ভাস্কর বসু

‘ওই সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপ কাঞ্চনময় দেশ!
ওই চন্দন যার অঙ্গের বাস তাম্বুল বন কেশ!’
—সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই।
অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত। সেই বন্ধন দুটির নাম রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে রবিঠাকুরের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই—সে আমরা সকলেই জানি। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতেও তাঁর অবদান রয়ে গেছে। একটি প্রবন্ধে শ্রী সুজন দাশগুপ্ত তার দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। লিখেছেন—
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আনন্দ সামারাকুন নামে একটি ছাত্র বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে এবং অল্পদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। আনন্দের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ নাকি বাংলায় “নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা” গানটি লিখে সুর করে আনন্দকে দেন। আনন্দ দেশে ফিরে গিয়ে এটিকে সিংহলিতে অনুবাদ করে রেকর্ড করেন। পরে ১৯৫১ সালে গানটি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।’ (অবসর ডট নেট)

এ ছাড়া সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ/হেলায় লঙ্কা করিয়া জয়/সিংহল নামে রেখে গেছে/নিজ শৌর্যের পরিচয়’ বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়/একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়।’ এমন কবিতা লিখে বাঙালির গৌরবগাথায় শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে রেখেছেন। গৌতম বুদ্ধের আশীর্বাদধন্য শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে তাই আমাদের বেশ আগ্রহ ছিল।
যাঁরা ভারত থেকে অন্য দেশ ভ্রমণে যান, তাঁরা জানেন, সেই দেশের এয়ারপোর্টে অবতরণ করার আগে নতুন দেশের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নিতে হয়। একটিমাত্র দেশের সঙ্গেই তা করতে হয় না। সেই দেশটির নাম শ্রীলঙ্কা, যার সঙ্গে ভারতের সময় কাঁটায় কাঁটায় মিলে যায়।
কলম্বোয় নেমে তাই আমাদের মনে হলো, একেবারেই পরিচিত কোনো জায়গায় এসেছি। তবে এই জায়গার রাস্তাঘাটের অবস্থা আমাদের তুলনায় বেশ ভালো। এমনকি সেখানে যানবাহনের সুশৃঙ্খল অবস্থা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই ছিল। তার কারণ জানা গেল আমাদের পথপ্রদর্শক শ্রী প্রসাদের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কার পুলিশ নাকি এই ব্যাপারে রীতিমতো কড়া—নিয়ম ভাঙলেই হাজতে যেতে হয়। ফলে তার সুফল পরিদৃশ্যমান।
কলম্বো থেকে বেরিয়ে প্রথম দ্রষ্টব্য ছিল ডামবুলার বিখ্যাত মন্দির। গুহার মধ্যে এই মন্দিরের গায়ে আছে বেশ কিছু চিত্র।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের খুবই বড় অবদান। তাই তার জন্য সরকার বিশেষ মনোযোগী। বিভিন্ন কলেজে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সেটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেই মেলে গাইড হওয়ার সুযোগ। আমাদের গাইড প্রসাদও তেমনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস তাঁর ভালোমতোই জানা। তাঁকে তাই আমরা নির্দ্বিধায় বিজয় সিংহের জয়গাথার কথা জিজ্ঞেস করলাম। প্রসাদ অবশ্য বিজয় সিংহের ব্যাপারে একটু ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁর ধারণা, বিজয় সিংহ তাঁর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েই শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন। এ কথার সত্যতা নির্ধারণও করেছি। তার ফলে প্রসাদ এবং তাঁদের পঠন ও প্রশিক্ষণের ওপর শ্রদ্ধাও বেড়ে গেছে।
আমরা যাত্রা শুরু করেই দেখতে পেয়েছি পিনাওয়ালার অনাথ হাতিদের। হ্যাঁ, ঠিকই। যেসব হাতি মায়েরা শিশু হাতিদের ভরণপোষণ করতে পারে না, তাদের জন্যই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই রাজকীয় ব্যবস্থা। অভাবনীয়, তাই না! আজ যেখানে মানুষেরাই খাদ্যসংকটে আছে, কয়েক বছর আগে তারা পরম মমতায় ‘হাতির খোরাক’ জোটাত! আমাদের পরের দর্শনীয় স্থান ছিল সিগরিয়া।
সিগরিয়ার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। রাজা প্রথম কশ্যপ (৪৭৩-৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণের পর সিলনের নতুন রাজধানী নির্বাচন করেন সিগরিয়াকে। ৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে কশ্যপের পতন ঘটলে সিলনের রাজধানী অনুরাধাপুরে স্থানান্তর করা হয়। এর পর তেরো থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত এটি বৌদ্ধ মঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পর উনিশ শতকের প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে এটি দৃষ্টি কাড়তে শুরু করে প্রত্নতত্ত্ববিদদের। প্রাচীন নগর-পরিকল্পনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ নিদর্শনকে ১৯৮২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। সিগরিয়াতে একটি খুব সুন্দর মিউজিয়ামও আছে। সেটি জাপান সরকারের উপহার। ২০০৯ সালে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার শৈল শহর ক্যানডি ভ্রমণকারীদের বেশ পছন্দের জায়গা। কারণ সম্ভবত আবহাওয়া। ক্যানডিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন তাঁর দল নিয়ে, ১৯৩৪ সালে। সেখানে আমাদেরও সৌভাগ্য হয়েছিল একটি নৃত্যানুষ্ঠান দেখার। তবে শ্রীলঙ্কার বড় পরিচিতি রাবণের দেশ বলে। আমাদের পরের যাত্রা ছিল অশোক বনের উদ্দেশে। এখন অবশ্য তার নাম নুয়ারা এলিয়া।
ক্যানডির মতো নুয়ারা এলিয়ার আবহাওয়াও রীতমতো মনোরম। তাই এই শহরের অন্য নাম ছোট্ট ইংল্যান্ড। সেখানে চিরবসন্ত বিরাজমান। শহরজুড়ে সুন্দর সব ভিউ পয়েন্ট। আরও আছে সুদর্শন চা বাগান। আমাদের মন একেবারে কেড়ে নিয়েছিল এই শহর ও তার আশপাশের চমৎকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি। জায়গাটি এতই উপভোগ্য যে মনে হয় বেশ তিন-চার দিন থেকে বিশ্রাম নেওয়া যায়।
সেখানকার প্রকৃতি এবং রাস্তাঘাট খুবই মনোগ্রাহী। সদলবলে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির নিবিড় স্পর্শ পাওয়া যায়। আর দেখতে পাওয়া যায় রামচন্দ্র ও সীতার স্মৃতি বিজড়িত অশোকবন। চা বাগান ও চা কারখানার অভিজ্ঞতাও বেশ উপভোগ্য।
আমাদের শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ সমাপ্ত হয়েছিল বেনটোটার সমুদ্রতীরে এসে। বেনটোটা হলো একটি অতি বিখ্যাত সমুদ্রশহর। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সমাপ্তিতে সাধারণত সকলেই একটু হাত-পা ছড়িয়ে একটি বা দুটি দিন এই বিখ্যাত সমুদ্রতীরে এসে কাটাতে চায়। এখানে এসে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল প্রায় জলের ওপরে, অনেকটা হাউসবোটের মতো একটি হোটেলে থাকার। স্থল থেকে সেই হোটেলে যেতে হয় স্টিমারে চড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার চরম দুর্দিনেও আমার কাছে বড় প্রিয় ওই ক’টি দিনের স্মৃতি। ছবি দেখতে দেখতে বারংবার মন ফিরে যাচ্ছিল সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে। ২০১৫ সালে আমরা যখন গিয়েছিলাম তার আগেও দুটি বড় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেছিল দেশটি—২০০৫ সালের সেই ভয়ংকর সুনামি এবং ২০১০ অবধি চলা গৃহযুদ্ধ। শাক্যমুনির আশীর্বাদধন্য দেশটি আশা করছি আবারও সে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
ঐতিহাসিক দীনেশচন্দ্র সেন সিংহলিরা আর বাঙালিরা যে ‘তুতো’ ভাই তা বেশ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে ছেড়েছেন। প্রায় হাজার দু-এক বাংলা আর সিংহলি শব্দের মিল খুঁজে বার করেছেন সেন মহাশয়। সেই গরিমা আবার ফিরে আসুক শ্রীলঙ্কায়।
আমাদের প্রতিবেশী ‘সিন্ধুর টিপ’ আবার কাঞ্চনময় দেশ হয়ে উঠবে—তারই প্রতীক্ষা রইল।

‘ওই সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপ কাঞ্চনময় দেশ!
ওই চন্দন যার অঙ্গের বাস তাম্বুল বন কেশ!’
—সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই।
অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত। সেই বন্ধন দুটির নাম রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে রবিঠাকুরের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই—সে আমরা সকলেই জানি। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতেও তাঁর অবদান রয়ে গেছে। একটি প্রবন্ধে শ্রী সুজন দাশগুপ্ত তার দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। লিখেছেন—
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আনন্দ সামারাকুন নামে একটি ছাত্র বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে এবং অল্পদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। আনন্দের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ নাকি বাংলায় “নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা” গানটি লিখে সুর করে আনন্দকে দেন। আনন্দ দেশে ফিরে গিয়ে এটিকে সিংহলিতে অনুবাদ করে রেকর্ড করেন। পরে ১৯৫১ সালে গানটি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।’ (অবসর ডট নেট)

এ ছাড়া সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ/হেলায় লঙ্কা করিয়া জয়/সিংহল নামে রেখে গেছে/নিজ শৌর্যের পরিচয়’ বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়/একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়।’ এমন কবিতা লিখে বাঙালির গৌরবগাথায় শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে রেখেছেন। গৌতম বুদ্ধের আশীর্বাদধন্য শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে তাই আমাদের বেশ আগ্রহ ছিল।
যাঁরা ভারত থেকে অন্য দেশ ভ্রমণে যান, তাঁরা জানেন, সেই দেশের এয়ারপোর্টে অবতরণ করার আগে নতুন দেশের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নিতে হয়। একটিমাত্র দেশের সঙ্গেই তা করতে হয় না। সেই দেশটির নাম শ্রীলঙ্কা, যার সঙ্গে ভারতের সময় কাঁটায় কাঁটায় মিলে যায়।
কলম্বোয় নেমে তাই আমাদের মনে হলো, একেবারেই পরিচিত কোনো জায়গায় এসেছি। তবে এই জায়গার রাস্তাঘাটের অবস্থা আমাদের তুলনায় বেশ ভালো। এমনকি সেখানে যানবাহনের সুশৃঙ্খল অবস্থা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই ছিল। তার কারণ জানা গেল আমাদের পথপ্রদর্শক শ্রী প্রসাদের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কার পুলিশ নাকি এই ব্যাপারে রীতিমতো কড়া—নিয়ম ভাঙলেই হাজতে যেতে হয়। ফলে তার সুফল পরিদৃশ্যমান।
কলম্বো থেকে বেরিয়ে প্রথম দ্রষ্টব্য ছিল ডামবুলার বিখ্যাত মন্দির। গুহার মধ্যে এই মন্দিরের গায়ে আছে বেশ কিছু চিত্র।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের খুবই বড় অবদান। তাই তার জন্য সরকার বিশেষ মনোযোগী। বিভিন্ন কলেজে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সেটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেই মেলে গাইড হওয়ার সুযোগ। আমাদের গাইড প্রসাদও তেমনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস তাঁর ভালোমতোই জানা। তাঁকে তাই আমরা নির্দ্বিধায় বিজয় সিংহের জয়গাথার কথা জিজ্ঞেস করলাম। প্রসাদ অবশ্য বিজয় সিংহের ব্যাপারে একটু ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁর ধারণা, বিজয় সিংহ তাঁর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েই শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন। এ কথার সত্যতা নির্ধারণও করেছি। তার ফলে প্রসাদ এবং তাঁদের পঠন ও প্রশিক্ষণের ওপর শ্রদ্ধাও বেড়ে গেছে।
আমরা যাত্রা শুরু করেই দেখতে পেয়েছি পিনাওয়ালার অনাথ হাতিদের। হ্যাঁ, ঠিকই। যেসব হাতি মায়েরা শিশু হাতিদের ভরণপোষণ করতে পারে না, তাদের জন্যই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই রাজকীয় ব্যবস্থা। অভাবনীয়, তাই না! আজ যেখানে মানুষেরাই খাদ্যসংকটে আছে, কয়েক বছর আগে তারা পরম মমতায় ‘হাতির খোরাক’ জোটাত! আমাদের পরের দর্শনীয় স্থান ছিল সিগরিয়া।
সিগরিয়ার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। রাজা প্রথম কশ্যপ (৪৭৩-৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণের পর সিলনের নতুন রাজধানী নির্বাচন করেন সিগরিয়াকে। ৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে কশ্যপের পতন ঘটলে সিলনের রাজধানী অনুরাধাপুরে স্থানান্তর করা হয়। এর পর তেরো থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত এটি বৌদ্ধ মঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পর উনিশ শতকের প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে এটি দৃষ্টি কাড়তে শুরু করে প্রত্নতত্ত্ববিদদের। প্রাচীন নগর-পরিকল্পনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ নিদর্শনকে ১৯৮২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। সিগরিয়াতে একটি খুব সুন্দর মিউজিয়ামও আছে। সেটি জাপান সরকারের উপহার। ২০০৯ সালে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার শৈল শহর ক্যানডি ভ্রমণকারীদের বেশ পছন্দের জায়গা। কারণ সম্ভবত আবহাওয়া। ক্যানডিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন তাঁর দল নিয়ে, ১৯৩৪ সালে। সেখানে আমাদেরও সৌভাগ্য হয়েছিল একটি নৃত্যানুষ্ঠান দেখার। তবে শ্রীলঙ্কার বড় পরিচিতি রাবণের দেশ বলে। আমাদের পরের যাত্রা ছিল অশোক বনের উদ্দেশে। এখন অবশ্য তার নাম নুয়ারা এলিয়া।
ক্যানডির মতো নুয়ারা এলিয়ার আবহাওয়াও রীতমতো মনোরম। তাই এই শহরের অন্য নাম ছোট্ট ইংল্যান্ড। সেখানে চিরবসন্ত বিরাজমান। শহরজুড়ে সুন্দর সব ভিউ পয়েন্ট। আরও আছে সুদর্শন চা বাগান। আমাদের মন একেবারে কেড়ে নিয়েছিল এই শহর ও তার আশপাশের চমৎকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি। জায়গাটি এতই উপভোগ্য যে মনে হয় বেশ তিন-চার দিন থেকে বিশ্রাম নেওয়া যায়।
সেখানকার প্রকৃতি এবং রাস্তাঘাট খুবই মনোগ্রাহী। সদলবলে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির নিবিড় স্পর্শ পাওয়া যায়। আর দেখতে পাওয়া যায় রামচন্দ্র ও সীতার স্মৃতি বিজড়িত অশোকবন। চা বাগান ও চা কারখানার অভিজ্ঞতাও বেশ উপভোগ্য।
আমাদের শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ সমাপ্ত হয়েছিল বেনটোটার সমুদ্রতীরে এসে। বেনটোটা হলো একটি অতি বিখ্যাত সমুদ্রশহর। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সমাপ্তিতে সাধারণত সকলেই একটু হাত-পা ছড়িয়ে একটি বা দুটি দিন এই বিখ্যাত সমুদ্রতীরে এসে কাটাতে চায়। এখানে এসে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল প্রায় জলের ওপরে, অনেকটা হাউসবোটের মতো একটি হোটেলে থাকার। স্থল থেকে সেই হোটেলে যেতে হয় স্টিমারে চড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার চরম দুর্দিনেও আমার কাছে বড় প্রিয় ওই ক’টি দিনের স্মৃতি। ছবি দেখতে দেখতে বারংবার মন ফিরে যাচ্ছিল সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে। ২০১৫ সালে আমরা যখন গিয়েছিলাম তার আগেও দুটি বড় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেছিল দেশটি—২০০৫ সালের সেই ভয়ংকর সুনামি এবং ২০১০ অবধি চলা গৃহযুদ্ধ। শাক্যমুনির আশীর্বাদধন্য দেশটি আশা করছি আবারও সে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
ঐতিহাসিক দীনেশচন্দ্র সেন সিংহলিরা আর বাঙালিরা যে ‘তুতো’ ভাই তা বেশ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে ছেড়েছেন। প্রায় হাজার দু-এক বাংলা আর সিংহলি শব্দের মিল খুঁজে বার করেছেন সেন মহাশয়। সেই গরিমা আবার ফিরে আসুক শ্রীলঙ্কায়।
আমাদের প্রতিবেশী ‘সিন্ধুর টিপ’ আবার কাঞ্চনময় দেশ হয়ে উঠবে—তারই প্রতীক্ষা রইল।
ভাস্কর বসু

‘ওই সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপ কাঞ্চনময় দেশ!
ওই চন্দন যার অঙ্গের বাস তাম্বুল বন কেশ!’
—সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই।
অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত। সেই বন্ধন দুটির নাম রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে রবিঠাকুরের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই—সে আমরা সকলেই জানি। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতেও তাঁর অবদান রয়ে গেছে। একটি প্রবন্ধে শ্রী সুজন দাশগুপ্ত তার দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। লিখেছেন—
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আনন্দ সামারাকুন নামে একটি ছাত্র বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে এবং অল্পদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। আনন্দের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ নাকি বাংলায় “নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা” গানটি লিখে সুর করে আনন্দকে দেন। আনন্দ দেশে ফিরে গিয়ে এটিকে সিংহলিতে অনুবাদ করে রেকর্ড করেন। পরে ১৯৫১ সালে গানটি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।’ (অবসর ডট নেট)

এ ছাড়া সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ/হেলায় লঙ্কা করিয়া জয়/সিংহল নামে রেখে গেছে/নিজ শৌর্যের পরিচয়’ বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়/একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়।’ এমন কবিতা লিখে বাঙালির গৌরবগাথায় শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে রেখেছেন। গৌতম বুদ্ধের আশীর্বাদধন্য শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে তাই আমাদের বেশ আগ্রহ ছিল।
যাঁরা ভারত থেকে অন্য দেশ ভ্রমণে যান, তাঁরা জানেন, সেই দেশের এয়ারপোর্টে অবতরণ করার আগে নতুন দেশের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নিতে হয়। একটিমাত্র দেশের সঙ্গেই তা করতে হয় না। সেই দেশটির নাম শ্রীলঙ্কা, যার সঙ্গে ভারতের সময় কাঁটায় কাঁটায় মিলে যায়।
কলম্বোয় নেমে তাই আমাদের মনে হলো, একেবারেই পরিচিত কোনো জায়গায় এসেছি। তবে এই জায়গার রাস্তাঘাটের অবস্থা আমাদের তুলনায় বেশ ভালো। এমনকি সেখানে যানবাহনের সুশৃঙ্খল অবস্থা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই ছিল। তার কারণ জানা গেল আমাদের পথপ্রদর্শক শ্রী প্রসাদের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কার পুলিশ নাকি এই ব্যাপারে রীতিমতো কড়া—নিয়ম ভাঙলেই হাজতে যেতে হয়। ফলে তার সুফল পরিদৃশ্যমান।
কলম্বো থেকে বেরিয়ে প্রথম দ্রষ্টব্য ছিল ডামবুলার বিখ্যাত মন্দির। গুহার মধ্যে এই মন্দিরের গায়ে আছে বেশ কিছু চিত্র।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের খুবই বড় অবদান। তাই তার জন্য সরকার বিশেষ মনোযোগী। বিভিন্ন কলেজে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সেটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেই মেলে গাইড হওয়ার সুযোগ। আমাদের গাইড প্রসাদও তেমনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস তাঁর ভালোমতোই জানা। তাঁকে তাই আমরা নির্দ্বিধায় বিজয় সিংহের জয়গাথার কথা জিজ্ঞেস করলাম। প্রসাদ অবশ্য বিজয় সিংহের ব্যাপারে একটু ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁর ধারণা, বিজয় সিংহ তাঁর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েই শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন। এ কথার সত্যতা নির্ধারণও করেছি। তার ফলে প্রসাদ এবং তাঁদের পঠন ও প্রশিক্ষণের ওপর শ্রদ্ধাও বেড়ে গেছে।
আমরা যাত্রা শুরু করেই দেখতে পেয়েছি পিনাওয়ালার অনাথ হাতিদের। হ্যাঁ, ঠিকই। যেসব হাতি মায়েরা শিশু হাতিদের ভরণপোষণ করতে পারে না, তাদের জন্যই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই রাজকীয় ব্যবস্থা। অভাবনীয়, তাই না! আজ যেখানে মানুষেরাই খাদ্যসংকটে আছে, কয়েক বছর আগে তারা পরম মমতায় ‘হাতির খোরাক’ জোটাত! আমাদের পরের দর্শনীয় স্থান ছিল সিগরিয়া।
সিগরিয়ার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। রাজা প্রথম কশ্যপ (৪৭৩-৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণের পর সিলনের নতুন রাজধানী নির্বাচন করেন সিগরিয়াকে। ৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে কশ্যপের পতন ঘটলে সিলনের রাজধানী অনুরাধাপুরে স্থানান্তর করা হয়। এর পর তেরো থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত এটি বৌদ্ধ মঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পর উনিশ শতকের প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে এটি দৃষ্টি কাড়তে শুরু করে প্রত্নতত্ত্ববিদদের। প্রাচীন নগর-পরিকল্পনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ নিদর্শনকে ১৯৮২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। সিগরিয়াতে একটি খুব সুন্দর মিউজিয়ামও আছে। সেটি জাপান সরকারের উপহার। ২০০৯ সালে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার শৈল শহর ক্যানডি ভ্রমণকারীদের বেশ পছন্দের জায়গা। কারণ সম্ভবত আবহাওয়া। ক্যানডিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন তাঁর দল নিয়ে, ১৯৩৪ সালে। সেখানে আমাদেরও সৌভাগ্য হয়েছিল একটি নৃত্যানুষ্ঠান দেখার। তবে শ্রীলঙ্কার বড় পরিচিতি রাবণের দেশ বলে। আমাদের পরের যাত্রা ছিল অশোক বনের উদ্দেশে। এখন অবশ্য তার নাম নুয়ারা এলিয়া।
ক্যানডির মতো নুয়ারা এলিয়ার আবহাওয়াও রীতমতো মনোরম। তাই এই শহরের অন্য নাম ছোট্ট ইংল্যান্ড। সেখানে চিরবসন্ত বিরাজমান। শহরজুড়ে সুন্দর সব ভিউ পয়েন্ট। আরও আছে সুদর্শন চা বাগান। আমাদের মন একেবারে কেড়ে নিয়েছিল এই শহর ও তার আশপাশের চমৎকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি। জায়গাটি এতই উপভোগ্য যে মনে হয় বেশ তিন-চার দিন থেকে বিশ্রাম নেওয়া যায়।
সেখানকার প্রকৃতি এবং রাস্তাঘাট খুবই মনোগ্রাহী। সদলবলে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির নিবিড় স্পর্শ পাওয়া যায়। আর দেখতে পাওয়া যায় রামচন্দ্র ও সীতার স্মৃতি বিজড়িত অশোকবন। চা বাগান ও চা কারখানার অভিজ্ঞতাও বেশ উপভোগ্য।
আমাদের শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ সমাপ্ত হয়েছিল বেনটোটার সমুদ্রতীরে এসে। বেনটোটা হলো একটি অতি বিখ্যাত সমুদ্রশহর। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সমাপ্তিতে সাধারণত সকলেই একটু হাত-পা ছড়িয়ে একটি বা দুটি দিন এই বিখ্যাত সমুদ্রতীরে এসে কাটাতে চায়। এখানে এসে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল প্রায় জলের ওপরে, অনেকটা হাউসবোটের মতো একটি হোটেলে থাকার। স্থল থেকে সেই হোটেলে যেতে হয় স্টিমারে চড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার চরম দুর্দিনেও আমার কাছে বড় প্রিয় ওই ক’টি দিনের স্মৃতি। ছবি দেখতে দেখতে বারংবার মন ফিরে যাচ্ছিল সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে। ২০১৫ সালে আমরা যখন গিয়েছিলাম তার আগেও দুটি বড় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেছিল দেশটি—২০০৫ সালের সেই ভয়ংকর সুনামি এবং ২০১০ অবধি চলা গৃহযুদ্ধ। শাক্যমুনির আশীর্বাদধন্য দেশটি আশা করছি আবারও সে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
ঐতিহাসিক দীনেশচন্দ্র সেন সিংহলিরা আর বাঙালিরা যে ‘তুতো’ ভাই তা বেশ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে ছেড়েছেন। প্রায় হাজার দু-এক বাংলা আর সিংহলি শব্দের মিল খুঁজে বার করেছেন সেন মহাশয়। সেই গরিমা আবার ফিরে আসুক শ্রীলঙ্কায়।
আমাদের প্রতিবেশী ‘সিন্ধুর টিপ’ আবার কাঞ্চনময় দেশ হয়ে উঠবে—তারই প্রতীক্ষা রইল।

‘ওই সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপ কাঞ্চনময় দেশ!
ওই চন্দন যার অঙ্গের বাস তাম্বুল বন কেশ!’
—সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই।
অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত। সেই বন্ধন দুটির নাম রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে রবিঠাকুরের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই—সে আমরা সকলেই জানি। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতেও তাঁর অবদান রয়ে গেছে। একটি প্রবন্ধে শ্রী সুজন দাশগুপ্ত তার দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। লিখেছেন—
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আনন্দ সামারাকুন নামে একটি ছাত্র বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে এবং অল্পদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। আনন্দের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ নাকি বাংলায় “নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা” গানটি লিখে সুর করে আনন্দকে দেন। আনন্দ দেশে ফিরে গিয়ে এটিকে সিংহলিতে অনুবাদ করে রেকর্ড করেন। পরে ১৯৫১ সালে গানটি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।’ (অবসর ডট নেট)

এ ছাড়া সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ/হেলায় লঙ্কা করিয়া জয়/সিংহল নামে রেখে গেছে/নিজ শৌর্যের পরিচয়’ বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়/একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়।’ এমন কবিতা লিখে বাঙালির গৌরবগাথায় শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে রেখেছেন। গৌতম বুদ্ধের আশীর্বাদধন্য শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে তাই আমাদের বেশ আগ্রহ ছিল।
যাঁরা ভারত থেকে অন্য দেশ ভ্রমণে যান, তাঁরা জানেন, সেই দেশের এয়ারপোর্টে অবতরণ করার আগে নতুন দেশের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নিতে হয়। একটিমাত্র দেশের সঙ্গেই তা করতে হয় না। সেই দেশটির নাম শ্রীলঙ্কা, যার সঙ্গে ভারতের সময় কাঁটায় কাঁটায় মিলে যায়।
কলম্বোয় নেমে তাই আমাদের মনে হলো, একেবারেই পরিচিত কোনো জায়গায় এসেছি। তবে এই জায়গার রাস্তাঘাটের অবস্থা আমাদের তুলনায় বেশ ভালো। এমনকি সেখানে যানবাহনের সুশৃঙ্খল অবস্থা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই ছিল। তার কারণ জানা গেল আমাদের পথপ্রদর্শক শ্রী প্রসাদের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কার পুলিশ নাকি এই ব্যাপারে রীতিমতো কড়া—নিয়ম ভাঙলেই হাজতে যেতে হয়। ফলে তার সুফল পরিদৃশ্যমান।
কলম্বো থেকে বেরিয়ে প্রথম দ্রষ্টব্য ছিল ডামবুলার বিখ্যাত মন্দির। গুহার মধ্যে এই মন্দিরের গায়ে আছে বেশ কিছু চিত্র।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের খুবই বড় অবদান। তাই তার জন্য সরকার বিশেষ মনোযোগী। বিভিন্ন কলেজে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সেটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেই মেলে গাইড হওয়ার সুযোগ। আমাদের গাইড প্রসাদও তেমনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস তাঁর ভালোমতোই জানা। তাঁকে তাই আমরা নির্দ্বিধায় বিজয় সিংহের জয়গাথার কথা জিজ্ঞেস করলাম। প্রসাদ অবশ্য বিজয় সিংহের ব্যাপারে একটু ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁর ধারণা, বিজয় সিংহ তাঁর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েই শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন। এ কথার সত্যতা নির্ধারণও করেছি। তার ফলে প্রসাদ এবং তাঁদের পঠন ও প্রশিক্ষণের ওপর শ্রদ্ধাও বেড়ে গেছে।
আমরা যাত্রা শুরু করেই দেখতে পেয়েছি পিনাওয়ালার অনাথ হাতিদের। হ্যাঁ, ঠিকই। যেসব হাতি মায়েরা শিশু হাতিদের ভরণপোষণ করতে পারে না, তাদের জন্যই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই রাজকীয় ব্যবস্থা। অভাবনীয়, তাই না! আজ যেখানে মানুষেরাই খাদ্যসংকটে আছে, কয়েক বছর আগে তারা পরম মমতায় ‘হাতির খোরাক’ জোটাত! আমাদের পরের দর্শনীয় স্থান ছিল সিগরিয়া।
সিগরিয়ার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। রাজা প্রথম কশ্যপ (৪৭৩-৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণের পর সিলনের নতুন রাজধানী নির্বাচন করেন সিগরিয়াকে। ৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে কশ্যপের পতন ঘটলে সিলনের রাজধানী অনুরাধাপুরে স্থানান্তর করা হয়। এর পর তেরো থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত এটি বৌদ্ধ মঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পর উনিশ শতকের প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে এটি দৃষ্টি কাড়তে শুরু করে প্রত্নতত্ত্ববিদদের। প্রাচীন নগর-পরিকল্পনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ নিদর্শনকে ১৯৮২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। সিগরিয়াতে একটি খুব সুন্দর মিউজিয়ামও আছে। সেটি জাপান সরকারের উপহার। ২০০৯ সালে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার শৈল শহর ক্যানডি ভ্রমণকারীদের বেশ পছন্দের জায়গা। কারণ সম্ভবত আবহাওয়া। ক্যানডিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন তাঁর দল নিয়ে, ১৯৩৪ সালে। সেখানে আমাদেরও সৌভাগ্য হয়েছিল একটি নৃত্যানুষ্ঠান দেখার। তবে শ্রীলঙ্কার বড় পরিচিতি রাবণের দেশ বলে। আমাদের পরের যাত্রা ছিল অশোক বনের উদ্দেশে। এখন অবশ্য তার নাম নুয়ারা এলিয়া।
ক্যানডির মতো নুয়ারা এলিয়ার আবহাওয়াও রীতমতো মনোরম। তাই এই শহরের অন্য নাম ছোট্ট ইংল্যান্ড। সেখানে চিরবসন্ত বিরাজমান। শহরজুড়ে সুন্দর সব ভিউ পয়েন্ট। আরও আছে সুদর্শন চা বাগান। আমাদের মন একেবারে কেড়ে নিয়েছিল এই শহর ও তার আশপাশের চমৎকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি। জায়গাটি এতই উপভোগ্য যে মনে হয় বেশ তিন-চার দিন থেকে বিশ্রাম নেওয়া যায়।
সেখানকার প্রকৃতি এবং রাস্তাঘাট খুবই মনোগ্রাহী। সদলবলে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির নিবিড় স্পর্শ পাওয়া যায়। আর দেখতে পাওয়া যায় রামচন্দ্র ও সীতার স্মৃতি বিজড়িত অশোকবন। চা বাগান ও চা কারখানার অভিজ্ঞতাও বেশ উপভোগ্য।
আমাদের শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ সমাপ্ত হয়েছিল বেনটোটার সমুদ্রতীরে এসে। বেনটোটা হলো একটি অতি বিখ্যাত সমুদ্রশহর। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সমাপ্তিতে সাধারণত সকলেই একটু হাত-পা ছড়িয়ে একটি বা দুটি দিন এই বিখ্যাত সমুদ্রতীরে এসে কাটাতে চায়। এখানে এসে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল প্রায় জলের ওপরে, অনেকটা হাউসবোটের মতো একটি হোটেলে থাকার। স্থল থেকে সেই হোটেলে যেতে হয় স্টিমারে চড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার চরম দুর্দিনেও আমার কাছে বড় প্রিয় ওই ক’টি দিনের স্মৃতি। ছবি দেখতে দেখতে বারংবার মন ফিরে যাচ্ছিল সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে। ২০১৫ সালে আমরা যখন গিয়েছিলাম তার আগেও দুটি বড় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেছিল দেশটি—২০০৫ সালের সেই ভয়ংকর সুনামি এবং ২০১০ অবধি চলা গৃহযুদ্ধ। শাক্যমুনির আশীর্বাদধন্য দেশটি আশা করছি আবারও সে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
ঐতিহাসিক দীনেশচন্দ্র সেন সিংহলিরা আর বাঙালিরা যে ‘তুতো’ ভাই তা বেশ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে ছেড়েছেন। প্রায় হাজার দু-এক বাংলা আর সিংহলি শব্দের মিল খুঁজে বার করেছেন সেন মহাশয়। সেই গরিমা আবার ফিরে আসুক শ্রীলঙ্কায়।
আমাদের প্রতিবেশী ‘সিন্ধুর টিপ’ আবার কাঞ্চনময় দেশ হয়ে উঠবে—তারই প্রতীক্ষা রইল।

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১০ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১০ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন। তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে, আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার শঙ্কা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে, সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ, পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন। তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে, আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার শঙ্কা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে, সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ, পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৮ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১০ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১০ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ ঘণ্টা আগে