Ajker Patrika

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ১২
Thumbnail image
ফাইল ছবি

ইসলামের দৃষ্টিতে সীমান্ত পাহারা দেওয়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত ও সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) নানাভাবে সীমান্তরক্ষীদের উৎসাহ দিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন বড় বড় পরকালীন পুরস্কারের। নিজ দেশের সীমান্ত রক্ষায় এগিয়ে আসা দেশপ্রেমের পরিচায়কও। ইমানদার মুসলমান হিসেবে এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুপ্রেরণাও আমাদের উদ্দীপিত করতে পারে। এখানে কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো—

১. রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে এক দিন ও এক রাত সীমান্ত পাহারায় কাটাবে, তার জন্য এক মাস রোজা রাখা এবং (রাত জেগে) ইবাদত করার সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি পাহারার কাজে নিয়োজিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার জন্যও অনুরূপ সওয়াব বরাদ্দ হবে। তাকে (জান্নাত থেকে) রিজিক বরাদ্দ দেওয়া হবে, আর সে সব বিপদ থেকে থেকে রক্ষিত থাকবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ৩১৬৭)

২. রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহর পথে এক দিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম।’ (বুখারি: ২৮৯২; মিশকাত: ৩৭৯১)

৩. অন্য হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, ‘একটি দিন ও এক রাত আল্লাহর পথে সীমান্ত পাহারায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা, এক মাস দিনে রোজা রাখা ও রাতে নামাজে দাঁড়ায়ে থাকার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম: ১৯১৩; মিশকাত: ৩৭৯৩)

৪. নবী (সা.) বলেন, ‘সীমান্ত পাহারা দেওয়া এমন এক আমল, যা সদকায়ে জারিয়ার মতো। এর সওয়াব সে কিয়ামত পর্যন্ত পেতে থাকবে।’ (আহমদ: ১৭৩৯৬; সহিহুত তারগিব: ১২১৮)

৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে যে বান্দার দুই পা ধুলায় মলিন হয়, তাঁকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে এমন হতে পারে না।’ (বুখারি: ৪ / ২৮১১)

মুসলমানদের কাছে ভূখণ্ড রক্ষা, দেশ রক্ষা একটি পবিত্র দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার তৌফিক দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত