নাজমুল ইসলাম
প্রতিটি কাজেরই একটি পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। আর ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে তো এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র কী হবে বা কেমন করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করা উচিত আগে থেকেই। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক বা পরিচিতদের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে। তবে হাঁটতে শেখার আগেই সন্তানের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে গেলে আবার বিপদ আছে।
অনেকের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেও ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা নিজেকেই করতে হয়। ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। ভিন্ন হতে পারে তার পড়াশোনার বিষয়ের দিক থেকেও। নিজের পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্র হতে পারে ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র। তবে বাংলাদেশে বিষয়ভিত্তিক চাকরির সুযোগ সীমিত। সে ক্ষেত্রে নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। একটি ভালো পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পর কম ঝক্কি পোহাতে হয়।
বিষয়ভিত্তিক চাকরির সুযোগ বিশ্লেষণ
স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নির্দিষ্ট কোনো একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোন করতে হয়। ফলে সে বিষয় সম্পর্কে জানাশোনাটা অন্যদের চেয়ে ভালো থাকে। এই শক্তিটাকে কাজে লাগাতে হবে। নিজের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হলে চাকরির বাজারে এর সুযোগ কেমন, তা আগে বিশ্লেষণ করতে হবে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ আছে, সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে কোন ধরনের দক্ষতা প্রত্যাশা করে, সেটা সম্পর্কে জানতে হবে। এতে কর্মীর কাছে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা বোঝাটা সহজ হবে। একই সঙ্গে সেই প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করাও সহজ হবে।
নেটওয়ার্কিং
নেটওয়ার্কিং শব্দটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। ক্যারিয়ারের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে প্রতিষ্ঠানে আপনি কাজ করতে চান, সেই প্রতিষ্ঠানের কারও সঙ্গে যদি আপনার পূর্ব পরিচয় থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আপনার কাজ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে। কারণ, পরিচিত মানুষের ওপর আস্থা অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে। তবে যোগ্যতাকে বাদ দিয়ে কেবল নেটওয়ার্কিং করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। কারণ, যেকোনো প্রতিষ্ঠান কর্মী নিয়োগের সময় যোগ্যতাকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দেয়।
খণ্ডকালীন চাকরি
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করা যায়। তবে আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তারপরও যদি সম্ভব হয়, এসব কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে হবে। এতে নিজের দক্ষতা বাড়বে। ক্যারিয়ারে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই দক্ষতা বেশ কাজে লাগবে। কারণ, কোনো প্রতিষ্ঠান যখন আপনাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেবে, তখন আপনার অতীতের অভিজ্ঞতার কথা তারা বিবেচনা করবে। কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তারা আস্থা রাখতে পারবে। তাই পড়াশোনা চলাকালেই সম্ভব হলে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। মনে রাখা দরকার—যেকোনো কাজই অভিজ্ঞতার ঝুলিকে ঋদ্ধ করে।
সমৃদ্ধ সিভি
কর্মজীবনে নিজেকে উপস্থাপনের প্রধান উপায় হলো সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত। এই সিভি দেখেই নিয়োগকর্তা প্রথম চাকরি প্রার্থী সম্পর্কে ধারণা পান। একজন ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্র ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়োগকর্তা জানতে পারেন সিভির মাধ্যমেই। ফলে চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই একটি ভালো সিভি তৈরি করতে হবে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি একজন ব্যক্তি আর কী কী কাজ করেছেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব কাজের মধ্য দিয়েই ব্যক্তির মধ্যে দলগতভাবে কাজ করা বা নেতৃত্ব গুণ বিকশিত হয়। এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রয়েছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি অনেক কাজ করেছেন, কিন্তু কোনটাই নিয়মিত করেননি। এটা নিয়োগকর্তাদের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে। তাই বিশেষ কিছু কাজের কথা আপনার উল্লেখ করতে হবে, যা আপনি করতে ভালোবাসেন এবং নিয়মিত করেন।
ইন্টার্নশিপ
সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ থাকলে তা কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালেও ইন্টার্নশিপ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সমস্যা আছে। ইন্টার্নশিপের সময় ২–৩ মাস মেয়াদি হয়ে থাকে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২–৩ মাস মেয়াদি কোনো ছুটি থাকে না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালে করা যায় এমন কোনো কাজ জোগাড় করতে পারলে ভালো হয়। পাশাপাশি স্বল্প সময়ের জন্য কোনো ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে হবে।
প্রতিটি কাজেরই একটি পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। আর ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে তো এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র কী হবে বা কেমন করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করা উচিত আগে থেকেই। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক বা পরিচিতদের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে। তবে হাঁটতে শেখার আগেই সন্তানের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে গেলে আবার বিপদ আছে।
অনেকের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেও ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা নিজেকেই করতে হয়। ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। ভিন্ন হতে পারে তার পড়াশোনার বিষয়ের দিক থেকেও। নিজের পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্র হতে পারে ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র। তবে বাংলাদেশে বিষয়ভিত্তিক চাকরির সুযোগ সীমিত। সে ক্ষেত্রে নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। একটি ভালো পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পর কম ঝক্কি পোহাতে হয়।
বিষয়ভিত্তিক চাকরির সুযোগ বিশ্লেষণ
স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নির্দিষ্ট কোনো একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোন করতে হয়। ফলে সে বিষয় সম্পর্কে জানাশোনাটা অন্যদের চেয়ে ভালো থাকে। এই শক্তিটাকে কাজে লাগাতে হবে। নিজের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হলে চাকরির বাজারে এর সুযোগ কেমন, তা আগে বিশ্লেষণ করতে হবে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ আছে, সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে কোন ধরনের দক্ষতা প্রত্যাশা করে, সেটা সম্পর্কে জানতে হবে। এতে কর্মীর কাছে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা বোঝাটা সহজ হবে। একই সঙ্গে সেই প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করাও সহজ হবে।
নেটওয়ার্কিং
নেটওয়ার্কিং শব্দটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। ক্যারিয়ারের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে প্রতিষ্ঠানে আপনি কাজ করতে চান, সেই প্রতিষ্ঠানের কারও সঙ্গে যদি আপনার পূর্ব পরিচয় থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আপনার কাজ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে। কারণ, পরিচিত মানুষের ওপর আস্থা অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে। তবে যোগ্যতাকে বাদ দিয়ে কেবল নেটওয়ার্কিং করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। কারণ, যেকোনো প্রতিষ্ঠান কর্মী নিয়োগের সময় যোগ্যতাকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দেয়।
খণ্ডকালীন চাকরি
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করা যায়। তবে আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তারপরও যদি সম্ভব হয়, এসব কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে হবে। এতে নিজের দক্ষতা বাড়বে। ক্যারিয়ারে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই দক্ষতা বেশ কাজে লাগবে। কারণ, কোনো প্রতিষ্ঠান যখন আপনাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেবে, তখন আপনার অতীতের অভিজ্ঞতার কথা তারা বিবেচনা করবে। কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তারা আস্থা রাখতে পারবে। তাই পড়াশোনা চলাকালেই সম্ভব হলে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। মনে রাখা দরকার—যেকোনো কাজই অভিজ্ঞতার ঝুলিকে ঋদ্ধ করে।
সমৃদ্ধ সিভি
কর্মজীবনে নিজেকে উপস্থাপনের প্রধান উপায় হলো সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত। এই সিভি দেখেই নিয়োগকর্তা প্রথম চাকরি প্রার্থী সম্পর্কে ধারণা পান। একজন ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্র ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়োগকর্তা জানতে পারেন সিভির মাধ্যমেই। ফলে চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই একটি ভালো সিভি তৈরি করতে হবে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি একজন ব্যক্তি আর কী কী কাজ করেছেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব কাজের মধ্য দিয়েই ব্যক্তির মধ্যে দলগতভাবে কাজ করা বা নেতৃত্ব গুণ বিকশিত হয়। এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রয়েছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি অনেক কাজ করেছেন, কিন্তু কোনটাই নিয়মিত করেননি। এটা নিয়োগকর্তাদের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে। তাই বিশেষ কিছু কাজের কথা আপনার উল্লেখ করতে হবে, যা আপনি করতে ভালোবাসেন এবং নিয়মিত করেন।
ইন্টার্নশিপ
সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ থাকলে তা কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালেও ইন্টার্নশিপ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সমস্যা আছে। ইন্টার্নশিপের সময় ২–৩ মাস মেয়াদি হয়ে থাকে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২–৩ মাস মেয়াদি কোনো ছুটি থাকে না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালে করা যায় এমন কোনো কাজ জোগাড় করতে পারলে ভালো হয়। পাশাপাশি স্বল্প সময়ের জন্য কোনো ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে হবে।
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। প্রতিষ্ঠানটির একটি পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০ এপ্রিল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেলক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের শূন্য পদে মোট ১২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৭ এপ্রিল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদন করতে পাবেন।
২ দিন আগেগাজীপুর সিটি করপোরেশনে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। করপোরেশনের এক ধরনের শূন্য পদে মোট ১০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৭ এপ্রিল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেজনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনস্থ বরগুনা কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অধীনে লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ১৫ এপ্রিল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। দেশের যেকোনো জেলার প্রার্থীরা এ নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগে