ফিচার ডেস্ক
অনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যেতে আপনার অস্বস্তি বোধ হচ্ছে বা ইচ্ছে করছে না। কিন্তু মনরক্ষার খাতিরে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই তাঁর সঙ্গে গেলেন। ভেতরে-ভেতরে রিফ্রেশ হওয়ার বদলে মেজাজটা বিগড়ে গেল। ফলে ক্ষতিটা কার হলো বলুন তো? নিজেরই।
‘না’ শব্দটির মানে যে শুধু রিজেকশন, তা কিন্তু নয়। কখনো কখনো না বলতে পারা মানে মানুষের সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যকর সীমারেখা তৈরি করা। আর এটা সম্পর্ক ও নিজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
যে কাজটি কেউ করতে বলছে, কিন্তু সেটা করার কোনো আগ্রহ বা প্রয়োজন আপনি বোধ করছেন না, সেখানে না বলার পরিবর্তে যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজটি করেন, তাহলে শক্তির অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবে না। বলা ভালো, আমতা-আমতা না করে স্পষ্ট যোগাযোগ থাকলে সম্পর্কে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়। কিন্তু এগুলো যাঁরা বোঝেন, তাঁরাও অনেক সময় জায়গামতো ‘না’ শব্দটা বলতে পারেন না। আপনিও কি এমন কাতারে পড়েন?
কাউকে কষ্ট না দিয়ে কী করে ‘না’ বলবেন বা নির্দিষ্ট কোনো কিছুতে ‘অসম্মতি’ জানাবেন, তারই কিছু উপায় বলা হলো এখানে।
প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন
কেউ যদি যেচে পড়ে আপনার কোনো কাজ করে দিতে চান, কোনো উপহার পাঠান বা এমন কোনো প্রস্তাব রাখেন, যাতে আপনার সম্মতি নেই; সে ক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছে ও প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। বলতে পারেন, ‘আমার কথা এভাবে ভাবার জন্য ধন্যবাদ। তবে এই উপহার আমি নিতে চাইছি না বা এই কাজ আমি করতে পারছি না বলে দুঃখিত।’
সরাসরি বলুন
আগ্রহ না থাকার বিষয়ে স্পষ্টভাবে ও সরাসরি বলা সব সময়ই ভালো। বলতে পারেন, ‘জিজ্ঞেস করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি চা খেতে যেতে আগ্রহী নই।’ এই সহজ কথাটি ভালো কাজ করবে। ‘আমি’ শব্দটি দিয়ে বাক্য ব্যবহার করুন। যাতে তিনি বুঝতে পারেন নিজের সিদ্ধান্তে আপনি অটল।
মিশ্র বার্তা এড়িয়ে চলুন
যদি কখনোই আপনি তাঁর সঙ্গে চা খেতে যেতে আগ্রহী না থাকেন বা অন্য কোনো কাজ করতে আগ্রহী না থাকেন, তাহলে কখনোই বলার প্রয়োজন নেই যে ‘অন্য সময় খাব।’ ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি এড়াতে দৃঢ় থাকুন। দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে তাঁদের মিথ্যা আশা দিতে চাইবেন না, নিজেও চাপে থাকবেন না। অন্য়ের কাছে সব সময় ভালো না হলেও চলবে, তবে নিজে চাপমুক্ত থাকাটা জরুরি।
কখন কঠোর হতে হবে
যখন কেউ আপনার ‘না’-কে উত্তর হিসেবে না নেয় বা যদি কেউ আপনাকে হয়রানি করতে থাকে এবং আপনি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করার পরও আপনাকে প্রস্তাব বা প্রশ্ন করেই যায়, তাহলে আরও দৃঢ় থাকুন। বলুন, ‘বারবার বলার জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমি আগ্রহী নই। দয়া করে পুনরায় জানতে চাইবেন না।’ এসব ক্ষেত্রে অনেকে ম্যানিপুলেশন কাজে লাগাতে পারেন।
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সুন্দরভাবে গ্রহণের উপায়
এবার আসা যাক মুদ্রার অন্য পিঠের গল্পে। কখনো যদি কেউ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেন বা আপনার কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বলেন, তাহলে কষ্ট পাবেন না। বরং সম্মানের সঙ্গে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন, যেকোনো স্পষ্ট সম্মতি বা অসম্মতিই গ্রহণযোগ্য। বারবার অনুরোধ না করে নিজেই সরে আসুন। সম্মান দিন তাঁদের সম্মতিকে।
আবেগগত প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে বা কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বললে আপনার খারাপ লাগতেই পারে। আপনার এই অনুভূতি বৈধ। তবে অন্য কারও ওপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়াও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই ‘না’-এর প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে নিজে কিছুটা সময় নিন, তারপর চাইলে উত্তর দিতে পারেন। সে ক্ষেত্র আপনি বলতে পারেন ‘কোনো চিন্তা নেই, শুভকামনা!’ অথবা ‘সৎ অনুভূতি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।’
ইতিবাচক থাকুন ও সহজভাবে নিন
প্রত্যাখ্যান জীবনের একটি অংশ। নিজেকে বলুন, আমি মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। মানুষও আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই অনুশীলন আপনাকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড
অনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যেতে আপনার অস্বস্তি বোধ হচ্ছে বা ইচ্ছে করছে না। কিন্তু মনরক্ষার খাতিরে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই তাঁর সঙ্গে গেলেন। ভেতরে-ভেতরে রিফ্রেশ হওয়ার বদলে মেজাজটা বিগড়ে গেল। ফলে ক্ষতিটা কার হলো বলুন তো? নিজেরই।
‘না’ শব্দটির মানে যে শুধু রিজেকশন, তা কিন্তু নয়। কখনো কখনো না বলতে পারা মানে মানুষের সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যকর সীমারেখা তৈরি করা। আর এটা সম্পর্ক ও নিজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
যে কাজটি কেউ করতে বলছে, কিন্তু সেটা করার কোনো আগ্রহ বা প্রয়োজন আপনি বোধ করছেন না, সেখানে না বলার পরিবর্তে যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজটি করেন, তাহলে শক্তির অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবে না। বলা ভালো, আমতা-আমতা না করে স্পষ্ট যোগাযোগ থাকলে সম্পর্কে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়। কিন্তু এগুলো যাঁরা বোঝেন, তাঁরাও অনেক সময় জায়গামতো ‘না’ শব্দটা বলতে পারেন না। আপনিও কি এমন কাতারে পড়েন?
কাউকে কষ্ট না দিয়ে কী করে ‘না’ বলবেন বা নির্দিষ্ট কোনো কিছুতে ‘অসম্মতি’ জানাবেন, তারই কিছু উপায় বলা হলো এখানে।
প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন
কেউ যদি যেচে পড়ে আপনার কোনো কাজ করে দিতে চান, কোনো উপহার পাঠান বা এমন কোনো প্রস্তাব রাখেন, যাতে আপনার সম্মতি নেই; সে ক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছে ও প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। বলতে পারেন, ‘আমার কথা এভাবে ভাবার জন্য ধন্যবাদ। তবে এই উপহার আমি নিতে চাইছি না বা এই কাজ আমি করতে পারছি না বলে দুঃখিত।’
সরাসরি বলুন
আগ্রহ না থাকার বিষয়ে স্পষ্টভাবে ও সরাসরি বলা সব সময়ই ভালো। বলতে পারেন, ‘জিজ্ঞেস করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি চা খেতে যেতে আগ্রহী নই।’ এই সহজ কথাটি ভালো কাজ করবে। ‘আমি’ শব্দটি দিয়ে বাক্য ব্যবহার করুন। যাতে তিনি বুঝতে পারেন নিজের সিদ্ধান্তে আপনি অটল।
মিশ্র বার্তা এড়িয়ে চলুন
যদি কখনোই আপনি তাঁর সঙ্গে চা খেতে যেতে আগ্রহী না থাকেন বা অন্য কোনো কাজ করতে আগ্রহী না থাকেন, তাহলে কখনোই বলার প্রয়োজন নেই যে ‘অন্য সময় খাব।’ ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি এড়াতে দৃঢ় থাকুন। দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে তাঁদের মিথ্যা আশা দিতে চাইবেন না, নিজেও চাপে থাকবেন না। অন্য়ের কাছে সব সময় ভালো না হলেও চলবে, তবে নিজে চাপমুক্ত থাকাটা জরুরি।
কখন কঠোর হতে হবে
যখন কেউ আপনার ‘না’-কে উত্তর হিসেবে না নেয় বা যদি কেউ আপনাকে হয়রানি করতে থাকে এবং আপনি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করার পরও আপনাকে প্রস্তাব বা প্রশ্ন করেই যায়, তাহলে আরও দৃঢ় থাকুন। বলুন, ‘বারবার বলার জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমি আগ্রহী নই। দয়া করে পুনরায় জানতে চাইবেন না।’ এসব ক্ষেত্রে অনেকে ম্যানিপুলেশন কাজে লাগাতে পারেন।
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সুন্দরভাবে গ্রহণের উপায়
এবার আসা যাক মুদ্রার অন্য পিঠের গল্পে। কখনো যদি কেউ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেন বা আপনার কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বলেন, তাহলে কষ্ট পাবেন না। বরং সম্মানের সঙ্গে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন, যেকোনো স্পষ্ট সম্মতি বা অসম্মতিই গ্রহণযোগ্য। বারবার অনুরোধ না করে নিজেই সরে আসুন। সম্মান দিন তাঁদের সম্মতিকে।
আবেগগত প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে বা কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বললে আপনার খারাপ লাগতেই পারে। আপনার এই অনুভূতি বৈধ। তবে অন্য কারও ওপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়াও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই ‘না’-এর প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে নিজে কিছুটা সময় নিন, তারপর চাইলে উত্তর দিতে পারেন। সে ক্ষেত্র আপনি বলতে পারেন ‘কোনো চিন্তা নেই, শুভকামনা!’ অথবা ‘সৎ অনুভূতি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।’
ইতিবাচক থাকুন ও সহজভাবে নিন
প্রত্যাখ্যান জীবনের একটি অংশ। নিজেকে বলুন, আমি মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। মানুষও আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই অনুশীলন আপনাকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড
কাজের চাপ, অনিদ্রা, ক্লান্তি এখন প্রায় সবার জীবনের অংশ। এমন অবস্থায় অনেকে কফি বা এনার্জি ড্রিংক পান করেন। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় দারুণ কাজ করে। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব টনিক শরীরের ক্লান্তি কমায়, মন ভালো রাখে আর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১৩ ঘণ্টা আগেতুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাক সি উপকূল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ ঘুরে পন্টিক পর্বতমালার ওপরে পৌঁছালে চোখে পড়ে এক অসাধারণ দৃশ্য—পাহাড়ের প্রাচীরের ওপর ঝুলন্ত সুমেলা মনাস্ট্রি। মনাস্ট্রির স্থাপনা দেখলে মনে হবে কোনো বিখ্যাত শিল্পী তাঁর ক্যানভাসে ছবি এঁকে রেখেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে...
১ দিন আগেছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগে