মহিউদ্দীন জুয়েল, চট্টগ্রাম
সাগর বললেই আমাদের চোখে ভাসে পতেঙ্গা, কক্সবাজার অথবা সেন্ট মার্টিনের কথা। কিন্তু চট্টগ্রামেই আছে অসাধারণ এক সৈকত। সেখানে সাগরপাড়ের সবুজের ভুবন, বালু নেই। পা ফেলতেই কাদামাখা মাটির আস্তরণে নরম ঘাসের রাজত্ব। দুই দিকে কেওড়া বন। সেই বনের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট একটি খাল। খালের পাশ ধরে সামনে দেখা যাবে বিশাল জলরাশি আর তার ঢেউ। আছড়ে পড়ছে একেবারে তীরে—সবুজ ঘাসের ওপর। তবে গর্জন কম। কিছুটা আটপৌরে এখনো। দেখে মনে হবে, লজ্জা কাটেনি তার।
না, এখানেই শেষ নয়। পরিবেশটা একেবারেই সুনসান। খানিক পর সূর্য রানি পশ্চিমে যাবেন। তারপর টুপ করে ডুব দেবেন সমুদ্রের জলে। আর তাতেই বাড়বে মায়া। বাড়বে ভালোবাসার টানে ফিরে আসার তাড়া।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে এই সৈকত। নাম গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অবশ্য এই জায়গা মুরাদপুর বিচ নামে পরিচিত। প্রতিদিনই দলে দলে ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভিড় করছেন সীতাকুণ্ডের এই গুলিয়াখালী সৈকত ওরফে মুরাদপুর বিচে।
মন ভাসাইয়া দে
গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত আর প্রকৃতির মাখামাখি বহুদিনের। সাগরপাড়ে যাওয়ার পথে রয়েছে সবুজ ঘাসের ছোট ছোট মাটির চাক বা কুণ্ড। সেখানে পা দিয়েই এগিয়ে যেতে হয় ঢেউয়ের কাছে। ইচ্ছে করবে হাত-পা এলিয়ে দিয়ে সাগরকে উঁকি দেওয়া নীলাকাশ দেখার। ঢেউয়ের ওপর সাদা মেঘের ভেলা। খেলছে আনমনে। যত দূর চোখ যায় উত্তাল তরঙ্গ। মন কেড়ে নেয় সহজে।
ওই তো, সাগরপাড়ে উড়ে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল। কোথা থেকে আসছে এত পাখি? কাদা জলে উদোম গায়ে ফুটবলে মেতেছে একদল কিশোর। ইচ্ছে হলে নেমে পড়তে পারেন ওদের সঙ্গে, মনের আনন্দে।
সাগরের ঢেউয়ে দুলছে নৌকা। জেলেরা ফিরে আসছেন মাছ নিয়ে। পাড়েই রয়েছে অনেক বোট। ঘুরে আসতে পারেন ঘণ্টাখানেক। সাগরের বুকে জড়িয়ে থাকা সন্দ্বীপের দৃশ্য মনটা ভালো করে দেবে। বিকেল গড়াতেই সূর্য ডুবে যায়। ম্যানগ্রোভ বনের হাতছানি ডাক দেয় চুপিচুপি। এখানে দাঁড়িয়ে দূর থেকে সূর্যাস্ত দেখার মজাটা সত্যি অন্য রকম!
এ যেন সুন্দরবন
সাগরের পাড়েই কেওড়াগাছের গহিন বন। চোখে পড়ে সারি সারি শ্বাসমূল। জোয়ারের সময় সেই বনের গাছের ফাঁকে ঢুকে যায় সাগরের পানি। নৌকাভ্রমণে গিয়ে মনে হবে, আরে, সুন্দরবনে চলে এলাম না তো!
অনেকে প্রিয় মুহূর্তটা স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে ছবি তুলতে ভুল করেন না। গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত অসংখ্য ছোট খালের মিলনস্থল। এসব খালে ছোট নৌকা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। ভাটার সময় দারুণ লাগে পুরো সৈকত। তবে সাগরের কাছে এসেই জোয়ার-ভাটার তথ্যটা টুকে নিতে হবে আপনাকে। নইলে কাদামাখা পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হবে যে!
বদলে যাচ্ছে পর্যটন স্পট
গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতের অবারিত সম্ভাবনা একে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে দিন দিন। সরকার এই সৈকতকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে হাতে নিয়েছে নানা পরিকল্পনা। যার মধ্যে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্ট, নৈসর্গিক কাঠের সেতু, পার্কিংসহ অনেক কিছু।
সীতাকুণ্ডের ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, বর্ষাকালে যাতায়াত করতে এসে কেউ যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, তাই সেতু নির্মাণের দিকে তাঁরা নজর দিয়েছেন।
আনন্দের খবর হচ্ছে, এই বিচে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। লাগবে না প্রবেশ ফি কিংবা টাকাপয়সা। এই বিচে ঢাকা থেকে সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন সালাউদ্দিন রেজা। তিনি বলেন, ‘চমৎকার একটি বিচ। ভালো লাগল। কক্সবাজারের মতো অত গর্জন নেই। নীরব। শান্ত ঢেউ।’
যাওয়ার পথটা খুব সহজ
সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে যেতে হলে আপনাকে স্থানীয় বাজারে আসতে হবে। মানে সীতাকুণ্ড বাজার। সীতাকুণ্ড উপজেলায় গাড়ি থেকে নেমেই বাজারে চলে আসা খুব সহজ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই গুলিয়াখালী সৈকতে যাওয়ার রাস্তা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে সাগরের বেড়িবাঁধে গিয়ে নামতে হবে।
এরপর সামনে এগোলেই চমৎকার বিচটি। অনেকে চট্টগ্রাম শহরে রাত যাপন করে পরদিন সকালে গুলিয়াখালীতে চলে যান। চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ড যেতে লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। সারা দিন থেকে সন্ধ্যায় আবার শহরে ফিরে আসা যায়। চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড়, এ কে খান মোড়, কদমতলী স্টেশন থেকে প্রচুর ছোট-বড় লোকাল গাড়ি ছাড়ে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে।
ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৬০-১০০ টাকা। কেউ কেউ ফেনী থেকে বিচের সৌন্দর্য দেখার জন্য সীতাকুণ্ডে আসেন। তখন ভাড়া পড়বে ৮০-১৬০ টাকা। তবে সমুদ্রসৈকতে আসা-যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে নেওয়াই ভালো।
সতর্কতা
সাগর বললেই আমাদের চোখে ভাসে পতেঙ্গা, কক্সবাজার অথবা সেন্ট মার্টিনের কথা। কিন্তু চট্টগ্রামেই আছে অসাধারণ এক সৈকত। সেখানে সাগরপাড়ের সবুজের ভুবন, বালু নেই। পা ফেলতেই কাদামাখা মাটির আস্তরণে নরম ঘাসের রাজত্ব। দুই দিকে কেওড়া বন। সেই বনের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট একটি খাল। খালের পাশ ধরে সামনে দেখা যাবে বিশাল জলরাশি আর তার ঢেউ। আছড়ে পড়ছে একেবারে তীরে—সবুজ ঘাসের ওপর। তবে গর্জন কম। কিছুটা আটপৌরে এখনো। দেখে মনে হবে, লজ্জা কাটেনি তার।
না, এখানেই শেষ নয়। পরিবেশটা একেবারেই সুনসান। খানিক পর সূর্য রানি পশ্চিমে যাবেন। তারপর টুপ করে ডুব দেবেন সমুদ্রের জলে। আর তাতেই বাড়বে মায়া। বাড়বে ভালোবাসার টানে ফিরে আসার তাড়া।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে এই সৈকত। নাম গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অবশ্য এই জায়গা মুরাদপুর বিচ নামে পরিচিত। প্রতিদিনই দলে দলে ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভিড় করছেন সীতাকুণ্ডের এই গুলিয়াখালী সৈকত ওরফে মুরাদপুর বিচে।
মন ভাসাইয়া দে
গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত আর প্রকৃতির মাখামাখি বহুদিনের। সাগরপাড়ে যাওয়ার পথে রয়েছে সবুজ ঘাসের ছোট ছোট মাটির চাক বা কুণ্ড। সেখানে পা দিয়েই এগিয়ে যেতে হয় ঢেউয়ের কাছে। ইচ্ছে করবে হাত-পা এলিয়ে দিয়ে সাগরকে উঁকি দেওয়া নীলাকাশ দেখার। ঢেউয়ের ওপর সাদা মেঘের ভেলা। খেলছে আনমনে। যত দূর চোখ যায় উত্তাল তরঙ্গ। মন কেড়ে নেয় সহজে।
ওই তো, সাগরপাড়ে উড়ে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল। কোথা থেকে আসছে এত পাখি? কাদা জলে উদোম গায়ে ফুটবলে মেতেছে একদল কিশোর। ইচ্ছে হলে নেমে পড়তে পারেন ওদের সঙ্গে, মনের আনন্দে।
সাগরের ঢেউয়ে দুলছে নৌকা। জেলেরা ফিরে আসছেন মাছ নিয়ে। পাড়েই রয়েছে অনেক বোট। ঘুরে আসতে পারেন ঘণ্টাখানেক। সাগরের বুকে জড়িয়ে থাকা সন্দ্বীপের দৃশ্য মনটা ভালো করে দেবে। বিকেল গড়াতেই সূর্য ডুবে যায়। ম্যানগ্রোভ বনের হাতছানি ডাক দেয় চুপিচুপি। এখানে দাঁড়িয়ে দূর থেকে সূর্যাস্ত দেখার মজাটা সত্যি অন্য রকম!
এ যেন সুন্দরবন
সাগরের পাড়েই কেওড়াগাছের গহিন বন। চোখে পড়ে সারি সারি শ্বাসমূল। জোয়ারের সময় সেই বনের গাছের ফাঁকে ঢুকে যায় সাগরের পানি। নৌকাভ্রমণে গিয়ে মনে হবে, আরে, সুন্দরবনে চলে এলাম না তো!
অনেকে প্রিয় মুহূর্তটা স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে ছবি তুলতে ভুল করেন না। গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত অসংখ্য ছোট খালের মিলনস্থল। এসব খালে ছোট নৌকা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। ভাটার সময় দারুণ লাগে পুরো সৈকত। তবে সাগরের কাছে এসেই জোয়ার-ভাটার তথ্যটা টুকে নিতে হবে আপনাকে। নইলে কাদামাখা পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হবে যে!
বদলে যাচ্ছে পর্যটন স্পট
গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতের অবারিত সম্ভাবনা একে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে দিন দিন। সরকার এই সৈকতকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে হাতে নিয়েছে নানা পরিকল্পনা। যার মধ্যে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্ট, নৈসর্গিক কাঠের সেতু, পার্কিংসহ অনেক কিছু।
সীতাকুণ্ডের ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, বর্ষাকালে যাতায়াত করতে এসে কেউ যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, তাই সেতু নির্মাণের দিকে তাঁরা নজর দিয়েছেন।
আনন্দের খবর হচ্ছে, এই বিচে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। লাগবে না প্রবেশ ফি কিংবা টাকাপয়সা। এই বিচে ঢাকা থেকে সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন সালাউদ্দিন রেজা। তিনি বলেন, ‘চমৎকার একটি বিচ। ভালো লাগল। কক্সবাজারের মতো অত গর্জন নেই। নীরব। শান্ত ঢেউ।’
যাওয়ার পথটা খুব সহজ
সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে যেতে হলে আপনাকে স্থানীয় বাজারে আসতে হবে। মানে সীতাকুণ্ড বাজার। সীতাকুণ্ড উপজেলায় গাড়ি থেকে নেমেই বাজারে চলে আসা খুব সহজ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই গুলিয়াখালী সৈকতে যাওয়ার রাস্তা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে সাগরের বেড়িবাঁধে গিয়ে নামতে হবে।
এরপর সামনে এগোলেই চমৎকার বিচটি। অনেকে চট্টগ্রাম শহরে রাত যাপন করে পরদিন সকালে গুলিয়াখালীতে চলে যান। চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ড যেতে লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। সারা দিন থেকে সন্ধ্যায় আবার শহরে ফিরে আসা যায়। চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড়, এ কে খান মোড়, কদমতলী স্টেশন থেকে প্রচুর ছোট-বড় লোকাল গাড়ি ছাড়ে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে।
ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৬০-১০০ টাকা। কেউ কেউ ফেনী থেকে বিচের সৌন্দর্য দেখার জন্য সীতাকুণ্ডে আসেন। তখন ভাড়া পড়বে ৮০-১৬০ টাকা। তবে সমুদ্রসৈকতে আসা-যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে নেওয়াই ভালো।
সতর্কতা
ছুটির বিকেলে ফুচকা খাওয়ার ইচ্ছে জাগতেই পারে। তবে বাড়িতেই যদি টেলিভিশনে কোনো সিরিজ দেখতে দেখতে ফুচকা খাওয়া যায় সবাই মিলে তাহলে মন্দ হয় না। ফুচকা তো সুপারশপে কিনতে পাওয়াই যায়, তাহলে পুরটা যদি বাড়িতেই বানিয়ে নেন তাহলে আর চিন্তা কি! আপনাদের জন্য ফুচকার পুর ও টক পানি তৈরির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন আফেরাজা খা
১ ঘণ্টা আগেকিছুদিন পর পর হেয়ারস্টাইল বদলে ফেলা কেটি পেরির বয়স এখন ৪০ বছর। দেখতে এখনো ঠিক প্রেমে পড়ার মতোই আছেন তিনি। ট্রুডো কি তবে তাঁর প্রেমেই পড়লেন? এ প্রশ্নের মতোই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, চল্লিশের কোঠার এই পপস্টার কোন গোপন উপায়ে ত্বক উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রেখেছেন কিশোরীদের মতো?
৭ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে।
১ দিন আগেফ্রিজে মাঝে মাঝে বরফ এত বেশি জমাট বাঁধে যে সেগুলো দেখতে গুহার মতো লাগে। ফলে ফ্রিজের ভেতরের জায়গা কমে যায়, খাবার ঠিকমতো সংরক্ষণ করা যায় না, মেশিনের কাজের দক্ষতা কমে যায় এবং বিদ্যুতের বিল বাড়ে।
১ দিন আগে