Ajker Patrika

যে কারণে পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জরুরি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পুরুষেরা কথা বলতে চান না। ছবি: পেক্সেলস
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পুরুষেরা কথা বলতে চান না। ছবি: পেক্সেলস

মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সবসময়ই অবহেলার শিকার হয়ে থাকে, সে হোক নারীর বা পুরুষের। তবে মনের কথা প্রকাশের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বরাবরই পিছিয়ে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও বলছে, ২০২৫ সালে এসে যখন ‘মেন্টাল হেলথ’ গুরুত্ব পাওয়া শুরু করেছে সে সময়ও নারীদের তুলনায় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনার পরিমাণ কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ সালের এক জরিপে দেখা যায়, বৈশ্বিকভাবে প্রতি ১ লাখ পুরুষে আত্মহত্যার হার ছিল ১২ দশমিক ৩, যা নারীদের ৫ দশমিক ৯-এর দ্বিগুণেরও বেশি। এই বিশাল পার্থক্যটি পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান mentl. space প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা স্কট আর্মস্ট্রং বলেন, ‘অবস্থা বেশ ভয়াবহ। তবুও আমরা এখনো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পুরুষদের কথা বলাতে রাজি করাতে হিমশিম খাই। এটি আমাদের বলে দেয়, নীরবতা সত্যি সত্যি মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।’

‘মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা’ বলতে আসলে কোন অবস্থাকে বুঝায় এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আর্মস্ট্রং বলেন, ‘আমি মনে করি না, সহজে এটিকে সংজ্ঞায়িত করা যায়, কারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা অনেক ধরনের অবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে—উদ্বেগ, হতাশা, বার্নআউট, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)। তবে, সবগুলো সমস্যাই আমাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার উপায় নিয়ে। মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি একে উপেক্ষা করা হয়, তাহলে তা আরও খারাপ হয়ে যায়।’

সাধারণত চাকরি, পরিবার এবং আর্থিক চাপের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বেশিরভাগ মধ্যবয়সী পুরুষেরা উচ্চমাত্রার চাপ ও বার্নআউটের মুখোমুখি হন। সিএমবি কোচিং অ্যান্ড ট্রেইনিং-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিয়ারান ম্যাকব্রিন বলেন, ‘আগের দিনের মানুষেরা এমন এক পরিবেশে বড় হয়েছেন, যখন দুর্বলতা প্রকাশ করাকে দুর্বল ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক মনে করা হতো। যার ফলে অনেকে নিঃশব্দে কষ্ট পেয়েছেন। যা যেমন, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে—এই মানসিকতা এখনো রয়ে গেছে।’

তবে এর মানে এই যে, এ সময়ের যুবকেরা সহজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে পারছে। ম্যাকব্রিন বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেনারেশন জেড (জেন জি), মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বেশি খোলামেলা কথা বলতে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে সচেতনতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। তবে কিছু কিছু জায়গায় অবস্থার এখনো পরিবর্তন আসেনি, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রগুলোতে যেখানে অনেক বেশি চাপের মধ্যে থাকতে হয়।’

তবে, আধুনিক যুবকদের এখন নতুন ধরনের চাপের মধ্যে থাকতে হয়—সোশ্যাল মিডিয়া, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং সর্বদা কাজের চাপ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি প্রজন্মের ওপর ভিন্ন ভিন্ন ধরনের চাপ থাকে, প্রত্যেকের লড়াইও ভিন্ন। কিন্তু একটা বিষয় সবার ক্ষেত্রে এক—পুরুষেরা এখনো সাহায্য চাইতে সংকোচ বোধ করেন।

কেএসজি ওয়েলনেস কোচিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা কেস স্মিথ-গ্রিন বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার দিকেই তাকান, তরুণ পুরুষেরা ভুগছেন ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ (FOMO)-এ, পোশাক বাছাই, দেখতে কেমন হওয়া উচিত সেই প্রত্যাশা, একজন নারীর পেছনে কত টাকা খরচ করতে হবে, কত টাকা উপার্জন করা উচিত—এই তালিকা যেন শেষই হয় না। এটি এক ভিন্ন ধরনের প্রত্যাশার তালিকা, কিন্তু এটি এমন একটি তালিকা, যা আমরা পুরনো প্রজন্মের তুলনায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ”

অনেক পুরুষ মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সবসময় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন না। দুঃখ বা মানসিক কষ্ট প্রকাশ করার বদলে তাঁরা প্রায়ই রাগ বা খিটখিটে মেজাজ, একাকীত্ব, এমনকি আত্মবিনাশী আচরণ, যেমন—অতিরিক্ত কাজ করা—এসবের মাধ্যমে নিজেদের কষ্টটি প্রকাশের চেষ্টা করেন।

মেন’স টাইম টু টক নামের এক পডকাস্টে ম্যাকব্রিন বলেন, ‘এই লক্ষণগুলো বুঝতে পারা খুব জরুরি, কারণ অনেক পুরুষ নীরবে লড়াই করছেন।’

দ্রুতগতির জীবনধারা, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং উচ্চ প্রত্যাশা মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বার্নআউটকে আরও তীব্র করে তোলে। অনেক পেশাদার ব্যক্তি সফলতার পেছনে ছুটতে গিয়ে মানসিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দিতে ভুলে যান। তাঁদের একাকীত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে।

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শদাতা স্মিথ-গ্রিন বলেন, ‘কেউ কেউ স্ট্রেসে ভালো পারফর্ম করেন, আবার কেউ পারেন না। কেউ জানেন কীভাবে নিজেদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো—যেমন ভালো পুষ্টি, ব্যায়াম, ঘুম ইত্যাদি—সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হয়, আবার কেউ জানেন না। এই জিনিসগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘ কর্মঘণ্টার চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলে।’

পরামর্শকেরা বলছেন, পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর দুটি পথ হলো—এ সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলা এবং সাহায্য চাওয়া। এটা যেমন বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে হতে পারে, তেমনি অনেক সময় এর জন্য পেশাদার সাহায্য নেওয়ারও প্রয়োজন হয়।

স্মিথ গ্রিন বলেন, ‘একজন ওয়েলনেস ও মেন্টাল হেলথ কোচ হিসেবে আমার লক্ষ্য খুবই সাধারণ—ছোট ছোট বিষয় নিয়ে কাজ করা, যেগুলোর প্রভাব মানসিক সুস্থতার ওপর অনেক বড়। এতে জড়িত থাকে আবেগ নিয়ে আলোচনা এবং কেন একজন মানুষ নির্দিষ্ট কিছু আচরণ করে তা বোঝার চেষ্টা করা। আর যদি কেউ সেই আচরণ পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে তারা কী মনে করে সেই জায়গায় কী করা উচিত—তা তারা নিজেরাই খুঁজে বের করে এবং আমি তাদের সেই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করি। কোচিং মানে কৌশল শেখানো নয়, বরং আত্ম-আবিষ্কারের পথ দেখানো।’

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা আর্মস্ট্রং বলেন, ‘কথা বলুন। সেটা হোক বন্ধু, কোচ কিংবা কোনো পেশাদারের সঙ্গে—একা একা এসব সামলানোর চেষ্টা করবেন না। কথা বলাটা আপনার পুরুষত্ব কমায় না, বরং আপনাকে আরও সুস্থ করে তোলে।’

কিয়ারান ম্যাকব্রিনের মতে, ‘হোক সেটা কোচিংয়ের মাধ্যমে, সহায়তাকারী গ্রুপের মাধ্যমে বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায়—মিশন একটাই: পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে থাকা বাধাগুলো ভাঙা এবং জানানো যে তাঁরা একা নন। অনেক সময় একটি সৎ আলাপ কারও জীবনে বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে।’

নারী ও পুরুষের মানসিক সংগ্রাম একই ধরনের হলেও এর বিপরীতে তাদের প্রতিক্রিয়ার ধরনে পার্থক্য থাকে। আর্মস্ট্রং বলেন, ‘নারীরা তুলনামূলক বেশি সাহায্য চায়, আর পুরুষরা অনেক সময় সব কিছু চেপে রাখে যতক্ষণ না একেবারে ভেঙে পড়ে। এটা বোঝা জরুরি, পুরুষ ও নারী—উভয়েই সংগ্রাম করছে এবং তাদের উভয়েরই আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন।’

স্মিথ-গ্রিন বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা হচ্ছে। মাত্র ১৫ বছর আগেও, পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য ছিল উপেক্ষিত একটি বিষয়। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া তখন অনেক কঠিন ছিল, বিশেষ করে যথেষ্ট অর্থ না থাকলে।’

এখন অনেক দেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। এমনকি দেশের সরকার এখন এই দায়িত্ব নিচ্ছে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের সহায়তা করতে আইন প্রণয়ন করছে।

সূত্র: খালিজ টাইমস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বসুন্দরী মণিকা বিশ্বকর্মার গ্লো-আপ সিক্রেট

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।

কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার

মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।

মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন

ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র‍্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।

ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন

মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।

সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন

ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।

মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।

সূত্র: জি নিউজ

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাওয়া বদলের মৌসুমে শিশুর ত্বক ও চুলের যত্ন

ডা. নূরজাহান বেগম
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৩৫
হাওয়া বদলের মৌসুমে শিশুর ত্বক ও চুলের যত্ন

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।

ত্বকের যত্ন

এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।

তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।

শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

baby

চুলের যত্ন

দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।

আরাম পরিধেয়

এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোল

ফিচার ডেস্ক
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।

প্রণালি

আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিজনির খরচ বাঁচানোর নতুন কৌশল

ফিচার ডেস্ক
ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। ছবি: পেক্সেলস
ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। ছবি: পেক্সেলস

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুক গ্রুপ

নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।

প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি

পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

অনেকে ব্যবহার করা জিনিস রেখে যাচ্ছেন হোটেল রুমে এবং সেই ছবি দিচ্ছেন ফেসবুক পোস্টে। ছবি: সংগৃহীত
অনেকে ব্যবহার করা জিনিস রেখে যাচ্ছেন হোটেল রুমে এবং সেই ছবি দিচ্ছেন ফেসবুক পোস্টে। ছবি: সংগৃহীত

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ

এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত