সানজিদা সামরিন, ঢাকা
সম্প্রতি ফেসবুক স্ক্রল করলেই বেশকিছু পেজে ভেসে উঠছে ত্বকে ব্যবহার করার জন্য নীল রংয়ের এক ধরনের নতুন প্যাকের ভিডিও। কোনো পেজে আবার এই নীল পাউডার কিনতেও পাওয়া যাচ্ছে। ব্লু মাস্ক বা মরোক্কান নীলা পাউডার নামে উল্লেখিত এই প্যাক আসলে কী?
মরোক্কান নীলা পাউডার, ব্লু ক্লে নামেও পরিচিত। অনেক বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার এটিকে মরুভূমির খনিজের সুক্ষ্ণ গুঁড়ো ও উদ্ভিদের নির্যাসের সংমিশ্রণে তৈরি বলে উল্লেখ করছেন। আর এই পাউডারের আকর্ষণীয় নীল রঙটি প্রাকৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণ থেকেই এসেছে। এই ব্লু ক্লে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ; যা ত্বককে উজ্জ্বল, পরিষ্কার এবং দাগমুক্ত করে তুলতে সহায়তা করে।
আবার অনেক জায়গায় উল্লেখ রয়েছে, মরোক্কান নীলা পাউডার ইন্ডিগোফেরা টিনক্টোরিয়া উদ্ভিদ থেকে তৈরি। এই উদ্ভিদটি মরক্কোর অঞ্চলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুতে জন্মায়। এই গাছের পাতা সংগ্রহ করে, শুকিয়ে মিহি নীল গুঁড়ো করে ত্বকে ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই নীলা পাউডার বা ব্লু ক্লে হিসেবে পরিচিত এই রূপচর্চার উপকরণটি এতদিন কোথায় ছিল? বিভিন্ন জায়গায় তথ্য খুঁজে জানা যায়, ত্বকচর্চায় এই উপাদান ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। সাহারা মরুভূমিতে নারীরা সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বক বাঁচাতে ও প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করার জন্য ব্লু ক্লে ব্যবহার করতেন।
প্রাচীন সৌন্দর্যের একটি রীতি ছিল, নীলা পাউডার মেশানো পানিতে লম্বা দৈর্ঘ্য়ের কাপড় ভিজিয়ে রেখে নারীরা তা দিয়ে শরীরের রোদে পোড়া অংশ মুড়িয়ে রাখতেন। এতে ত্বক হয়ে উঠত উজ্জ্বল ও পূনরুজ্জীবিত। তবে আবার অনেকেই বলেন, ত্বকে ব্যবহারের জন্য এই ব্লু ক্লে মূলত সাহারার পাথুরে পাহাড়ে পাওয়া একটি প্রাকৃতিক খনিজ।
উপকারিতা
ত্বকের রঙ উন্নত করতেই মূলত মরোক্কান নীলা পাউডার ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি ত্বকের নিস্তজভঅব কমাতে, অসমান রঙ ঠিক করতে, ব্রণের দাগ দূর করতে, ত্বকের জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বককে নরম, কোমল এবং পুষ্ট করতে এটি ভালো কাজ করে। ত্বকের ভেতর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে আনতেও মরোক্কান নীলা পাউডার বেশ কার্যকর বলে ধারণা করা হয়।
ত্বকের দাগছোপ কমাতে অতুলনীয়
মরোক্কান নীলা পাউডার মুখের সামগ্রিক হাইপারপিগমেন্টেশন এবং কালো দাগ কমাতে সক্ষম। এর প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিকারী উপাদানগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বিবর্ণতা দূর করতে কাজ করে। এই পাউডার ভিটামিন সি, হাইড্রোকুইনোন এবং নিয়াসিনামাইড সমৃদ্ধ, যা হাইপারপিগমেন্টেশনের ক্ষেত্রে খুব ভালো করে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বল আভা এনে দেয়।
যেভাবে ব্যবহার করা যায়
মরোক্কান নীলা পাউডার গোলাপজল ও অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক তৈরি করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী, ত্বকে ব্যবহারের পর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। ত্বকের ছোপছোপ দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করতে এটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার কো যেতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
খুব সংবেদনশীল ত্বকে মরোক্কান নীলা পাউডার হালকা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বকে র্যাগ হতে পারে। বিশেষ করে, ব্যবহার সময় যদি এটি সঠিকভাবে না মেশানো হয় তাহলে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই নীলা পাউডার ব্যবহারের আগে ত্বকের প্যাচ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা এই ফেসিয়াল পেস্টটি এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি আপনার ত্বককে আরও বেমি ডিহাইড্রেট করে তুলতে পারে ও ত্বকে ফুসকুড়ি এবং লালচেভাব দেখা দিতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য
সম্প্রতি ফেসবুক স্ক্রল করলেই বেশকিছু পেজে ভেসে উঠছে ত্বকে ব্যবহার করার জন্য নীল রংয়ের এক ধরনের নতুন প্যাকের ভিডিও। কোনো পেজে আবার এই নীল পাউডার কিনতেও পাওয়া যাচ্ছে। ব্লু মাস্ক বা মরোক্কান নীলা পাউডার নামে উল্লেখিত এই প্যাক আসলে কী?
মরোক্কান নীলা পাউডার, ব্লু ক্লে নামেও পরিচিত। অনেক বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার এটিকে মরুভূমির খনিজের সুক্ষ্ণ গুঁড়ো ও উদ্ভিদের নির্যাসের সংমিশ্রণে তৈরি বলে উল্লেখ করছেন। আর এই পাউডারের আকর্ষণীয় নীল রঙটি প্রাকৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণ থেকেই এসেছে। এই ব্লু ক্লে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ; যা ত্বককে উজ্জ্বল, পরিষ্কার এবং দাগমুক্ত করে তুলতে সহায়তা করে।
আবার অনেক জায়গায় উল্লেখ রয়েছে, মরোক্কান নীলা পাউডার ইন্ডিগোফেরা টিনক্টোরিয়া উদ্ভিদ থেকে তৈরি। এই উদ্ভিদটি মরক্কোর অঞ্চলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুতে জন্মায়। এই গাছের পাতা সংগ্রহ করে, শুকিয়ে মিহি নীল গুঁড়ো করে ত্বকে ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই নীলা পাউডার বা ব্লু ক্লে হিসেবে পরিচিত এই রূপচর্চার উপকরণটি এতদিন কোথায় ছিল? বিভিন্ন জায়গায় তথ্য খুঁজে জানা যায়, ত্বকচর্চায় এই উপাদান ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। সাহারা মরুভূমিতে নারীরা সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বক বাঁচাতে ও প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করার জন্য ব্লু ক্লে ব্যবহার করতেন।
প্রাচীন সৌন্দর্যের একটি রীতি ছিল, নীলা পাউডার মেশানো পানিতে লম্বা দৈর্ঘ্য়ের কাপড় ভিজিয়ে রেখে নারীরা তা দিয়ে শরীরের রোদে পোড়া অংশ মুড়িয়ে রাখতেন। এতে ত্বক হয়ে উঠত উজ্জ্বল ও পূনরুজ্জীবিত। তবে আবার অনেকেই বলেন, ত্বকে ব্যবহারের জন্য এই ব্লু ক্লে মূলত সাহারার পাথুরে পাহাড়ে পাওয়া একটি প্রাকৃতিক খনিজ।
উপকারিতা
ত্বকের রঙ উন্নত করতেই মূলত মরোক্কান নীলা পাউডার ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি ত্বকের নিস্তজভঅব কমাতে, অসমান রঙ ঠিক করতে, ব্রণের দাগ দূর করতে, ত্বকের জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বককে নরম, কোমল এবং পুষ্ট করতে এটি ভালো কাজ করে। ত্বকের ভেতর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে আনতেও মরোক্কান নীলা পাউডার বেশ কার্যকর বলে ধারণা করা হয়।
ত্বকের দাগছোপ কমাতে অতুলনীয়
মরোক্কান নীলা পাউডার মুখের সামগ্রিক হাইপারপিগমেন্টেশন এবং কালো দাগ কমাতে সক্ষম। এর প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিকারী উপাদানগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বিবর্ণতা দূর করতে কাজ করে। এই পাউডার ভিটামিন সি, হাইড্রোকুইনোন এবং নিয়াসিনামাইড সমৃদ্ধ, যা হাইপারপিগমেন্টেশনের ক্ষেত্রে খুব ভালো করে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বল আভা এনে দেয়।
যেভাবে ব্যবহার করা যায়
মরোক্কান নীলা পাউডার গোলাপজল ও অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক তৈরি করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী, ত্বকে ব্যবহারের পর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। ত্বকের ছোপছোপ দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করতে এটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার কো যেতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
খুব সংবেদনশীল ত্বকে মরোক্কান নীলা পাউডার হালকা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বকে র্যাগ হতে পারে। বিশেষ করে, ব্যবহার সময় যদি এটি সঠিকভাবে না মেশানো হয় তাহলে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই নীলা পাউডার ব্যবহারের আগে ত্বকের প্যাচ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা এই ফেসিয়াল পেস্টটি এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি আপনার ত্বককে আরও বেমি ডিহাইড্রেট করে তুলতে পারে ও ত্বকে ফুসকুড়ি এবং লালচেভাব দেখা দিতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য
চিংড়ি ভাপা তো অনেক খেয়েছেন। কিন্তু তিলবাটা দিয়ে কখনো রেঁধেছেন? আপনাদের জন্য তিল চিংড়ি ভাপার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১৫ ঘণ্টা আগেদ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রতিবছর গ্লোবাল লাইভেবিলিটি ইনডেক্সের মাধ্যমে বাসযোগ্যতাসহ কিছু মানদণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করে। ২০২৫ সালে এই সংস্থাটির তালিকায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই তালিকার শীর্ষে ছিল ভিয়েনা। এবার শীর্ষ বসবাসযোগ্য শহরের স্বীকৃতি...
২০ ঘণ্টা আগেত্বকের পরিপূর্ণ আরাম ও যত্নের জন্য স্পার ভূমিকা অনেক। এই স্পা করতে যাঁরা স্যালন বা পারলারে যেতে পারেন না, তাঁরা ঘরে বসে নিজের মতো যত্ন নিতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন ইচ্ছা ও সময়। ঠিকমতো স্পা করতে পারলে ত্বক আর চুলের ইতিবাচক বদলটা নিজেই দেখতে পাবেন।
১ দিন আগেওজন বাড়ার সঙ্গে হাঁটুব্যথা, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। তেমনি ত্বকেও দেখা দেয় সোরিয়াসিস, ব্রণ এমনকি ক্যানসারসহ নানান সমস্যা ও রোগ।
১ দিন আগে