ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী উল্লাস পাল। তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরিতে কোটার সুবিধা নেননি। তিনি ৪৩তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত, আবার ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর ৪৪তম বিসিএসের ভাইভার অভিজ্ঞতা শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার পর বসতে বললেন।
চেয়ারম্যান: আপনার নাম উল্লাস পাল?
আমি: জি স্যার।
চেয়ারম্যান: কোন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?
আমি: কার্তিকপুর উচ্চবিদ্যালয় (২০১০) জিপিএ-৫। নর্দান কলেজ বাংলাদেশ (২০১২) জিপিএ-৫। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ সম্পন্ন করেছি।
চেয়ারম্যান: (আবার জিজ্ঞেস করলেন) অনার্স, মাস্টার্স কোথা থেকে করেছেন?
আমি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্যার।
চেয়ারম্যান: গুড।
এক্সটার্নাল-১: আচ্ছা, আপনি তো ব্যবস্থাপনার শিক্ষার্থী ছিলেন। অফিস ম্যানেজমেন্টের কয়েকটা টুলস বলেন।
আমি: অফিস ম্যানেজমেন্টের কয়েকটা টুলস হলো—টাইপরাইটার, ফটোকপি মেশিন, টেলেক্স ও ফ্যাক্স, ফাইল-ফোল্ডার, ডায়েরি, কম্পিউটার ইত্যাদি। আর মনে আসছিল না দেখে বললাম, সরি স্যার, এখন আর মনে পড়ছে না।
এক্সটার্নাল-১: আপনার প্রথম পছন্দ কী?
আমি: স্যার, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার।
এক্সটার্নাল-১: আচ্ছা, কেন এখানে আসতে চান বলেন।
আমি: স্যার, কারণগুলো আমি দুই ভাগে ভাগ করে বলছি—ক. ব্যক্তিগত কারণ, খ. বিষয় সম্পর্কিত। চাকরি নয়, জীবনপথ হিসেবে প্রশাসনকে নিতে চাই। ‘ওয়ান ডে সিটিজেন নয়, এভরিডে সিটিজেন’ ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অর্থাৎ জনগণ যেন শুধু অভিযোগ করার দিনেই নয়, প্রতিদিন প্রশাসনের অংশ মনে করে, সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। ‘আধুনিক প্রশাসক’ হিসেবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চাই। জমা পড়ে থাকা সমস্যাগুলোর ‘ফলোআপ অফিসার’ হতে চাই। ‘পলিসি টু পিপল’ সংযোগকারী হতে চাই।
এক্সটার্নাল-১: প্রশাসনের নিচ থেকে ওপরের পদসোপানগুলো বলেন।
আমি: মাঠ আর কেন্দ্রীয় আলাদাভাবে উত্তর দিলাম। (এই প্রশ্নের উত্তর বইয়ে অসংখ্য জায়গায় রয়েছে)।
এক্সটার্নাল-২: আপনার শারীরিক সমস্যাটা জন্মগত?
আমি: জি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: আপনি কি বলতে পারবেন এর কারণ?
আমি: (বুঝিয়ে বললাম)।
এক্সটার্নাল-২: আচ্ছা, এর আগে আপনি বললেন আপনার মধ্যে ম্যানেজারিয়াল ও লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে। বলুন তো, লিডার ও ম্যানেজারের মধ্যে পার্থক্য কী?
আমি: ম্যানেজার ও লিডারের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো হলো, ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যপূরণে নিয়ম মেনে কাজ করেন; লিডার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে নেতৃত্ব দেন। ম্যানেজার পদ ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কাজ করান; লিডার ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবের মাধ্যমে অনুসরণ করান। ম্যানেজার নিয়ম, নীতিমালা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করেন; লিডার উদ্ভাবনী চিন্তা ও প্রেরণার মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন। ম্যানেজার ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদ সিদ্ধান্ত নেন; লিডার ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন এবং নতুন উদ্যোগে নেতৃত্ব দেন। ম্যানেজার কর্মীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখেন; লিডার কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করেন।
এক্সটার্নাল-২: বর্তমানে একজন সেরা বিজ্ঞানীর নাম বলেন, যার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
আমি: স্টিফেন হকিংয়ের নাম বলে বললাম, উনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
এক্সটার্নাল-২: আপনি এমবিএ করেছেন। এমবিএ-এর ফুল ফর্ম কী?
আমি: হঠাৎ চমকিত হয়ে প্রথমবার ভুল উত্তর দিয়ে পরেরবার সঠিকভাবে বললাম।
চেয়ারম্যান: ব্যাংক থেকে কীভাবে লোন দেয়, কত টাকা, প্রবাসী ছাড়া আর কাউকে দেয় কি না, লোন ডিফল্টার কত শতাংশ, এসব অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলেন।
আমি: সবগুলোর উত্তর দিলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: বর্তমানে প্রবাসীরা অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। কারণগুলো বলেন।
আমি: ব্যাংকে আছি তাই ইন্টারনাল কারণগুলো বললাম। স্যার পরে মাথা নেড়ে বললেন, ঠিক বলেছেন। এটাই আসল কারণ। কয়েকবার মাথা জাঁকালেন।
এ ছাড়া আরও কয়েকটা প্রশ্ন ছিল ওভারঅল। এরপর আমাকে উইশ
ইউ অল দ্য বেস্ট বলে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বললেন স্যার। সালাম দিয়ে বের হলাম।
সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার পর বসতে বললেন।
চেয়ারম্যান: আপনার নাম উল্লাস পাল?
আমি: জি স্যার।
চেয়ারম্যান: কোন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?
আমি: কার্তিকপুর উচ্চবিদ্যালয় (২০১০) জিপিএ-৫। নর্দান কলেজ বাংলাদেশ (২০১২) জিপিএ-৫। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ সম্পন্ন করেছি।
চেয়ারম্যান: (আবার জিজ্ঞেস করলেন) অনার্স, মাস্টার্স কোথা থেকে করেছেন?
আমি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্যার।
চেয়ারম্যান: গুড।
এক্সটার্নাল-১: আচ্ছা, আপনি তো ব্যবস্থাপনার শিক্ষার্থী ছিলেন। অফিস ম্যানেজমেন্টের কয়েকটা টুলস বলেন।
আমি: অফিস ম্যানেজমেন্টের কয়েকটা টুলস হলো—টাইপরাইটার, ফটোকপি মেশিন, টেলেক্স ও ফ্যাক্স, ফাইল-ফোল্ডার, ডায়েরি, কম্পিউটার ইত্যাদি। আর মনে আসছিল না দেখে বললাম, সরি স্যার, এখন আর মনে পড়ছে না।
এক্সটার্নাল-১: আপনার প্রথম পছন্দ কী?
আমি: স্যার, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার।
এক্সটার্নাল-১: আচ্ছা, কেন এখানে আসতে চান বলেন।
আমি: স্যার, কারণগুলো আমি দুই ভাগে ভাগ করে বলছি—ক. ব্যক্তিগত কারণ, খ. বিষয় সম্পর্কিত। চাকরি নয়, জীবনপথ হিসেবে প্রশাসনকে নিতে চাই। ‘ওয়ান ডে সিটিজেন নয়, এভরিডে সিটিজেন’ ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অর্থাৎ জনগণ যেন শুধু অভিযোগ করার দিনেই নয়, প্রতিদিন প্রশাসনের অংশ মনে করে, সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। ‘আধুনিক প্রশাসক’ হিসেবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চাই। জমা পড়ে থাকা সমস্যাগুলোর ‘ফলোআপ অফিসার’ হতে চাই। ‘পলিসি টু পিপল’ সংযোগকারী হতে চাই।
এক্সটার্নাল-১: প্রশাসনের নিচ থেকে ওপরের পদসোপানগুলো বলেন।
আমি: মাঠ আর কেন্দ্রীয় আলাদাভাবে উত্তর দিলাম। (এই প্রশ্নের উত্তর বইয়ে অসংখ্য জায়গায় রয়েছে)।
এক্সটার্নাল-২: আপনার শারীরিক সমস্যাটা জন্মগত?
আমি: জি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: আপনি কি বলতে পারবেন এর কারণ?
আমি: (বুঝিয়ে বললাম)।
এক্সটার্নাল-২: আচ্ছা, এর আগে আপনি বললেন আপনার মধ্যে ম্যানেজারিয়াল ও লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে। বলুন তো, লিডার ও ম্যানেজারের মধ্যে পার্থক্য কী?
আমি: ম্যানেজার ও লিডারের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো হলো, ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যপূরণে নিয়ম মেনে কাজ করেন; লিডার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে নেতৃত্ব দেন। ম্যানেজার পদ ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কাজ করান; লিডার ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবের মাধ্যমে অনুসরণ করান। ম্যানেজার নিয়ম, নীতিমালা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করেন; লিডার উদ্ভাবনী চিন্তা ও প্রেরণার মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন। ম্যানেজার ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদ সিদ্ধান্ত নেন; লিডার ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন এবং নতুন উদ্যোগে নেতৃত্ব দেন। ম্যানেজার কর্মীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখেন; লিডার কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করেন।
এক্সটার্নাল-২: বর্তমানে একজন সেরা বিজ্ঞানীর নাম বলেন, যার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
আমি: স্টিফেন হকিংয়ের নাম বলে বললাম, উনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
এক্সটার্নাল-২: আপনি এমবিএ করেছেন। এমবিএ-এর ফুল ফর্ম কী?
আমি: হঠাৎ চমকিত হয়ে প্রথমবার ভুল উত্তর দিয়ে পরেরবার সঠিকভাবে বললাম।
চেয়ারম্যান: ব্যাংক থেকে কীভাবে লোন দেয়, কত টাকা, প্রবাসী ছাড়া আর কাউকে দেয় কি না, লোন ডিফল্টার কত শতাংশ, এসব অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলেন।
আমি: সবগুলোর উত্তর দিলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: বর্তমানে প্রবাসীরা অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। কারণগুলো বলেন।
আমি: ব্যাংকে আছি তাই ইন্টারনাল কারণগুলো বললাম। স্যার পরে মাথা নেড়ে বললেন, ঠিক বলেছেন। এটাই আসল কারণ। কয়েকবার মাথা জাঁকালেন।
এ ছাড়া আরও কয়েকটা প্রশ্ন ছিল ওভারঅল। এরপর আমাকে উইশ
ইউ অল দ্য বেস্ট বলে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বললেন স্যার। সালাম দিয়ে বের হলাম।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পাঁচ ধরনের শূন্য পদে মোট ৩৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২৫ আগস্ট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৪ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধুমতি ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি বাণিজ্যিক এ ব্যাংকটির আইসিটি ডিভিশনের (ইও-পিও) শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ৪ সেপ্টেম্ব থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
৮ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানটিতে ম্যানেজার (মার্কেটিং) পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
৮ ঘণ্টা আগেঅ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (আশা) এনজিওতে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। দেশের অন্যতম ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানটির একটি শূন্য পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ৭ সেপ্টেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগে