Ajker Patrika

নতুন বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে শিক্ষার্থীরা

নতুন বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে বিষয় নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন, খণ্ডকালীন কাজ, সহপাঠ কার্যক্রমসহ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জরুরি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেখ শাহরিয়ার

আজকের পত্রিকা: কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলছে, কোনো কোনোটির ভর্তি পরীক্ষা হয়তো দ্রুতই শুরু হবে। বিষয় নির্বাচনে আপনার পরামর্শ কী?
ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন: দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন অনেক। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে চাহিদা রয়েছে এমন নতুন নতুন বিষয়ে পাঠদান শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আমি বলব, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, কলা-সামাজিক বিজ্ঞান বা অন্য যে ইউনিটেই পড়ুক না কেন, সফল হওয়ার সম্ভাবনা কারও কম নয়। কেউ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার-তথ্যপ্রযুক্তিতে পড়তে চায়। কেউ পরিসংখ্যান পছন্দ করতে পারে, কেউবা অ্যাগ্রিকালচার পছন্দ করে, কেউ ইতিহাস পছন্দ করে। উচ্চশিক্ষার জন্য যে বিষয়ই বেছে নেওয়া হোক না কেন, ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর জন্য পরিশ্রম করতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আইটি স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল, ইতিহাস জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান খুবই প্রয়োজনীয়। মোদ্দাকথা, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতাই সাফল্যের মূলমন্ত্র। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সে কথাটিই বলেছেন, ‘এখন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই, দক্ষতাই যথেষ্ট।’ সেই সমাজে কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে চলে এসেছি।

আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
সাজ্জাদ হোসেন: শুধু সনদনির্ভর পড়াশোনার কোনো মূল্য নেই। দেশের প্রেক্ষাপটে সনদের মূল্য থাকলেও হাতেকলমে শেখার মূল্য অনেক। একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা করতে পারে, নানা বিষয়ে কোর্স করতে পারে, পড়াশোনা-সংশ্লিষ্ট কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। ভাষা দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় কোনো ভাষা জানা খুবই ভালো বিষয়। কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষতাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে বসে ইউটিউবেও এসব শেখা যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষাসহ অনেক ধরনের বিনা পয়সার কোর্স আছে। এখনই চাকরি করা দরকার—এ রকম পরিস্থিতি হলে সেই শিক্ষার্থীকে চাকরির বাজারের উপযোগী দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেব। অনেকে পার্টটাইম কাজ করতে পারে, উদ্যোক্তা হতে পারে বা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারে। দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়, আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে ঘরে বসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করছে।

আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজ করে রোজগারের সুযোগ আছে কি?
সাজ্জাদ হোসেন: কোনো কাজ ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করে। অনেকে স্কুলে পড়ায়, সেটিও কিন্তু কাজ। কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। প্রথম থেকেই চিন্তা করতে হবে, আমি কোনো একটি জায়গায় কাজ করব। শিল্পকারখানায় কাজ করতে পারে। এমনকি ভার্সিটির ক্যানটিনেও কাজ করতে পারে। রেস্টুরেন্টে কাজ করতে পারে। কোনো প্রতিষ্ঠানে সেলস বা ম্যানেজারের কাজ করতে পারে। আমি যখন আমেরিকায় ছিলাম, রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। পড়ালেখা শেষে ইন্টার্নশিপের সুযোগ থাকলে সেটি লুফে নিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন শিক্ষার্থী কোনো সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করতে পারে। শিল্পকারখানায় গিয়ে কাজ করতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা চাকরির বাজারে অনেক কাজে দেবে।

ইউজিসি ভবনআজকের পত্রিকা: বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনে খণ্ডকালীন কাজ, স্বেচ্ছাসেবী বা সহপাঠ কার্যক্রম কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
সাজ্জাদ হোসেন: বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের শুরু থেকে একজন শিক্ষার্থী বিতর্ক, নাটক, আবৃত্তি, সাহিত্য, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখলে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবে। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম, খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকলে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ তৈরি হয়। ছাত্রাবস্থায় সহপাঠ কার্যক্রম বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলে, খণ্ডকালীন কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে আর দশজনের চেয়ে তার সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে করণীয় কী?
সাজ্জাদ হোসেন: এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। নতুন সমাজব্যবস্থা বুঝতে হবে, নতুন টেকনোলজি আয়ত্ত করতে হবে। নলেজ বেইসড সোসাইটি, পারফরম্যান্স বেইসড সোসাইটি খুব দূরে নয়। প্রযুক্তির এই বিপ্লবে বাংলাদেশ অগ্রগামী। শিক্ষার্থীদেরও পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। শেখার অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি জেলায় কম্পিউটার, তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণকেন্দ্র আছে। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হয়েছে। ইন্টারনেট তো আছেই। এসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। টেকনোলজি এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এসেছে, টেকনোলজির মধ্যেই ব্যবসা তৈরি হচ্ছে, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ তৈরি হচ্ছে। নতুন এই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতে হবে। এর জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জন না করেই যদি বলি ‘চাকরি চাই’, তখন কিন্তু দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়িতেই তৈরি করুন ভিন্ন স্বাদের কতবেল মাখা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
পাকা কতবেল
পাকা কতবেল

শহরের অলিগলিতে এখন কতবেল মাখা বিক্রি হচ্ছে। ঝাল বাড়িয়ে জম্পেশ করে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন থাহলে ঘরেই তৈরি করে নিন জিবে জল আনা কতবেল মাখা। আপনাদের জন্য একটু ভিন্ন স্বাদের কতবেল মাখার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানার্সআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর

উপকরণ

পাকা কতবেল ১টি, লেবুর রস ১ চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ মিহি কুচি ১টি, লবণ এক চিমটি, বিট লবণ ১ চা-চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ, ধনেপাতাকুচি ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতার কুচি আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ।

কতবেল মাখা
কতবেল মাখা

প্রণালি

একটি পাত্রে কতবেল ও লেবুর রস বাদে বাকি উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিতে হবে। এরপর মসলার মিশ্রণের সঙ্গে কতবেল আর লেবুর রস দিয়ে মেখে পরিবেশন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিতাস থেকে বুড়িগঙ্গা

রজত কান্তি রায়, ঢাকা  
তিতাস থেকে বুড়িগঙ্গা

তিতাস একটি নদীর নাম। এই নদীতীরে গোকর্ণ গ্রাম। এখন অবশ্য তা গোকর্ণ ঘাট নামে পরিচিত। সেই ঘাটে এসে ভিড়ল আমাদের বহনকারী বোট। তবে যাত্রার শুরুটা হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার ঘাট থেকে। সেখান থেকে শুরু করে কুরুলিয়া নদী হয়ে আবার তিতাসে—কিছুটা শর্টকাট রাস্তা। কুরুলিয়া নদী যেখানে তিতাসের সঙ্গে মিলিত হলো, সেটাই গোকর্ণ গ্রাম তথা এখনকার গোকর্ণ ঘাট—অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মভিটা। এখন আর বস্তুগত চিহ্ন নেই, আছে স্মৃতি। শোনা গেল, তাঁর দূরসম্পর্কের এক নাতি আছেন সেখানে। আর কেউ নেই। মল্লবাবু বহু আগে তখনকার রাজধানী শহর কলকাতায় চলে গিয়েছিলেন, ভাগ‍্যের অন্বেষণে। আমরা যেমন এখন দূরদূরান্ত থেকে রাজধানী ঢাকায় এসে ভিড় জমাই।

এখানে নদীর ওপর মস্ত প্রাচীরঘেরা গুদাম। সেটির ছোট ছোট মিনারে বসে আছে তিনটি বালক আর একটি কাক। অদ্বৈত মল্লবর্মণ একদিন সম্ভবত এই বালকদের মতোই ছিলেন—দুরন্ত। অথবা এই বালকেরাই হয়তো তাঁর কিশোর, সুবল, অনন্ত কিংবা বনমালীদের এই প্রজন্মের সংস্করণ।

কেমন ছিল অদ্বৈতের তিতাস? তিনি লিখেছেন, ‘তার কূলজোড়া জল, বুকভরা ঢেউ, প্রাণভরা উচ্ছ্বাস। স্বপ্নের ছন্দে সে বহিয়া যায়। ভোরের হাওয়ায় তার তন্দ্রা ভাঙ্গে, দিনের সূর্য তাকে তাতায়; রাতে চাঁদ ও তাঁরারা তাকে নিয়া ঘুম পাড়াইতে বসে, কিন্তু পারে না।’ বর্ষা থেকে হেমন্ত তিতাস হয়তো তেমনই থাকে। অন্তত হেমন্তের তিতাস দেখে তাই মনে হলো। কিন্তু বছরের বাকি সময় সে যক্ষ্মার রোগী—শুনেছি তার বুকে তখন গরু চরে।

গোকর্ণ ঘাট ছাড়তেই তিতাসের আকার সাগরের মতো! সঙ্গে মিশেছে হাওর। স্থানীয়দের সহায়তা ছাড়া চেনার উপায় নেই—কোনটা হাওর আর কোনটা নদী। এই বিশাল বিস্তারেই বসতি ছিল অদ্বৈত মল্লবর্মণের। নইলে তেমন নভেল লেখা যায়!

আমরা এগিয়ে চলেছি। সূর্য তখনো কুয়াশা আর মেঘের সঙ্গে লড়াই করছে। সকাল আটটাও বাজেনি। আমাদের পাড়ি দিতে হবে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ। তিতাস থেকে বুড়িগঙ্গা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার সদরঘাট। এত দীর্ঘ পথ এর আগে কখনো পাড়ি দিইনি নৌকায়। ভয়, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ—সব একসঙ্গে ঘিরে আছে। কারণ, সামনে পাড়ি দিতে হবে মেঘনা—দ্য গ্রেট মেঘনা!

নদীর নাম পাগলা। তিতাসের শরীর থেকে বেরিয়ে ডানে চলে গেছে। এখানে গ্রামের নাম রসুলপুর, রতনপুর ইত্যাদি। নদী থেকে আটপৌরে দৃশ্যের বাইরে গ্রাম বা শহর দেখা যায়। তার একটা মজা আছে। তবে নদীতে বসে জলজ জীবন দেখাই দস্তুর। তাই দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে চলেছি।

পাগলা নদী পেরিয়ে গেলাম। তিতাস এখানে বেশ প্রশস্ত। আমাদের উল্টো দিক থেকে অনেক নৌকা আসছে। গতিতে আমাদের পেছনে ফেলেও এগিয়ে যাচ্ছে অনেক নৌকা। তার বেশির ভাগই মালবাহী। প্রচুর কচুরিপানা। তাতে এখনো ফুল ফোটেনি। কৌতূহলী হয়ে দেখলাম, সেগুলো মূলত ঘের। মাছ ধরার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা। ছোট ছোট নৌকায় জেলেরা সেগুলোতে মাছ ধরছে।

আমরা এগিয়ে চলেছি সদরঘাটের দিকে। ইঞ্চি ইঞ্চি করে দূরত্ব কমছে। কমলে কী হবে, এ পথ ফুরোতে সময় লাগবে পাক্কা দশ ঘণ্টা। মোবাইল ফোনের ঘড়ি দেখি—মাত্র ঘণ্টাখানেক এগিয়েছি। শোনা গেল, সামনেই যমুনা। উত্তেজনার পারদ বাড়ল খানিক।

এই যাত্রার আয়োজন করেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদী রক্ষা আন্দোলনের অনন্যসাধারণ সংগঠন ‘তরী’। তাদের দাবি, পুরোনো এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌপথ আবার সচল করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? আইইউসিএনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০ সালে দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার। পরের তিন দশকে তা কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার কিলোমিটারে। বিআইডব্লিউটিএর তথ্য, ষাটের দশকে নদীপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। গত ছয় দশকে তা নেমে এসেছে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটারে। শুকনো মৌসুমে তা-ও কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৪৭ কিলোমিটারে। তরীর দাবি, নৌপথগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে, দেশ বাঁচাতে। সেই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সেখান থেকে নৌকাযোগে ঢাকা উদ্দেশে যাত্রা।

জায়গাটা বিশাল। চারদিকে পানি আর পানি। বাল্কহেডের সংখ্যা যেন বেড়ে গেছে হঠাৎ করে। মাছ ধরার নৌকাগুলোর আকারও বদলেছে। বোটের অভিজ্ঞরা জানালেন, আমরা মেঘনায় চলে এসেছি। অর্থাৎ তিতাস পাড়ি দেওয়া শেষ। এখন আমাদের মেঘনা পাড়ি দিতে হবে।

অথই জলে এখানে ভাসছে প্লাস্টিকের তৈরি দিকনির্দেশক। রাতে তাতে বাতি জ্বলে। বড় বড় ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাল্কহেডে ভরা হচ্ছে। শত শত বাল্কহেড সেই বালু নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে বিভিন্ন দিকে। বেশির ভাগের গন্তব্য ঢাকা। আমাদের বোট এগিয়ে চলেছে। মহাসড়কে যেমন বাস-ট্রাক আর ছোট ছোট ব্যক্তিগত গাড়ির সারি থাকে, এখানে বাল্ডহেডের সারিও অনেকটা তেমনই। একটার পেছনে একটা, শত শত! মাঝি দক্ষ হাতে বোট সামলে চলেছেন। মাঝে কদাচিৎ দেখা যাচ্ছে যাত্রী ও পণ্যবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা আর স্পিডবোট। কোথাও ঘাটে বাঁধা দেখলাম পুরোনো এক গয়না নৌকা। একসময় এগুলো নদীপথে দাপিয়ে বেড়াত পণ্য নিয়ে। এখন সে বিগত যৌবনা।

মেঘনা এক পবিত্র নদী। বরাক উপত্যকার সুরমা ও কুশিয়ারা এক হয়ে যে প্রবাহ তৈরি করেছে, তার নাম কালনী। ভাটিতে এর নাম মেঘনা। তাতে এসে মিশেছে হিমালয়ের মানস সরোবরের জল, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র হয়ে। তারও ভাটিতে মেঘনার সঙ্গে মিলেছে পদ্মা। তারপর চলে গেছে সাগরপানে। আমরা এই পদ্মাসঙ্গমের আগেই হাতের ডানে চলে গেলাম। সেখানে দুটি নদী দুদিকে বেরিয়ে গেছে—একটি শীতলক্ষ্যা, অন্যটি ধলেশ্বরী। এখানে অসংখ্য বাল্কহেড আর মাদার ভ্যাসেলের টার্মিনাল। ধলেশ্বরী ধরে এগিয়ে গিয়ে পড়লাম বুড়িগঙ্গায়। সে পথে সদরঘাট।

টানা ১০ ঘণ্টার যাত্রা। পথে নৌকাতেই রান্না ও খাওয়া। সদরঘাটের দিকে যতই এগিয়ে চলেছি, পানির রং ততই কালো হয়ে উঠছে। বুঝতে পারছি, বহু ব্যবহারে জীর্ণ বুড়িগঙ্গা। কিন্তু নদী থেকে রাজধানী শহর দেখতে সুন্দর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতে ভ্রমণ করার প্যাকিং টিপস

ফিচার ডেস্ক
শীতে ভ্রমণ করার প্যাকিং টিপস

এ বছর হেমন্তে শহরেও শীতের আগমন খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় ঠান্ডা পড়ে গেছে। দিনে না হলেও রাতে কম্বল বা কাঁথা গায়ে তুলতে হচ্ছে। তাই সপ্তাহান্তে কদিন আগের মতো ব্যাকপ্যাকে দুটো টি-শার্ট আর দুটো শর্টস নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ আর থাকছে না। শহরের বাইরে গিয়ে ঠান্ডায় যেন বেকায়দায় না পড়তে হয়, তাই কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে ঘর ছাড়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পা-ঢাকা জুতা, মোজা, স্কার্ফ ও টুপির মতো অন্যান্য শীতকালীন পোশাকও প্যাক করার কথা বিবেচনায় নিতে হবে। শীত মোকাবিলার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে থাকবে, আবার ব্যাগও ভারী হবে না, এমন কিছু টিপস রইল।

লেয়ারিং টপস নিন

এখনো যেহেতু অত শীত পড়েনি, তাই লেয়ারিং করে পরা যায় এমন টপস নিতে হবে। টার্টেল নেকের ফুলস্লিভ গেঞ্জি, হাতাকাটা কয়েকটি টি-শার্ট আর দুটি হাফস্লিভ টি-শার্ট সঙ্গে নিন। আবহাওয়া বুঝে একটার ওপর আরেকটা লেয়ার করে পরলেন। এসব টপসের রং কালো, সাদা অথবা বেইজ হলে ভালো হয়। তাহলে লেয়ারিং করার সময় দেখতে ভালো লাগবে।

গন্তব্যে যাওয়ার সময় ভারী প্যান্ট পরুন

ঠান্ডার জন্য একটা ভারী প্যান্ট তো নিতেই হবে। ব্যাগের জায়গা বাঁচাতে এবং ব্যাগ যেন ভারী না হয়, এ জন্য যাওয়ার সময় ভারী প্যান্টটা পরে নিন। যদি ব্লেজার বা বুট নিত হয়, তাহলে সেগুলোও পরে বের হোন। তাতে ব্যাগ হালকা লাগবে।

হালকা এবং গরম কাপড় বেছে নিন

যদি আগে থেকে জানা থাকে গন্তব্যের আবহাওয়া কেমন, সে ক্ষেত্রে একটু উষ্ণ কাপড় নেওয়ার আগ্রহ থাকলে এমন কাপড় বেছে নিন, যা ওজনে হালকা কিন্তু পরলে শরীর উষ্ণতা পাবে।

ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগ ব্যবহার করুন

ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগ বা কম্প্রেশন ব্যাগ থাকলে অনেক ভারী কাপড়ও কম জায়গায় বহন করা যায়। পোশাকগুলো সুন্দর করে ভাঁজ করে এই ব্যাগে রাখুন। এবার ব্যাগটি বন্ধ করুন এবং বাতাস বের করে দিন। এই ব্যাগগুলো বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এসব ব্যাগে কাপড় ভরে তারপর বড় ব্যাগে নিলে অনেক কাপড় নেওয়া যায় অল্প জায়গায়।

সূত্র: দ্য ট্রাভেল হ্যাক ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: দূরদেশ থেকে ফোন করে কেউ ক্ষমা চাইবে, প্রপোজ করার মোক্ষম দিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫৬
আজকের রাশিফল: দূরদেশ থেকে ফোন করে কেউ ক্ষমা চাইবে, প্রপোজ করার মোক্ষম দিন

মেষ

বস আজ আপনার কাঁধে এমন একটা গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যাকে তিনি 'অভূতপূর্ব সুযোগ' বলে ব্যাখ্যা করবেন। মনে মনে বুঝবেন, এটি আসলে অতিরিক্ত কাজের ভার। তবে মন খারাপ করবেন না, আপনার আর্থিক ভাগ্য আজ বেশ চনমনে। অপ্রত্যাশিত অর্থ প্রাপ্তির যোগ আছে, যা দিয়ে সাধের 'শখের জিনিস'টি কিনতে পারবেন (কিন্তু ইএমআই কিস্তির কথাও একটু মাথায় রাখুন)। প্রেমের ক্ষেত্রে ভুল-বোঝাবুঝির সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো গভীর দার্শনিক কথা বলছেন, আর প্রিয়জন ভাবছেন আপনি বিড়বিড় করছেন। সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় একটি ফ্লিপচার্ট ব্যবহার করুন অথবা অন্তত একটি ডিকশনারি পাশে রাখুন। কাজের চাপ বাড়লে কফির কাপকে আপনার থেরাপিস্ট ভাবুন।

বৃষ

আপনার রাশিফল বলছে, 'অপ্রয়োজনীয় খরচ' কমাতে হবে। অথচ আপনার শপিং লিস্টে অপ্রয়োজনীয় জিনিসই বেশি! আজ একটি অর্থনৈতিক ধ্যানের মুডে থাকবেন, অর্থাৎ মানিব্যাগটি আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রাখুন। দূরদেশ থেকে কোনো সুখবর আসতে পারে—হয়তো সেই বন্ধুটি, যে আপনার কাছ থেকে টাকা ধার করেছিল, সে আজ ফোন করে ক্ষমা চাইবে (টাকাটা দেবে না, শুধু ক্ষমা)। রাস্তায় চলাফেরার সময় একটু সাবধানে থাকুন। বিশেষ করে যদি কোনো পুলিশি ঝামেলা দেখেন, তাহলে উল্টো দিকের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যান। আজ দুধ আর চিনি দান করুন। তবে নিজেই কফি বানিয়ে খান, তাতে অন্তত খরচটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মিথুন

আজ কর্মস্থলে আপনার পরিশ্রম দেখে সবাই অবাক হবে। আসলে আপনি এত বেশি দৌড়াদৌড়ি করবেন যে অফিসেই একটা ছোটখাটো ম্যারাথন হয়ে যাবে। ভালো খবর হলো, ব্যবসায় নতুন সুযোগ আসছে, হয়তো 'পার্টনারশিপে শিঙাড়া বিক্রি'র প্ল্যান এবার সফল হবে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সামান্য মতভেদ আসতে পারে। সঙ্গী হয়তো আপনাকে 'সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট' দেবেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কূটনৈতিক সংঘাতের চেয়েও মারাত্মক। সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা বাড়বে, বিশেষ করে যখন দেখবেন সে বইয়ের বদলে ফোন দেখছে। উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে মাঝেমধ্যে অফিসের ছাদে গিয়ে জোরে শ্বাস নিন।

কর্কট

আজ অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে উঠবেন। চোখের জল যেন হিমবাহের মতো গলে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ব্যবসায়ীদের জন্য সময় ততটা অনুকূল নয়। তাই আজ ঋণ নিয়ে হুট করে মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পরামর্শ জীবন বদলে দিতে পারে, যদি না সেই বন্ধুটি নিজেই ডিপ্রেসড থাকে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা আছে। সম্ভবত তাকে গোলাপ দিতে যাবেন, আর সে ভাববে আপনি তার দিকে মশা মারার স্প্রে ছুড়েছেন। সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান। শান্ত থাকার জন্য চাঁদের আলোয় কিছুক্ষণ ধ্যান করুন (যদি মেঘ না থাকে)।

সিংহ

আজ আপনার রাশিতে একেবারে 'লক্ষ্মীর যোগ'! লটারি বা স্পেকুলেশন (শেয়ার মার্কেট) থেকে হুট করে অনেক টাকা আসতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা সঞ্চয়ের দিকে মন দিন। এত সহজে পাওয়া টাকা কিন্তু উড়তে সময় নেয় না। কর্মক্ষেত্রে আপনার গতি আসবে, তবে সহকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত বিশ্বাস রাখবেন না। মনে রাখবেন, আজকের দিনে আপনার কফি মগ থেকে কেক চুরি যাওয়ার ষড়যন্ত্র হতে পারে! প্রেমপ্রীতি ও বিয়ের যোগ রয়েছে। যদি কাউকে প্রপোজ করার থাকে, আজই করে ফেলুন—গ্রহ যেহেতু অনুকূলে, প্রত্যাখ্যানের ভয় কম। খাবারদাবার সাবধানে খান। আজ খাবারে বিষক্রিয়ার যোগ আছে (হয়তো অফিসের ক্যানটিনের রান্নার জন্য)।

কন্যা

আজ যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখানোর দিন। আপনার বুদ্ধিমত্তার কাছে ঊর্ধ্বতনরা মুগ্ধ হয়ে যাবেন (যা শেষ পর্যন্ত আপনার কাজের বোঝা বাড়াবে)। আপনি লাভের একাধিক সুযোগ পাবেন, বিশেষ করে বই, পোশাক বা ওষুধের ব্যবসায়ীরা। আজ বাড়িতে প্রিয়জনের সমাগম হতে পারে। কিন্তু সাবধান, মনের কোনো ইচ্ছা আজ প্রকাশ না করাই ভালো। কেন জানেন? কারণ, হয়তো ভাবছেন একটা গোপন ইচ্ছা, আর আত্মীয়রা সেটাকে গোটা পাড়ার আলোচ্য বিষয় বানিয়ে ফেলবে। অকারণে সুনামহানি হতে পারে, তাই বেফাঁস মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। কারও কাছে কোনো ধার চাইবেন না। সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগান, ধার নয়।

তুলা

আজ সবার ইমোশনাল কোচ হয়ে উঠবেন। আপনি আবেগগতভাবে মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করবেন এবং সবার ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান দেখাবেন। অন্যের গোপনীয়তা ফাঁস না করলেই হলো। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করুন। অবিবাহিত আত্মীয়স্বজনের জন্য আজ বিয়ের কথা পাকা হতে পারে! পাত্র/পাত্রীর সঙ্গে দেখা হলে হাসিখুশি থাকুন, কিন্তু বেফাঁস মন্তব্য করে বিড়ম্বনায় পড়বেন না। কারণ, আজকের দিনে আপনার মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া একটা কথা সারা জীবন পিছু ছাড়বে না। লৌকিকতা পরিহার করে মন থেকে কথা বলুন। (তবে বেফাঁস কথা বাদ দিয়ে!)

বৃশ্চিক

তরুণ বৃশ্চিক জাতকদের পারফরম্যান্স আজ প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হবে। উৎসাহ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে একই সঙ্গে কফি খেতে, কম্পিউটার কোড লিখতে আর গান শুনতে পারবেন। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দদায়ক ভ্রমণের যোগ রয়েছে। এমন একটা জায়গায় যান যেখানে ইন্টারনেটের ছিটেফোঁটাও নেই! লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগোনোর চেষ্টা করুন, কিন্তু তাড়াহুড়া করে দেয়ালে ধাক্কা খাবেন না। ভুল এড়াতে সচেষ্ট থাকুন। বন্ধুদের সঙ্গে আন্তরিক চিন্তা শেয়ার করুন। তবে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স নয়!

ধনু

আজ সবাই আপনার কাজে সহযোগিতা করবেন। আজ 'ঐক্যের প্রতীক' হয়ে উঠবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়বে এবং তাঁদের সমর্থন আপনাকে অবাক করে দেবে। তবে এই সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের কাছে টাকা ধার চাওয়ার আগে দুবার ভাবুন। সঠিক পথ বেছে নিতে সাহায্য পাবেন। আপনার সবচেয়ে বড় কাজ হবে, যে সুযোগগুলো আসবে, সেগুলোকে কাজে লাগানো। লোভে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকুন। (ফ্রি পিৎজার অফার দেখলেও!)

মকর

কর্মক্ষেত্রে দুম করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার রাশিফল বলছে, ‘ভাবনাচিন্তা করে পা ফেলুন’। অর্থাৎ বসের দেওয়া নতুন প্রজেক্টে সই করার আগে ফাইন প্রিন্টগুলো চারবার পড়ুন। আজকের দিনটি সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার জন্য একটা ভালো সময়। সামাজিক অনুষ্ঠান বা কোনো কার্যক্রমে অংশ নিন। তবে সাবধান, হয়তো ভেবেছেন জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, আর শেষ পর্যন্ত পেলেন একটা কুকুরছানা! নিজের বিমা পলিসিগুলোর দিকে নজর দিন, বিশেষ করে গাড়ি বা বাইকের বিষয়ে। বিমা পলিসি পড়ুন। এটা সিনেমার চেয়েও রোমাঞ্চকর হতে পারে।

কুম্ভ

আজ আপনি আত্মবিশ্বাসের এক নতুন শিখরে পৌঁছাবেন। প্রতিটি কাজ আজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের একটি 'আজগুবি' অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক দিকটি শক্তিশালী হতে পারে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা ভাবলে অবশ্যই কোনো আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করুন। অবিবাহিতরা আজ কোনো পার্টি বা সামাজিক ইভেন্টে একটি বিশেষ সঙ্গী খুঁজে পেতে পারেন। প্রেমের জীবনে সতর্ক থাকুন। পুরোনো সম্পর্ক থেকে দূরে থাকাই ভালো। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকুন। আজ চাইলে জলপথে ভ্রমণ করতে পারেন (কিন্তু লাইফ জ্যাকেট নিয়ে)।

মীন

আজ আপনার সৃজনশীলতা একেবারে উথলে উঠবে! নিজের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে আরও আগ্রহ বোধ করবেন। হয়তো আজ রান্নাঘরে গিয়ে একটা নতুন রেসিপি আবিষ্কার করে ফেলবেন। অবশ্য খেতে ভয়ংকর হতে পারে! চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় বা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার সময় আপনার দক্ষতা দেখাতে দ্বিধা করবেন না। তবে আপনার মনের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে, তা প্রকাশ না করাই ভালো। আজ নিজে ঠিক করতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন নাকি সবুজ! আপনার সমস্ত নথিপত্র আজ গুছিয়ে নিন। জীবন যদি না গোছানো যায়, অন্তত কাগজগুলো গোছান!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত