জাহাঙ্গীর আলম

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি, যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে। আর আলু উৎপাদনের পরিমাণ ৯৬ লাখ টন।
স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যায়, সর্বাধিক ব্যবহৃত সবজি তাহলে আলু। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই অনুমান ভুল! কারণ উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য দেশে আলু আমাদের মতো এতটা সবজি হিসেবে খাওয়া হয় না।
পরিসংখ্যান বলছে, টমেটো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় ফসল এটি। মজার ব্যাপার হলো, টমেটো ফল নাকি সবজি—এ নিয়ে দীর্ঘ উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। বেশির ভাগ পুষ্টিবিদের মতে, টমেটো একটি সবজি। তবে উদ্ভিদবিদেরা টমেটোকে ফল হিসেবেই বর্ণনা করেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, টমেটো সবজি। কারণ সবজি বলতে বোঝায়, উদ্ভিদের যে কোনো ভোজ্য অংশ, যা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
অন্যদিকে, টমেটো ফলও। কারণ ফুলের ডিম্বাশয় থেকে তৈরি হয় এবং বীজ থাকে। অতএব, পাকা টমেটো একটি ফল। এই বিতর্ক একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন অঙ্গরাজ্যের পাইকারি সবজি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠা জন নিক্স অ্যান্ড কোম্পানি ক্যারিবীয় টমেটো আমদানিতে কর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা করেছিল। তখন সবজি আমদানিতে ১০ শতাংশ কর দিতে হতো। তাদের দাবি, টমেটো আদতে কোনো সবজি নয়।
১৮৮৭ সালে মামলা করে ওই কোম্পানি। সেটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় ১৮৯৩ সালে। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত কোম্পানির বিরুদ্ধেই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, সাধারণ মানুষ টমেটোকে অন্যান্য ফলের মতো করে খায় না। সুতরাং টমেটো সবজিই। বিচারক হোরাস গ্রে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায় টমেটো লাউ, কুমড়া ফলই। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণায় এটি সবজি।
বিশ্বে জনপ্রিয় সবজির মধ্যে আরও আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও ক্যাপসিকাম।
টমেটো
টমেটো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। স্ট্যাটিস্টার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বছর বিশ্বে টমেটোর উৎপাদন হয় ১৮ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টন। বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে টমেটোর তিনটি বৃহত্তম উৎপাদক হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বৃহত্তম টমেটো রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস, মেক্সিকো ও স্পেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় সবজি। ২০১৯ সালে বিশ্বে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ চীন। এর পরই আছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পেঁয়াজ উৎকৃষ্ট গুণমান সম্পন্ন এবং কম দামের কারণে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস, চীন ও মেক্সিকো। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে প্রধান পেঁয়াজ আমদানিকারক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।
এর পরই রয়েছে যথাক্রমে: শসা-ক্ষীরা (৮ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টন), বাঁধাকপি ও অন্যান্য (৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টন), বেগুন (৫ কোটি ৫২ লাখ টন), গাজর ও অন্যান্য (৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টন) ইত্যাদি।
মরিচ ও ক্যাপসিকাম
মরিচ ও ক্যাপসিকাম বিশ্বের সপ্তম জনপ্রিয় সবজি। বিশ্বে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার টন মরিচ ও ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হয়। ২০১৬ সালে মরিচ ও ক্যাপসিকামের শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল মেক্সিকো, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। আর উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল চীন, মেক্সিকো ও তুরস্ক। অন্যদিকে, শীর্ষ আমদানিকারক ছিল চীন, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সালে চীন ছিল তাজা সবজির বৃহত্তম উৎপাদনকারী। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সবজি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ছিল ভারত, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ও ফিলিপাইন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সবজি ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফসল ছিল আলু। ওই বছর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল টমেটো।
শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেঁয়াজ, টমেটো, মরিচ ও ক্যাপসিকাম খাবার সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া টমেটোর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন—হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা, হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক।
অন্যদিকে, ক্যাপসিকাম হজমের উন্নতি করে, হাঁপানির রোগীদের শ্বাস সহজ করতে সাহায্য করে, মাথাব্যথা কমায় এবং ভিটামিন সির বড় উৎস। পেঁয়াজে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ই। এটি খাদ্যতালিকায় ফাইবার যোগ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও সোডিয়াম।

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি, যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে। আর আলু উৎপাদনের পরিমাণ ৯৬ লাখ টন।
স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যায়, সর্বাধিক ব্যবহৃত সবজি তাহলে আলু। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই অনুমান ভুল! কারণ উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য দেশে আলু আমাদের মতো এতটা সবজি হিসেবে খাওয়া হয় না।
পরিসংখ্যান বলছে, টমেটো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় ফসল এটি। মজার ব্যাপার হলো, টমেটো ফল নাকি সবজি—এ নিয়ে দীর্ঘ উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। বেশির ভাগ পুষ্টিবিদের মতে, টমেটো একটি সবজি। তবে উদ্ভিদবিদেরা টমেটোকে ফল হিসেবেই বর্ণনা করেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, টমেটো সবজি। কারণ সবজি বলতে বোঝায়, উদ্ভিদের যে কোনো ভোজ্য অংশ, যা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
অন্যদিকে, টমেটো ফলও। কারণ ফুলের ডিম্বাশয় থেকে তৈরি হয় এবং বীজ থাকে। অতএব, পাকা টমেটো একটি ফল। এই বিতর্ক একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন অঙ্গরাজ্যের পাইকারি সবজি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠা জন নিক্স অ্যান্ড কোম্পানি ক্যারিবীয় টমেটো আমদানিতে কর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা করেছিল। তখন সবজি আমদানিতে ১০ শতাংশ কর দিতে হতো। তাদের দাবি, টমেটো আদতে কোনো সবজি নয়।
১৮৮৭ সালে মামলা করে ওই কোম্পানি। সেটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় ১৮৯৩ সালে। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত কোম্পানির বিরুদ্ধেই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, সাধারণ মানুষ টমেটোকে অন্যান্য ফলের মতো করে খায় না। সুতরাং টমেটো সবজিই। বিচারক হোরাস গ্রে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায় টমেটো লাউ, কুমড়া ফলই। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণায় এটি সবজি।
বিশ্বে জনপ্রিয় সবজির মধ্যে আরও আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও ক্যাপসিকাম।
টমেটো
টমেটো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। স্ট্যাটিস্টার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বছর বিশ্বে টমেটোর উৎপাদন হয় ১৮ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টন। বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে টমেটোর তিনটি বৃহত্তম উৎপাদক হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বৃহত্তম টমেটো রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস, মেক্সিকো ও স্পেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় সবজি। ২০১৯ সালে বিশ্বে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ চীন। এর পরই আছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পেঁয়াজ উৎকৃষ্ট গুণমান সম্পন্ন এবং কম দামের কারণে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস, চীন ও মেক্সিকো। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে প্রধান পেঁয়াজ আমদানিকারক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।
এর পরই রয়েছে যথাক্রমে: শসা-ক্ষীরা (৮ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টন), বাঁধাকপি ও অন্যান্য (৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টন), বেগুন (৫ কোটি ৫২ লাখ টন), গাজর ও অন্যান্য (৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টন) ইত্যাদি।
মরিচ ও ক্যাপসিকাম
মরিচ ও ক্যাপসিকাম বিশ্বের সপ্তম জনপ্রিয় সবজি। বিশ্বে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার টন মরিচ ও ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হয়। ২০১৬ সালে মরিচ ও ক্যাপসিকামের শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল মেক্সিকো, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। আর উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল চীন, মেক্সিকো ও তুরস্ক। অন্যদিকে, শীর্ষ আমদানিকারক ছিল চীন, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সালে চীন ছিল তাজা সবজির বৃহত্তম উৎপাদনকারী। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সবজি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ছিল ভারত, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ও ফিলিপাইন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সবজি ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফসল ছিল আলু। ওই বছর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল টমেটো।
শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেঁয়াজ, টমেটো, মরিচ ও ক্যাপসিকাম খাবার সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া টমেটোর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন—হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা, হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক।
অন্যদিকে, ক্যাপসিকাম হজমের উন্নতি করে, হাঁপানির রোগীদের শ্বাস সহজ করতে সাহায্য করে, মাথাব্যথা কমায় এবং ভিটামিন সির বড় উৎস। পেঁয়াজে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ই। এটি খাদ্যতালিকায় ফাইবার যোগ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও সোডিয়াম।
জাহাঙ্গীর আলম

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি, যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে। আর আলু উৎপাদনের পরিমাণ ৯৬ লাখ টন।
স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যায়, সর্বাধিক ব্যবহৃত সবজি তাহলে আলু। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই অনুমান ভুল! কারণ উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য দেশে আলু আমাদের মতো এতটা সবজি হিসেবে খাওয়া হয় না।
পরিসংখ্যান বলছে, টমেটো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় ফসল এটি। মজার ব্যাপার হলো, টমেটো ফল নাকি সবজি—এ নিয়ে দীর্ঘ উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। বেশির ভাগ পুষ্টিবিদের মতে, টমেটো একটি সবজি। তবে উদ্ভিদবিদেরা টমেটোকে ফল হিসেবেই বর্ণনা করেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, টমেটো সবজি। কারণ সবজি বলতে বোঝায়, উদ্ভিদের যে কোনো ভোজ্য অংশ, যা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
অন্যদিকে, টমেটো ফলও। কারণ ফুলের ডিম্বাশয় থেকে তৈরি হয় এবং বীজ থাকে। অতএব, পাকা টমেটো একটি ফল। এই বিতর্ক একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন অঙ্গরাজ্যের পাইকারি সবজি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠা জন নিক্স অ্যান্ড কোম্পানি ক্যারিবীয় টমেটো আমদানিতে কর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা করেছিল। তখন সবজি আমদানিতে ১০ শতাংশ কর দিতে হতো। তাদের দাবি, টমেটো আদতে কোনো সবজি নয়।
১৮৮৭ সালে মামলা করে ওই কোম্পানি। সেটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় ১৮৯৩ সালে। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত কোম্পানির বিরুদ্ধেই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, সাধারণ মানুষ টমেটোকে অন্যান্য ফলের মতো করে খায় না। সুতরাং টমেটো সবজিই। বিচারক হোরাস গ্রে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায় টমেটো লাউ, কুমড়া ফলই। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণায় এটি সবজি।
বিশ্বে জনপ্রিয় সবজির মধ্যে আরও আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও ক্যাপসিকাম।
টমেটো
টমেটো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। স্ট্যাটিস্টার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বছর বিশ্বে টমেটোর উৎপাদন হয় ১৮ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টন। বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে টমেটোর তিনটি বৃহত্তম উৎপাদক হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বৃহত্তম টমেটো রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস, মেক্সিকো ও স্পেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় সবজি। ২০১৯ সালে বিশ্বে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ চীন। এর পরই আছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পেঁয়াজ উৎকৃষ্ট গুণমান সম্পন্ন এবং কম দামের কারণে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস, চীন ও মেক্সিকো। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে প্রধান পেঁয়াজ আমদানিকারক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।
এর পরই রয়েছে যথাক্রমে: শসা-ক্ষীরা (৮ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টন), বাঁধাকপি ও অন্যান্য (৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টন), বেগুন (৫ কোটি ৫২ লাখ টন), গাজর ও অন্যান্য (৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টন) ইত্যাদি।
মরিচ ও ক্যাপসিকাম
মরিচ ও ক্যাপসিকাম বিশ্বের সপ্তম জনপ্রিয় সবজি। বিশ্বে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার টন মরিচ ও ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হয়। ২০১৬ সালে মরিচ ও ক্যাপসিকামের শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল মেক্সিকো, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। আর উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল চীন, মেক্সিকো ও তুরস্ক। অন্যদিকে, শীর্ষ আমদানিকারক ছিল চীন, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সালে চীন ছিল তাজা সবজির বৃহত্তম উৎপাদনকারী। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সবজি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ছিল ভারত, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ও ফিলিপাইন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সবজি ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফসল ছিল আলু। ওই বছর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল টমেটো।
শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেঁয়াজ, টমেটো, মরিচ ও ক্যাপসিকাম খাবার সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া টমেটোর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন—হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা, হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক।
অন্যদিকে, ক্যাপসিকাম হজমের উন্নতি করে, হাঁপানির রোগীদের শ্বাস সহজ করতে সাহায্য করে, মাথাব্যথা কমায় এবং ভিটামিন সির বড় উৎস। পেঁয়াজে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ই। এটি খাদ্যতালিকায় ফাইবার যোগ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও সোডিয়াম।

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি, যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে। আর আলু উৎপাদনের পরিমাণ ৯৬ লাখ টন।
স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যায়, সর্বাধিক ব্যবহৃত সবজি তাহলে আলু। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই অনুমান ভুল! কারণ উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য দেশে আলু আমাদের মতো এতটা সবজি হিসেবে খাওয়া হয় না।
পরিসংখ্যান বলছে, টমেটো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় ফসল এটি। মজার ব্যাপার হলো, টমেটো ফল নাকি সবজি—এ নিয়ে দীর্ঘ উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। বেশির ভাগ পুষ্টিবিদের মতে, টমেটো একটি সবজি। তবে উদ্ভিদবিদেরা টমেটোকে ফল হিসেবেই বর্ণনা করেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, টমেটো সবজি। কারণ সবজি বলতে বোঝায়, উদ্ভিদের যে কোনো ভোজ্য অংশ, যা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
অন্যদিকে, টমেটো ফলও। কারণ ফুলের ডিম্বাশয় থেকে তৈরি হয় এবং বীজ থাকে। অতএব, পাকা টমেটো একটি ফল। এই বিতর্ক একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন অঙ্গরাজ্যের পাইকারি সবজি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠা জন নিক্স অ্যান্ড কোম্পানি ক্যারিবীয় টমেটো আমদানিতে কর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা করেছিল। তখন সবজি আমদানিতে ১০ শতাংশ কর দিতে হতো। তাদের দাবি, টমেটো আদতে কোনো সবজি নয়।
১৮৮৭ সালে মামলা করে ওই কোম্পানি। সেটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় ১৮৯৩ সালে। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত কোম্পানির বিরুদ্ধেই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, সাধারণ মানুষ টমেটোকে অন্যান্য ফলের মতো করে খায় না। সুতরাং টমেটো সবজিই। বিচারক হোরাস গ্রে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায় টমেটো লাউ, কুমড়া ফলই। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণায় এটি সবজি।
বিশ্বে জনপ্রিয় সবজির মধ্যে আরও আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও ক্যাপসিকাম।
টমেটো
টমেটো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি। স্ট্যাটিস্টার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বছর বিশ্বে টমেটোর উৎপাদন হয় ১৮ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টন। বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে টমেটোর তিনটি বৃহত্তম উৎপাদক হলো চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বৃহত্তম টমেটো রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস, মেক্সিকো ও স্পেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় সবজি। ২০১৯ সালে বিশ্বে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ চীন। এর পরই আছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পেঁয়াজ উৎকৃষ্ট গুণমান সম্পন্ন এবং কম দামের কারণে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস, চীন ও মেক্সিকো। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে প্রধান পেঁয়াজ আমদানিকারক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।
এর পরই রয়েছে যথাক্রমে: শসা-ক্ষীরা (৮ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টন), বাঁধাকপি ও অন্যান্য (৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টন), বেগুন (৫ কোটি ৫২ লাখ টন), গাজর ও অন্যান্য (৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টন) ইত্যাদি।
মরিচ ও ক্যাপসিকাম
মরিচ ও ক্যাপসিকাম বিশ্বের সপ্তম জনপ্রিয় সবজি। বিশ্বে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার টন মরিচ ও ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হয়। ২০১৬ সালে মরিচ ও ক্যাপসিকামের শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে ছিল মেক্সিকো, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। আর উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল চীন, মেক্সিকো ও তুরস্ক। অন্যদিকে, শীর্ষ আমদানিকারক ছিল চীন, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সালে চীন ছিল তাজা সবজির বৃহত্তম উৎপাদনকারী। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সবজি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ছিল ভারত, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ও ফিলিপাইন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সবজি ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফসল ছিল আলু। ওই বছর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল টমেটো।
শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেঁয়াজ, টমেটো, মরিচ ও ক্যাপসিকাম খাবার সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া টমেটোর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন—হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা, হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক।
অন্যদিকে, ক্যাপসিকাম হজমের উন্নতি করে, হাঁপানির রোগীদের শ্বাস সহজ করতে সাহায্য করে, মাথাব্যথা কমায় এবং ভিটামিন সির বড় উৎস। পেঁয়াজে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ই। এটি খাদ্যতালিকায় ফাইবার যোগ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও সোডিয়াম।

প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
২ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
৫ ঘণ্টা আগে
ক্যালসিয়াম শুধু হাড় ও দাঁত শক্ত রাখে না, এটি হৃদ্যন্ত্র, পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুর সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। তবে কিশোর-কিশোরী, মেনোপজোত্তর নারী এবং বয়স্কদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এনে ওষুধ ছাড়াই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনগুলো আপনার রক্তচাপ কমাতে ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি শুধু নিরামিষভোজীদের উৎসব নয়, বরং এক সবুজ পৃথিবীর দিকে ছোট্ট পদক্ষেপ। ভেগান দিবস পালিত হয় মূলত দুগ্ধজাত বা প্রাণীজ পণ্য বাদ দিয়ে সর্ব-সবুজ খাদ্য গ্রহণের প্রথা উদ্যাপন করার জন্য।
ভেজিটেরিয়ানরা উদ্ভিজ্জ খাবারের পাশাপাশি দুধ, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেগানরা প্রাণিজ উৎস থেকে কিছুই গ্রহণ করেন না। যাঁরা ভেগান জীবন যাপন করেন, তাঁরা মূলত প্রাণিজ কোনো পণ্য ব্যবহার করেন না। তাঁরা দুধ, পনির, মাখন, এমনকি মধুও খান না। তাঁরা যেমনভাবে কোনো ধরনের প্রাণিজ খাবার গ্রহণ করেন না, ঠিক একইভাবে প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ থেকে তৈরি কোনো জিনিসও তাঁরা পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। অর্থাৎ ভেগানরা ভেজিটেরিয়ানদের চেয়ে আরও অনেক বেশি কট্টর। খাদ্যতালিকায় মাংস না থাকাটা নতুন কিছু নয়। আজ থেকে আড়াই হাজারের বেশি বছর আগে প্রাচীন ভারতে এই চর্চা ছিল। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় এলাকাতেও এমন প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, ভেগান হলে স্বাস্থ্যের কিছু উপকার সত্যিই হয়। যাঁরা ভেগান, বা ভেগান হওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা পাঠিয়েছেন দারুণ কয়েকটি রেসিপি ও ছবি।

সিলেটিরা খেতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কচি চা-পাতার ভর্তা
উপকরণ
কচি চা-পাতা কুচি এক কাপ, আলু সেদ্ধ চারটা, কাঁচা মরিচ কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, চানাচুর আধা কাপ।
প্রণালি
আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে নিন। এবার চায়ের পাতা ধুয়ে মিহি কুচি করে কেটে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রসুন কুচি একসঙ্গে ভালো করে চটকে নিন। তারপর চায়ের পাতা কুচি দিয়ে আবারও চটকে নিন। শেষে আলু সেদ্ধ মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে আবারও মাখিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কচি চা-পাতার ভর্তা। গরম-গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ভর্তা।
শহুরে ভেগানরা চেখে দেখুন বেগুনের কোর্মা
উপকরণ
বেগুন ৫০০ গ্রাম, টমেটো দুটি, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা দুটি, টকদই দুই টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, হলুদ, কাঁচা মরিচ বাটা এক চা চামচ করে, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, হিং এক চিমটি।
প্রণালি
বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। কড়াইতে সাদা তেল গরম হলে এলাচ ও দারুচিনি, তেজপাতা ও হিং দিন। পরে সব বাটা মসলা দিয়ে দই দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে চিনি দিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে ভাজা টমেটো ও বেগুন দিন। মাখো মাখো হলে নামানোর আগে ঘি ও জয়ত্রী গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বেগুনের কোর্মা।

ব্যাচেলররা খেতে পারেন বিটের সবজি
উপকরণ
বিট ২০০ গ্রাম, আলু দুটি, গাজর একটি, ফুলকপি একটি, ব্রকোলি একটি, বরবটি এক কাপ, টমেটো এক কাপ, কাঁচা মরিচ ছয়-সাতটি, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদ সামান্য, শুকনা মরিচ দু-তিনটি, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি দুই টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে চার-পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। সব সবজি আর আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টমেটো, কাঁচা মরিচ, পাঁচফোড়ন, গরম মসলা দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে এলে চিনি দিন। এবার লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল বিটের বাহারি সবজি।

প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি শুধু নিরামিষভোজীদের উৎসব নয়, বরং এক সবুজ পৃথিবীর দিকে ছোট্ট পদক্ষেপ। ভেগান দিবস পালিত হয় মূলত দুগ্ধজাত বা প্রাণীজ পণ্য বাদ দিয়ে সর্ব-সবুজ খাদ্য গ্রহণের প্রথা উদ্যাপন করার জন্য।
ভেজিটেরিয়ানরা উদ্ভিজ্জ খাবারের পাশাপাশি দুধ, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেগানরা প্রাণিজ উৎস থেকে কিছুই গ্রহণ করেন না। যাঁরা ভেগান জীবন যাপন করেন, তাঁরা মূলত প্রাণিজ কোনো পণ্য ব্যবহার করেন না। তাঁরা দুধ, পনির, মাখন, এমনকি মধুও খান না। তাঁরা যেমনভাবে কোনো ধরনের প্রাণিজ খাবার গ্রহণ করেন না, ঠিক একইভাবে প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ থেকে তৈরি কোনো জিনিসও তাঁরা পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। অর্থাৎ ভেগানরা ভেজিটেরিয়ানদের চেয়ে আরও অনেক বেশি কট্টর। খাদ্যতালিকায় মাংস না থাকাটা নতুন কিছু নয়। আজ থেকে আড়াই হাজারের বেশি বছর আগে প্রাচীন ভারতে এই চর্চা ছিল। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় এলাকাতেও এমন প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, ভেগান হলে স্বাস্থ্যের কিছু উপকার সত্যিই হয়। যাঁরা ভেগান, বা ভেগান হওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা পাঠিয়েছেন দারুণ কয়েকটি রেসিপি ও ছবি।

সিলেটিরা খেতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কচি চা-পাতার ভর্তা
উপকরণ
কচি চা-পাতা কুচি এক কাপ, আলু সেদ্ধ চারটা, কাঁচা মরিচ কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, চানাচুর আধা কাপ।
প্রণালি
আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে নিন। এবার চায়ের পাতা ধুয়ে মিহি কুচি করে কেটে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রসুন কুচি একসঙ্গে ভালো করে চটকে নিন। তারপর চায়ের পাতা কুচি দিয়ে আবারও চটকে নিন। শেষে আলু সেদ্ধ মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে আবারও মাখিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কচি চা-পাতার ভর্তা। গরম-গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ভর্তা।
শহুরে ভেগানরা চেখে দেখুন বেগুনের কোর্মা
উপকরণ
বেগুন ৫০০ গ্রাম, টমেটো দুটি, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা দুটি, টকদই দুই টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, হলুদ, কাঁচা মরিচ বাটা এক চা চামচ করে, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, হিং এক চিমটি।
প্রণালি
বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। কড়াইতে সাদা তেল গরম হলে এলাচ ও দারুচিনি, তেজপাতা ও হিং দিন। পরে সব বাটা মসলা দিয়ে দই দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে চিনি দিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে ভাজা টমেটো ও বেগুন দিন। মাখো মাখো হলে নামানোর আগে ঘি ও জয়ত্রী গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বেগুনের কোর্মা।

ব্যাচেলররা খেতে পারেন বিটের সবজি
উপকরণ
বিট ২০০ গ্রাম, আলু দুটি, গাজর একটি, ফুলকপি একটি, ব্রকোলি একটি, বরবটি এক কাপ, টমেটো এক কাপ, কাঁচা মরিচ ছয়-সাতটি, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদ সামান্য, শুকনা মরিচ দু-তিনটি, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি দুই টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে চার-পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। সব সবজি আর আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টমেটো, কাঁচা মরিচ, পাঁচফোড়ন, গরম মসলা দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে এলে চিনি দিন। এবার লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল বিটের বাহারি সবজি।

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন-এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
১৯ নভেম্বর ২০২১
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
৫ ঘণ্টা আগে
ক্যালসিয়াম শুধু হাড় ও দাঁত শক্ত রাখে না, এটি হৃদ্যন্ত্র, পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুর সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। তবে কিশোর-কিশোরী, মেনোপজোত্তর নারী এবং বয়স্কদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এনে ওষুধ ছাড়াই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনগুলো আপনার রক্তচাপ কমাতে ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর কার্যকারিতা ভিন্ন। জেনে নিন কোনটি আসলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নরম ও মসৃণ চুলের জন্য দুধ
দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ। ফলে এটি আপনার চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চুলে দুধ ব্যবহার করলে তা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। ফলে রুক্ষতা কমে গিয়ে চুল হয় নরম ও মসৃণ।
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, ময়লা ও জমাট বাঁধা খুশকি দূর করে। যাঁদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধ ভালো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে শুধু দুধ নয়; সঙ্গে মধু, কলা ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে সুপার ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো যে দুধ আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে দেখাতে কার্যকর হলেও, এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। এটি মাথার ত্বকের উপরিভাগে বেশি কাজ করে। কিন্তু চুল ঘন করা বা চুল গজানোর মতো ব্যাপারগুলোয় এর কোনো কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।

টক দই চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে
টক দই প্রোবায়োটিকসে পরিপূর্ণ। এর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়া মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি৫ ও জিংক রয়েছে, যা চুল বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
টক দই মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, খুশকি প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। টক দই ফলিকলগুলো শক্তিশালী করে বলে নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বড় হয়। টক দইয়ের সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া, মেথি অথবা নারকেল তেলের মতো উপাদান মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া টক দই চুল নরম ও চকচকে করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুল যতই সিল্কি হোক, ঘনত্ব না থাকলে আসল সৌন্দর্য অধরাই থেকে যায়। টক দই দিয়ে তৈরি করা যায় এমন অনেক হেয়ার প্যাক রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে ঘন হয়। ডিম আর টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম আর টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে এক মগ পানিতে খানিকটা পাতিলেবুর রস আর আধা কাপ গোলাপজল মিশিয়ে আরেকবার চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলে ডিমের আঁশটে গন্ধ থাকবে না। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
কোনটি বেশি ভালো: দুধ না টক দই?
যদি দ্রুত নরম ও চকচকে চুল পেতে চান, তাহলে দুধ বেছে নিন। কিন্তু গোড়া মজবুত ও লম্বা চুল পেতে আগ্রহী হলে টক দই বেছে নিতে হবে। এটি শুধু মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
তবে দুধ ও টক দই উভয়ই তাদের নিজস্ব উপায়ে চুলের যত্নে কাজ করে। এমনকি এই দুটি উপকরণ একসঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। এক চামচ মধু বা নারকেল তেলের সঙ্গে দুধ ও টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

চুলে দুধ যেভাবে ব্যবহার করবেন
আধা কাপ দুধ গরম করুন। একটি তুলার বল বা স্প্রে বোতল ব্যবহার করে এটি আপনার মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোঁকড়ানো চুলের নমনীয়তার জন্য সপ্তাহে একবার দুধ এভাবে ব্যবহার করুন।
চুলে টক দই যেভাবে ব্যবহার করবেন
৩ টেবিল চামচ দই ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বক ও পুরো চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মজবুত ও চকচকে চুলের জন্য সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন এটি।
চুলের যত্নে দুধ ও টক দই দুটোই উপকারী। কিন্তু টক দই ব্যবহারে কিছুটা উপকার বেশি পাওয়া যায়। চুল দ্রুত বড় করতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা দুধের পরিবর্তে এখন থেকে টক দই ব্যবহার করুন।

বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর কার্যকারিতা ভিন্ন। জেনে নিন কোনটি আসলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নরম ও মসৃণ চুলের জন্য দুধ
দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ। ফলে এটি আপনার চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চুলে দুধ ব্যবহার করলে তা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। ফলে রুক্ষতা কমে গিয়ে চুল হয় নরম ও মসৃণ।
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, ময়লা ও জমাট বাঁধা খুশকি দূর করে। যাঁদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধ ভালো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে শুধু দুধ নয়; সঙ্গে মধু, কলা ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে সুপার ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো যে দুধ আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে দেখাতে কার্যকর হলেও, এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। এটি মাথার ত্বকের উপরিভাগে বেশি কাজ করে। কিন্তু চুল ঘন করা বা চুল গজানোর মতো ব্যাপারগুলোয় এর কোনো কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।

টক দই চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে
টক দই প্রোবায়োটিকসে পরিপূর্ণ। এর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়া মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি৫ ও জিংক রয়েছে, যা চুল বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
টক দই মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, খুশকি প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। টক দই ফলিকলগুলো শক্তিশালী করে বলে নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বড় হয়। টক দইয়ের সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া, মেথি অথবা নারকেল তেলের মতো উপাদান মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া টক দই চুল নরম ও চকচকে করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুল যতই সিল্কি হোক, ঘনত্ব না থাকলে আসল সৌন্দর্য অধরাই থেকে যায়। টক দই দিয়ে তৈরি করা যায় এমন অনেক হেয়ার প্যাক রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে ঘন হয়। ডিম আর টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম আর টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে এক মগ পানিতে খানিকটা পাতিলেবুর রস আর আধা কাপ গোলাপজল মিশিয়ে আরেকবার চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলে ডিমের আঁশটে গন্ধ থাকবে না। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
কোনটি বেশি ভালো: দুধ না টক দই?
যদি দ্রুত নরম ও চকচকে চুল পেতে চান, তাহলে দুধ বেছে নিন। কিন্তু গোড়া মজবুত ও লম্বা চুল পেতে আগ্রহী হলে টক দই বেছে নিতে হবে। এটি শুধু মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
তবে দুধ ও টক দই উভয়ই তাদের নিজস্ব উপায়ে চুলের যত্নে কাজ করে। এমনকি এই দুটি উপকরণ একসঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। এক চামচ মধু বা নারকেল তেলের সঙ্গে দুধ ও টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

চুলে দুধ যেভাবে ব্যবহার করবেন
আধা কাপ দুধ গরম করুন। একটি তুলার বল বা স্প্রে বোতল ব্যবহার করে এটি আপনার মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোঁকড়ানো চুলের নমনীয়তার জন্য সপ্তাহে একবার দুধ এভাবে ব্যবহার করুন।
চুলে টক দই যেভাবে ব্যবহার করবেন
৩ টেবিল চামচ দই ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বক ও পুরো চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মজবুত ও চকচকে চুলের জন্য সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন এটি।
চুলের যত্নে দুধ ও টক দই দুটোই উপকারী। কিন্তু টক দই ব্যবহারে কিছুটা উপকার বেশি পাওয়া যায়। চুল দ্রুত বড় করতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা দুধের পরিবর্তে এখন থেকে টক দই ব্যবহার করুন।

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন-এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
১৯ নভেম্বর ২০২১
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
২ ঘণ্টা আগে
ক্যালসিয়াম শুধু হাড় ও দাঁত শক্ত রাখে না, এটি হৃদ্যন্ত্র, পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুর সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। তবে কিশোর-কিশোরী, মেনোপজোত্তর নারী এবং বয়স্কদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এনে ওষুধ ছাড়াই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনগুলো আপনার রক্তচাপ কমাতে ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ক্যালসিয়াম শুধু হাড় ও দাঁত শক্ত রাখে না, এটি হৃদ্যন্ত্র, পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুর সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। তবে কিশোর-কিশোরী, মেনোপজোত্তর নারী এবং বয়স্কদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন হয়।
যদিও দুধ, দই, পনির ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবার ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস, তবু অন্যান্য খাবারেও প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
বীজ জাতীয় খাবার
এই খাবারগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। তিল, চিয়া, পপি ও সেলারি বীজে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। যেমন—এক টেবিল চামচ পপিতে প্রায় ১২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। চিয়া বীজে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদ্যন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
ফর্টিফায়েড পানীয়
এ ধরনের পানীয়তে ক্যালসিয়াম বা অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অতিরিক্ত যোগ করা থাকে। যেমন—এক কাপ সয়ামিল্কে দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রায় ২০ শতাংশ পাওয়া যায়, বাদাম দুধ বা ওট দুধেও প্রায় একই পরিমাণ থাকে। এক কাপ কমলালেবুর জুসে প্রায় ৩৫ শতাংশ ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এগুলো বিশেষভাবে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং যারা দুধ পান করতে পারে না বা ভেজান খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে তাদের জন্য খুব ভালো বিকল্প।
চিজ
চিজ বা পনির দুধজাত খাবারের মধ্যে ক্যালসিয়ামে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। পারমিজান চিজে এক আউন্সে থাকে প্রায় ২৪২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। শক্ত চিজে তুলনামূলক বেশি ক্যালসিয়াম থাকে, আর নরম চিজে কম। চিজে প্রোটিনও ভালো পরিমাণে থাকে এবং ল্যাকটোজ কম থাকায় অনেকের সহজে হজম হয়।
দই
এক কাপ দই শরীরের প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের প্রায় ৩০ শতাংশ সরবরাহ করে। এটি প্রোবায়োটিকসেরও ভালো উৎস, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। লো-ফ্যাট দইয়ে ক্যালসিয়াম আরও বেশি থাকে, তবে গ্রিক দইয়ে তুলনামূলক কম।
ডাল ও শিম
ডাল, ছোলা ও শিমে ক্যালসিয়ামসহ ফাইবার, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যেমন—এক কাপ রান্না করা ডালে প্রায় ৩৭ দশমিক ৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এগুলো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

বাদাম
বাদাম ক্যালসিয়ামে ভরপুর ও হৃদ্রোগ ভালো রাখে এমন ফ্যাটে ভরপুর। ২৩টি বাদাম খেলে দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রায় ৮ শতাংশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া এতে ফাইবার, ভিটামিন ‘ই’ ও ম্যাগনেসিয়ামও থাকে।
পাতাযুক্ত সবজি
পাতাযুক্ত সবজিতে ভালো পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে। এক কাপ রান্না করা পালংশাকে প্রায় ২৪৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। তবে পালংশাকে অক্সালেট নামের উপাদান থাকায় এর ক্যালসিয়াম শরীরে কম শোষিত হয়।
ফর্টিফায়েড খাবার
ময়দা বা কর্নমিল ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ করে তৈরি করা হয়। এগুলোতে কখনো কখনো সারা দিনের ক্যালসিয়াম চাহিদা মেটায়। তবে একবারে বেশি না খেয়ে দিনে ভাগ করে খাওয়াই ভালো।
দুধ
ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায় দুধে। এক কাপ দুধে ৩০৬–৩২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ছাগলের দুধেও প্রায় একই পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। দুধে প্রোটিন, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ থাকায় এটি হাড়ের জন্য সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাবার।
ডুমুর
এটি এমন একটি ফল, যা শুকনো অবস্থায় ক্যালসিয়াম ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। প্রায় ৪০ গ্রাম শুকনো ডুমুরে দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনের প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া এতে ভিটামিন ‘কে’ ও পটাশিয়ামও থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। শুকনো ডুমুর নিয়মিত খাওয়া হাড় শক্ত রাখতে এবং হজমও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শুধু দুধ নয়, বীজ, বাদাম, মাছ, সবজি এবং ফর্টিফায়েড খাবার থেকেও পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শরীরের হাড় ও দাঁত শক্ত রাখতে এবং পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রম ঠিক রাখতে প্রতিদিন সুষম খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা জরুরি। খাবারের বিষয়ে সচেতনাই পারে আপনাকে সুস্থ জীবন দিতে।
সূত্র: হেলথলাইন

ক্যালসিয়াম শুধু হাড় ও দাঁত শক্ত রাখে না, এটি হৃদ্যন্ত্র, পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুর সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। তবে কিশোর-কিশোরী, মেনোপজোত্তর নারী এবং বয়স্কদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন হয়।
যদিও দুধ, দই, পনির ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবার ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস, তবু অন্যান্য খাবারেও প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
বীজ জাতীয় খাবার
এই খাবারগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। তিল, চিয়া, পপি ও সেলারি বীজে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। যেমন—এক টেবিল চামচ পপিতে প্রায় ১২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। চিয়া বীজে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদ্যন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
ফর্টিফায়েড পানীয়
এ ধরনের পানীয়তে ক্যালসিয়াম বা অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অতিরিক্ত যোগ করা থাকে। যেমন—এক কাপ সয়ামিল্কে দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রায় ২০ শতাংশ পাওয়া যায়, বাদাম দুধ বা ওট দুধেও প্রায় একই পরিমাণ থাকে। এক কাপ কমলালেবুর জুসে প্রায় ৩৫ শতাংশ ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এগুলো বিশেষভাবে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং যারা দুধ পান করতে পারে না বা ভেজান খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে তাদের জন্য খুব ভালো বিকল্প।
চিজ
চিজ বা পনির দুধজাত খাবারের মধ্যে ক্যালসিয়ামে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। পারমিজান চিজে এক আউন্সে থাকে প্রায় ২৪২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। শক্ত চিজে তুলনামূলক বেশি ক্যালসিয়াম থাকে, আর নরম চিজে কম। চিজে প্রোটিনও ভালো পরিমাণে থাকে এবং ল্যাকটোজ কম থাকায় অনেকের সহজে হজম হয়।
দই
এক কাপ দই শরীরের প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের প্রায় ৩০ শতাংশ সরবরাহ করে। এটি প্রোবায়োটিকসেরও ভালো উৎস, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। লো-ফ্যাট দইয়ে ক্যালসিয়াম আরও বেশি থাকে, তবে গ্রিক দইয়ে তুলনামূলক কম।
ডাল ও শিম
ডাল, ছোলা ও শিমে ক্যালসিয়ামসহ ফাইবার, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যেমন—এক কাপ রান্না করা ডালে প্রায় ৩৭ দশমিক ৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এগুলো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

বাদাম
বাদাম ক্যালসিয়ামে ভরপুর ও হৃদ্রোগ ভালো রাখে এমন ফ্যাটে ভরপুর। ২৩টি বাদাম খেলে দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রায় ৮ শতাংশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া এতে ফাইবার, ভিটামিন ‘ই’ ও ম্যাগনেসিয়ামও থাকে।
পাতাযুক্ত সবজি
পাতাযুক্ত সবজিতে ভালো পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে। এক কাপ রান্না করা পালংশাকে প্রায় ২৪৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। তবে পালংশাকে অক্সালেট নামের উপাদান থাকায় এর ক্যালসিয়াম শরীরে কম শোষিত হয়।
ফর্টিফায়েড খাবার
ময়দা বা কর্নমিল ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ করে তৈরি করা হয়। এগুলোতে কখনো কখনো সারা দিনের ক্যালসিয়াম চাহিদা মেটায়। তবে একবারে বেশি না খেয়ে দিনে ভাগ করে খাওয়াই ভালো।
দুধ
ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায় দুধে। এক কাপ দুধে ৩০৬–৩২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ছাগলের দুধেও প্রায় একই পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। দুধে প্রোটিন, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ থাকায় এটি হাড়ের জন্য সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাবার।
ডুমুর
এটি এমন একটি ফল, যা শুকনো অবস্থায় ক্যালসিয়াম ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। প্রায় ৪০ গ্রাম শুকনো ডুমুরে দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনের প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া এতে ভিটামিন ‘কে’ ও পটাশিয়ামও থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। শুকনো ডুমুর নিয়মিত খাওয়া হাড় শক্ত রাখতে এবং হজমও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শুধু দুধ নয়, বীজ, বাদাম, মাছ, সবজি এবং ফর্টিফায়েড খাবার থেকেও পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শরীরের হাড় ও দাঁত শক্ত রাখতে এবং পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রম ঠিক রাখতে প্রতিদিন সুষম খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা জরুরি। খাবারের বিষয়ে সচেতনাই পারে আপনাকে সুস্থ জীবন দিতে।
সূত্র: হেলথলাইন

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন-এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
১৯ নভেম্বর ২০২১
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
২ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
৫ ঘণ্টা আগে
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এনে ওষুধ ছাড়াই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনগুলো আপনার রক্তচাপ কমাতে ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এনে ওষুধ ছাড়াই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনগুলো আপনার রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মূসা বলেন, সময়মতো উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এতে ভুগলেও তা জানেন না। বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। কিন্তু কোনো লক্ষণ থাকে না বলে তাঁরা তা জানেন না।
ওজন নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম
ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ বাড়ে। প্রতি ১ কিলোগ্রাম বা প্রায় ২ দশমিক ২ পাউন্ড ওজন কমালে রক্তচাপ প্রায় ১ মিলিমিটার পারদ চাপ কমতে পারে। কোমরের মাপও গুরুত্বপূর্ণ: পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ ইঞ্চি (১০২ সেমি) এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৫ ইঞ্চির (৮৯ সেমি) বেশি হলে ঝুঁকি বাড়ে। তবে মনে রাখবেন, এই মাপ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার ও সাইক্লিং রক্তচাপকে ৫ থেকে ৮ মিলিমিটার পারদ চাপ কমাতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি ধরনের শারীরিক কার্যকলাপের লক্ষ্য রাখুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন শক্তি প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করুন। এ বিষয়ে এ কে এম মূসা জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম করতে হবে। যেমন ৩০ মিনিট জোরে হাঁটা, সাঁতার কাটা ইত্যাদি।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ফল, সবজি, শস্যদানা ও কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্যে সমৃদ্ধ একটি খাদ্যাভ্যাস রক্তচাপ ১১ মিলিমিটার পারদ চাপ পর্যন্ত কমাতে পারে। খাদ্যে পটাশিয়াম অন্তর্ভুক্ত করা লবণের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। দিনে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণের লক্ষ্য রাখুন; যা রক্তচাপ ৪ থেকে ৫ মিলিমিটার পারদ চাপ কমাতে পারে। এ বিষয়ে এ কে এম মূসা লাল মাংস ও চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করার পরামর্শ দেন।
লবণ বা সোডিয়াম কমানো
খাদ্যে সামান্য সোডিয়াম কমালে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দিনে ১ হাজার ৫০০ মিলিমিটারের কম সোডিয়াম গ্রহণ করা আদর্শ, যা রক্তচাপ ৫ থেকে ৬ মিলিমিটার পারদ চাপ কমাতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং রান্নায় লবণের বদলে মসলা ব্যবহার করুন। খাদ্যে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন এবং অত্যধিক লবণাক্ত খাবার বাদ দিন।
ধূমপান ত্যাগ করা
ধূমপান রক্তচাপ বাড়ায়। এটি ত্যাগ করলে রক্তচাপ কমে আসে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি ও সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম ও চাপ কম নিন
প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের অভাব, যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়া বা অনিদ্রা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করুন এবং শোওয়ার ঘর শান্ত, অন্ধকার ও শীতল রাখুন। এ কে এম মূসা পরামর্শ দেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের একটি কারণ হতে পারে। নিজের চাপের উৎসগুলো চিহ্নিত করুন এবং সেগুলোর মোকাবিলা করার উপায় খুঁজুন। প্রতিদিন শান্তভাবে বসে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া বা পছন্দের কাজ করার জন্য সময় বের করুন।
কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তে উচ্চ শর্করা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো, যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম, ওজন কমানো এবং ধূমপান ত্যাগ অনুসরণ করছেন, সেগুলোই কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। এ পরিবর্তনগুলো দীর্ঘমেয়াদি, তাই প্রয়োজন হলে পরিবার বা বন্ধুদের সহযোগিতা নিতে দ্বিধা করবেন না।
চিকিৎসকের পরামর্শে করণীয়
অধ্যাপক এ কে এম মূসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকের চেম্বার ও বাসায় পরপর কয়েক দিন রক্তচাপ মেপে যদি ১৪০/৯০-এর বেশি পাওয়া যায়, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ইউরিন আর/ই, সেরাম ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও সুগার প্রোফাইল টেস্ট করতে হবে।
চিকিৎসক নির্দেশিত ওষুধ নিয়মিত সেবন করুন।
কমপক্ষে সপ্তাহে এক দিন রক্তচাপ মেপে লিখে রাখুন। মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিন।
হাই কোলেস্টেরল থাকলে খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন এবং ওষুধ সেবন করুন।
ডায়াবেটিস থাকলে খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ওষুধের মাধ্যমে কন্ট্রোল রাখুন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এনে ওষুধ ছাড়াই এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনগুলো আপনার রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মূসা বলেন, সময়মতো উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এতে ভুগলেও তা জানেন না। বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। কিন্তু কোনো লক্ষণ থাকে না বলে তাঁরা তা জানেন না।
ওজন নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম
ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ বাড়ে। প্রতি ১ কিলোগ্রাম বা প্রায় ২ দশমিক ২ পাউন্ড ওজন কমালে রক্তচাপ প্রায় ১ মিলিমিটার পারদ চাপ কমতে পারে। কোমরের মাপও গুরুত্বপূর্ণ: পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ ইঞ্চি (১০২ সেমি) এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৫ ইঞ্চির (৮৯ সেমি) বেশি হলে ঝুঁকি বাড়ে। তবে মনে রাখবেন, এই মাপ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার ও সাইক্লিং রক্তচাপকে ৫ থেকে ৮ মিলিমিটার পারদ চাপ কমাতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি ধরনের শারীরিক কার্যকলাপের লক্ষ্য রাখুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন শক্তি প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করুন। এ বিষয়ে এ কে এম মূসা জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম করতে হবে। যেমন ৩০ মিনিট জোরে হাঁটা, সাঁতার কাটা ইত্যাদি।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ফল, সবজি, শস্যদানা ও কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্যে সমৃদ্ধ একটি খাদ্যাভ্যাস রক্তচাপ ১১ মিলিমিটার পারদ চাপ পর্যন্ত কমাতে পারে। খাদ্যে পটাশিয়াম অন্তর্ভুক্ত করা লবণের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। দিনে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণের লক্ষ্য রাখুন; যা রক্তচাপ ৪ থেকে ৫ মিলিমিটার পারদ চাপ কমাতে পারে। এ বিষয়ে এ কে এম মূসা লাল মাংস ও চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করার পরামর্শ দেন।
লবণ বা সোডিয়াম কমানো
খাদ্যে সামান্য সোডিয়াম কমালে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দিনে ১ হাজার ৫০০ মিলিমিটারের কম সোডিয়াম গ্রহণ করা আদর্শ, যা রক্তচাপ ৫ থেকে ৬ মিলিমিটার পারদ চাপ কমাতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং রান্নায় লবণের বদলে মসলা ব্যবহার করুন। খাদ্যে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন এবং অত্যধিক লবণাক্ত খাবার বাদ দিন।
ধূমপান ত্যাগ করা
ধূমপান রক্তচাপ বাড়ায়। এটি ত্যাগ করলে রক্তচাপ কমে আসে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি ও সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম ও চাপ কম নিন
প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের অভাব, যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়া বা অনিদ্রা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করুন এবং শোওয়ার ঘর শান্ত, অন্ধকার ও শীতল রাখুন। এ কে এম মূসা পরামর্শ দেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের একটি কারণ হতে পারে। নিজের চাপের উৎসগুলো চিহ্নিত করুন এবং সেগুলোর মোকাবিলা করার উপায় খুঁজুন। প্রতিদিন শান্তভাবে বসে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া বা পছন্দের কাজ করার জন্য সময় বের করুন।
কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তে উচ্চ শর্করা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো, যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম, ওজন কমানো এবং ধূমপান ত্যাগ অনুসরণ করছেন, সেগুলোই কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। এ পরিবর্তনগুলো দীর্ঘমেয়াদি, তাই প্রয়োজন হলে পরিবার বা বন্ধুদের সহযোগিতা নিতে দ্বিধা করবেন না।
চিকিৎসকের পরামর্শে করণীয়
অধ্যাপক এ কে এম মূসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকের চেম্বার ও বাসায় পরপর কয়েক দিন রক্তচাপ মেপে যদি ১৪০/৯০-এর বেশি পাওয়া যায়, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ইউরিন আর/ই, সেরাম ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও সুগার প্রোফাইল টেস্ট করতে হবে।
চিকিৎসক নির্দেশিত ওষুধ নিয়মিত সেবন করুন।
কমপক্ষে সপ্তাহে এক দিন রক্তচাপ মেপে লিখে রাখুন। মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিন।
হাই কোলেস্টেরল থাকলে খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন এবং ওষুধ সেবন করুন।
ডায়াবেটিস থাকলে খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ওষুধের মাধ্যমে কন্ট্রোল রাখুন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

সবার সঙ্গে মিশতে পারেন-এমন লোককে বলে আলু! যথার্থই, কারণ অন্তত বাংলাদেশে আলুই সম্ভবত একমাত্র সবজি যেটি প্রায় সব ধরনের রান্নার আইটেমেই ব্যবহার করা হয়। দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের দিক থেকে এগিয়েও আলু।
১৯ নভেম্বর ২০২১
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
২ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
৫ ঘণ্টা আগে
ক্যালসিয়াম শুধু হাড় ও দাঁত শক্ত রাখে না, এটি হৃদ্যন্ত্র, পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুর সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। তবে কিশোর-কিশোরী, মেনোপজোত্তর নারী এবং বয়স্কদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন হয়।
৮ ঘণ্টা আগে