ফিচার ডেস্ক
সাধারণত ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ফ্লাইটকে লং-হল বা দীর্ঘ বিমানযাত্রা হিসেবে ধরা হয়। একাধিক টাইম জোন পার হওয়া, অক্সিজেনের স্বল্পতা, শুষ্ক বাতাস, দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা—সব মিলিয়ে অনেক সময় শারীরিক কষ্ট বেশি হয়। তাই অনেকে বিমান থেকে ক্লান্ত, অবসন্ন বা ফোলা মুখে নামেন। কিন্তু ঠিকমতো প্রস্তুতি নিলে এই ভ্রমণও আরামদায়ক হতে পারে।
সিট নির্বাচন
দীর্ঘ বিমানযাত্রায় কোথায় বসছেন, সেটি অনেকাংশে আপনার ভ্রমণ কেমন হবে, তা নির্ধারণ করে দেয়। তাই কিছু বিষয় বিবেচনা করে সিট নির্বাচন করা উচিত।
ঝাঁকুনি কম চাইলে: বিমানের ডানার কাছাকাছি সিট নিন। বিমানের ভারসাম্যের কারণে এখানে ঝাঁকুনি কম থাকে। যত পেছনের দিকে যাবেন, ঝাঁকুনির মাত্রা তত বাড়বে।
শান্ত জায়গা চাইলে: কেবিনের সামনের দিকে বসলে ইঞ্জিনের শব্দ ও বাতাসের ঝামেলা কম হয়। ফলে নিরিবিলি থাকা যায়। সামনে পায়ের জন্যও বেশি জায়গা থাকে।
পায়ের জায়গা বেশি চাইলে: এক্সিট সারির সিটে ইকোনমি ক্লাসে সবচেয়ে বেশি জায়গা থাকে। তবে শর্ত হলো, এখানে বসতে হলে বয়স ১৫ বছরের বেশি হতে হবে এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা বুঝতে হবে।
ভ্রমণের আগে ‘সিটগুরু’র মতো সিট ম্যাপিং ওয়েবসাইট দেখে নিলে ভুল সিট বেছে নেওয়ার ঝুঁকি কমে।
শরীর আর্দ্র রাখুন
বিমানের ভেতরের বাতাস আসলে মরুভূমির মতো শুকনা। সেখানে আর্দ্রতা ২০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। ফলে নাক শুকিয়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হওয়া ও ক্লান্তি বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাই—
সতর্কতা: মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। ওয়াইন বা হুইস্কি সাময়িক আরাম দিলেও আসলে এগুলো শরীর আরও বেশি ডিহাইড্রেট করে এবং ঘুম নষ্ট করে।
রক্ত চলাচল সচল রাখুন
দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। শুষ্ক বাতাস এবং কম অক্সিজেনের কারণে রক্ত ঘন হয়ে রক্ত জমাটের ঝুঁকি বাড়ে। তাই—
মনে রাখবেন, অয়েল সিট বা কেবিনের করিডরের পাশের সিট বেছে নিলে সহজে উঠে হাঁটাচলা করা যায়।
ভ্রমণসামগ্রী
দীর্ঘ সময়ের ফ্লাইটে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া অন্যতম সমস্যা। তাই প্যাকিং করার সময় এমন জিনিস বেছে নেওয়া উচিত, যেগুলো ভ্রমণ সহজ করবে।
ব্ল্যাকআউট আই মাস্ক: ভালো ঘুমের জন্য ব্ল্যাকআউট মাস্ক খুবই কাজের। এটি আলো প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিছু মাস্কে রয়েছে বিল্ট-ইন অডিও সিস্টেম, যা হোয়াইট নয়েজ, মেডিটেশন ট্র্যাক বা আরামদায়ক সাউন্ড দিতে পারে। তাতে কেবিনের শব্দ কমে সহজে ঘুম আসে।
নয়েজ-ক্যানসেলিং হেডফোন: নয়েজ-ক্যানসেলিং হেডফোন ব্যবহার করলে বিমানের কেবিনের শব্দ কানে কম আসে। এর ফলে দীর্ঘ সময়ের বিমানযাত্রায় ঘুমের ব্যাঘাত কমে এবং সহজে ঘুমানো যায়।
পোর্টেবল চার্জার: দীর্ঘ সময়ের ফ্লাইটে নিজের ডিভাইস চার্জ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সব ডিভাইস বিমানের পাওয়ার পোর্টে কাজ করে না। তাই দুই বা তিনবার চার্জ দেওয়া যাবে, এমন পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে নিতে পারেন। চার্জিং নিয়ে ঝামেলা এড়াতে যাত্রার আগে এয়ারলাইন ও এয়ারপোর্টের নিয়ম পরীক্ষা করে নিন।
খাবার
বিমানের খাবার অনেক সময় কম স্বাদযুক্ত মনে হতে পারে। এর কারণ কম আর্দ্রতা এবং উচ্চ চাপ আমাদের স্বাদ ও গন্ধ গ্রহণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এমন খাবার নিন, যেগুলোতে স্বাদ পাবেন। যেমন—
দীর্ঘ বিমানযাত্রায় বসে থাকা অনেকের কাছে বেশ বিরক্তির। তাই সঠিক প্রস্তুতি আপনার ভ্রমণকে স্বস্তির করে তুলতে পারে।
সূত্র: স্কাইস্ক্যানার
সাধারণত ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ফ্লাইটকে লং-হল বা দীর্ঘ বিমানযাত্রা হিসেবে ধরা হয়। একাধিক টাইম জোন পার হওয়া, অক্সিজেনের স্বল্পতা, শুষ্ক বাতাস, দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা—সব মিলিয়ে অনেক সময় শারীরিক কষ্ট বেশি হয়। তাই অনেকে বিমান থেকে ক্লান্ত, অবসন্ন বা ফোলা মুখে নামেন। কিন্তু ঠিকমতো প্রস্তুতি নিলে এই ভ্রমণও আরামদায়ক হতে পারে।
সিট নির্বাচন
দীর্ঘ বিমানযাত্রায় কোথায় বসছেন, সেটি অনেকাংশে আপনার ভ্রমণ কেমন হবে, তা নির্ধারণ করে দেয়। তাই কিছু বিষয় বিবেচনা করে সিট নির্বাচন করা উচিত।
ঝাঁকুনি কম চাইলে: বিমানের ডানার কাছাকাছি সিট নিন। বিমানের ভারসাম্যের কারণে এখানে ঝাঁকুনি কম থাকে। যত পেছনের দিকে যাবেন, ঝাঁকুনির মাত্রা তত বাড়বে।
শান্ত জায়গা চাইলে: কেবিনের সামনের দিকে বসলে ইঞ্জিনের শব্দ ও বাতাসের ঝামেলা কম হয়। ফলে নিরিবিলি থাকা যায়। সামনে পায়ের জন্যও বেশি জায়গা থাকে।
পায়ের জায়গা বেশি চাইলে: এক্সিট সারির সিটে ইকোনমি ক্লাসে সবচেয়ে বেশি জায়গা থাকে। তবে শর্ত হলো, এখানে বসতে হলে বয়স ১৫ বছরের বেশি হতে হবে এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা বুঝতে হবে।
ভ্রমণের আগে ‘সিটগুরু’র মতো সিট ম্যাপিং ওয়েবসাইট দেখে নিলে ভুল সিট বেছে নেওয়ার ঝুঁকি কমে।
শরীর আর্দ্র রাখুন
বিমানের ভেতরের বাতাস আসলে মরুভূমির মতো শুকনা। সেখানে আর্দ্রতা ২০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। ফলে নাক শুকিয়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হওয়া ও ক্লান্তি বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাই—
সতর্কতা: মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। ওয়াইন বা হুইস্কি সাময়িক আরাম দিলেও আসলে এগুলো শরীর আরও বেশি ডিহাইড্রেট করে এবং ঘুম নষ্ট করে।
রক্ত চলাচল সচল রাখুন
দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। শুষ্ক বাতাস এবং কম অক্সিজেনের কারণে রক্ত ঘন হয়ে রক্ত জমাটের ঝুঁকি বাড়ে। তাই—
মনে রাখবেন, অয়েল সিট বা কেবিনের করিডরের পাশের সিট বেছে নিলে সহজে উঠে হাঁটাচলা করা যায়।
ভ্রমণসামগ্রী
দীর্ঘ সময়ের ফ্লাইটে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া অন্যতম সমস্যা। তাই প্যাকিং করার সময় এমন জিনিস বেছে নেওয়া উচিত, যেগুলো ভ্রমণ সহজ করবে।
ব্ল্যাকআউট আই মাস্ক: ভালো ঘুমের জন্য ব্ল্যাকআউট মাস্ক খুবই কাজের। এটি আলো প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিছু মাস্কে রয়েছে বিল্ট-ইন অডিও সিস্টেম, যা হোয়াইট নয়েজ, মেডিটেশন ট্র্যাক বা আরামদায়ক সাউন্ড দিতে পারে। তাতে কেবিনের শব্দ কমে সহজে ঘুম আসে।
নয়েজ-ক্যানসেলিং হেডফোন: নয়েজ-ক্যানসেলিং হেডফোন ব্যবহার করলে বিমানের কেবিনের শব্দ কানে কম আসে। এর ফলে দীর্ঘ সময়ের বিমানযাত্রায় ঘুমের ব্যাঘাত কমে এবং সহজে ঘুমানো যায়।
পোর্টেবল চার্জার: দীর্ঘ সময়ের ফ্লাইটে নিজের ডিভাইস চার্জ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সব ডিভাইস বিমানের পাওয়ার পোর্টে কাজ করে না। তাই দুই বা তিনবার চার্জ দেওয়া যাবে, এমন পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে নিতে পারেন। চার্জিং নিয়ে ঝামেলা এড়াতে যাত্রার আগে এয়ারলাইন ও এয়ারপোর্টের নিয়ম পরীক্ষা করে নিন।
খাবার
বিমানের খাবার অনেক সময় কম স্বাদযুক্ত মনে হতে পারে। এর কারণ কম আর্দ্রতা এবং উচ্চ চাপ আমাদের স্বাদ ও গন্ধ গ্রহণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এমন খাবার নিন, যেগুলোতে স্বাদ পাবেন। যেমন—
দীর্ঘ বিমানযাত্রায় বসে থাকা অনেকের কাছে বেশ বিরক্তির। তাই সঠিক প্রস্তুতি আপনার ভ্রমণকে স্বস্তির করে তুলতে পারে।
সূত্র: স্কাইস্ক্যানার
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।...
৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন!
৫ ঘণ্টা আগে