Ajker Patrika

ঈদের বিশেষ রেসিপি

জীবনধারা ডেস্ক
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৭: ০৮
ঈদের বিশেষ রেসিপি

ক্যারট ডিলাইট উইথ মালাই
উপকরণ
গাজরের জন্য লাগবে
২ কাপ গ্রেট করা গাজর, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, আধা চা-চামচ এলাচি গুঁড়া।

ছানার জন্য লাগবে
২ কাপ ছানা, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, আধা চা-চামচ এলাচি গুঁড়া।

মালাই তৈরি
১ কাপ গ্রেট করা মাওয়া, আধা কাপ তরল গরম দুধ, অল্প পরিমাণ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি।
সবকিছু একত্রে মাঝারি তাপে ভালোভাবে নেড়ে ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে। বেশি রান্না করা যাবে না। তাতে মালাই শক্ত হয়ে যাবে।

পদ্ধতি
প্রথমে একটি প্যানে গ্রেট করা গাজর নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে ভাপ দিতে হবে। গাজর নরম হয়ে সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। এখন একটি ননস্টিক অথবা ফ্রাইপ্যান গরম করে ঘি দিয়ে সেদ্ধ গাজরগুলো ৭ থেকে ৮ মিনিট মাঝারি আঁচে ভুনে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া দুধ আর এলাচি গুঁড়া দিয়ে আরও ১০ থেকে ১২ মিনিট জ্বাল দিয়ে হালুয়া শুকিয়ে ঘন হয়ে প্যানের গা ছেড়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।

এখন বড় একটি বাটিতে ছানা, কনডেন্সড মিল্ক, গুঁড়া দুধ আর এলাচি গুঁড়া সব একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে মেখি একটা প্যানে ঘি দিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে, যেন নিচে লেগে না যায়। হালুয়া শুকিয়ে প্যানের গা ছেড়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে।

একটি ওয়াক্স পেপার বিছিয়ে গাজরের মিশ্রণটা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর আবার ওয়াক্স পেপার বিছিয়ে এবার বেলুন দিয়ে চৌকোনা আকারে আধা ইঞ্চি পুরু করে রুটির মতো বেলে নিতে হবে। এবার ছানার মিশ্রণটা দিয়ে দিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় একটু মথে মোটা করে রোল করে নিয়ে গাজরের মিশ্রণের ওপর বিছিয়ে সুইস রোলের মতো রোল করে টাইট করে পেঁচিয়ে মিনিমাম ২-৩ ঘণ্টা নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে সেট হওয়ার জন্য।

সেট হয়ে গেলে নামিয়ে পছন্দমতো পিস পিস করে কেটে ওপরে মালাই দিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ মজার এই ডেজার্ট।

স্ট্রবেরি ট্রাইফলস্ট্রবেরি ট্রাইফল
উপকরণ
১ প্যাকেট অথবা ৮০ গ্রাম স্ট্রবেরি জেলেটিন পাউডার, পছন্দমতো কেকের পিস, ২৫০ মিলি হুইপিং ক্রিম, আধা কাপ আইসিং সুগার, আধা চা-চামচ ভ্যানিলা অ্যাসেন্স, আধা লিটার গরুর দুধ, আধা কাপ কাস্টার্ড পাউডার, আধা টেবিল চামচ, পছন্দমতো টুকরো করা স্ট্রবেরি, গার্নিশিংয়ের জন্য চেরি।

প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে স্ট্রবেরি জেলি তৈরি করার জন্য ১ প্যাকেট জেলোটিন পাউডারের সঙ্গে ৩ কাপ গরম পানি মিশিয়ে যে পাত্রে ট্রাইফল সেট করবেন, সে পাত্রেই জেলি সেট নিন। ফ্রিজে রেখে দিন আধা ঘণ্টা।

এবার একটি বড় পাত্রে হুইপিং ক্রিম, আইসিং সুগার ও ভ্যানিলা অ্যাসেন্স নিয়ে বিটার মেশিনের সাহায্যে ৮ থেকে ১০ মিনিট বিট করে হুইপড ক্রিম তৈরি করে নিন।
কাস্টার্ড ক্রিম তৈরি করার জন্য দুধের সঙ্গে চিনি এবং কাস্টার্ড পাউডার ভালো করে মিশিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।

ট্রাইফল সেট করার জন্য জেলি সেট করা পাত্রে জেলির ওপর পছন্দমতো কেক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেট করে নিন। তারপর তার ওপর ঠান্ডা করে রাখা কাস্টার্ড ক্রিম সেট করে নিন। এরপর কাস্টার্ড ক্রিমের ওপর টুকরো করে রাখা স্ট্রবেরি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেট করে নিয়ে বানিয়ে রাখা হুইপড ক্রিম দিয়ে ডিজাইন করুন। তারপর পুরোটা ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘণ্টা। ঠান্ডা করে ওপরে কিছু স্ট্রবেরির টুকরো ও চেরি দিয়ে গার্নিশ করে পরিবেশন করুন। 

হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানিহায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি
উপকরণ
মাংসের জন্য লাগবে
বড় করে টুকরো করা ১ কেজি মুরগির মাংস, আধা কাপ টক দই, আধা কাপ তেল, আস্ত গরম মসলা, ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ২ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, ১ টেবিল চামচ কাঠবাদাম বাটা, ২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মসলা, ১ চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, আধা চা-চামচ চিনি, ১ মুঠ পেঁয়াজ বেরেস্তা, লবণ স্বাদমতো।

বিরিয়ানির জন্য লাগবে
৫০০ গ্রাম সুগন্ধি পোলাওয়ের চাল, ৩ টেবিল চামচ তেল, ৩-৪টি আস্ত এলাচি, ১ টুকরো দারুচিনি, ৩-৪টি লবঙ্গ, ১টি তেজপাতা, ১টি স্টার এনিস, ৪-৫টি আস্ত কাঁচা মরিচ, ৬-৭টা আলুবোখারা, ৩ টেবিল চামচ ঘি, ১ চা-চামচ শাহি জিরা, ১ চা-চামচ কেওড়া জল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, আধা কাপ কুসুমগরম দুধ, কিছু কাঠবাদাম কুচি ও কিশমিশ, সামান্য জাফরান অথবা জর্দা রং, পেঁয়াজ বেরেস্তা পরিমাণমতো, গরম পানি পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো এবং আটার খামির।

প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়ে টক দইসহ সব বাটা ও গুঁড়া মসলা ও লবণ দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা রেখে দিন।
পোলাওয়ের চাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে একটি ছাঁকনিতে পানি ঝরিয়ে রাখুন। দুধ কিছুটা গরম করে জাফরান দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে জাফরানের রং বের হওয়ার জন্য।

এখন আরেকটি পাতিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম পানি দিয়ে তাতে আস্ত গরম মসলা, তেল, লবণ দিয়ে এতে বাবল এলে ছেঁকে রাখা চালগুলো দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। চাল ৭০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিতে হবে।

এবার যে পাতিলে বিরিয়ানি রান্না করা হবে, সেই পাতিলে তেল গরম করে আস্ত গরম মসলা ও পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি কর ভেজে মেরিনেট করা মাংস রান্না করতে হবে। প্রথমে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট, তারপর ঢাকনা খুলে মাঝারি আঁচে আরও ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে, যাতে করে মুরগি থেকে ওঠা ঝোল কিছুটা শুকিয়ে আসে। তারপর এর ওপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, লেবুর রস, বাদাম কুচি, কিশমিশ, মাওয়া, কাঁচা মরিচ, আলুবোখারা ছিটিয়ে দিয়ে ছেঁকে রাখা ভাত দিয়ে দিন। তার ওপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, বাদাম, কিশমিশ, শাহি জিরা, কেওড়া জল দিয়ে মাঝে গর্ত করে জাফরান মেশানো দুধ দিয়ে দিন। এবার ঢাকনার মুখ ভালো করে সিল করে দিন খামির করে রাখা আটা দিয়ে।
এরপর চুলায় মোটা তাওয়া বসিয়ে ৫ মিনিট মিডিয়াম আঁচে তারপর ৩০ মিনিট একদম কম আঁচে দমে রাখতে হবে। তারপর হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে। 
যদি বিরিয়ানি ভেজা মনে হয়, তাহলে আরও কিছুক্ষণ দমে বসিয়ে রাখতে হবে। হয়ে গেলে একটি সার্ভিস ডিশে নিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন ।

মুতান্জান জর্দামুতান্জান জর্দা
উপকরণ
 ১ কাপ বাসমতি চাল, খাবারের উপযোগী লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা রং, পরিমাণ মতো ঘি, ৩-৪টা সবুজ এলাচি, ৩-৪টা লবঙ্গ, ১টি তেজপাতা, ২ টুকরো দারুচিনি, স্বাদমতো চিনি, আধা কাপ পানি, কিশমিশ, বাদাম, মোরব্বা টুকরো, আধা চা-চামচ কেওড়া জল ও বেবি সুইটস।

প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে চাল আধা ঘণ্টা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে তুলে রাখুন। এবার হাঁড়িতে পানি গরম করে চাল দিয়ে দিন। চাল ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সেদ্ধ হলে পানি ঝরিয়ে নিন।

একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, দারুচিনি, কিশমিশ, বাদাম হালকা ভেজে চিনি ও অল্প পানি দিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে তাতে রান্না করা ভাতের কিছুটা দিয়ে দিন। বাকি ভাতে পছন্দমতো রং দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিয়ে সাদা ভাতের ওপর আলতো করে রেখে দিতে হবে একপাশ করে, যেন রঙিন ভাতগুলো ছড়িয়ে না যায়। এভাবে ১৫ মিনিট দমে রাখার পর কেওড়া জল ও মোরব্বা দিয়ে আরও ৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন। তারপর পরিবেশন করার সময় ওপরে বেবি সুইটস বা ছোট ছোট মিষ্টি দিয়ে পরিবেশন করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৪
আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

মেষ

আজ আপনার এনার্জি লেভেল দেখলে মনে হবে ভুল করে চায়ের বদলে ডাবল এসপ্রেসো খেয়ে ফেলেছেন। দিনের শুরুটা দুর্দান্ত! কিন্তু উত্তেজনা এত বেশি থাকবে যে অফিসে যাওয়ার পথে চারবার হোঁচট খাবেন। আপনার স্বাস্থ্য বলছে: ‘শান্ত হও, ওহে মেষ!’ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাউকে জ্ঞান দিতে যাবেন না। কারণ, তিনি পাল্টা এমন তথ্য দেবেন, যা গুগলেও পাবেন না। সন্ধ্যায় প্রিয়জনের কাছ থেকে একটি অপ্রত্যাশিত চমক পাবেন। যদিও সেটা হয়তো হবে গত জন্মদিনের উপহারের র‍্যাপার।

বৃষ

বৃষ রাশি, গ্রহ-নক্ষত্র আজ আপনাকে বলছে—বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে সেই আড্ডার জায়গাগুলো, যেখানে কেউ একজন ‘আপনার সম্মান নিয়ে’ প্রশ্ন তুলতে পারে। অর্থাৎ আজ আপনি অফিসের ক্যানটিন, বন্ধুর বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি—সব জায়গায় ‘সিক্রেট এজেন্ট অব অকোয়ার্ডনেস’-এর ভূমিকা পালন করবেন। আর্থিক দিক থেকে আজ স্থিতিশীল। তবে অনলাইনে কিছু কেনার আগে দুবার ভাবুন। দরকার নেই, শুধু ‘অন্য লোকেরা কী কিনছে’ দেখতে গিয়ে আপনি হয়তো একটা স্পেচুলা কিনতে গিয়ে ফ্রিজ কিনে ফেলতে পারেন।

মিথুন

আপনার বুদ্ধিমত্তা আজ দারুণ কাজ করবে, তবে মন এত দ্রুত চলবে যে মুখটা মাঝেমধ্যে পিছিয়ে পড়বে। ফলস্বরূপ আপনি এক কথা বলতে গিয়ে অন্য কথা বলে ফেলবেন, আর লোকে ভাববে—আপনি বোধ হয় কবিতা বলছেন! কর্মস্থলে পদোন্নতির ইঙ্গিত আছে, যদি না সহকর্মীর কফির মগে ভুল করে লবণ দিয়ে দেন। বিকেলের দিকে প্রাপ্তিযোগের সম্ভাবনা, যা হয়তো একটা পুরোনো লটারির টিকিট বা ছোটবেলার একটি বাতিল হওয়া প্রেমপত্র। নিষ্ঠা ও ভদ্রতা বজায় রাখুন, বিশেষ করে চিপস খাওয়ার সময়।

কর্কট

আজকের দিনটি আপনার জন্য ঠিক মাঝামাঝি—না ভালো, না খারাপ। গ্রহরা আপনাকে এক অদ্ভুত মিশ্র ফল দিয়েছে। মনে হবে আপনি যেন একটি পুরোনো সাদাকালো সিনেমার শেষ ১০ মিনিট দেখছেন—কী হবে, তা জানা আছে, তবু মন অস্থির। দিনের বেলা সামান্য বিষয়ে গভীর চিন্তা করার প্রবণতা বাড়বে; যেমন ‘পাউরুটি কেন স্লাইস করা হয়?’ এই ধরনের প্রশ্ন নিয়ে সারা দিন মাথা ঘামাবেন। রাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এতে চিন্তাগুলো হয়তো পাউরুটি থেকে সরে এসে অন্তত ডিম-পরোটার দিকে যাবে।

সিংহ

সিংহ মশাই, আজ আপনি রাজকীয় মেজাজে থাকবেন। নিজেকে জাহির করার একটা প্রবল ইচ্ছা জাগতে পারে। পারিবারিক চাপ থাকবে, তবে সেটা এমন ছোটখাটো হবে যেন একটা মশার কামড়। সেটাকে গর্জন দিয়ে উড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন। পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্ন নিন—আর যত্ন নেওয়ার মানে এই নয় যে জোর করে তাদের ডায়েট চার্ট বানিয়ে দেবেন। কাজের ক্ষেত্রে আপনার নেতৃত্ব প্রশংসিত হবে। তবে মনে রাখবেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আপনাকে কোনো গর্তে ফেলে দিতে পারে। তাই ‘আমি সব জানি’ বলার আগে একবার উইকিপিডিয়া চেক করে নেবেন।

কন্যা

আজ কাঁধে নতুন কাজের দায়িত্ব আসতে পারে। সেই দায়িত্ব হয়তো হবে অফিসে ফালতু ফাইলগুলো গুছিয়ে রাখার। কিন্তু তাতেও নিখুঁতভাবে বিশ্বের সেরা ‘ফাইল অর্গানাইজার’ হওয়ার চেষ্টা করবেন। পরিবারে আজ সংযত থাকুন। বিশেষ করে যদি পার্টনারের আলমারি বা ঘর গোছানোর ইচ্ছা আপনার মনে জাগে। নিয়ন্ত্রণ করার স্বভাবটি আজ মধুর সম্পর্ককে তিক্ত করে দিতে পারে। দিনের শেষে সবকিছু পারফেক্ট না হলেও চলবে—এ সত্যটি মেনে নেওয়াই আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মোবাইল স্ক্রিন পরিষ্কার রাখুন।

তুলা

আপনার ভাগ্যে আজ আনন্দের জোয়ার। বস আপনার ওপর এতটা খুশি হবেন যে পদোন্নতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। চার্ম আজ তুঙ্গে থাকবে। কিন্তু গ্রহরা একটি অদ্ভুত সতর্কবার্তা দিয়েছে: ‘নারী বন্ধুদের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন।’ কেন? কেউ জানে না! সম্ভবত তারা আপনাকে এত পার্টি দিতে বলবে যে ব্যাংক ব্যালেন্সের বারোটা বাজবে। বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যা দেখে আনন্দে লাফালাফি করতে পারেন। কিন্তু সাবধান, লাফানোর সময় যেন পুরোনো কোনো আসবাবে ধাক্কা না লাগে। স্ত্রীর কাছ থেকে সারপ্রাইজ পাবেন।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক, আজ আপনার হৃদয়ে গভীর চিন্তাভাবনার খেলা চলবে। সামান্য কারণে আজ একটু বেশিই ইন্টেন্স হয়ে উঠবেন। কেউ হয়তো বলবে, ‘আরে, চা-টা ঠান্ডা হয়ে গেল!’ আর আপনি ভাববেন, ‘এর পেছনে কি কোনো গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে?’ আত্মবিশ্বাস আজ আপনার শক্তি। তবে এটা যেন অহংকারে পরিণত না হয়। মনে রাখবেন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আজ আপনাকে অনেক বড় সমস্যা থেকে বাঁচাবে। কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তবে অন্তত একটি মজার অজুহাত তৈরি রাখুন।

ধনু

ধনু রাশি, আজ আর্থিক সাফল্য আপনার কদম চুম্বন করবে। টাকা আসবে, তবে তার মানে এই নয় যে আপনি আজই একটি রকেট কিনে চাঁদে চলে যাবেন। পেশা সম্পর্কিত ভ্রমণের ইঙ্গিত আছে। কিন্তু এটি সম্ভবত কোনো দূরবর্তী, অপরিচিত ব্রাঞ্চে হবে, যেখানে আপনাকে ‘অসহযোগিতার প্রতীক’ পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। আপনার উৎসাহ আজ অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। তবে কথা বলার সময় একটু সংযত থাকুন, নইলে আপনার অতি উৎসাহ অন্যদের কাছে ‘বকবক’ বলে মনে হতে পারে। সন্ধ্যায় সেই টাকা দিয়ে কিছু একটা করুন, যা মনকে শান্তি দেবে; যেমন কাউকে পেট ভরে ফুচকা খাইয়ে দিন।

মকর

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আজ। মন আর মস্তিষ্ক, দুটোকেই কাজে লাগান। কিন্তু মনে রাখবেন, হয়তো ভাবছেন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, কিন্তু আদতে আপনি শুধু ঠিক করছেন কোন রঙের জামা পরে অফিস যাবেন। অর্থের ক্ষেত্রে আজ কিছুটা স্বস্তি পাবেন। মানসিক ক্লান্তি দূর করতে ধ্যান করুন বা শান্ত সংগীত শুনুন। অথবা সবচেয়ে ভালো হয়, যদি সব কাজ অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন এবং নিজে চুপচাপ ঘুমাতে পারেন! মনে রাখবেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখা ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত শৃঙ্খলা মানুষকে বিরক্ত করে। আজ অন্তত কাজের বাইরে একবার হাসুন।

কুম্ভ

কুম্ভ, আজ আপনার আর্থিক বিষয়গুলো ধীরে ধীরে ভালো হবে। পুরোনো জিনসের পকেটে কিছু টাকা খুঁজে পেলে সেটাকেই আজকের ‘আর্থিক সাফল্য’ বলে ধরে নিতে হবে। দ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করুন, তবে সেই পরিবর্তনটা হয়তো হবে ফ্রিজের আলো ঠিক হয়ে যাওয়া। প্রিয়জনের সঙ্গে আজ স্মরণীয় মুহূর্ত কাটাবেন। আর সেই স্মরণীয় মুহূর্তটি হতে পারে দুজনের মধ্যে হওয়া একটি নীরব প্রতিযোগিতা—কে কার আগে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। সহকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখুন। কারণ, তারা না থাকলে আপনার কাজের চাপ বেড়ে যাবে। সব কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন।

মীন

মীন রাশি, আজ আপনার মন ও মস্তিষ্ক দুটিই একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করবে। আপনার ভেতরের জগতে চলছে চরম মারামারি, আর বাইরের জগতে হাসিমুখে সবার সঙ্গে কথা বলছেন—আপনার মতো ভালো অভিনেতা আর কেউ নেই! কিছু পুরোনো জিনিস মনকে বিরক্ত করতে পারে; যেমন ১০ বছর আগে কেন ওই লাল শার্টটা কিনেছিলেন? সন্ধ্যার মধ্যে অবশ্য সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কারণ, ক্ষুধা পেলে মানুষ সব ঝগড়া ভুলে যায়। পরীক্ষায় শুভ ফলের আশা করতে পারেন, যদি না আপনি উত্তর লেখার বদলে পরীক্ষার খাতায় কবিতা লিখে আসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লিভার ভালো রাখার ১০ উপায়

ফিচার ডেস্ক
ছবি: ফ্রিপিক
ছবি: ফ্রিপিক

লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করে। খাবার হজম, ভিটামিন ও মিনারেল শোষণ, বিপাক প্রক্রিয়া এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও লিভার সাহায্য করে। সে জন্য লিভারের সমস্যা হলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও প্রভাব পড়ে। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানতে পারলে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়। তাতে বড় ধরনের সমস্যা এড়ানো সহজ হয়।

ছুটির সময় অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার পর লিভারকে একটু বিশ্রাম ও যত্ন দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের একজনের ফ্যাটি লিভার সমস্যা আছে, যা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও বসে থাকার জীবনধারার কারণে বাড়ছে। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে এটি লিভার ক্যানসার বা লিভার ফেইলিওরে রূপ নিতে পারে।

বিএসএমএমইউর রেসিডেন্ট চিকিৎসক বলেন, ‘লিভারের সমস্যা শুরু হলে শরীরে বেশ কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন—খাবার খাওয়ার পর বমি বা বমির ভাব হওয়া, অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা অবসন্নতা অনুভব করা, পেটের ডান দিকে হালকা বা তীব্র ব্যথা থাকা ইত্যাদি। অনেক সময় ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়, যা জন্ডিসের লক্ষণ। এ ছাড়া খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া বা ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে শরীরে পানি জমে পেট ফুলে ওঠে বা হাত-পায়ের নখে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়—এসবই লিভারের সমস্যার আগাম সংকেত হতে পারে।’

লিভার ভালো রাখতে নিচের উপায়গুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন—

কফি পান করুন

গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে তিন-চার কাপ কফি লিভারে দাগ বা ফাইব্রোসিসের ঝুঁকি কমায়। কফি লিভারের জন্য চায়ের চেয়ে বেশি উপকারী।

ব্রোকলি ও বাঁধাকপি খান

এই সবজি লিভারকে ফ্রি র‍েডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। এগুলোতে ভিটামিন ‘সি’, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। সেদ্ধ করা খাবার লিভারের জন্য ভালো, ভাজাপোড়া নয়।

সাদা ভাত কম খান

অতিরিক্ত পরিশোধিত ভাত, চিনি, লাল মাংস ও ভাজা খাবার ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়। তার পরিবর্তে লাল চাল, ডাল ও মসলা, যেমন—রসুন, মরিচ, ধনিয়া ও কারিপাতা ব্যবহার করুন।

পর্যাপ্ত প্রোটিন নিন

লিভার দুর্বল হলে শরীরের পেশি ক্ষয় হতে পারে। তাই প্রতিদিন ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল বা টোফু খান। যারা নিরামিষভোজী, তারা মসুর ডাল দিয়ে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।

অযথা বারবার খাওয়া বন্ধ করুন

সারা দিন অল্প অল্প নাশতা খাওয়ার বদলে রাতে অন্তত ১৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকুন। এতে লিভার নিজেকে পরিষ্কার ও ঠিক করতে সময় পায়, যাকে বলে অটোফ্যাজি।

ভিটামিন ‘সি’ খাওয়া বাড়ান

লিভার তার কাজে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ব্যবহার করে। তাই কমলা, লেবু ইত্যাদি নিয়মিত খান। ফলের রস না করে পুরো ফল খেলে ফাইবারও পাওয়া যায়, যা বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে।

খাবারের পরিমাণ ১০ শতাংশ কমান

অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বাড়ায়, অতিরিক্ত ওজন ফ্যাটি লিভারের মূল কারণ। দিনে দুই হাজার ক্যালরির বেশি না খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ান

লিভারের সঙ্গে অন্ত্রের গভীর সম্পর্ক আছে। রসুন, পেঁয়াজ, পুরো শস্য ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে লিভারকে সুস্থ রাখে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং বা সাঁতার কাটুন। এতে শরীরের চর্বি কমে, রক্ত চলাচল বাড়ে এবং লিভার আরও কার্যকরভাবে কাজ করে।

অ্যালকোহল কমান

বিয়ার বা ওয়াইন যেকোনো পানীয়তেই ক্ষতিকর উপাদান হলো অ্যালকোহল। তাই অল্প পান করুন এবং পরিমাণ জেনে নিন।

লিভার আমাদের শরীরকে প্রতিদিন বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু একে সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। এখনই যত্ন নিন, যাতে লিভারও আপনাকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখে।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রেকআপের পর ছুটি চাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে জেন-জিদের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‘সম্প্রতি আমার ব্রেকআপ হয়েছে। কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না। সামান্য বিরতি দরকার। আজ বাসা থেকে কাজ করব।’

গুরগাঁওভিত্তিক জীবনসঙ্গী খোঁজার অ্যাপ ‘নট ডেটিং’-এর এক কর্মীর পাঠানো এই ছোট ই-মেইল এখন ভারতজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। করপোরেট ভাষার আড়ালে ঢাকা নয়, ই-মেইলটি ছিল খুবই সরল ও অকপট। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো—প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুহূর্তের মধ্যেই তাঁর ওই কর্মীর ছুটি মঞ্জুর করেন এবং সেই ই-মেইল অনলাইনে শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, ‘এটাই আমার দেখা সবচেয়ে সৎ ছুটির আবেদন।’

এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয় লিংকডইন, এক্স ও ইনস্টাগ্রামে। এক কর্মীর ‘সততা’ ঘিরে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক—অফিস কি এখন এমন এক জায়গা, যেখানে ব্রেকআপ বা সম্পর্ক ভাঙার পর ছুটি চাওয়ার মতো আবেগঘন বিষয়ও প্রাপ্য হতে পারে?

এ ভাইরাল ঘটনার প্রতিক্রিয়া দুই মেরুতে বিভক্ত—কেউ সিইওর সিদ্ধান্তকে সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের নিদর্শন বলেছেন, কেউ আবার একে পেশাগত সীমারেখা ভাঙা বলে সমালোচনা করেছেন।

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে গভীর এক পরিবর্তন—কর্মক্ষেত্রে জেনারেশন জেড বা জেন-জিদের (১৯৯৭–২০১২ সালে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) মানসিকতা ও পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর।

জেন-জি প্রজন্ম মনে করে, কর্মক্ষেত্রে মানবিক হওয়া দুর্বলতা নয়, বরং তা জরুরি। তাদের কাছে কাজের দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্থিতি ও আত্মিক স্বচ্ছতা।

যুক্তরাজ্যের লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল গ্রুপ প্রোটেকশনের এক জরিপে দেখা গেছে, গত এক বছরে প্রতি তিনজন জেন-জি কর্মীর মধ্যে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন—যা অন্য যেকোনো বয়সী কর্মীদের তুলনায় বেশি। তাঁরা আগের প্রজন্মের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে মানসিক সহায়তা চাওয়াতেও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

কিন্তু অফিসে কি আবেগের জায়গা থাকা উচিত? দীর্ঘদিন ধরে ‘পেশাদারত্ব’ মানে ছিল ব্যক্তিগত অনুভূতিকে আড়াল করা, অফিসে ব্যক্তিগত সমস্যা না আনা। কিন্তু কোভিড মহামারিপরবর্তী যুগে সেই ধারণা বদলে গেছে। হাইব্রিড ওয়ার্ক, অনলাইন সংযোগ ও ক্রমবর্ধমান বার্নআউটের কারণে কাজ ও ব্যক্তিজীবনের সীমারেখা এখন অনেকটাই মিশে গেছে।

২০২৪ সালে ফিউচার ফোরামের এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪২ শতাংশ কর্মী বার্নআউটে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে এখন একটি ‘পেশাগত মানসিক অবস্থা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বার্নআউট হলো দীর্ঘস্থায়ী ও অতিরিক্ত চাপ থেকে সৃষ্ট একটি মানসিক, শারীরিক ও আবেগিক অবসন্নতার অবস্থা। এটি সাধারণত কর্মক্ষেত্রের অতিরিক্ত চাপ থেকে আসে, কিন্তু জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। বার্নআউটের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চরম ক্লান্তি, কাজ থেকে মানসিক দূরত্ব, উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া এবং হতাশা ও উদ্বেগের অনুভূতি।

এমন প্রেক্ষাপটে, ‘ব্রেকআপ’ বা সম্পর্ক ভাঙার পর ছুটি চাওয়া আসলে কোনো বিলাসিতা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের বাস্তব প্রতিক্রিয়া। যখন আবেগিক বিপর্যয় মনোযোগ নষ্ট করে, তখন অল্প কিছুদিনের বিরতি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি রূপ হতে পারে।

কিন্তু সব প্রতিষ্ঠান কি এই ছুটি দেবে? সব প্রতিষ্ঠান অবশ্য এমন উদ্যোগে আগ্রহী নয়। অনেক এইচআর বিশেষজ্ঞ সতর্ক করছেন—আবেগঘন কারণকে ‘ছুটির বৈধ অজুহাত’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে নীতিগত জটিলতা ও এর অপব্যবহার হতে পারে।

অনেকে মনে করেন, অতিরিক্ত সহানুভূতি শৃঙ্খলাকে দুর্বল করতে পারে। অন্যদিকে, আধুনিক কর্মসংস্কৃতির সমর্থকেরা বলছেন—সহানুভূতি ও পেশাদারত্ব পরস্পরের বিপরীত নয়, বরং পেশাদারত্বের নতুন রূপ।

ডেলয়েটের ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ জেন-জি ও মিলেনিয়ালদের ৩৫ শতাংশ কর্মী নিয়মিত মানসিক চাপ অনুভব করেন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পারিবারিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা—এই তিন বিষয় তাদের স্ট্রেসের প্রধান কারণ।

তবে ইতিবাচক দিক হলো, অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হতে শুরু করেছে, তবে পুরোদমে খোলামেলা আলোচনা ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে এখনো ঘাটতি রয়ে গেছে।

সম্পর্ক ভাঙা বা মন ভাঙা কেন কাজের ওপর প্রভাব ফেলে

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পর্ক ভাঙার পর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব অনেকটা শোকের মতো। ঘুমের ব্যাঘাত, মনোযোগ হারানো, উদ্যম কমে যাওয়া—সবকিছুই কর্মক্ষমতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে।

তা ছাড়া যেসব কর্মী আগে থেকে কাজের চাপ ও মানসিক ক্লান্তিতে ভুগছেন, তাঁদের জন্য ব্রেকআপপরবর্তী পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এ জন্য কিছুদিনের ছুটি অনেক সময় বার্নআউট প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—সহানুভূতি ও নীতির মধ্যে ভারসাম্য আনা। এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু বাস্তবসম্মত পদ্ধতি নিতে পারে। যেমন—আবেগ বা মানসিক কারণে ‘ব্যক্তিগত ছুটি’র সুযোগ রাখা, তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যার বাধ্যবাধকতা ছাড়া। এমপ্লয়ি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের (ইএপি) আওতায় গোপনভাবে মানসিক পরামর্শ সেবা। ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তাঁরা কর্মীদের মানসিক সংকেত বুঝতে পারেন, কিন্তু অযথা ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করেন। ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পর ধাপে ধাপে কাজে ফেরার সুযোগ রাখা।

মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ ধরনের কাঠামো একদিকে কর্মীর মর্যাদা রক্ষা করে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতাও বজায় রাখে। এটি একটি মধ্যপন্থা, যেখানে মানবতা ও শৃঙ্খলা পাশাপাশি চলে।

ব্রেকআপের পর কর্মজীবনে টিকে থাকার উপায়

ব্রেকআপ বা সম্পর্ক ভাঙার পর অফিসের চাপ সামলানো সহজ নয়। বিশেষ করে, জেন-জি প্রজন্মের জন্য, যারা একই সঙ্গে বাস্তবতা, স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতির কর্মজীবনের ভার বহন করে। বিশেষজ্ঞরা এমন পরিস্থিতিতে কিছু অবশ্যকরণীয় পরামর্শ দিয়েছেন—

-আবেগের বিষয়টি মেনে নিন—মনোযোগ কমে যাওয়া স্বাভাবিক, তা অস্বীকার নয়, মেনে নিন।

-কাজ ও জীবনের সীমা টানুন—অতিরিক্ত কাজ করে দুঃখ ঢাকার চেষ্টা না করে বিশ্রাম নিন।

-সহায়তা নিন—বিশ্বাসযোগ্য সহকর্মী, বন্ধু বা কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলুন।

-ফ্লেক্সিবল বিকল্প ব্যবহার করুন—প্রয়োজনে বাসা থেকে কাজ বা স্বল্পমেয়াদি ছুটি নিন।

-রুটিন মেনে চলুন—ঘুম, ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।

-সৃজনশীলভাবে আবেগ প্রকাশ করুন—লেখা, শিল্পচর্চা বা থেরাপির মাধ্যমে মনোভাব প্রকাশ করুন।

-পেশাদারত্ব বজায় রাখুন—অফিসে পারফরম্যান্সে সাময়িক প্রভাব পড়লে খোলামেলা জানিয়ে দিন।

মনোবিজ্ঞানী বলেন, জেন-জি প্রজন্মের কাছে কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা মানে আবেগ লুকানো নয়, বরং আবেগের মধ্যেই দৃঢ় হয়ে ওঠা, যাতে ব্যক্তিগত কষ্ট পেশাদার জীবনের বাধা না হয়ে উন্নতির শক্তি হয়ে ওঠে। তাই ব্রেকআপের পর ছুটি চাওয়ার বিষয়টি জেন-জিদের জন্য লজ্জার নয়, বরং এটা কর্মক্ষেত্রে তাদের স্বচ্ছতা ও সততার প্রকাশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চিনাবাদাম কেন খাবেন

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৯
চীনাবাদাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার। ছবি: পেক্সেলস
চীনাবাদাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার। ছবি: পেক্সেলস

চিনাবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়; বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি হলেও এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চিনাবাদাম আসলে একটি শিমজাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর উচ্চ পুষ্টিগুণ এটিকে হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক করে তুলতে পারে। তাই চিনাবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার, যা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চিনাবাদামের পুষ্টি উপাদানের শক্তি

১০০ গ্রাম কাঁচা চিনবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এর পুষ্টিগুণ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে প্রোটিনের মাত্রা ২৫.৮ গ্রাম। ফ্যাট আছে প্রায় ৪৯.২ গ্রাম। তবে সেই ফ্যাটের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেমন—ওলিক অ্যাসিড ও লিনোলিক অ্যাসিড। এ ছাড়া এখানে কার্বোহাইড্রেট আছে মাত্র ১৬.১ গ্রাম। যার মধ্যে ৮.৫ গ্রাম ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী।

১০০ গ্রাম কাঁচা চীনাবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। ছবি: পেক্সেলস
১০০ গ্রাম কাঁচা চীনাবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। ছবি: পেক্সেলস

কেন খাদ্যতালিকায় রাখবেন চিনাবাদাম

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা

চিনাবাদাম হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, কপার, নিয়াসিন বা ভিটামিন বি৩ এবং রেসভেরাট্রলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড; যেমন ওলিক অ্যাসিড রক্তসঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে রাখে; যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

চিনাবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ওজন বাড়ায় না; বরং গবেষণায় দেখা গেছে, এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর কারণ এতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার তৃপ্তি বাড়ায়। ফলে অন্যান্য খাবার কম খাওয়া হয়। এটি অন্যান্য সাধারণ নামতা; যেমন রাইস কেকের তুলনায় বেশি সময় পেট ভরা রাখে। সম্পূর্ণ চিনাবাদাম ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে এর কিছু অংশ হজম না হয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ক্যালরি শোষণ কম হয়।

দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চীনাবাদাম খাওয়া নিরাপদ। ছবি: পেক্সেলস
দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চীনাবাদাম খাওয়া নিরাপদ। ছবি: পেক্সেলস

ভিটামিন খনিজের উৎস

চিনাবাদাম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের উৎস। যেমন বায়োটিন ও ফোলেট, যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে কপারের মতো উপাদান আছে, যা হৃদ্‌রোগের সুরক্ষায় সহায়ক। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক নিয়াসিন আছে। এ ছাড়া আছে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস; যা হাড়ের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘ই’ও আছে। চিনাবাদামে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা অনেক ফলের মতোই শক্তিশালী।

গলব্লাডার পাথর প্রতিরোধে ভূমিকা

কিছু পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে গলব্লাডারের পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। যেহেতু গলব্লাডারের পাথর মূলত কোলেস্টেরল দ্বারা গঠিত হয়, তাই কোলেস্টেরল হ্রাসকারী প্রভাব এর পেছনে কাজ করতে পারে।

ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না। ছবি: পেক্সেলস
ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না। ছবি: পেক্সেলস

কিছু সতর্কতা খাওয়ার নিয়ম

চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি—

অ্যালার্জি: চিনাবাদাম খুব সাধারণ এবং মারাত্মক অ্যালার্জেনগুলোর মধ্যে একটি। অ্যালার্জি থাকলে এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।

অ্যাফ্লাটক্সিন দূষণ: অনুপযুক্ত সংরক্ষণ; যেমন গরম ও আর্দ্র অবস্থা থেকে বাদামে অ্যাফ্লাটক্সিন নামক ছত্রাকজনিত বিষ উৎপন্ন হতে পারে; যা লিভারের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই শুকনো ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন এবং ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না।

অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস: এতে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড আয়রন ও জিঙ্কের শোষণ সামান্য কমাতে পারে। তবে সুষম খাদ্যে এটি সাধারণত বড় সমস্যা নয়।

খাবেন যেভাবে

দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চিনাবাদাম খাওয়া নিরাপদ। এটি ভেজানো বা সেদ্ধ করে খেলে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টসের প্রভাব কমে এবং হজম ভালো হয়।

সূত্র: হেলথলাইন, বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত