Ajker Patrika

ঘুরে আসুন কমলগঞ্জ

মাহিদুল ইসলাম
ঘুরে আসুন কমলগঞ্জ

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি উদ্যান। দেশের ৭টি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য এবং ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অন্যতম। পরিচিতির দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই লাউয়াছড়ার অবস্থান। এটি এখন বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখির জীবন্ত গবেষণাগার। বিজ্ঞানীদের ভীষণ পছন্দের জায়গা। বিখ্যাত পাখিবিশারদ ডেভিড জনসন ও পল থমসন লাউয়াছড়াকে পৃথিবীর অন্যতম উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সূর্যের আলো পেতে মরিয়া এ বনের গাছপালা বেশ উঁচু হয়ে থাকে। একটা সময় এই বন এতই ঘন ছিল যে মাটিতে সূর্যের আলো পড়ত না। উঁচু-নিচু টিলাজুড়ে এ বন বিস্তৃত। বনের ভেতর দিয়ে অনেক পাহাড়ি ছড়া বয়ে গেছে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এই বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে কিছু সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে।

শীত ও বসন্তকালে বেশি লোকসমাগম হয় এই উদ্যানে। এখানে ভ্রমণের জন্য রয়েছে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটাপথ। তিনটি পথের মধ্যে একটি ৩ ঘণ্টার, একটি ১ ঘণ্টার এবং অন্যটি ৩০ মিনিটের পথ। গাইডের সহায়তায় বনের ভেতরে যাওয়া যায়। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশেই রয়েছে মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি।

কমলগঞ্জে মাধবপুর লেক
মাধবপুর লেকটি চারদিকে উঁচু সবুজ চা-বাগানের মাঝখানে অবস্থিত। স্বচ্ছ পানি, প্রকৃতির ছায়া, নিরিবিলি পরিবেশ আর শরতে শাপলা ফুল লেকটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় যতই এগোতে থাকবেন, ততই সবুজ পাতার গন্ধ মন চাঙা করে তুলবে। চারদিকে সবুজ পাহাড়ের পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা রয়েছে এখানে। মাধবপুর লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা ছবি।

চা-বাগানের সরু রাস্তা দিয়ে এ লেকে যেতে হয়। বেশ কিছু বাঁক নিয়ে এঁকেবেঁকে পাহাড়ের ভেতর তার চলা। শীতকালে অতিথি পাখির দল আসে এই হ্রদে। এর জলে গোলপাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকে নীল শাপলা। হ্রদের দুই পাশে টিলায় টিলায় ছড়ানো চায়ের বাগান। অদ্ভুত নির্জনতায় লেকটি ঘিরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি, চা-বাগান এবং পাখিদের নিয়ে এক মায়াময় পরিবেশ ঘিরে থাকে সব সময়। গভীর এই হ্রদে আছে বহু প্রজাতির বিশালাকৃতির মাছ ও কাছিম।

হাম হাম জলপ্রপাত দেখতে যাওয়া সত্যিকার অর্থে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাহাম হাম জলপ্রপাত
কমলগঞ্জ উপজেলার হাম হাম জলপ্রপাত আরেকটি দর্শনীয় স্থান। দুর্গম জঙ্গলে ঘেরা এই জলপ্রপাত ২০১০ সালের শেষ দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সঙ্গে একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে ইসলামপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাজাকান্দি রেঞ্জ। এ রেঞ্জের ৭ হাজার ৯৭০ একর আয়তনের কুরমা বন বিট এলাকার পশ্চিম দিকে চম্পারায় চা-বাগান। এই কুরমা বন বিটের প্রায় ৮ কিলোমিটার ভেতরে দৃষ্টিনন্দন হাম হাম জলপ্রপাতটি অবস্থিত।

এটি ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় সীমান্তবর্তী জায়গা। এখানে এখনো সরাসরি পৌঁছানোর সড়ক বা ব্যবস্থা নেই। কমলগঞ্জ উপজেলার চৌমোহনা চত্বর থেকে কুরমা চেকপোস্ট পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তায় স্থানীয়ভাবে চলাচল করা বাস, জিপ অথবা মাইক্রোবাসে করে যেতে পারলেও পাহাড়ি এলাকা বলে বাকি পথ হেঁটে যেতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে ঝরনার পানি কম থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে যায় জলপ্রপাতটিতে। এখানে হেঁটে পৌঁছাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা লাগে। হাম হাম জলপ্রপাত দেখা আসলেই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

ধলই চা-বাগানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতি কমপ্লেক্সবীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতি কমপ্লেক্স
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা-বাগানের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ধলই বর্ডার আউটপোস্টে গিয়ে যুদ্ধ করেন। তিনি ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিলেন। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে হামিদুর রহমান প্রথম ইস্ট বেঙ্গলের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল করার অভিযানে অংশ নেন। যুদ্ধে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মরণে ধলই চা-বাগানে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। স্মৃতিসৌধের একদিকে বিজিবি ক্যাম্প, অন্যদিকে চা-বাগান। দক্ষিণে ভারত সীমান্ত।

এসব ছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলায় পদ্মছড়া লেক, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, বাম্বোতল লেক, শমশেরনগর গলফ মাঠ, শমশেরনগর বিমানবন্দরসহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র ও চা-বাগান রয়েছে।

যেভাবে যাবেন 
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল, সেখান থেকে বাসে কমলগঞ্জ। রেলপথে ঢাকা থেকে ভানুগাছ কিংবা শমসেরনগরে নেমে বাস অথবা অটোরিকশায় কমলগঞ্জ যাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনাবাদাম কেন খাবেন

ফিচার ডেস্ক
চীনাবাদাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার। ছবি: পেক্সেলস
চীনাবাদাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার। ছবি: পেক্সেলস

চীনাবাদাম কেবল একটি সুস্বাদু বাদামই নয়, বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এর উৎপত্তি হলেও, এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চীনাবাদাম আসলে একটি শিম জাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সাথে সম্পর্কিত। এর উচ্চ পুষ্টিগুণ এটিকে হৃদরোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক করে তুলতে পারে। তাই চীনাবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চীনাবাদাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার, যা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

চীনাবাদামের পুষ্টি উপাদানের শক্তি

১০০ গ্রাম কাঁচা চীনেবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এর পুষ্টিগুণ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে প্রোটিনের মাত্রা ২৫.৮ গ্রাম। ফ্যাট আছে প্রায় ৪৯.২ গ্রাম। তবে সেই ফ্যাটের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেমন ওলিক অ্যাসিড ও লিনোলিক অ্যাসিড। এছাড়াও এখানে কার্বোহাইড্রেট আছে মাত্র ১৬.১ গ্রাম। যার মধ্যে ৮.৫ গ্রাম ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম, যা এটিকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী।

১০০ গ্রাম কাঁচা চীনাবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। ছবি: পেক্সেলস
১০০ গ্রাম কাঁচা চীনাবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। ছবি: পেক্সেলস

কেন খাদ্যতালিকায় রাখবেন চীনাবাদাম

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা

চীনেবাদাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, কপার, নিয়াসিন বা ভিটামিন বি৩ এবং রেসভেরাট্রল এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওলিক অ্যাসিড রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

চীনাবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ওজন বাড়ায় না। বরং গবেষণায় দেখা গেছে, এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর কারণ এতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার তৃপ্তি বাড়ায়। ফলে অন্যান্য খাবার কম খাওয়া হয়। এটি অন্যান্য সাধারণ নাস্তা যেমন রাইস কেকের তুলনায় বেশি সময় পেট ভরা রাখে। সম্পূর্ণ চীনাবাদাম ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে এর কিছু অংশ হজম না হয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ক্যালরি শোষণ কম হয়।

দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চীনাবাদাম খাওয়া নিরাপদ। ছবি: পেক্সেলস
দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চীনাবাদাম খাওয়া নিরাপদ। ছবি: পেক্সেলস

ভিটামিন খনিজের উৎস

চীনাবাদাম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের উৎস। যেমন বায়োটিন ও ফোলেট যা গর্ভাবস্থায় যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে কপারের মতন উপাদান আছে যা হৃদরোগের সুরক্ষায় সহায়ক। হৃরদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক নিয়াসিন আছে। এছাড়া আছে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস যা হাড়ের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই ও আছে। চীনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা অনেক ফলের মতোই শক্তিশালী।

গলব্লাডার পাথর প্রতিরোধে ভূমিকা

কিছু পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চীনেবাদাম খেলে গলব্লাডারের পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। যেহেতু গলব্লাডারের পাথর মূলত কোলেস্টেরল দ্বারা গঠিত হয়, তাই এর কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী প্রভাব এর পেছনে কাজ করতে পারে।

ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না। ছবি: পেক্সেলস
ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না। ছবি: পেক্সেলস

কিছু সতর্কতা খাওয়ার নিয়ম

চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরিঃ

অ্যালার্জিঃ চীনাবাদাম খুব সাধারণ এবং মারাত্মক অ্যালার্জেনগুলোর মধ্যে একটি। অ্যালার্জি থাকলে এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।

অ্যাফ্লাটক্সিন দূষণঃ অনুপযুক্ত সংরক্ষণ যেমন গরম ও আর্দ্র অবস্থা থেকে বাদামে অ্যাফ্লাটক্সিন নামক ছত্রাকজনিত বিষ উৎপন্ন হতে পারে। যা লিভারের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই শুকনো ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন এবং ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না।

অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস: এতে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড আয়রন ও জিঙ্কের শোষণ সামান্য হ্রাস করতে পারে। তবে সুষম খাদ্যে এটি সাধারণত বড় সমস্যা নয়।

খাবেন যেভাবে

দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চীনাবাদাম খাওয়া খাওয়া নিরাপদ। এটি ভেজানো বা সেদ্ধ করে খেলে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টসের প্রভাব কমে এবং হজম ভালো হয়।

সূত্রঃ হেলথলাইন, বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাতের ডেজার্টে থাকুক জাফরানি পায়েস

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
জাফরানি পায়েস
জাফরানি পায়েস

হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর

উপকরণ

দুধ ১ লিটার, পোলাওয়ের চাল ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, চিনি ৩ থেকে ৪ কাপ, জাফরান এক চিমটি, কাঠবাদাম কুচি ১০টি, পেস্তাবাদাম কুচি ১০টি, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।

জাফরানি পায়েস
জাফরানি পায়েস

প্রণালি

একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদাম ভেজে কুচি করে রাখতে হবে। এবার আরেকটি পাত্রে দুধ ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে ফুটে ওঠার আগে পর্যন্ত। ফুটে গেলে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে এবং রান্না করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যায়। দুধ কমে অর্ধেক হলে দিতে হবে চিনি ও বাদাম বাটা। নিচে যেন লেগে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ পর্যায়ে বারবার নেড়ে দিতে হবে। দুধের পরিমাণ তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে গেলে দুধে ভেজানো জাফরান মিশিয়ে নিতে হবে এবং অর্ধেক বাদাম কুচি দিয়ে একটু পরে নামিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে জাফরান, বাদাম কুচি ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা অথবা গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাতে একা ঘোরাফেরায় নিরাপদ দেশগুলোর নাম জেনে নিন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সিঙ্গাপুরের ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। ছবি: পেক্সেলস
সিঙ্গাপুরের ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। ছবি: পেক্সেলস

রাতে একা একা ঘুরে বেড়াতে আপনি কি নিরাপদ বোধ করেন? বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তর দেবেন। কিন্তু বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে রাতে একা হাঁটতে বের হওয়া বা ঘোরাফেরা করা নিরাপদ। মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই বাংলাদেশ, ভারত কিংবা নেপাল, ভুটানের মতো দেশগুলোর নাম।

১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা এ সমীক্ষাটি বিশ্বজুড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা আস্থার একটি চিত্র তুলে ধরেছে। কিছু দেশ লিঙ্গনির্বিশেষে নিরাপত্তার প্রায় সর্বজনীন আস্থা বজায় রেখেছে। আর কিছু দেশে লিঙ্গবৈষম্য ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের চিত্র রয়েছে। অন্ধকার হওয়ার পর যে দেশের বাসিন্দারা বেশি সুরক্ষিত বোধ করে, তেমন শীর্ষ ৩০টি দেশের নাম রয়েছে এ তালিকায়।

সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশগুলো

এ তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ সিঙ্গাপুর। দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। অপরাধের কম হার, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা এর কারণ। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে তাজিকিস্তান। দেশটির ৯৫ শতাংশ মানুষ রাতে একা চলাফেরা করার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত বোধ করেন। সীমিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিয়েও এ দেশের বাসিন্দারা পুলিশি ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী সামাজিক বন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ।

এর পরই রয়েছে ওমান ও চীন। এ দুটি দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শান্তি ও আতিথেয়তার জন্য খ্যাত ওমানের খ্যাতি রাতের রাস্তায়ও প্রসারিত। ধারাবাহিক পুলিশিং ও কম অপরাধপ্রবণতা দেশটির নাগরিকদের রাতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন মনোভাবের অন্যতম কারণ। এদিকে চীনে অনেক বাসিন্দা, বিশেষ করে প্রধান শহর ও পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে রাতে একা ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করার কথা জানান। দেশটিতে জননিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশিং ও নজরদারির ব্যবস্থা আছে। এরপরই রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শহুরে নিরাপত্তা ও গণ-অবকাঠামোতে চলমান বিনিয়োগের পাশাপাশি সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

গ্লোবাল সেফটি রিপোর্টের তালিকায় চীন আছে দুই নম্বরে। ছবি: পেক্সেলস
গ্লোবাল সেফটি রিপোর্টের তালিকায় চীন আছে দুই নম্বরে। ছবি: পেক্সেলস

তালিকায় এরপর একসঙ্গে রয়েছে কুয়েত, নরওয়ে ও হংকং—এই তিনটি দেশ ও অঞ্চল। এসব দেশ ও অঞ্চলের ৯১ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে নিরাপদ বোধ করেন। এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ শহর, কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা, নির্ভরযোগ্য পরিবহন ও শক্তিশালী নাগরিক শৃঙ্খলা, অন্ধকার নামার পরও এসব দেশ ও অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। কুয়েতের নাগরিকদের নিরাপত্তার এই উচ্চ অনুভূতি এসেছে মূলত সামাজিক সংহতি ও দৃশ্যমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কারণে। নরওয়ের সামাজিক আস্থা এবং কম অপরাধের হার দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ করে তুলেছে। চমৎকারভাবে সজ্জিত আলোকিত রাস্তা ও সামাজিক সতর্কতা নরওয়েজিয়ানদের সূর্যাস্তের পরও অবাধে চলাচলের জন্য উৎসাহিত করে।

তালিকায় এরপর রয়েছে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দুটি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের সুরক্ষিত মনে করেন। বাহরাইনের আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক আস্থা সৃষ্টি করেছে। এদিকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহুরে পরিবেশের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএইর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আস্থা বজায় রেখে এখানকার বাসিন্দা ও পর্যটক উভয়ই রাতে নিরাপদ বোধ করেন।

সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ। ছবি: পেক্সেলস
সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ। ছবি: পেক্সেলস

নব্বই শতাংশের নিচে যে দেশগুলো

কসোভো ও ডেনমার্কের ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজেদের রাতের রাস্তায় নিরাপদ মনে করেন। কসোভোর দ্রুত উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান সামাজিক সংহতি নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়িয়েছে। উন্নত অবকাঠামো এবং সামাজিক কর্মসূচি নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। ডেনমার্ক অধিবাসীদের সমতা ও নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানের ওপর জোর দেয়। এ দুটি কারণে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডের ভিত্তি। দেশটির শহরগুলোতে চমৎকার আলো এবং পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতি রাতের পথচারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।

ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের ৮৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা রাতের রাস্তায় নিরাপদ। ভিয়েতনামের শহুরে এলাকাগুলো, বিশেষ করে সক্রিয় রাতের অর্থনীতি এবং দৃশ্যমান নিরাপত্তা টহলের কারণে নিরাপদ। সুইজারল্যান্ডের কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সুশৃঙ্খল শহরগুলো স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এর সংরক্ষিত অবকাঠামো রাতের নিরাপত্তার প্রতি শক্তিশালী জন-আস্থা বজায় রাখতে অবদান রেখেছে। বিশ্বে সর্বনিম্ন অপরাধপ্রবণতার হার যেসব দেশে, সেগুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম। কম অপরাধপ্রবণতা ও সরকারের প্রতি উচ্চ জন-আস্থা রাতে একা হাঁটা দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। বাসিন্দারা কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী কল্যাণমূলক ব্যবস্থার কৃতিত্ব দেয় তাদের নিরাপত্তার অনুভূতির জন্য।

তাইওয়ান, মন্টেনেগ্রো ও এল সালভাদরের ৮৭ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা বাইরে নিরাপদ বোধ করেন। একসময় অপরাধের উচ্চ হারের জন্য কুখ্যাত ছিল এল সালভাদর। তবে সেখানে বড় আকারের নিরাপত্তা সংস্কারের কারণে জননিরাপত্তায় বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। অন্যদিকে তাইওয়ানে কম অপরাধপ্রবণতা, কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী নাগরিক সুবিধা এশিয়ায় নিরাপত্তার ধারণার সর্বোচ্চ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি এ ধারা ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়ও বিদ্যমান।

মন্টেনেগ্রোর শান্ত জীবনযাত্রা এবং সম্প্রদায়কেন্দ্রিক সংস্কৃতি নিরাপত্তার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। উজবেকিস্তানের ৮৬ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তাকে নিরাপদ মনে করেন। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ দেশটিতে জন-আস্থা বাড়িয়েছে। স্থানীয়রা অন্ধকার নামার পর শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘোরাফেরায় নিজেদের সুরক্ষিত বোধ করার কথা জানান। এরপরই রয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটির ৮৫ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়ার ৮৪ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করেন।

ইন্দোনেশিয়া ও এস্তোনিয়ার ৮৩ শতাংশ মানুষ রাতে নিজেদের নিরাপদ ভাবেন। মিসর, জর্জিয়া ও নেদারল্যান্ডসের ৮২ শতাংশ এবং স্পেন ও সুইডেনের ৮১ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন।

নিজের দেশে নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: রাস্তায় কুকুরের মারামারি থামাতে যাবেন না, হ্যাঁ-না বলার আগে কয়েন টস করুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩১
আজকের রাশিফল: রাস্তায় কুকুরের মারামারি থামাতে যাবেন না, হ্যাঁ-না বলার আগে কয়েন টস করুন

মেষ

আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?’ আপনার তেজি মনোভাব আজ প্রেমের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা করতে পারে—হুট করে কাউকে প্রেম নিবেদন না করে, আগে দেখে নিন তিনি ফোন ধরেছেন কি না। রাস্তায় যদি দেখেন দুটি কুকুর মারামারি করছে, প্লিজ ওদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে যাবেন না। সেটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

বৃষ

আজ আপনার ভোজনরসিক মন চরম বিদ্রোহ করবে। সারা দিন শুধু ভালো-মন্দ খাওয়ার প্ল্যানিং চলবে। ডায়েট চার্ট আজ মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। সন্ধ্যায় যখন ডাল-ভাত খাওয়ার কথা, তখন আপনি বিরিয়ানি খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে দিনটি ভালো, তবে খরচ হবে কেবল জিবের তৃপ্তি মেটানোর জন্য। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার হাতের রান্না (বা অন্তত অর্ডার করা খাবার) খেয়ে মুগ্ধ হবে। আজ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা মিষ্টিটা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। পারলে দুটোই খেয়ে ফেলুন, গ্রহ শান্ত হবে।

মিথুন

আপনার দ্বৈত সত্তা আজ এমনভাবে সক্রিয় থাকবে যে নিজেই বুঝতে পারবেন না আপনি কী চান। একবার মনে হবে পাহাড়ে যাবেন, পরক্ষণেই মনে হবে সমুদ্র। অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল লেখার আগে আপনি অন্তত পাঁচবার খসড়া পরিবর্তন করবেন। প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় একবার প্রেমিকের মতো মিষ্টি হবেন, আবার পরমুহূর্তেই দার্শনিকের মতো গভীর জ্ঞান দেবেন। সঙ্গী কিন্তু আপনার এই ‘ডাবল রোল’ দেখে চরম মজা পাবেন। আজ কোনো শপথ বা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ, যা বলবেন, ৫ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন।

কর্কট

আজ আপনার সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। রাস্তার ধারের পুরোনো চায়ের দোকানের দিকে তাকালেও শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে। অফিসে কেউ সামান্য মিষ্টি কথা বললেই মনে করবেন তিনি আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো মানুষ। দিনের শেষে বাড়িতে মা-বাবা বা প্রিয়জনের কাছে আবদার করার জন্য মন আনচান করবে। তবে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই আবেগ ঝেড়ে ফেলুন, নতুবা কেঁদে বালিশ ভেজাতে হতে পারে। টিভির সিরিয়াল দেখে আজ বেশি কাঁদবেন না। নক্ষত্র বলছে, ওটা কালকের এপিসোডেই মিটে যাবে।

সিংহ

আজ আত্মবিশ্বাস এত তুঙ্গে থাকবে যে আপনি ট্রাফিক পুলিশকে গিয়ে ট্রাফিক আইন শেখাতে পারেন। অফিসে আজ এমনভাবে কাজ করবেন, যেন আপনার জন্যই সূর্য ওঠে। সবাই আপনার প্রশংসা করুক বা না করুক, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজেই বাহবা দেবেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার এই ‘রাজকীয়’ মেজাজ একটু কমিয়ে কথা বলার অনুরোধ করতে পারে। পাবলিক প্লেসে জোরে জোরে নিজের নাম ধরে ডাকবেন না। নক্ষত্র বলছে, তাতে লোক হাসবে আর আপনার অহমে আঘাত লাগবে।

কন্যা

আজ প্রতিটি জিনিসের মধ্যে ভুল খুঁজবেন। নিজের লেখা মেসেজেও ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পাবেন। অফিসের ডেস্কের সামান্য ধুলা বা রান্নাঘরের মসলার কৌটার সামান্য হেরফের মেজাজ খারাপের জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আজ পাড়ার সবচেয়ে ভালো ফুচকাওয়ালাকেও সন্দেহের চোখে দেখবেন। সন্ধ্যায় দুশ্চিন্তা কমিয়ে একটু রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন, নতুবা রাতে ঘুম হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারোর পারফেক্ট ছবি দেখে কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন না যে ব্যাকগ্রাউন্ডে ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে কি না। প্লিজ!

তুলা

আজ গ্রহ-নক্ষত্ররা আপনাকে এক চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে: ‘আমিষ না নিরামিষ?’ অথবা, ‘নীল শার্ট না কালো?’ এই সামান্য দ্বিধা নিয়েই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। কেউ কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, আপনি দুটো বিপরীতমুখী মতামত দেবেন এবং শেষ পর্যন্ত বলবেন, ‘তোমার যেটা ভালো মনে হয়, করো।’ প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্স থাকলেও ডেটে গিয়ে কী অর্ডার করবেন, এই চিন্তাতেই সন্ধ্যা শেষ। কাউকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার আগে একটা কয়েন টস করে নিন। অন্তত সিদ্ধান্তটা আপনার ঘাড়ে পড়বে না।

বৃশ্চিক

আজ আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ওভারটাইম করবে। চারপাশে যা ঘটবে, তার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন। অফিসের সহকর্মী কেন এত তাড়াতাড়ি লাঞ্চে গেল? আপনার দুধওয়ালার মুখটা এত হাসি হাসি কেন? এর পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? প্রেমের ক্ষেত্রে আজ তীব্র আকর্ষণ কাজ করবে, কিন্তু সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত সন্দেহ (যেমন ‘কার সঙ্গে এতক্ষণ চ্যাট করছিলে?’) ঝামেলা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার চা ঠান্ডা হওয়ার পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নেই।

ধনু

আজ মন দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াবে। অফিসে বসেও হয়তো প্ল্যান করবেন, কীভাবে হেঁটে এভারেস্ট জয় করা যায়। স্বভাবসুলভ উৎসাহে এমন সব বিষয়ে জ্ঞান দেবেন, যা নিয়ে আপনার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কেউ সমস্যা নিয়ে এলে তাঁকে জীবন পাল্টে দেওয়ার মতো এমন কিছু টিপস দেবেন, যা তিনি জীবনেও মানবেন না। তবে আর্থিক ঝুঁকি আজ আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। ট্রেনে টিকিট কাটার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এমন কোনো জায়গায় যাচ্ছেন না, যার নাম মানচিত্রে নেই!

মকর

আজ নিজেকে এমনভাবে কাজে ব্যস্ত রাখবেন যে বন্ধুবান্ধব ভাববে আপনি হয়তো বিলিয়ন ডলারের কোনো চুক্তি করছেন। কাজের প্রতি আপনার নিষ্ঠা আজ নজির সৃষ্টি করবে, কিন্তু প্লিজ লাঞ্চ ব্রেকটা স্কিপ করবেন না। পরিবার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে। মনে রাখবেন, শুধু কাজ করলেই হবে না, মাঝেমধ্যে দু-চারটা কৌতুকও শোনাতে হয়! প্রেমের জীবনে একটু অবসর নিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন, না হলে তিনি আপনার ল্যাপটপের ওপর রাগ করতে পারেন। রাতের খাবারের মেনুটাও যদি প্রজেক্ট প্ল্যানিংয়ের মতো করে তৈরি করেন, তবে বাড়িতে অশান্তি নিশ্চিত।

কুম্ভ

আজ মাথায় অদ্ভুত সব আইডিয়া আসবে, যা হয় ব্ৰিলিয়ান্ট হবে, নয়তো হাস্যকর। আপনি হয়তো ভাববেন, কীভাবে চা না খেয়েও চায়ের স্বাদ নেওয়া যায়। বন্ধুদের আড্ডায় আজ এমন কিছু বলবেন, যা কেউ বুঝবে না, কিন্তু সবাই ভদ্রতার খাতিরে হাসবে। সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, আপনার সঙ্গে কথা বলাটা একটু থ্রিলার সিনেমার মতো—কেউ জানে না এরপর কী হতে চলেছে। আজ ভুলেও কাউকে বলবেন না যে আপনি মানবজাতির উন্নতির জন্য রান্নাঘরের সবজি কাটার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।

মীন

সারা দিন আজ দিবাস্বপ্নে মগ্ন থাকবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভুলে যাবেন যে আপনি কাল রাতে কী নিয়ে চিন্তা করছিলেন। অফিসের মিটিংয়ে আপনার মন হয়তো কোনো মেঘে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবে। সৃজনশীল কাজের জন্য দিনটি চমৎকার, তবে বাস্তব জীবনের বিল মেটানোর কথা ভুলে যাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আজ আপনাকে বাস্তবের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারে—হয়তো চায়ের কাপ হাতে ধরিয়ে দিয়েই! আজ রাতে যদি ঘুমিয়ে দেখেন লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন, প্লিজ সকালে উঠে সেই টাকা খুঁজতে যাবেন না। কারণটা খুব সহজ, সেটা শুধু স্বপ্ন ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত