রিদা মুনাম হক
মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়
বিহ্বল-চঞ্চল-পায়
খর্জুর-বীথির ধারে
সাহারা মরুর পারে
বাজায় ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর মধুর ঝঙ্কারে...
—কাজী নজরুল ইসলাম
নজরুলসংগীতের আঙিনায় যাঁরা অহর্নিশ ঘুরে বেড়ান, তাঁদের জানতে বাকি নেই, সংগীতের এই সম্ভারে প্রেমের নানান গানে কবি প্রিয়দর্শিনীর রূপ ও সাজের বর্ণনা দিয়েছেন। বিদ্রোহী হলেও কবি তো! ফলে কল্পনা ছিল তাঁর আকাশছোঁয়া। কল্পনায় প্রিয় নারীদের তিনি সাজিয়েছেন একেবারে নিজের মতো করে। যত দূর কল্পনা করা যেতে পারে! প্রিয় নারীদের কেন্দ্র করে সাজসজ্জার যে চিত্রকল্প নজরুল এঁকেছেন, তা অসাধারণ।
মোমের পুতুল গানটিতে সাহারা মরুতে নেচে যাওয়া মেয়েটিকে একবার কল্পনা করে দেখেছেন? যেহেতু আরবীয় নারী, ফলে উচ্চতা সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা করে নেওয়া যায়। মোমের মতো পেলব শুভ্র গায়ের রং। কী মেখে সেই ত্বক হয়েছে মোমের মতো? শোনা যায়, মরুর দেশের নারীরা ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে গোলাপজল ব্যবহার করেন। শুধু তা-ই নয়, ত্বকের রং ঠিক রাখতে তাজা লেবুর রস, দুধ ও হলুদও মাখেন। ফলে দিনের পর দিন এসব উপকরণে ত্বকের যত্ন নেওয়ায় তাঁদের ত্বক মোমের পুতুলের মতোই মসৃণ হয়ে ওঠে।
নজরুলের মোমের পুতুল, মমীর দেশের মেয়েটির পরনে কী থাকতে পারে? মিসরীয় কাফতান? নাকি রত্ন বসানো সিল্কের গাউন? সে যা-ই হোক, রাজকীয় আর রত্ন বসানো পোশাক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাকিটুকু তো কবি নিজের কথাতেই বলেছেন, এই পুতুল পুতুল রমণীর দুচোখ ভর্তি সুরমা দেওয়া ছিল, যেন চোখ জোড়াই খোলা আসমান। সেই সুরমা কী করে তৈরি হয়, তা জানেন? প্রাচীনকালে মিসরীয় নারীরা চোখের সৌন্দর্যবর্ধনে ভ্রু, চোখের পাতা ও পাপড়ি ঘন কালো দেখাতে সুরমা ব্যবহার করতেন। মালাকাইট, গ্যালেনা কপার, আয়রন ম্যাঙ্গানিজ ও লিড নামের খনিজ সুরমা তৈরির উপাদান। এগুলো দুই পাথরের মধ্যে রেখে গুঁড়া করে রাখা হতো ঝিনুকের খোলের মধ্যে। এই খনিজ চূর্ণের সঙ্গে তেল বা চর্বি মিশিয়ে পেস্ট করে রাখা হতো। সাজের সময় কোনা করে কাটা কাঠি দিয়ে তা ভ্রুতে লাগানো হতো। তবে এই সুরমাই তাঁদের চোখের সৌন্দর্যের শেষ কথা নয়। মিসরীয় নারীরা ভ্রু, চোখের পাপড়ি বড়, ঘন আর কালো করতে ছোটবেলা থেকেই এক বিশেষ তেল মাখেন বলে জানা যায়।
কবির আরাধ্য এই নারীর পায়ে ছিল ঝুমুর ঝুমুর শব্দ তোলা ঘুঙুর। সেই ঘুঙুর সোনার নাকি অন্য কোনো ধাতবে তৈরি, তা জানা যায়নি। তবে সেই ঘুঙুরের মধুর ঝংকার এতকাল পরেও আমাদের মনে দোলা দেয়, তা বলতে পারি। এই রূপকে আরেকটু জীবন্ত করে তুলতে আমরা এই নারীর মাথায় রত্নখচিত টায়রা পরিয়ে দিতে পারি। আরব কন্যাদের সাজে তো এমনটাই পাওয়া যায়। আর লু হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া ওড়নাটি কি স্বর্ণাভ ছিল? হয়তো তাই!
এই সবকিছু মিলিয়েই নজরুলের মোমের পুতুল ও মমীর দেশের মেয়েরা আমাদের চিত্রকল্পে ধরা দেয়। আমরা যাপিত জীবনে তার চর্চা করি।
মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়
বিহ্বল-চঞ্চল-পায়
খর্জুর-বীথির ধারে
সাহারা মরুর পারে
বাজায় ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর মধুর ঝঙ্কারে...
—কাজী নজরুল ইসলাম
নজরুলসংগীতের আঙিনায় যাঁরা অহর্নিশ ঘুরে বেড়ান, তাঁদের জানতে বাকি নেই, সংগীতের এই সম্ভারে প্রেমের নানান গানে কবি প্রিয়দর্শিনীর রূপ ও সাজের বর্ণনা দিয়েছেন। বিদ্রোহী হলেও কবি তো! ফলে কল্পনা ছিল তাঁর আকাশছোঁয়া। কল্পনায় প্রিয় নারীদের তিনি সাজিয়েছেন একেবারে নিজের মতো করে। যত দূর কল্পনা করা যেতে পারে! প্রিয় নারীদের কেন্দ্র করে সাজসজ্জার যে চিত্রকল্প নজরুল এঁকেছেন, তা অসাধারণ।
মোমের পুতুল গানটিতে সাহারা মরুতে নেচে যাওয়া মেয়েটিকে একবার কল্পনা করে দেখেছেন? যেহেতু আরবীয় নারী, ফলে উচ্চতা সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা করে নেওয়া যায়। মোমের মতো পেলব শুভ্র গায়ের রং। কী মেখে সেই ত্বক হয়েছে মোমের মতো? শোনা যায়, মরুর দেশের নারীরা ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে গোলাপজল ব্যবহার করেন। শুধু তা-ই নয়, ত্বকের রং ঠিক রাখতে তাজা লেবুর রস, দুধ ও হলুদও মাখেন। ফলে দিনের পর দিন এসব উপকরণে ত্বকের যত্ন নেওয়ায় তাঁদের ত্বক মোমের পুতুলের মতোই মসৃণ হয়ে ওঠে।
নজরুলের মোমের পুতুল, মমীর দেশের মেয়েটির পরনে কী থাকতে পারে? মিসরীয় কাফতান? নাকি রত্ন বসানো সিল্কের গাউন? সে যা-ই হোক, রাজকীয় আর রত্ন বসানো পোশাক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাকিটুকু তো কবি নিজের কথাতেই বলেছেন, এই পুতুল পুতুল রমণীর দুচোখ ভর্তি সুরমা দেওয়া ছিল, যেন চোখ জোড়াই খোলা আসমান। সেই সুরমা কী করে তৈরি হয়, তা জানেন? প্রাচীনকালে মিসরীয় নারীরা চোখের সৌন্দর্যবর্ধনে ভ্রু, চোখের পাতা ও পাপড়ি ঘন কালো দেখাতে সুরমা ব্যবহার করতেন। মালাকাইট, গ্যালেনা কপার, আয়রন ম্যাঙ্গানিজ ও লিড নামের খনিজ সুরমা তৈরির উপাদান। এগুলো দুই পাথরের মধ্যে রেখে গুঁড়া করে রাখা হতো ঝিনুকের খোলের মধ্যে। এই খনিজ চূর্ণের সঙ্গে তেল বা চর্বি মিশিয়ে পেস্ট করে রাখা হতো। সাজের সময় কোনা করে কাটা কাঠি দিয়ে তা ভ্রুতে লাগানো হতো। তবে এই সুরমাই তাঁদের চোখের সৌন্দর্যের শেষ কথা নয়। মিসরীয় নারীরা ভ্রু, চোখের পাপড়ি বড়, ঘন আর কালো করতে ছোটবেলা থেকেই এক বিশেষ তেল মাখেন বলে জানা যায়।
কবির আরাধ্য এই নারীর পায়ে ছিল ঝুমুর ঝুমুর শব্দ তোলা ঘুঙুর। সেই ঘুঙুর সোনার নাকি অন্য কোনো ধাতবে তৈরি, তা জানা যায়নি। তবে সেই ঘুঙুরের মধুর ঝংকার এতকাল পরেও আমাদের মনে দোলা দেয়, তা বলতে পারি। এই রূপকে আরেকটু জীবন্ত করে তুলতে আমরা এই নারীর মাথায় রত্নখচিত টায়রা পরিয়ে দিতে পারি। আরব কন্যাদের সাজে তো এমনটাই পাওয়া যায়। আর লু হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া ওড়নাটি কি স্বর্ণাভ ছিল? হয়তো তাই!
এই সবকিছু মিলিয়েই নজরুলের মোমের পুতুল ও মমীর দেশের মেয়েরা আমাদের চিত্রকল্পে ধরা দেয়। আমরা যাপিত জীবনে তার চর্চা করি।
একে তো জ্যৈষ্ঠের গরম, তার ওপর দৈনন্দিন কাজের চাপের শেষ নেই। এর মধ্যে চুলের ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া না গেলে শুধু সৌন্দর্যহানিতেই ক্ষতিটা সীমাবদ্ধ থাকবে না। বর্তমানে কমবেশি সবাই চুল পড়া, চুলের স্বাভাবিক জৌলুশ ও মসৃণতা হারানোর সমস্যায় ভুগছেন। এর নেপথ্যে যত্নের অভাব, শারীরিক দুর্বলতা...
৭ ঘণ্টা আগেগ্রীষ্ম মানেই নো-মেকআপ লুক—এ কথা ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে। মানে, বলতে চাইছি, গ্রীষ্ম মানেই যে সাদামাটা মেকআপ করতে হবে, তা-ও নয়। চাইলে কায়দা করে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেআমের মৌসুমে আচার হবে না, তা নয় নাকি? হাতে সময় কম থাকলে মাত্র কয়েকটি উপকরণ দিয়ে বানিয়ে রাখতে পারেন সহজ দুই পদের আচার।
৭ ঘণ্টা আগেঘরে ও অফিসে এসি রুমে থাকার কারণে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। মরা চামড়া ওঠে এবং টান টান লাগে। রাতে ঘুমানোর সময় পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ঘুমালেও সকালে ত্বক শুষ্ক ও টান টান হয়ে ওঠে
৭ ঘণ্টা আগে