জাহাঙ্গীর আলম
সবার সঙ্গে মিশতে পারেন এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি, যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে। আর আলু উৎপাদনের পরিমাণ ৯৬ লাখ টন।
স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যায়, সর্বাধিক ব্যবহৃত সবজি তাহলে আলু। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই অনুমান ভুল! কারণ উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য দেশে আলু আমাদের মতো এতটা সবজি হিসেবে খাওয়া হয় না।
পরিসংখ্যান বলছে, টমেটো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় ফসল এটি। মজার ব্যাপার হলো, টমেটো ফল নাকি সবজি—এ নিয়ে দীর্ঘ উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। বেশির ভাগ পুষ্টিবিদের মতে, টমেটো একটি সবজি। তবে উদ্ভিদবিদেরা টমেটোকে ফল হিসেবেই বর্ণনা করেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, টমেটো সবজি। কারণ সবজি বলতে বোঝায়, উদ্ভিদের যে কোনো ভোজ্য অংশ, যা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
অন্যদিকে, টমেটো ফলও। কারণ ফুলের ডিম্বাশয় থেকে তৈরি হয় এবং বীজ থাকে। অতএব, পাকা টমেটো একটি ফল। এই বিতর্ক একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন অঙ্গরাজ্যের পাইকারি সবজি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠা জন নিক্স অ্যান্ড কোম্পানি ক্যারিবীয় টমেটো আমদানিতে কর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা করেছিল। তখন সবজি আমদানিতে ১০ শতাংশ কর দিতে হতো। তাদের দাবি, টমেটো আদতে কোনো সবজি নয়।
১৮৮৭ সালে মামলা করে ওই কোম্পানি। সেটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় ১৮৯৩ সালে। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত কোম্পানির বিরুদ্ধেই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, সাধারণ মানুষ টমেটোকে অন্যান্য ফলের মতো করে খায় না। সুতরাং টমেটো সবজিই। বিচারক হোরাস গ্রে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায় টমেটো লাউ, কুমড়া ফলই। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণায় এটি সবজি।
বিশ্বে জনপ্রিয় সবজির মধ্যে আরও আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও ক্যাপসিকাম।
টমেটো
টমেটো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। স্ট্যাটিস্টার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বছর বিশ্বে টমেটোর উৎপাদন হয় ১৮ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টন। বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে টমেটোর তিনটি বৃহত্তম উৎপাদক হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বৃহত্তম টমেটো রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস, মেক্সিকো ও স্পেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় সবজি। ২০১৯ সালে বিশ্বে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ চীন। এর পরই আছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পেঁয়াজ উৎকৃষ্ট গুণমান সম্পন্ন এবং কম দামের কারণে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস, চীন ও মেক্সিকো। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে প্রধান পেঁয়াজ আমদানিকারক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।
এর পরই রয়েছে যথাক্রমে: শসা-ক্ষীরা (৮ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টন), বাঁধাকপি ও অন্যান্য (৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টন), বেগুন (৫ কোটি ৫২ লাখ টন), গাজর ও অন্যান্য (৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টন) ইত্যাদি।
মরিচ ও ক্যাপসিকাম
মরিচ ও ক্যাপসিকাম বিশ্বের সপ্তম জনপ্রিয় সবজি। বিশ্বে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার টন মরিচ ও ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হয়। ২০১৬ সালে মরিচ ও ক্যাপসিকামের শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল মেক্সিকো, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। আর উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল চীন, মেক্সিকো ও তুরস্ক। অন্যদিকে, শীর্ষ আমদানিকারক ছিল চীন, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সালে চীন ছিল তাজা সবজির বৃহত্তম উৎপাদনকারী। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সবজি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ছিল ভারত, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ও ফিলিপাইন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সবজি ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফসল ছিল আলু। ওই বছর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল টমেটো।
শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেঁয়াজ, টমেটো, মরিচ ও ক্যাপসিকাম খাবার সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া টমেটোর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন—হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা, হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক।
অন্যদিকে, ক্যাপসিকাম হজমের উন্নতি করে, হাঁপানির রোগীদের শ্বাস সহজ করতে সাহায্য করে, মাথাব্যথা কমায় এবং ভিটামিন সির বড় উৎস। পেঁয়াজে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ই। এটি খাদ্যতালিকায় ফাইবার যোগ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও সোডিয়াম।
সবার সঙ্গে মিশতে পারেন এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি, যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে। আর আলু উৎপাদনের পরিমাণ ৯৬ লাখ টন।
স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যায়, সর্বাধিক ব্যবহৃত সবজি তাহলে আলু। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই অনুমান ভুল! কারণ উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য দেশে আলু আমাদের মতো এতটা সবজি হিসেবে খাওয়া হয় না।
পরিসংখ্যান বলছে, টমেটো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় ফসল এটি। মজার ব্যাপার হলো, টমেটো ফল নাকি সবজি—এ নিয়ে দীর্ঘ উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। বেশির ভাগ পুষ্টিবিদের মতে, টমেটো একটি সবজি। তবে উদ্ভিদবিদেরা টমেটোকে ফল হিসেবেই বর্ণনা করেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, টমেটো সবজি। কারণ সবজি বলতে বোঝায়, উদ্ভিদের যে কোনো ভোজ্য অংশ, যা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
অন্যদিকে, টমেটো ফলও। কারণ ফুলের ডিম্বাশয় থেকে তৈরি হয় এবং বীজ থাকে। অতএব, পাকা টমেটো একটি ফল। এই বিতর্ক একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন অঙ্গরাজ্যের পাইকারি সবজি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠা জন নিক্স অ্যান্ড কোম্পানি ক্যারিবীয় টমেটো আমদানিতে কর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা করেছিল। তখন সবজি আমদানিতে ১০ শতাংশ কর দিতে হতো। তাদের দাবি, টমেটো আদতে কোনো সবজি নয়।
১৮৮৭ সালে মামলা করে ওই কোম্পানি। সেটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় ১৮৯৩ সালে। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত কোম্পানির বিরুদ্ধেই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, সাধারণ মানুষ টমেটোকে অন্যান্য ফলের মতো করে খায় না। সুতরাং টমেটো সবজিই। বিচারক হোরাস গ্রে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায় টমেটো লাউ, কুমড়া ফলই। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণায় এটি সবজি।
বিশ্বে জনপ্রিয় সবজির মধ্যে আরও আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও ক্যাপসিকাম।
টমেটো
টমেটো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। স্ট্যাটিস্টার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বছর বিশ্বে টমেটোর উৎপাদন হয় ১৮ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টন। বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে টমেটোর তিনটি বৃহত্তম উৎপাদক হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বৃহত্তম টমেটো রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস, মেক্সিকো ও স্পেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় সবজি। ২০১৯ সালে বিশ্বে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ চীন। এর পরই আছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পেঁয়াজ উৎকৃষ্ট গুণমান সম্পন্ন এবং কম দামের কারণে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস, চীন ও মেক্সিকো। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে প্রধান পেঁয়াজ আমদানিকারক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।
এর পরই রয়েছে যথাক্রমে: শসা-ক্ষীরা (৮ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টন), বাঁধাকপি ও অন্যান্য (৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টন), বেগুন (৫ কোটি ৫২ লাখ টন), গাজর ও অন্যান্য (৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টন) ইত্যাদি।
মরিচ ও ক্যাপসিকাম
মরিচ ও ক্যাপসিকাম বিশ্বের সপ্তম জনপ্রিয় সবজি। বিশ্বে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার টন মরিচ ও ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হয়। ২০১৬ সালে মরিচ ও ক্যাপসিকামের শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল মেক্সিকো, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। আর উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল চীন, মেক্সিকো ও তুরস্ক। অন্যদিকে, শীর্ষ আমদানিকারক ছিল চীন, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সালে চীন ছিল তাজা সবজির বৃহত্তম উৎপাদনকারী। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সবজি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ছিল ভারত, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ও ফিলিপাইন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সবজি ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফসল ছিল আলু। ওই বছর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল টমেটো।
শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেঁয়াজ, টমেটো, মরিচ ও ক্যাপসিকাম খাবার সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া টমেটোর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন—হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা, হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক।
অন্যদিকে, ক্যাপসিকাম হজমের উন্নতি করে, হাঁপানির রোগীদের শ্বাস সহজ করতে সাহায্য করে, মাথাব্যথা কমায় এবং ভিটামিন সির বড় উৎস। পেঁয়াজে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ই। এটি খাদ্যতালিকায় ফাইবার যোগ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও সোডিয়াম।
কত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে।
২ দিন আগেযতই উন্মুক্ত হচ্ছে, ততই যেন পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সৌদি আরব। দেশটাই একটা চমকজাগানিয়া। মরুভূমি, প্রাচীন বৃক্ষের বন, প্রাচীন জনপদ ও সংস্কৃতি—সবই আছে সৌদি আরবে। আছে নিওম নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল মেগাসিটি।
২ দিন আগেচীনে চলছে বসন্ত উৎসব কিংবা চান্দ্র নববর্ষের আনন্দমুখর আয়োজন। সারা দেশে এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী প্রথা, বাহারি খাবার, সজ্জা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নানান রীতি-রেওয়াজের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে।
২ দিন আগেচীনা নববর্ষের ইতিহাস ৩ হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। এটি শুরু হয়েছিল চীনের প্রাচীন কৃষি ভিত্তিক সমাজে। দেবতা এবং পূর্বপুরুষদের সম্মান, ভালো ফসলের প্রার্থনা এবং মন্দ আত্মা তাড়ানোর সামাজিক প্রথা থেকে এ উৎসবের সূচনা হয়েছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলা এ উৎসবের মূলে থাকে পরিবার।
২ দিন আগে