সানজিদা সামরিন, ঢাকা
[…] এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি
পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি
নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ্রীষ্মের ধুলোওড়া দিন আঁচলে গুঁজে বর্ষা প্রকৃতিকে দেয় শান্তির রূপ। গরম কেটে গিয়ে এক অবারিত স্বস্তি বিরাজ করে সবার মনে। তবে এ ঋতুকে বরণ করতে কিছু প্রস্তুতি তো থাকা চাই। এ সময় ঘরের বাইরে যেতে হলে রাখতে হবে বিশেষ পোশাক ও অনুষঙ্গ আর মেকআপে করতে হবে যোগ-বিয়োগ। সোজা কথায়, গ্রীষ্মের চেয়ে বেশখানিক বদলে ফেলতে হবে বর্ষার প্রস্তুতি।
বর্ষার উপযোগী পোশাক
বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই পাতলা কাপড়গুলো হাতের কাছে রাখা হয়। এতে বৃষ্টির ছাটে ভিজে গেলেও কম সময়ে কাপড় শুকিয়ে যায়। বৃষ্টিভেজা দিনগুলোয় জর্জেট, সিল্ক, হাফ সিল্ক, সিনথেটিক বা লিনেনের তৈরি কাপড়ের পোশাক পরা ভালো। তবে আরামের কথা বললে সুতি বরাবরই তালিকার প্রথমে থাকবে।
এ সময় কোন ধরনের কাপড় পরা উচিত—এ প্রসঙ্গে কে ক্র্যাফটের ডিজাইনার শাহনাজ খান বলেন, ‘বর্ষাকালের পোশাক বানাতে আমরা সাধারণত সিনথেটিক ও জর্জেট কাপড় ব্যবহার করি। অফিস, বাইরের কাজ বা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় হঠাৎ ভিজে গেলে একটু সিনথেটিক বেজড কাপড় দ্রুত শুকিয়ে যায়।’
ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’সের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের যে আবহাওয়া, সেই অনুযায়ী সুতি কাপড়টাই বেশি উপযোগী। বর্ষায় যখন বৃষ্টি নামে, তখন আবহাওয়া হয়তো একটু ঠান্ডা থাকে, তবে এর পরপরই কিন্তু আবার গরম লাগে। তাই এ সময় কটন, ভয়েল ও লিনেন কাপড় পরার জন্য ভালো।’
পানিরোধী মেকআপ
বর্ষায় ভারী সাজ এড়িয়ে গেলেও ছিমছাম না হয়ে কি আর ঘরের বাইরে পা ফেলা যায়? এ সময় সাজে স্নিগ্ধতা আনার প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী শারমিন কচি বলেন, ‘বর্ষাকালে মেকআপ যতটা কম নেওয়া যায়, ততই ভালো। যদি মেকআপ নিতেই হয় তবে তা হতে হবে পানিরোধী বা ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ। এই মেকআপের কাজই হলো ঘাম, তুমুল বৃষ্টি কিংবা মুখ ভিজলেও মেকআপ গলবে না। মেকআপের পর চেহারায় যে নিখুঁত আবরণ তৈরি হবে, তাও নষ্ট হবে না।’
মেকআপের আগে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং—এই তিন ধাপে ত্বকের
শারমিন কচি আরও জানান, বাজারে এখন যেসব ফাউন্ডেশন, মাসকারা, কাজল, লিপস্টিক পাওয়া যায়; তার অধিকাংশই ওয়াটারপ্রুফ বা পানিরোধী। এই ওয়াটারপ্রুফ ফাউন্ডেশন তৈলাক্ত ও শুষ্ক উভয় ত্বকের জন্য উপযোগী। লিপস্টিক ও আইশ্যাডোতে বাদামি, পিচ, ট্যান, ভায়োলেট ইত্যাদি রং এ সময় মানানসই। এই মেকআপের শুরুটা প্রাইমার দিয়ে আর শেষটা হবে সেটিং স্প্রে দিয়ে।
জুতা
বর্ষাকালে চামড়ার জুতা আলমারিতেই তোলা থাক। এ সময় চামড়ার জুতা পরলে কাদাপানিতে নষ্ট তো হবেই, উপরন্তু পায়ের ত্বকেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা সব সময় স্নিকার্স জাতীয় জুতা ব্যবহার করেন, তাঁরাও এ সময়টায় এসব জুতা এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের জুতার ভেতরে পানি ঢুকলে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। দেখা দিতে পারে চর্মরোগ। এ সময় পথে কাদাপানি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ফলে পা খোলা থাকে এমন প্লাস্টিক ও রাবারের স্যান্ডেল পরলে সহজেই পা ও জুতা ধুয়ে ফেলা যায়। সে ক্ষেত্রে সামান্য় ফ্ল্যাট হিল জুতা পরলে সুবিধা হবে।
ব্যাগ
জুতার মতো ব্যাগের বেলায় ওই একই কথা। এমন সময়ে চামড়ার ব্যাগ নিয়ে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। চামড়ার ব্যাগ বৃষ্টিতে ভিজে একেবারেই অকেজো হয়ে যেতে পারে। তাই কাপড়, রেক্সিন, সিনথেটিক ও প্লাস্টিক ব্যাগেই ভরসা রাখুন। এগুলো ভিজলেও ক্ষতি নেই। আবার পরিষ্কার রাখাও সহজ।
ছাতা ও রেইনকোট
ছাতা না নিয়ে বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হলে পড়তে হবে বিপত্তিতে। ছাতা শুধু ফ্যাশনেবল হলেই হবে না, হতে হবে মজবুত, যা ঝড়-বৃষ্টি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। এখন শপিং মল ছাড়াও অনলাইনে ছাতা কিনতে পাওয়া যায়। যাঁরা স্কুটি বা বাইক চালান, তাঁদের সঙ্গে রেইনকোট অবশ্যই রাখতে হবে। ব্র্যান্ডেড ছাতা আর রেইনকোট প্রায় সব শপিং মলে পাওয়া যায়। জেলা শহরের ছোট-বড় মার্কেট-সুপারমার্কেটগুলোতেও পাওয়া যাবে পছন্দের ছাতা ও রেইনকোট। ছাতার ধরন অনুযায়ী দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। অন্যদিকে শতভাগ ওয়াটারপ্রুফ রেইনকোট পাওয়া যাবে ২ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়ারপ্রুফ রেইন জ্যাকেট ও প্যান্ট ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্য়ে পাওয়া যাবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পলিয়েস্টার রেইনকোট ২৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্য়ে পাওয়া যাবে।
[…] এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি
পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি
নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ্রীষ্মের ধুলোওড়া দিন আঁচলে গুঁজে বর্ষা প্রকৃতিকে দেয় শান্তির রূপ। গরম কেটে গিয়ে এক অবারিত স্বস্তি বিরাজ করে সবার মনে। তবে এ ঋতুকে বরণ করতে কিছু প্রস্তুতি তো থাকা চাই। এ সময় ঘরের বাইরে যেতে হলে রাখতে হবে বিশেষ পোশাক ও অনুষঙ্গ আর মেকআপে করতে হবে যোগ-বিয়োগ। সোজা কথায়, গ্রীষ্মের চেয়ে বেশখানিক বদলে ফেলতে হবে বর্ষার প্রস্তুতি।
বর্ষার উপযোগী পোশাক
বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই পাতলা কাপড়গুলো হাতের কাছে রাখা হয়। এতে বৃষ্টির ছাটে ভিজে গেলেও কম সময়ে কাপড় শুকিয়ে যায়। বৃষ্টিভেজা দিনগুলোয় জর্জেট, সিল্ক, হাফ সিল্ক, সিনথেটিক বা লিনেনের তৈরি কাপড়ের পোশাক পরা ভালো। তবে আরামের কথা বললে সুতি বরাবরই তালিকার প্রথমে থাকবে।
এ সময় কোন ধরনের কাপড় পরা উচিত—এ প্রসঙ্গে কে ক্র্যাফটের ডিজাইনার শাহনাজ খান বলেন, ‘বর্ষাকালের পোশাক বানাতে আমরা সাধারণত সিনথেটিক ও জর্জেট কাপড় ব্যবহার করি। অফিস, বাইরের কাজ বা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় হঠাৎ ভিজে গেলে একটু সিনথেটিক বেজড কাপড় দ্রুত শুকিয়ে যায়।’
ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’সের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের যে আবহাওয়া, সেই অনুযায়ী সুতি কাপড়টাই বেশি উপযোগী। বর্ষায় যখন বৃষ্টি নামে, তখন আবহাওয়া হয়তো একটু ঠান্ডা থাকে, তবে এর পরপরই কিন্তু আবার গরম লাগে। তাই এ সময় কটন, ভয়েল ও লিনেন কাপড় পরার জন্য ভালো।’
পানিরোধী মেকআপ
বর্ষায় ভারী সাজ এড়িয়ে গেলেও ছিমছাম না হয়ে কি আর ঘরের বাইরে পা ফেলা যায়? এ সময় সাজে স্নিগ্ধতা আনার প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী শারমিন কচি বলেন, ‘বর্ষাকালে মেকআপ যতটা কম নেওয়া যায়, ততই ভালো। যদি মেকআপ নিতেই হয় তবে তা হতে হবে পানিরোধী বা ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ। এই মেকআপের কাজই হলো ঘাম, তুমুল বৃষ্টি কিংবা মুখ ভিজলেও মেকআপ গলবে না। মেকআপের পর চেহারায় যে নিখুঁত আবরণ তৈরি হবে, তাও নষ্ট হবে না।’
মেকআপের আগে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং—এই তিন ধাপে ত্বকের
শারমিন কচি আরও জানান, বাজারে এখন যেসব ফাউন্ডেশন, মাসকারা, কাজল, লিপস্টিক পাওয়া যায়; তার অধিকাংশই ওয়াটারপ্রুফ বা পানিরোধী। এই ওয়াটারপ্রুফ ফাউন্ডেশন তৈলাক্ত ও শুষ্ক উভয় ত্বকের জন্য উপযোগী। লিপস্টিক ও আইশ্যাডোতে বাদামি, পিচ, ট্যান, ভায়োলেট ইত্যাদি রং এ সময় মানানসই। এই মেকআপের শুরুটা প্রাইমার দিয়ে আর শেষটা হবে সেটিং স্প্রে দিয়ে।
জুতা
বর্ষাকালে চামড়ার জুতা আলমারিতেই তোলা থাক। এ সময় চামড়ার জুতা পরলে কাদাপানিতে নষ্ট তো হবেই, উপরন্তু পায়ের ত্বকেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা সব সময় স্নিকার্স জাতীয় জুতা ব্যবহার করেন, তাঁরাও এ সময়টায় এসব জুতা এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের জুতার ভেতরে পানি ঢুকলে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। দেখা দিতে পারে চর্মরোগ। এ সময় পথে কাদাপানি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ফলে পা খোলা থাকে এমন প্লাস্টিক ও রাবারের স্যান্ডেল পরলে সহজেই পা ও জুতা ধুয়ে ফেলা যায়। সে ক্ষেত্রে সামান্য় ফ্ল্যাট হিল জুতা পরলে সুবিধা হবে।
ব্যাগ
জুতার মতো ব্যাগের বেলায় ওই একই কথা। এমন সময়ে চামড়ার ব্যাগ নিয়ে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। চামড়ার ব্যাগ বৃষ্টিতে ভিজে একেবারেই অকেজো হয়ে যেতে পারে। তাই কাপড়, রেক্সিন, সিনথেটিক ও প্লাস্টিক ব্যাগেই ভরসা রাখুন। এগুলো ভিজলেও ক্ষতি নেই। আবার পরিষ্কার রাখাও সহজ।
ছাতা ও রেইনকোট
ছাতা না নিয়ে বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হলে পড়তে হবে বিপত্তিতে। ছাতা শুধু ফ্যাশনেবল হলেই হবে না, হতে হবে মজবুত, যা ঝড়-বৃষ্টি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। এখন শপিং মল ছাড়াও অনলাইনে ছাতা কিনতে পাওয়া যায়। যাঁরা স্কুটি বা বাইক চালান, তাঁদের সঙ্গে রেইনকোট অবশ্যই রাখতে হবে। ব্র্যান্ডেড ছাতা আর রেইনকোট প্রায় সব শপিং মলে পাওয়া যায়। জেলা শহরের ছোট-বড় মার্কেট-সুপারমার্কেটগুলোতেও পাওয়া যাবে পছন্দের ছাতা ও রেইনকোট। ছাতার ধরন অনুযায়ী দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। অন্যদিকে শতভাগ ওয়াটারপ্রুফ রেইনকোট পাওয়া যাবে ২ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়ারপ্রুফ রেইন জ্যাকেট ও প্যান্ট ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্য়ে পাওয়া যাবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পলিয়েস্টার রেইনকোট ২৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্য়ে পাওয়া যাবে।
বলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
২০ ঘণ্টা আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
১ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
১ দিন আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
১ দিন আগে