ফিচার ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব। সেই জায়গাগুলো তখন হয়ে ওঠে ফ্যাশন, জীবনধারা আর অবসর বিনোদনের কেন্দ্র।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছাড়াও এই এলাকাগুলোতে ধরা পড়ে সমাজের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন বিলাসবহুল পণ্যের দিকে ঝোঁক, স্থানীয় কারুশিল্প থেকে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের প্রবণতা ইত্যাদি। এগুলো পর্যটন ও নগর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে তো বটেই, বিশ্বমঞ্চে শহরগুলোর এক নতুন ধরনের চিত্র তুলে ধরে। আমাদের দেশেও এমন কিছু সুপরিচিত জায়গা আছে, কেনাকাটার জন্য যেগুলো হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর থাকে। রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট ও বঙ্গবাজার (বর্তমানে সংস্কারাধীন) কেবল কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। পুরো পৃথিবীতে এমনি কিছু মনোমুগ্ধকর শপিং গন্তব্য খুঁজে পাবেন, যেগুলোর প্রতিটি মোড় একটি গল্প বলে এবং প্রতিটি ব্লক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সমকালীন প্রবণতাকে একত্র করে।
এশিয়ার জমজমাট শপিং স্ট্রিট
অরচার্ড রোড, সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল এরিয়ায় অবস্থিত অরচার্ড রোড প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি শহরের বহু সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। উনিশ শতকের একটি সাধারণ গ্রামীণ রাস্তা থেকে এটি সিঙ্গাপুরের আইকনিক খুচরা বিক্রয় ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি জমজমাট মল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও শীর্ষস্থানীয় বার রয়েছে। ট্যাঙস শপিং মল এই এলাকার অন্যতম আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। আইওএন অরচার্ড নামক বিখ্যাত শপিং সেন্টারের আটটি ফ্লোরজুড়ে ডিওর, গুচি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন, ফেন্ডি, ভ্যালেন্টিনো, সেফোরা, এইচঅ্যান্ডএমের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৩০০ টির বেশি স্টোর রয়েছে এখানে।
গিনজা, টোকি: গিনজা টোকিওর একটি জনপ্রিয় আপ স্কেল শপিং অ্যাভিনিউ। এখানে অসংখ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বুটিক, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আরমানি, গুচি, সেন্ট লরেন্ট, শ্যানেল, ডিওর, সোয়ারোভস্কির মতো বিলাসবহুল পণ্যের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর এখানে দেখা যায়। এখানে ১৮৯৪ সালে তৈরি একটি ভবনে রয়েছে ওয়াকো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। সপ্তাহান্তে এই পথটি কেবল পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
মিয়ংডং, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট মিয়ংডং। এটি সিউলের প্রধান শপিং, প্যারেড সার্কিট ও পর্যটন জেলা। বিলাসবহুল ও মধ্যম থেকে উচ্চ মূল্যের ব্র্যান্ড ছাড়াও সেখানে অনেক বিখ্যাত কোরিয়ান কসমেটিক স্টোর রয়েছে। এর নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তাগুলো প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটককে আকর্ষণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ডিপার্টমেন্ট স্টোর ব্র্যান্ড শিনসেগে ও লোটাসের শাখা রয়েছে এখানে। মিয়ংডংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনারদের তৈরি সর্বশেষ ফ্যাশন পোশাক ও জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিলাসবহুল করিডর
বন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
আঠারো শতক থেকে জনপ্রিয় লন্ডনের বন্ড স্ট্রিট বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শপিং স্ট্রিট। মূলত অভিজাতদের কেনাকাটার গন্তব্য এটি। আজও এখানে আরমানি, বারবেরি, শ্যানেল, ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানা, হার্মিসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাসপারি, বুলগারি, কার্টিয়ে, ডি বিয়ার্স ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো ব্র্যান্ডের গয়নার বুটিক। এই স্ট্রিটের একমাত্র ডিপার্টমেন্ট স্টোর হলো ফেনউইক, যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাওয়া যায়। উৎসবের মৌসুমে এই পথ আলোকিত ও সজ্জিত থাকে, যা একে ঘুরে দেখার সেরা সময়।
ফিফথ অ্যাভিনিউ ও বেভারলি হিলস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অনেকের কাছে, ফিফথ অ্যাভিনিউ চূড়ান্ত শপিং গন্তব্য। এই অ্যাভিনিউ হারলেমের ওয়েস্ট ১৪৩ তম স্ট্রিট থেকে গ্রিনউইচ ভিলেজের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, ক্রাইসলার বিল্ডিং, রকফেলার সেন্টার ও গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের মতো বিশ্বের আইকনিক স্থাপনার অবস্থান। এখানকার ৪৯ থেকে ৫৯ তম স্ট্রিট পর্যন্ত বিস্তৃত অংশটিতে ইস্টার উপলক্ষে ইস্টার প্যারেড দেখানো হয়। বেভারলি হিলসে শ্যানেল, হ্যারি উইনস্টন, হার্মিস, কার্টিয়ে ও লুই ভিটনের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ বুটিকসহ ১০০ টির বেশি হাই-এন্ড বুটিক ও ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে।
রু দে রিভোলি, প্যারিস, ফ্রান্স
প্যারিসের কেন্দ্রে অবস্থিত রু দে রিভোলি ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি মনোমুগ্ধকর পথ। নেপোলিয়নের শাসনামলে নির্মিত এবং তাঁর রিভোলি যুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই পথ প্লাস দে লা বাস্তিল থেকে প্লাস দে লা কনকর্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর এক প্রান্তে রয়েছে লুভর মিউজিয়াম ও টুইলেরি গার্ডেনস। অন্য পাশে সেফোরা, জারা, প্রমড, এল’অক্সিটন ও এটামের মতো আন্তর্জাতিক ও ফরাসি ব্র্যান্ডের আউটলেট।
বাহনহফস্ট্রাসে, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের বিলাসবহুল পণ্যগুলো খুচরা বিক্রির জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ডাউনটাউন স্ট্রিট। এর আশপাশে আছে বিশ্বখ্যাত চকলেট উৎপাদক ও বিক্রেতারা, আছে স্টাইলিশ ক্যাফে, ব্যাংক ও গ্র্যান্ড হোটেল। এখানে বুলগারি, হার্মিস, মন্ট ব্লাঙ্ক ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো বৈশ্বিক বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে গ্লোবাস ও জেলমোলির মতো বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর রয়েছে।
স্ট্রোজেট, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেনের কেন্দ্রে অবস্থিত স্ট্রোজেট ইউরোপের অন্যতম দীর্ঘতম পথচারী শপিং স্ট্রিট। সিটি হল স্কয়ার থেকে কঙ্গেনস নিউটর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্যস্ত পথ বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ও ড্যানিশ বুটিকগুলো জন্য বিখ্যাত। এটি প্রাডা, লুই ভিটন ও মালবেরির ফ্ল্যাগশিপ স্টোরসহ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কের জন্য পরিচিত।
কালে দে সেরানো, মাদ্রিদ, স্পেন
মাদ্রিদের গোল্ডেন মাইল নামে পরিচিত কালে দে সেরানো বিখ্যাত সালামানকা জেলায় অবস্থিত। এটি বিলাসবহুল ও সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের নিখুঁত মিশ্রণ। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোমুগ্ধকর ক্যাফে ও দারুণ সব খাবারের দোকানের জন্য এই এলাকা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
ফ্রিডরিখস্ট্রাসে, বার্লিন, জার্মানি
বার্লিনের কেন্দ্রে অবস্থিত ফ্রিডরিখস্ট্রাসে একটি জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট। একসময় বার্লিন প্রাচীর দিয়ে বিভক্ত এই পথ আজ পুনর্মিলিত বার্লিনের প্রতীক। এখানে হুগো বস, ম্যাক্স মারা, কার্ল লেগারফেল্ড ও আরমানির মতো প্রভাবশালী লেবেলের আউটলেট আছে।
ভিয়া দেল করসো, রোম, ইতালি
রোমের প্রধান শপিং স্ট্রিটগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়া দেল করসো। সেখানে বেশ কয়েকটি ইতালীয় ডিজাইনার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উপস্থিতি রয়েছে। আইকনিক পিয়াজ্জা ভেনেজিয়া থেকে পিয়াজ্জা দেল পোপোলো পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। বহু শতাব্দীপ্রাচীন ভবন আছে সজ্জিত এই ব্যস্ত পথে। এটি রোমের আকর্ষণ ও আধুনিক ফ্যাশনের নিখুঁত মিশ্রণ।
পিট স্ট্রিট মল, অস্ট্রেলিয়া
সিডনির কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত পিট স্ট্রিট মল। এটি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শপিং গন্তব্য। মাত্র দুটি ব্লক জুড়ে বিস্তৃত এই পথ কেবল পথচারীদের জন্য সংরক্ষিত। এটি ছোট হওয়া সত্ত্বেও এখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সার্ফ শপসহ ৬০০ টির বেশি দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এখানে জারা, এইচঅ্যান্ডএম ও ইউনিক্লোর মতো ব্রান্ডের আউটলেট থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন। গ্লাস হাউস, মিডসিটি, দ্য স্ট্র্যান্ড আর্কেড, ওয়েস্টফিল্ড সিডনি ও সিডনি আর্কেড এখানকার জনপ্রিয় শপিং মল। এটি স্ট্রিট পারফরমার ও ক্যাফে সংস্কৃতির সঙ্গে প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা দেবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন উইকের সময় এখানে বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন হাব হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: কন্দে নেস্ট, ইনসাইডার ইনক
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব। সেই জায়গাগুলো তখন হয়ে ওঠে ফ্যাশন, জীবনধারা আর অবসর বিনোদনের কেন্দ্র।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছাড়াও এই এলাকাগুলোতে ধরা পড়ে সমাজের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন বিলাসবহুল পণ্যের দিকে ঝোঁক, স্থানীয় কারুশিল্প থেকে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের প্রবণতা ইত্যাদি। এগুলো পর্যটন ও নগর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে তো বটেই, বিশ্বমঞ্চে শহরগুলোর এক নতুন ধরনের চিত্র তুলে ধরে। আমাদের দেশেও এমন কিছু সুপরিচিত জায়গা আছে, কেনাকাটার জন্য যেগুলো হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর থাকে। রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট ও বঙ্গবাজার (বর্তমানে সংস্কারাধীন) কেবল কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। পুরো পৃথিবীতে এমনি কিছু মনোমুগ্ধকর শপিং গন্তব্য খুঁজে পাবেন, যেগুলোর প্রতিটি মোড় একটি গল্প বলে এবং প্রতিটি ব্লক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সমকালীন প্রবণতাকে একত্র করে।
এশিয়ার জমজমাট শপিং স্ট্রিট
অরচার্ড রোড, সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল এরিয়ায় অবস্থিত অরচার্ড রোড প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি শহরের বহু সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। উনিশ শতকের একটি সাধারণ গ্রামীণ রাস্তা থেকে এটি সিঙ্গাপুরের আইকনিক খুচরা বিক্রয় ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি জমজমাট মল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও শীর্ষস্থানীয় বার রয়েছে। ট্যাঙস শপিং মল এই এলাকার অন্যতম আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। আইওএন অরচার্ড নামক বিখ্যাত শপিং সেন্টারের আটটি ফ্লোরজুড়ে ডিওর, গুচি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন, ফেন্ডি, ভ্যালেন্টিনো, সেফোরা, এইচঅ্যান্ডএমের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৩০০ টির বেশি স্টোর রয়েছে এখানে।
গিনজা, টোকি: গিনজা টোকিওর একটি জনপ্রিয় আপ স্কেল শপিং অ্যাভিনিউ। এখানে অসংখ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বুটিক, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আরমানি, গুচি, সেন্ট লরেন্ট, শ্যানেল, ডিওর, সোয়ারোভস্কির মতো বিলাসবহুল পণ্যের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর এখানে দেখা যায়। এখানে ১৮৯৪ সালে তৈরি একটি ভবনে রয়েছে ওয়াকো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। সপ্তাহান্তে এই পথটি কেবল পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
মিয়ংডং, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট মিয়ংডং। এটি সিউলের প্রধান শপিং, প্যারেড সার্কিট ও পর্যটন জেলা। বিলাসবহুল ও মধ্যম থেকে উচ্চ মূল্যের ব্র্যান্ড ছাড়াও সেখানে অনেক বিখ্যাত কোরিয়ান কসমেটিক স্টোর রয়েছে। এর নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তাগুলো প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটককে আকর্ষণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ডিপার্টমেন্ট স্টোর ব্র্যান্ড শিনসেগে ও লোটাসের শাখা রয়েছে এখানে। মিয়ংডংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনারদের তৈরি সর্বশেষ ফ্যাশন পোশাক ও জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিলাসবহুল করিডর
বন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
আঠারো শতক থেকে জনপ্রিয় লন্ডনের বন্ড স্ট্রিট বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শপিং স্ট্রিট। মূলত অভিজাতদের কেনাকাটার গন্তব্য এটি। আজও এখানে আরমানি, বারবেরি, শ্যানেল, ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানা, হার্মিসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাসপারি, বুলগারি, কার্টিয়ে, ডি বিয়ার্স ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো ব্র্যান্ডের গয়নার বুটিক। এই স্ট্রিটের একমাত্র ডিপার্টমেন্ট স্টোর হলো ফেনউইক, যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাওয়া যায়। উৎসবের মৌসুমে এই পথ আলোকিত ও সজ্জিত থাকে, যা একে ঘুরে দেখার সেরা সময়।
ফিফথ অ্যাভিনিউ ও বেভারলি হিলস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অনেকের কাছে, ফিফথ অ্যাভিনিউ চূড়ান্ত শপিং গন্তব্য। এই অ্যাভিনিউ হারলেমের ওয়েস্ট ১৪৩ তম স্ট্রিট থেকে গ্রিনউইচ ভিলেজের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, ক্রাইসলার বিল্ডিং, রকফেলার সেন্টার ও গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের মতো বিশ্বের আইকনিক স্থাপনার অবস্থান। এখানকার ৪৯ থেকে ৫৯ তম স্ট্রিট পর্যন্ত বিস্তৃত অংশটিতে ইস্টার উপলক্ষে ইস্টার প্যারেড দেখানো হয়। বেভারলি হিলসে শ্যানেল, হ্যারি উইনস্টন, হার্মিস, কার্টিয়ে ও লুই ভিটনের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ বুটিকসহ ১০০ টির বেশি হাই-এন্ড বুটিক ও ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে।
রু দে রিভোলি, প্যারিস, ফ্রান্স
প্যারিসের কেন্দ্রে অবস্থিত রু দে রিভোলি ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি মনোমুগ্ধকর পথ। নেপোলিয়নের শাসনামলে নির্মিত এবং তাঁর রিভোলি যুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই পথ প্লাস দে লা বাস্তিল থেকে প্লাস দে লা কনকর্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর এক প্রান্তে রয়েছে লুভর মিউজিয়াম ও টুইলেরি গার্ডেনস। অন্য পাশে সেফোরা, জারা, প্রমড, এল’অক্সিটন ও এটামের মতো আন্তর্জাতিক ও ফরাসি ব্র্যান্ডের আউটলেট।
বাহনহফস্ট্রাসে, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের বিলাসবহুল পণ্যগুলো খুচরা বিক্রির জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ডাউনটাউন স্ট্রিট। এর আশপাশে আছে বিশ্বখ্যাত চকলেট উৎপাদক ও বিক্রেতারা, আছে স্টাইলিশ ক্যাফে, ব্যাংক ও গ্র্যান্ড হোটেল। এখানে বুলগারি, হার্মিস, মন্ট ব্লাঙ্ক ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো বৈশ্বিক বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে গ্লোবাস ও জেলমোলির মতো বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর রয়েছে।
স্ট্রোজেট, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেনের কেন্দ্রে অবস্থিত স্ট্রোজেট ইউরোপের অন্যতম দীর্ঘতম পথচারী শপিং স্ট্রিট। সিটি হল স্কয়ার থেকে কঙ্গেনস নিউটর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্যস্ত পথ বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ও ড্যানিশ বুটিকগুলো জন্য বিখ্যাত। এটি প্রাডা, লুই ভিটন ও মালবেরির ফ্ল্যাগশিপ স্টোরসহ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কের জন্য পরিচিত।
কালে দে সেরানো, মাদ্রিদ, স্পেন
মাদ্রিদের গোল্ডেন মাইল নামে পরিচিত কালে দে সেরানো বিখ্যাত সালামানকা জেলায় অবস্থিত। এটি বিলাসবহুল ও সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের নিখুঁত মিশ্রণ। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোমুগ্ধকর ক্যাফে ও দারুণ সব খাবারের দোকানের জন্য এই এলাকা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
ফ্রিডরিখস্ট্রাসে, বার্লিন, জার্মানি
বার্লিনের কেন্দ্রে অবস্থিত ফ্রিডরিখস্ট্রাসে একটি জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট। একসময় বার্লিন প্রাচীর দিয়ে বিভক্ত এই পথ আজ পুনর্মিলিত বার্লিনের প্রতীক। এখানে হুগো বস, ম্যাক্স মারা, কার্ল লেগারফেল্ড ও আরমানির মতো প্রভাবশালী লেবেলের আউটলেট আছে।
ভিয়া দেল করসো, রোম, ইতালি
রোমের প্রধান শপিং স্ট্রিটগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়া দেল করসো। সেখানে বেশ কয়েকটি ইতালীয় ডিজাইনার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উপস্থিতি রয়েছে। আইকনিক পিয়াজ্জা ভেনেজিয়া থেকে পিয়াজ্জা দেল পোপোলো পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। বহু শতাব্দীপ্রাচীন ভবন আছে সজ্জিত এই ব্যস্ত পথে। এটি রোমের আকর্ষণ ও আধুনিক ফ্যাশনের নিখুঁত মিশ্রণ।
পিট স্ট্রিট মল, অস্ট্রেলিয়া
সিডনির কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত পিট স্ট্রিট মল। এটি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শপিং গন্তব্য। মাত্র দুটি ব্লক জুড়ে বিস্তৃত এই পথ কেবল পথচারীদের জন্য সংরক্ষিত। এটি ছোট হওয়া সত্ত্বেও এখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সার্ফ শপসহ ৬০০ টির বেশি দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এখানে জারা, এইচঅ্যান্ডএম ও ইউনিক্লোর মতো ব্রান্ডের আউটলেট থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন। গ্লাস হাউস, মিডসিটি, দ্য স্ট্র্যান্ড আর্কেড, ওয়েস্টফিল্ড সিডনি ও সিডনি আর্কেড এখানকার জনপ্রিয় শপিং মল। এটি স্ট্রিট পারফরমার ও ক্যাফে সংস্কৃতির সঙ্গে প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা দেবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন উইকের সময় এখানে বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন হাব হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: কন্দে নেস্ট, ইনসাইডার ইনক
বিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
১০ ঘণ্টা আগেবিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।...
১১ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন!
১২ ঘণ্টা আগে