই রেনেসাঁ। ষোড়শ শতকের আগপর্যন্ত ভেনিস ছিল কিছুটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এরপর আমেরিকা ও ইস্ট ইন্ডিজে বাণিজ্যপথ চালু হলে তার প্রভাব কমে। কারণ, তখন অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তিও বাণিজ্য বাড়িয়ে ভেনিসের সমকক্ষ প্রভাব অর্জন করে।
উনিশ শতকের শেষের দিকে একক ইতালি রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত হয় ভেনিস। এটি এখন ইতালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তবে আগের মতো প্রভাব আর নেই। চারপাশের খালের কারণে ভেনিস ছিল অনন্য এবং সম্পূর্ণরূপে নৌশক্তিনির্ভর। বিশাল নৌবহরের পরিবর্তে সেই খালগুলোতে এখন পর্যটকদের পছন্দের গন্ডোলা রাইড ও ওয়াটার ট্যাক্সি চলে।
(দ্য কালেক্টর থেকে অনূদিত)
লেখক: ইতিহাসে স্নাতকোত্তর, ইডেন কলেজ

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ হাজার বছর সময়কে মধ্যযুগ ধরা হয়। সেটা ছিল সাংস্কৃতিক বিবর্তন ও ধর্মীয় ক্ষমতা চর্চার সুবর্ণ সময়। বিশ্বজুড়ে তখন জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, গড়ে উঠছে নতুন নতুন শহর। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যাই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শাসক শ্রেণির জন্য উপকারী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে।
২৫ মে ২০২৪
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন, তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে—সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষা-সংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর রাশি
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন, মকর। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ করে একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন, তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে—সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষা-সংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর রাশি
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন, মকর। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ করে একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ হাজার বছর সময়কে মধ্যযুগ ধরা হয়। সেটা ছিল সাংস্কৃতিক বিবর্তন ও ধর্মীয় ক্ষমতা চর্চার সুবর্ণ সময়। বিশ্বজুড়ে তখন জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, গড়ে উঠছে নতুন নতুন শহর। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যাই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শাসক শ্রেণির জন্য উপকারী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে।
২৫ মে ২০২৪
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ হাজার বছর সময়কে মধ্যযুগ ধরা হয়। সেটা ছিল সাংস্কৃতিক বিবর্তন ও ধর্মীয় ক্ষমতা চর্চার সুবর্ণ সময়। বিশ্বজুড়ে তখন জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, গড়ে উঠছে নতুন নতুন শহর। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যাই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শাসক শ্রেণির জন্য উপকারী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে।
২৫ মে ২০২৪
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ হাজার বছর সময়কে মধ্যযুগ ধরা হয়। সেটা ছিল সাংস্কৃতিক বিবর্তন ও ধর্মীয় ক্ষমতা চর্চার সুবর্ণ সময়। বিশ্বজুড়ে তখন জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, গড়ে উঠছে নতুন নতুন শহর। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যাই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শাসক শ্রেণির জন্য উপকারী ক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে।
২৫ মে ২০২৪
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে