Ajker Patrika

বিসিএস ক্যাডার হতে পাঁচ পরামর্শ

আনিসুল ইসলাম নাঈম
Thumbnail image

বিসিএস ক্যাডার হিসেবে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হতে একটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থীর ভিড়ে অনেকেই এই দীর্ঘ যাত্রায় ছিটকে যান। ক্যারিয়ার হিসেবে বিসিএসকে বেছে নেওয়ার আগে ৫টি বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে (বাংলা) সুপারিশপ্রাপ্ত সাদিকুর রহমান রাহাত

তীব্র আকাঙ্ক্ষা 
কোনো জিনিস পেতে হলে প্রথমে আপনার ওই জিনিসটি পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। এটিই কোনো লক্ষ্য অর্জন বা সফলতার প্রথম ধাপ। আমাদের সাফল্য নির্ভর করে আমরা কোন জিনিস কত শতাংশ চাই তার ওপর। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিজেকে দেখার ইচ্ছা আপনার মাঝে কতটুকু আছে, সেটা আগে যাচাই করে নিতে হবে। আপনার ভেতর যদি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সুপ্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ থাকে। প্রথমেই সেটিকে প্রজ্বালিত করতে হবে। অন্য কিছু করতে চাইলে সেটা ভিন্ন কথা। তবে বিসিএস ক্যাডার হতে চাইলে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি করতে হবে।

সঠিক দিকনির্দেশনা 
বিসিএস যাত্রা শুরু করার আগে আপনার একটি সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। সেটি কোচিং হতে পারে অথবা পরিচিত কোনো বিসিএস ক্যাডার হতে পারে বা ভার্চুয়াল মাধ্যম থেকে হতে পারে। সঠিক দিকনির্দেশনা ব্যতীত বিসিএস যাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। নিজে নিজে পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন। তবে সেটি অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক না-ও হতে পারে। তাই সফল ব্যক্তিদের থেকে দিকনির্দেশনা নেওয়া উচিত। 12th fail মুভিতে মনোজ যখন দুই-তিনবার ব্যর্থ হয়, তখনই দেখা যায়, সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য সে তার পরিচিত একজন আইপিএস অফিসারের কাছে ছুটে যায়। 

পরিশ্রম
পরিশ্রম ছাড়া এই পৃথিবীতে কোনো কাজ হয়েছে কোনো দিন? যেকোনো লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। বিসিএস ক্যাডার হতে গেলে আপনার অমানুষিক পরিশ্রম করা ছাড়া বিকল্প নেই। বর্তমান এই প্রতিযোগিতার যুগে পরিশ্রম ছাড়া কেউ বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন—এমন গল্প আমার কাছে আকাশকুসুমই মনে হয়। সুতরাং বিসিএস ক্যাডার হতে গেলে আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিতে গেলে এই পরিশ্রম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। লিখতে লিখতে অনেক সময় হাত অচল হয়ে আসবে। টানা পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতটুকু পরিশ্রম করার মানসিকতা না থাকলে বিসিএসে আসা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। 

ধৈর্য
বিসিএস একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হতে অনেক সময় চার-পাঁচ বছর লেগে যায়। দীর্ঘ এই কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হলে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কত আপনজন পর হয়ে যাবে, কত বন্ধুবান্ধব, নিকটাত্মীয় দূর হয়ে যায়। শুধু আপনার চেয়ার-টেবিল আর বইখাতাগুলো ধৈর্যের নীরব সাক্ষী হয়ে থাকবে। অনেকের কালো চুল সাদা হয়ে যায়, বিয়ের বয়স পেরিয়ে যায়, সোনার হরিণের আশায়। ধৈর্য ধরে যে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবে, সেই সফল হবে ইনশা আল্লাহ। সুতরাং ধৈর্যশীল হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা বা আত্মবিশ্বাস
সৃষ্টিকর্তার ওপর যে ভরসা করতে পারে, সে তার নিজের ওপরও ভরসা করতে পারে। যাকে আমরা আত্মবিশ্বাস বলে থাকি। আমরা কোনো কাজ করতে গেলে বারবার ব্যর্থ হই। কিন্তু যদি সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করতে পারি, তাহলে আমরা কখনো হাল ছাড়ব না। সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা আমাদের আত্মবিশ্বাস ও কর্মক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই আপনার ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। ভাগ্যে না থাকলে হয়তো আপনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করার বিকল্প নেই।

এ ছাড়া আপনার বিনয়, ব্যক্তিত্ব, মা-বাবার দোয়া এবং সর্বোপরি মানুষের দোয়া আপনাকে এগিয়ে রাখবে।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত