Ajker Patrika

নতুন বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে শিক্ষার্থীরা

নতুন বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে বিষয় নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন, খণ্ডকালীন কাজ, সহপাঠ কার্যক্রমসহ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জরুরি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেখ শাহরিয়ার

আজকের পত্রিকা: কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলছে, কোনো কোনোটির ভর্তি পরীক্ষা হয়তো দ্রুতই শুরু হবে। বিষয় নির্বাচনে আপনার পরামর্শ কী?
ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন: দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন অনেক। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে চাহিদা রয়েছে এমন নতুন নতুন বিষয়ে পাঠদান শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আমি বলব, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, কলা-সামাজিক বিজ্ঞান বা অন্য যে ইউনিটেই পড়ুক না কেন, সফল হওয়ার সম্ভাবনা কারও কম নয়। কেউ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার-তথ্যপ্রযুক্তিতে পড়তে চায়। কেউ পরিসংখ্যান পছন্দ করতে পারে, কেউবা অ্যাগ্রিকালচার পছন্দ করে, কেউ ইতিহাস পছন্দ করে। উচ্চশিক্ষার জন্য যে বিষয়ই বেছে নেওয়া হোক না কেন, ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর জন্য পরিশ্রম করতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আইটি স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল, ইতিহাস জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান খুবই প্রয়োজনীয়। মোদ্দাকথা, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতাই সাফল্যের মূলমন্ত্র। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সে কথাটিই বলেছেন, ‘এখন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই, দক্ষতাই যথেষ্ট।’ সেই সমাজে কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে চলে এসেছি।

আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
সাজ্জাদ হোসেন: শুধু সনদনির্ভর পড়াশোনার কোনো মূল্য নেই। দেশের প্রেক্ষাপটে সনদের মূল্য থাকলেও হাতেকলমে শেখার মূল্য অনেক। একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা করতে পারে, নানা বিষয়ে কোর্স করতে পারে, পড়াশোনা-সংশ্লিষ্ট কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। ভাষা দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় কোনো ভাষা জানা খুবই ভালো বিষয়। কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষতাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে বসে ইউটিউবেও এসব শেখা যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষাসহ অনেক ধরনের বিনা পয়সার কোর্স আছে। এখনই চাকরি করা দরকার—এ রকম পরিস্থিতি হলে সেই শিক্ষার্থীকে চাকরির বাজারের উপযোগী দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেব। অনেকে পার্টটাইম কাজ করতে পারে, উদ্যোক্তা হতে পারে বা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারে। দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়, আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে ঘরে বসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করছে।

আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজ করে রোজগারের সুযোগ আছে কি?
সাজ্জাদ হোসেন: কোনো কাজ ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করে। অনেকে স্কুলে পড়ায়, সেটিও কিন্তু কাজ। কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। প্রথম থেকেই চিন্তা করতে হবে, আমি কোনো একটি জায়গায় কাজ করব। শিল্পকারখানায় কাজ করতে পারে। এমনকি ভার্সিটির ক্যানটিনেও কাজ করতে পারে। রেস্টুরেন্টে কাজ করতে পারে। কোনো প্রতিষ্ঠানে সেলস বা ম্যানেজারের কাজ করতে পারে। আমি যখন আমেরিকায় ছিলাম, রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। পড়ালেখা শেষে ইন্টার্নশিপের সুযোগ থাকলে সেটি লুফে নিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন শিক্ষার্থী কোনো সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করতে পারে। শিল্পকারখানায় গিয়ে কাজ করতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা চাকরির বাজারে অনেক কাজে দেবে।

ইউজিসি ভবনআজকের পত্রিকা: বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনে খণ্ডকালীন কাজ, স্বেচ্ছাসেবী বা সহপাঠ কার্যক্রম কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
সাজ্জাদ হোসেন: বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের শুরু থেকে একজন শিক্ষার্থী বিতর্ক, নাটক, আবৃত্তি, সাহিত্য, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখলে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবে। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম, খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকলে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ তৈরি হয়। ছাত্রাবস্থায় সহপাঠ কার্যক্রম বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলে, খণ্ডকালীন কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে আর দশজনের চেয়ে তার সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে করণীয় কী?
সাজ্জাদ হোসেন: এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। নতুন সমাজব্যবস্থা বুঝতে হবে, নতুন টেকনোলজি আয়ত্ত করতে হবে। নলেজ বেইসড সোসাইটি, পারফরম্যান্স বেইসড সোসাইটি খুব দূরে নয়। প্রযুক্তির এই বিপ্লবে বাংলাদেশ অগ্রগামী। শিক্ষার্থীদেরও পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। শেখার অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি জেলায় কম্পিউটার, তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণকেন্দ্র আছে। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হয়েছে। ইন্টারনেট তো আছেই। এসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। টেকনোলজি এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এসেছে, টেকনোলজির মধ্যেই ব্যবসা তৈরি হচ্ছে, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ তৈরি হচ্ছে। নতুন এই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতে হবে। এর জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জন না করেই যদি বলি ‘চাকরি চাই’, তখন কিন্তু দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এশিয়ার সেরা ফাইন ডাইনিংয়ে ভিয়েতনামের পাঁচ রেস্তোরাঁ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০০
ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামের খাবার পাওয়া যায় তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দ্য রিদমস্ রেস্তোরাঁয়। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামের খাবার পাওয়া যায় তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দ্য রিদমস্ রেস্তোরাঁয়। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

ভিয়েতনামের রন্ধনশৈলী এখন বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পাচ্ছে। সম্প্রতি ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ট্রিপ অ্যাডভাইজর তাদের পাঠক পর্যালোচনার ভিত্তিতে এশিয়া মহাদেশের ২৫টি সেরা ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে ভিয়েতনামের পাঁচটি নামকরা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হ্যানয় থেকে তিনটি, হো চি মিন সিটি থেকে একটি এবং অন্যটি হই আন থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

২০২৪-এর ১ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ১২ মাস সময়কালে ট্রিপ অ্যাডভাইজরে পোস্ট করা পর্যটকদের পর্যালোচনা ও রেটিংয়ের গুণমান এবং পরিমাণ বিবেচনায় নেওয়া হয় এ জরিপের জন্য। এর ভিত্তিতে এ বছরের ট্রাভেলার্স চয়েস বেস্ট অব দ্য বেস্ট রেস্তোরাঁ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। ট্রিপ অ্যাডভাইজরের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টেন ডাল্টন বলেন, ‘অখ্যাত স্থানীয় রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে অনন্য গন্তব্য পর্যন্ত ট্রিপ অ্যাডভাইজরের এই কমিউনিটি পর্যটকদের এমন রেস্তোরাঁর খোঁজ দেয়, যা প্রিয় স্মৃতি বা ‘জীবনে একবারে’র অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।’

রাজধানী থেকে তিন তারকার ঝলক

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় থেকে তিনটি ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁ এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। শহরটি যে খাদ্য-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ, এ তালিকা তাই প্রমাণ করে। রেস্তোরাঁগুলো হলো:

এশীয় উপকরণ ব্যবহার করে ইউরোপীয় কৌশলে রান্না খাবার মেলে নভেম্বর রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড স্কাই বারে। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
এশীয় উপকরণ ব্যবহার করে ইউরোপীয় কৌশলে রান্না খাবার মেলে নভেম্বর রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড স্কাই বারে। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

দ্য রিদমস রেস্টুরেন্ট: শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত লা সিনফোনিয়া দেল রে হোটেল অ্যান্ড স্পার সপ্তম তলায় অবস্থিত এ রেস্তোরাঁটি তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের বিশেষত্ব হলো, মেনুতে উপস্থিত ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামের খাবার। উত্তর-পশ্চিম ভিয়েতনামের স্টাইলে তৈরি রোস্টেড চিকেন, স্প্রিং রোলস ও আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করা কলার রোলস।

নভেম্বর রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড স্কাই বার: হ্যানয়ের বা দিন ওয়ার্ডের লে জার্দিন হোটেল হাউত কাউচারের ভেতরে অবস্থিত এ রেস্তোরাঁটি তালিকায় দশম স্থান অর্জন করেছে। এখানে এশীয় উপকরণ ব্যবহার করে ইউরোপীয় কৌশলে তৈরি খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রতিটি খাবারকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মতো করে তুলে ধরে খুয়ে রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
প্রতিটি খাবারকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মতো করে তুলে ধরে খুয়ে রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

