আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: গত রমজানে আমি অসুস্থতার কারণে অনেক রোজা রাখতে পারিনি। এখন যেহেতু দিন ছোট হয়ে এসেছে, তাই আমি রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে চাচ্ছি। রোজার কাজা আদায়ের বিধান সম্পর্কে জানালে উপকৃত হব। হামিদুর রশীদ, চট্টগ্রাম
উত্তর: অসুস্থতা বা অন্য কোনো শরিয়া অনুমোদিত কারণে রমজানের ফরজ রোজা রাখতে না পারলে তার কাজা আদায় করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে এ মাসে থাকবে, সে যেন তাতে রোজা রাখে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির, সে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
রোজার কাজা যাদের জন্য
কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখলে বা অনিচ্ছায় ভেঙে ফেললে অথবা কোনো ওজরের কারণে ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখতে কষ্ট হলে, একইভাবে গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নারী যদি নিজের বা বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে রমজানে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করে নিতে পারবে, এ ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। (তিরমিজি: ৭১৫) আর যে নারীর রমজানে ঋতুস্রাব হবে, তার জন্য সেই সময় রোজা রাখা বৈধ নয়; সেই রোজা পরে কাজা করে দিতে হবে।
লাগাতার আদায়ের নিয়ম
রমজানের কাজা রোজার ব্যাপারে সব ইমাম একমত, কোনো ব্যক্তি যে কয় দিনের রোজা রাখতে পারেনি, সে কয় দিনের রোজা কাজা করবে। একাধিক রোজা কাজা থাকলে তা লাগাতার কাজা আদায় করতে হবে না। ইচ্ছা করলে লাগাতার রোজা রাখা যাবে, আবার ইচ্ছে করলে বিরতি দিয়েও রাখা যাবে। সাধ্যানুযায়ী প্রতি সপ্তাহে এক দিন অথবা প্রতি মাসে এক দিন রোজা রাখতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ ওপরে উল্লিখিত আয়াতে কাজা পালনে লাগাতার রোজা রাখার কোনো শর্ত করা হয়নি। বরং শুধু যে কয় দিন রোজা ভঙ্গ করা হয়েছে, তার সমসংখ্যক দিন রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে।’ (আল-মাজমু: ৬ / ১৬৭; আল-মুগনি ৪ / ৪০৮)
কাজা রোজা আদায়ের সময়
পরের রমজান মাস আসার আগেই যত দ্রুত সম্ভব, রমজানের রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কোনো কারণ ছাড়া কাজা আদায়ে দেরি করা উচিত নয়। কারও ওপর যদি রমজানের রোজা কাজা থাকে, তবে সে অন্যান্য নফল রোজা আদায় না করে আগে কাজা আদায় করে নেবে। অবশ্য, নফল রোজা আদায় করলে তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। দুই ঈদের দিনগুলো এবং মানতের রোজার জন্য নির্ধারিত দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন রমজানের রোজার কাজা আদায় করা যায়। (আল-ফিকহুল ইসলামি ওয়া-আদিল্লাতুহু: ৩ / ১০৭-১১৩)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: গত রমজানে আমি অসুস্থতার কারণে অনেক রোজা রাখতে পারিনি। এখন যেহেতু দিন ছোট হয়ে এসেছে, তাই আমি রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে চাচ্ছি। রোজার কাজা আদায়ের বিধান সম্পর্কে জানালে উপকৃত হব। হামিদুর রশীদ, চট্টগ্রাম
উত্তর: অসুস্থতা বা অন্য কোনো শরিয়া অনুমোদিত কারণে রমজানের ফরজ রোজা রাখতে না পারলে তার কাজা আদায় করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে এ মাসে থাকবে, সে যেন তাতে রোজা রাখে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির, সে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
রোজার কাজা যাদের জন্য
কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখলে বা অনিচ্ছায় ভেঙে ফেললে অথবা কোনো ওজরের কারণে ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখতে কষ্ট হলে, একইভাবে গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নারী যদি নিজের বা বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে রমজানে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করে নিতে পারবে, এ ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। (তিরমিজি: ৭১৫) আর যে নারীর রমজানে ঋতুস্রাব হবে, তার জন্য সেই সময় রোজা রাখা বৈধ নয়; সেই রোজা পরে কাজা করে দিতে হবে।
লাগাতার আদায়ের নিয়ম
রমজানের কাজা রোজার ব্যাপারে সব ইমাম একমত, কোনো ব্যক্তি যে কয় দিনের রোজা রাখতে পারেনি, সে কয় দিনের রোজা কাজা করবে। একাধিক রোজা কাজা থাকলে তা লাগাতার কাজা আদায় করতে হবে না। ইচ্ছা করলে লাগাতার রোজা রাখা যাবে, আবার ইচ্ছে করলে বিরতি দিয়েও রাখা যাবে। সাধ্যানুযায়ী প্রতি সপ্তাহে এক দিন অথবা প্রতি মাসে এক দিন রোজা রাখতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ ওপরে উল্লিখিত আয়াতে কাজা পালনে লাগাতার রোজা রাখার কোনো শর্ত করা হয়নি। বরং শুধু যে কয় দিন রোজা ভঙ্গ করা হয়েছে, তার সমসংখ্যক দিন রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে।’ (আল-মাজমু: ৬ / ১৬৭; আল-মুগনি ৪ / ৪০৮)
কাজা রোজা আদায়ের সময়
পরের রমজান মাস আসার আগেই যত দ্রুত সম্ভব, রমজানের রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কোনো কারণ ছাড়া কাজা আদায়ে দেরি করা উচিত নয়। কারও ওপর যদি রমজানের রোজা কাজা থাকে, তবে সে অন্যান্য নফল রোজা আদায় না করে আগে কাজা আদায় করে নেবে। অবশ্য, নফল রোজা আদায় করলে তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। দুই ঈদের দিনগুলো এবং মানতের রোজার জন্য নির্ধারিত দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন রমজানের রোজার কাজা আদায় করা যায়। (আল-ফিকহুল ইসলামি ওয়া-আদিল্লাতুহু: ৩ / ১০৭-১১৩)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
বাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১২ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১৩ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১৩ ঘণ্টা আগেআরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণীর প্রচার-প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা...
১৩ ঘণ্টা আগে