সন্তানের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে মা-বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম, তাঁদের মহান অনুগ্রহ। তাই মা-বাবার সঙ্গে সর্বদা উত্তম আচরণ করা উচিত। অনেক সময় সন্তান তাঁদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে থাকে, যা একজন সন্তান থেকে কখনো কাম্য নয়।
মা-বাবার অবাধ্যতা বা তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত কোরো না, মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, মা-বাবার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাঁদের উফ্ পর্যন্ত বোলো না এবং তাঁদের ধমক দিয়ো না; বরং তাঁদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৩)
মা-বাবার অবাধ্যতা বা তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) একদিন তিনবার বললেন, ‘সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহগুলো সম্পর্কে আমি কি তোমাদের অবহিত করব না?’ সবাই বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা এবং মা-বাবার অবাধ্য হওয়া।’ (বুখারি)
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির প্রতি মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন রহমতের দৃষ্টি দেবেন না। এক. মা-বাবার অবাধ্য সন্তান। দুই. পুরুষের বেশধারী নারী এবং তিন. দাইয়ুস (পরিবারকে নাফরমানির অনুমতি দাতা)। আর তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না—এক. মা-বাবার অবাধ্য সন্তান। দুই. মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তিন. দানকৃত বস্তুর খোঁটা দানকারী ব্যক্তি।’ (নাসায়ি)
মা-বাবার বদদোয়া মহান আল্লাহ নিশ্চিতভাবে কবুল করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এক. নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া। দুই. মুসাফিরের দোয়া। তিন. সন্তানের প্রতি বাবার বদদোয়া।’ (ইবনে মাজাহ)
মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সন্তানের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে মা-বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম, তাঁদের মহান অনুগ্রহ। তাই মা-বাবার সঙ্গে সর্বদা উত্তম আচরণ করা উচিত। অনেক সময় সন্তান তাঁদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে থাকে, যা একজন সন্তান থেকে কখনো কাম্য নয়।
মা-বাবার অবাধ্যতা বা তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত কোরো না, মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, মা-বাবার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাঁদের উফ্ পর্যন্ত বোলো না এবং তাঁদের ধমক দিয়ো না; বরং তাঁদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৩)
মা-বাবার অবাধ্যতা বা তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) একদিন তিনবার বললেন, ‘সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহগুলো সম্পর্কে আমি কি তোমাদের অবহিত করব না?’ সবাই বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা এবং মা-বাবার অবাধ্য হওয়া।’ (বুখারি)
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির প্রতি মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন রহমতের দৃষ্টি দেবেন না। এক. মা-বাবার অবাধ্য সন্তান। দুই. পুরুষের বেশধারী নারী এবং তিন. দাইয়ুস (পরিবারকে নাফরমানির অনুমতি দাতা)। আর তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না—এক. মা-বাবার অবাধ্য সন্তান। দুই. মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তিন. দানকৃত বস্তুর খোঁটা দানকারী ব্যক্তি।’ (নাসায়ি)
মা-বাবার বদদোয়া মহান আল্লাহ নিশ্চিতভাবে কবুল করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এক. নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া। দুই. মুসাফিরের দোয়া। তিন. সন্তানের প্রতি বাবার বদদোয়া।’ (ইবনে মাজাহ)
মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১৮ ঘণ্টা আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
২ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
২ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
২ দিন আগে