খুয়ে রেস্টুরেন্ট: লে জার্দিন হোটেল হাউত কাউচারের ১২তম তলায় অবস্থিত খুয়ে রেস্তোরাঁটি পেয়েছে দ্বাদশ স্থান। ট্রিপ অ্যাডভাইজর লিখেছে, ‘খুয়ে রেস্তোরাঁর উন্নত সজ্জা ও সতর্কতার সঙ্গে তৈরি মেনুর কারণে প্রতিটি খাবারকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়।’ এটিই তার প্রধান আকর্ষণ।

ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণ

ঐতিহ্যবাহী শহর হই আন এবং আধুনিক হো চি মিন সিটিও বিশ্বমানের ফাইন ডাইনিংয়ের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।

দ্য সউল রেস্টুরেন্ট: হোয়াই নদের তীরে সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি শান্ত বাগানের মধ্যে অবস্থিত এ রেস্তোরাঁটি তালিকায় সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। এখানে বসলে হই আনের ব্যস্ততা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপভোগ করা যায়। ভিয়েতনাম ও পাশ্চাত্য খাবারের মিশ্রণে একটি বিশেষ মেনু পাওয়া যায় এখানে, যা হালকা ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে চার কোর্সের ভোজ পর্যন্ত বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে।

হোয়াই নদের তীরে সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি শান্ত বাগানে দ্য সউল রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
হোয়াই নদের তীরে সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি শান্ত বাগানে দ্য সউল রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

লাই রেস্টুরেন্ট: নাম কি খোই নিয়া স্ট্রিটে সেডোনা স্যুইটসের ২৮তম তলায় অবস্থিত লাই রেস্তোরাঁ জায়গা পেয়েছে এ তালিকার ২৫ নম্বরে। রেস্তোরাঁর ইন্টেরিয়র সাজানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চীনা সজ্জায়। এর সঙ্গে জায়গা পেয়েছে আধুনিক চিত্রকর্ম ও ফুল। এ রেস্তোরাঁর জানালা ছড়িয়ে আছে মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত। এ জানালা দিয়ে শহরের বিস্তৃত দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানকার মেনু ক্ল্যাসিক ক্যান্টনিজ খাবারের সঙ্গে সমসাময়িক উপাদান ও দক্ষিণ এশীয় স্বাদের একটি ফিউশন নিয়ে তৈরি। তাদের বিশেষ খাবারের মধ্যে রয়েছে পিকিং ডাক ও ডিম সাম।

সূত্র: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পৃথিবীর একমাত্র মরিচ উৎসবে একদিন

মইনুল হাসান, ফ্রান্স  
ফ্রান্সের স্পোলেত গ্রামে অনুষ্ঠিত মরিচ মেলায় আসা দর্শক। ছবি: লেখক
ফ্রান্সের স্পোলেত গ্রামে অনুষ্ঠিত মরিচ মেলায় আসা দর্শক। ছবি: লেখক

ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে একদম স্পেনের সীমান্ত ঘেঁষে পিরিনিজ পর্বতমালা। এই পর্বতমালার পাদদেশে দুই দেশ মিলিয়ে ছবির মতো বিশাল পাহাড়ি উপত্যকায় প্রাচীনকাল থেকে বসবাস বাস্ক জাতির মানুষেরা। নিজস্ব ভাষা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ধারক এ জাতির মানুষ নিজেদের বাস্ক হিসেবে পরিচয় দিতেই গর্ববোধ করে।

বাস্ক তরুণী জুলি, তাঁর মরিচ ও মরিচের পণ্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবে। ছবি: লেখক।
বাস্ক তরুণী জুলি, তাঁর মরিচ ও মরিচের পণ্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবে। ছবি: লেখক।

একদিকে পর্বত, অন্যদিকে অতল অতলান্তিক মহাসাগরের বিশাল জলরাশির মিলে অপার্থিব নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সবটুকু যেন এখানেই ঘনীভূত হয়েছে। এই অঞ্চলেই ফ্রান্সের বাইওন শহর থেকে ২২ কিলোমিটার বা ১৮ মাইল দূরে পর্বতের কোলে আছে নির্জন, নিভৃত ছোট্ট একটি গ্রাম—স্পোলেত।

প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন, সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে একটি বিশেষে জাতের মরিচ। ফরাসি ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘পিমো দ্য স্পোলেত’ অর্থাৎ স্পোলেতের মরিচ। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এর একটি খটমটে নাম দিয়েছেন, তা হলো ক্যাপসিকাম অ্যানুয়াম, প্রকরণ গোরিয়া। ১৬ শতকে স্প্যানিশ পরিব্রাজক খুয়ান সেবাস্তিয়ান এলকানো মেক্সিকো থেকে এই মরিচ ইউরোপের নিয়ে আসেন। সেই ১৬৫০ থেকে এই অঞ্চলের কৃষকেরা পিমো দ্য স্পোলেত নামে এই মরিচ চাষ করতে শুরু করেন।

স্পোলেতের মরিচ। ছবি: লেখক।
স্পোলেতের মরিচ। ছবি: লেখক।

উজ্জ্বল লাল রঙের, চমৎকার ঘ্রাণের, একটু মিষ্টি ও হালকা ঝালের এই বিশেষ জাতের মরিচ প্রথম দিকে শুধু ঔষধি এবং কাঁচা মাংস সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হতো। পরে গোলমরিচের অভাব পূরণে রান্না করা খাদ্যের স্বাদে আলাদা ব্যঞ্জনা আর ঝাঁজের জন্য ব্যবহার হতে শুরু করলে ফরাসি ও স্প্যানিশদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পিমো দ্য স্পোলেতকে ঘিরে গড়ে ওঠে আলাদা মাত্রার রন্ধনকৌলীন্য, এক সমৃদ্ধ ও সম্পূর্ণ ভিন্ন খাদ্যসংস্কৃতি। এই অঞ্চলের জীবন আবর্তিত হয় এই মরিচ ঘিরে। ফ্রান্স ও স্পেনের মানুষ এবং শেফদের খুব প্রিয় এই বিশেষ জাতের মসলা।

প্রতিবছর, অক্টোবরের শেষ শনি ও রোববার, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এই ছোট্ট নির্জন গ্রামের নৈঃশব্দ্য ভেঙে ভিড় করে বহু মানুষ। দূরদূরান্ত থেকে দেশ-বিদেশের মরিচপ্রেমীরা এখানে ভিড় করেন—বসে এক মহা মিলনমেলা। ৫৬ বছর ধরে, অর্থাৎ ১৯৬৯ সাল থেকে এমনটাই চলে আসছে। এমন জাঁকজমক আর জমজমাট আয়োজনের কেন্দ্রে আছে এই বিশেষ জাতের মরিচ।

মরিচের গয়না। ছবি: লেখক।
মরিচের গয়না। ছবি: লেখক।

২৫ অক্টোবর শনিবার, সকাল থেকে স্পোলেত গ্রামে ভিড় বাড়তে থাকে। পাহাড়ি পথ ধরে সারি সারি গাড়ির বহর। বিশাল অঙ্গনে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং চলাচলের সুবিধার জন্য সরকারি বাহিনীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের দল গলদঘর্ম হচ্ছে। তারপরেও তাদের মুখে হাসির ঝিলিক। আমরাও মিশে গেলাম বহু ভিনদেশির সঙ্গে। বাদকদের দল বাদ্য বাজিয়ে বিয়েবাড়ির আমেজ সৃষ্টি করছিল। বাস্ক তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী নাচে মুগ্ধ করছে আগতদের।

অনেকটা উঁচু এক বিশাল জায়গাজুড়ে স্পোলেতের মরিচ এবং মরিচজাত নানান পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন উৎপাদনকারীরা। হাসিমুখে উৎসুক দর্শনার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তাঁরা। দেখা হলো মসিয়ঁ পিয়ের ডিহার্চের সঙ্গে। তিনি এসেছেন স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে। বহু বছর ধরে তিনি এই মরিচের চাষ করেন এবং তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করেন নিজ হাতে। তিনি জানালেন, মোট ১০টি গ্রামে এই মরিচের চাষ হয়। ১৫০ জন কৃষক বছরে প্রায় ১০০ টন মরিচ উৎপাদন করেন। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফলন হয়। আরও বললেন, ভিটামিনের ভালো উৎস এই মরিচ হজমশক্তি বাড়ায়। ওজন কমাতে, বিপাকে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

মরিচ চাষি মসিয়ঁ পিয়ের ডিহার্চ। নিজের উৎপাদিত মরিচ নিয়ে জায়া ও পুত্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবে। ছবি: লেখক।
মরিচ চাষি মসিয়ঁ পিয়ের ডিহার্চ। নিজের উৎপাদিত মরিচ নিয়ে জায়া ও পুত্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবে। ছবি: লেখক।

আমাদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল দুই মরিচকন্যার—ক্লারা ও রেবেকা। ছবি তুলতে চাইলে মিষ্টি হেসে রাজি হয়ে গেলেন। বাস্ক তরুণী জুলি, তাঁর মরিচ ও মরিচের পণ্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবে। অনেকের সঙ্গে দেখা হলো, আলাপ হলো। সবাই খুব আন্তরিক।

পরদিন রোববার একই রকম আয়োজন। শেষ হলো পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে। সেরা মরিচ উৎপাদনকারীকে পুরস্কারের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়।

উৎসবে মরিচকন্যা ক্লারা ও রেবেকা। ছবি: লেখক।
উৎসবে মরিচকন্যা ক্লারা ও রেবেকা। ছবি: লেখক।

এ বছর, ২০২৫-এ মরিচের তীর্থে এসেছিলেন প্রায় ২৫ হাজার মরিচ ভোক্তা ও ভক্ত। এমন করেই প্রতিবছর মরিচের প্রার্থনাসংগীত দিয়ে শুরু হয় দুদিনব্যাপী জমজমাট উৎসবের। উদ্‌যাপিত হয় মরিচের রাজধানীতে পৃথিবীর একমাত্র মরিচ উৎসব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করার পর চুল তৈলাক্ত হয়ে পড়ে? ৫ উপায়ে সমস্যার সমাধান করুন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ওয়ার্কআউট করলে কি প্রতিদিনই চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে? ছবি: পেক্সেল
ওয়ার্কআউট করলে কি প্রতিদিনই চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে? ছবি: পেক্সেল

জিমে ওয়ার্কআউট সেরে বাড়ি ফিরে চুল না ধোয়া পর্যন্ত শান্তি থাকে না। যাঁরা প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করেন, তাঁদের মনে একটা প্রশ্ন রয়েই যায়, প্রতিদিনই কি চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত? আবার কী করে চুল বাঁধলে ব্যায়ামের ফলে চুলের গোড়ায় বেশি ঘাম জমবে না, এ নিয়েও অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। আন্তর্জাতিক ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে মিলল এসব প্রশ্নের সমাধান। দেখে নিন একনজরে।

ঢিলেঢালা বেণি করুন

জিমের সময় ঢিলেঢালা বেণি বা খোঁপা করলে চুল খুব বেশি ঘামবে না, আবার চুল ভাঙার আশঙ্কাও থাকবে না। ছবি: পেক্সেলস
জিমের সময় ঢিলেঢালা বেণি বা খোঁপা করলে চুল খুব বেশি ঘামবে না, আবার চুল ভাঙার আশঙ্কাও থাকবে না। ছবি: পেক্সেলস

জিম করার সময় অনেকে চুল খোলা রাখেন। এতে করে চুল ভাঙার আশঙ্কা থাকে। আবার যাঁদের মুখে ব্রণ রয়েছে, বারবার চুল মুখে এসে লেগে যাওয়ার ফলে সংক্রমণও হতে পারে। অনেকে আবার খুব টাইট করে উঁচু পনিটেইল করে জিমে যান। তাঁদের চুলের গোড়া বেশি ঘাম জমে। এর ফলে মাথার ত্বকে চুলকানি ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর চেয়ে জিমে যাওয়ার সময় যদি ঢিলেঢালা বেণি বা খোঁপা করে নেওয়া যায়, তাহলে চুলের ভেতর বাতাস চলাচল করতে পারে। এতে চুল খুব বেশি ঘামবে না, আবার চুল ভাঙার আশঙ্কাও থাকবে না।

ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন

ঘামের কারণে প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে গিয়ে চুল রুক্ষ হয়ে উঠলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করার সময় তালুর এমন জায়গায় স্প্রে করুন যে অংশ বেশি তৈলাক্ত। ড্রাই শ্যাম্পুর বোতল মাথার ত্বক থেকে অন্তত ৯ ইঞ্চি দূরে ধরে স্প্রে করুন। এরপর আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে হালকা ম্যাসাজ করে নিন। এতে শ্যাম্পু আরও ভালোভাবে মিশে যাবে। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে সপ্তাহে তিন দিন চুল ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট।

ভেজা চুলে ব্যায়াম করার সময় মাথার ত্বক ঘেমে গেলে চুল ঝরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ছবি: পেক্সেলস
ভেজা চুলে ব্যায়াম করার সময় মাথার ত্বক ঘেমে গেলে চুল ঝরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ছবি: পেক্সেলস

ভেজা চুলে ব্যায়াম করবেন না

ওয়ার্কআউটের ঠিক আগে গোসল করেছেন? বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন? আপনার দিনের ব্যায়াম এখানেই শেষ। কারণ, ভেজা চুলে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। ভেজা চুলে ব্যায়াম করার সময় যদি মাথার ত্বক ঘামে, তাহলে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল ঝরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের চারপাশের দূষণের কারণে বৃষ্টির পানিও ততটা পরিষ্কার নয় এবং এটি আপনার মাথার ত্বকে বসতে দিলে চুলের গোড়ার ক্ষতি এবং খুশকির মতো আরও সমস্যা হতে পারে।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন

চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা এড়াতে প্রতিদিন ওয়ার্কআউটের পরে চুল ধুতে নিষেধ করা হয়। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, না ধোয়া চুল ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের উৎস হতে পারে। এ জন্য মাথার ত্বকের ঘাম মুছে ফেলার জন্য আলাদা তোয়ালে বা টিস্যু ব্যবহার করা জরুরি। যাঁরা ওয়ার্কআউটের পর চুল না ধুয়ে থাকতে পারেন না, তাঁরা সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। প্রতিবার ধোয়ার পর চুলে স্মুথিং সেরাম ব্যবহার করুন।

ব্যায়াম শেষে চুল ছেড়ে বাতাসে শুকাতে হবে

ওয়ার্কআউটের পর চুল বেঁধে রাখবেন। তখন আপনার মাথার ত্বককে শ্বাস নিতে দিতে হবে এবং ওয়ার্কআউটের সময় তৈরি হওয়া আর্দ্রতা বের করে দিতে হবে। ব্যায়াম শেষে মাথার ত্বকে তাপ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। সে জন্য ড্রায়ার ব্যবহারের পরিবর্তে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকানোর চেষ্টা করুন। এ সময় আঙুল দিয়ে চুলের জট ছাড়ানোর পর চওড়া দাঁতের চিরুনি দিয়ে একবার আঁচড়ে নিন। যদি আপনি ব্লো-ড্রায়ার ব্যবহার করতেই চান, তাহলে কুল এয়ার ব্যবহার করুন। এটি আপনার মাথার ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেবে, কিন্তু চুলকে অতিরিক্ত শুষ্ক করবে না।

জেনে রাখা ভালো

  • জিমে একই যন্ত্রপাতি ও ম্যাট প্রায় সবাই ব্যবহার করেন। ফলে ঘাম বা ব্যাকটেরিয়া যাতে আপনার চুলে লেগে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম না হলে এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করা যাবে। প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
  • সুতির হেয়ারব্যান্ড ব্যবহার করুন।

ছবি: পেক্সেলস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়িতেই তৈরি করুন ভিন্ন স্বাদের কতবেল মাখা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
পাকা কতবেল
পাকা কতবেল

শহরের অলিগলিতে এখন কতবেল মাখা বিক্রি হচ্ছে। ঝাল বাড়িয়ে জম্পেশ করে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন থাহলে ঘরেই তৈরি করে নিন জিবে জল আনা কতবেল মাখা। আপনাদের জন্য একটু ভিন্ন স্বাদের কতবেল মাখার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানার্সআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর

উপকরণ

পাকা কতবেল ১টি, লেবুর রস ১ চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ মিহি কুচি ১টি, লবণ এক চিমটি, বিট লবণ ১ চা-চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ, ধনেপাতাকুচি ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতার কুচি আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ।

কতবেল মাখা
কতবেল মাখা

প্রণালি

একটি পাত্রে কতবেল ও লেবুর রস বাদে বাকি উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিতে হবে। এরপর মসলার মিশ্রণের সঙ্গে কতবেল আর লেবুর রস দিয়ে মেখে পরিবেশন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত