ইসলাম ডেস্ক

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা ফিকহের কিতাবে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
মানুষের উচ্ছিষ্ট
মানুষের মুখ দেওয়া সব ধরনের পানাহারের উপকরণ ও পানি পবিত্র এবং তা খেতে এবং ব্যবহার করতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা নেই। মানুষটি মুসলমান হোক বা অমুসলিম, পবিত্র হোক বা অপবিত্র, ঋতুস্রাবের সময়ে হোক বা অন্য সময়ে—সব সময় মানুষের উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং খাওয়ার যোগ্য।
হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ঋতুস্রাবের সময় পানি পান করে (বাকি অংশটুকু) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই তা পান করতেন। কখনো আমি ঋতুস্রাব চলাকালে হাড়যুক্ত মাংস খেতাম; (কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই খেতেন।’ (মুসলিম)
হালাল পশুপাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পশুপাখির মাংস খাওয়া হালাল, সেসব পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার ও পানীয় পবিত্র। তা খাওয়া ও ব্যবহার করা জায়েজ। কারণ মৌলিকভাবে কোনো বস্তুর অপবিত্র হওয়ার কোনো দলিল না থাকলে তা পবিত্রই বিবেচনা করা হয়। তবে যেসব মুরগি সবখানে বিচরণ করার সুযোগ পায়, সেগুলোর মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া বা পানি পান অথবা ব্যবহার করা অনুচিত। কারণ এসব মুরগি নাপাক বস্তু খেয়ে বেড়ায়।
শিকারী পাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পাখি শিকারী ও হিংস্র হওয়ার কারণে খাওয়া নাজায়েজ যেমন— ইগল, শকুন, কাক ইত্যাদি—সেসবের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। কারণ এসব পাখিও অপবিত্র জিনিস খেয়ে বেড়ায়। তবে এ ধরনের পাখি খাঁচায় বন্দী থাকলে এবং এগুলোর অপবিত্র বস্তু এড়িয়ে চলার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেলে, তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ হবে না।
কুকুর, শূকর ও হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্ট
শূকরের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। পবিত্র কোরআনে শূকরের সবকিছুই অপবিত্র বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই তা অপবিত্র।’ (সুরা আনআম: ১৪৫)
একইভাবে কুকুরের উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। কুকুর কোনো পাত্রে মুখ দিলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। কোনো কোনো হাদিসে তিনবার এবং কোনো হাদিসে পাঁচবার ধুয়ে ফেলার কথা এসেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কুকুর মুখ দেওয়ার কারণে পাত্র তিনবার ধুতে হবে।’ (দারকুতনি) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তা সাতবার ধুয়ে নাও, প্রথমবার মাটি দিয়ে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখ্য, ইসলামে শখের বশে কুকুর পোষা বৈধ নয়। কারণ ইসলামে শখ করে কুকুর পালন করা নিষেধ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।’ (বুখারি) তবে শিকার করা, ফসলের সুরক্ষা, পশুপাখির নিরাপত্তা, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারা দেওয়া এবং অপরাধী চিহ্নিত করার জন্য কুকুর পোষা বৈধ। (মুসলিম, তিরমিজি, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৪ / ২৪২)
অন্যান্য হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। তবে বন-জঙ্গলে বড় জলাধারের পানি পবিত্র। হাদিসে এসেছে, ইবনে ওমর (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মাঠে-ঘাটে জমে থাকা পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের বন্য জীবজন্তু ও হিংস্র পশু পান করে। (এসবের হুকুম কী)। তিনি বললেন, পানি দুই কুল্লা (এক কুল্লা ২২৭ লিটারের সমান) পরিমাণ হলে তা অপবিত্র হবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ)
বিড়ালের উচ্ছিষ্ট
বিড়াল হিংস্র পশুর অন্তর্ভুক্ত হলেও মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে এটির উচ্ছিষ্টের বিধানে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বিড়ালের মাংস খাওয়া জায়েজ না হলেও উচ্ছিষ্ট পবিত্র। তবে তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ। ব্যবহার না করাই উত্তম।
হাদিসে এসেছে, কাবশা বিনতে কাব ইবনে মালিক (রহ.) থেকে বর্ণিত, একদিন (তাঁর শ্বশুর) আবু কাতাদা তাঁর কাছে এলেন। কাবশা তাঁকে অজুর পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। তখন একটি বিড়াল এসে সেই পানি থেকে পান করতে শুরু করল। পান করা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি পাত্রটি বিড়ালটির জন্য কাত করে ধরলেন। কাবশা বলেন, আবু কাতাদা খেয়াল করলেন—আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি। তখন তিনি বললেন, ‘ভাতিজি, তুমি কি আশ্চর্য হচ্ছ?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। তা তোমাদের আশপাশে ঘন-ঘন বিচরণ করে। (সুতরাং এর উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়)।’ (আবু দাউদ)
তবে যদি বিড়াল ইঁদুর বা অন্য কোনো অপবিত্র বস্তু খাওয়ার পরপরই পানিতে মুখ দেয়, তাহলে সেই পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। অবশ্য কিছুক্ষণ পরে মুখ দিলে অপবিত্র হবে না।
অন্যান্য জীবজন্তুর উচ্ছিষ্ট
গাধা ও খচ্চরের উচ্ছিষ্ট সন্দেহযুক্ত। অর্থাৎ তা পবিত্র নাকি অপবিত্র—এ নিয়ে স্ববিরোধী দলিল থাকায় ফকিহদের কাছে বিষয়টি সন্দেহযুক্ত। অনেকেই পবিত্র বলেছেন, অনেকে বলেছেন অপবিত্র। সুতরাং তা ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে ঘোড়ার উচ্ছিষ্ট পবিত্র।
এ ছাড়া সাপ, ইঁদুর ইত্যাদি ঘরের ভেতর বিচরণ করা প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র এবং তা খাওয়া বা ব্যবহার করা নাজায়েজ।

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা ফিকহের কিতাবে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
মানুষের উচ্ছিষ্ট
মানুষের মুখ দেওয়া সব ধরনের পানাহারের উপকরণ ও পানি পবিত্র এবং তা খেতে এবং ব্যবহার করতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা নেই। মানুষটি মুসলমান হোক বা অমুসলিম, পবিত্র হোক বা অপবিত্র, ঋতুস্রাবের সময়ে হোক বা অন্য সময়ে—সব সময় মানুষের উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং খাওয়ার যোগ্য।
হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ঋতুস্রাবের সময় পানি পান করে (বাকি অংশটুকু) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই তা পান করতেন। কখনো আমি ঋতুস্রাব চলাকালে হাড়যুক্ত মাংস খেতাম; (কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই খেতেন।’ (মুসলিম)
হালাল পশুপাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পশুপাখির মাংস খাওয়া হালাল, সেসব পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার ও পানীয় পবিত্র। তা খাওয়া ও ব্যবহার করা জায়েজ। কারণ মৌলিকভাবে কোনো বস্তুর অপবিত্র হওয়ার কোনো দলিল না থাকলে তা পবিত্রই বিবেচনা করা হয়। তবে যেসব মুরগি সবখানে বিচরণ করার সুযোগ পায়, সেগুলোর মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া বা পানি পান অথবা ব্যবহার করা অনুচিত। কারণ এসব মুরগি নাপাক বস্তু খেয়ে বেড়ায়।
শিকারী পাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পাখি শিকারী ও হিংস্র হওয়ার কারণে খাওয়া নাজায়েজ যেমন— ইগল, শকুন, কাক ইত্যাদি—সেসবের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। কারণ এসব পাখিও অপবিত্র জিনিস খেয়ে বেড়ায়। তবে এ ধরনের পাখি খাঁচায় বন্দী থাকলে এবং এগুলোর অপবিত্র বস্তু এড়িয়ে চলার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেলে, তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ হবে না।
কুকুর, শূকর ও হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্ট
শূকরের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। পবিত্র কোরআনে শূকরের সবকিছুই অপবিত্র বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই তা অপবিত্র।’ (সুরা আনআম: ১৪৫)
একইভাবে কুকুরের উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। কুকুর কোনো পাত্রে মুখ দিলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। কোনো কোনো হাদিসে তিনবার এবং কোনো হাদিসে পাঁচবার ধুয়ে ফেলার কথা এসেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কুকুর মুখ দেওয়ার কারণে পাত্র তিনবার ধুতে হবে।’ (দারকুতনি) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তা সাতবার ধুয়ে নাও, প্রথমবার মাটি দিয়ে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখ্য, ইসলামে শখের বশে কুকুর পোষা বৈধ নয়। কারণ ইসলামে শখ করে কুকুর পালন করা নিষেধ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।’ (বুখারি) তবে শিকার করা, ফসলের সুরক্ষা, পশুপাখির নিরাপত্তা, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারা দেওয়া এবং অপরাধী চিহ্নিত করার জন্য কুকুর পোষা বৈধ। (মুসলিম, তিরমিজি, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৪ / ২৪২)
অন্যান্য হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। তবে বন-জঙ্গলে বড় জলাধারের পানি পবিত্র। হাদিসে এসেছে, ইবনে ওমর (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মাঠে-ঘাটে জমে থাকা পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের বন্য জীবজন্তু ও হিংস্র পশু পান করে। (এসবের হুকুম কী)। তিনি বললেন, পানি দুই কুল্লা (এক কুল্লা ২২৭ লিটারের সমান) পরিমাণ হলে তা অপবিত্র হবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ)
বিড়ালের উচ্ছিষ্ট
বিড়াল হিংস্র পশুর অন্তর্ভুক্ত হলেও মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে এটির উচ্ছিষ্টের বিধানে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বিড়ালের মাংস খাওয়া জায়েজ না হলেও উচ্ছিষ্ট পবিত্র। তবে তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ। ব্যবহার না করাই উত্তম।
হাদিসে এসেছে, কাবশা বিনতে কাব ইবনে মালিক (রহ.) থেকে বর্ণিত, একদিন (তাঁর শ্বশুর) আবু কাতাদা তাঁর কাছে এলেন। কাবশা তাঁকে অজুর পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। তখন একটি বিড়াল এসে সেই পানি থেকে পান করতে শুরু করল। পান করা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি পাত্রটি বিড়ালটির জন্য কাত করে ধরলেন। কাবশা বলেন, আবু কাতাদা খেয়াল করলেন—আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি। তখন তিনি বললেন, ‘ভাতিজি, তুমি কি আশ্চর্য হচ্ছ?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। তা তোমাদের আশপাশে ঘন-ঘন বিচরণ করে। (সুতরাং এর উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়)।’ (আবু দাউদ)
তবে যদি বিড়াল ইঁদুর বা অন্য কোনো অপবিত্র বস্তু খাওয়ার পরপরই পানিতে মুখ দেয়, তাহলে সেই পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। অবশ্য কিছুক্ষণ পরে মুখ দিলে অপবিত্র হবে না।
অন্যান্য জীবজন্তুর উচ্ছিষ্ট
গাধা ও খচ্চরের উচ্ছিষ্ট সন্দেহযুক্ত। অর্থাৎ তা পবিত্র নাকি অপবিত্র—এ নিয়ে স্ববিরোধী দলিল থাকায় ফকিহদের কাছে বিষয়টি সন্দেহযুক্ত। অনেকেই পবিত্র বলেছেন, অনেকে বলেছেন অপবিত্র। সুতরাং তা ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে ঘোড়ার উচ্ছিষ্ট পবিত্র।
এ ছাড়া সাপ, ইঁদুর ইত্যাদি ঘরের ভেতর বিচরণ করা প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র এবং তা খাওয়া বা ব্যবহার করা নাজায়েজ।
ইসলাম ডেস্ক

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা ফিকহের কিতাবে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
মানুষের উচ্ছিষ্ট
মানুষের মুখ দেওয়া সব ধরনের পানাহারের উপকরণ ও পানি পবিত্র এবং তা খেতে এবং ব্যবহার করতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা নেই। মানুষটি মুসলমান হোক বা অমুসলিম, পবিত্র হোক বা অপবিত্র, ঋতুস্রাবের সময়ে হোক বা অন্য সময়ে—সব সময় মানুষের উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং খাওয়ার যোগ্য।
হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ঋতুস্রাবের সময় পানি পান করে (বাকি অংশটুকু) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই তা পান করতেন। কখনো আমি ঋতুস্রাব চলাকালে হাড়যুক্ত মাংস খেতাম; (কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই খেতেন।’ (মুসলিম)
হালাল পশুপাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পশুপাখির মাংস খাওয়া হালাল, সেসব পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার ও পানীয় পবিত্র। তা খাওয়া ও ব্যবহার করা জায়েজ। কারণ মৌলিকভাবে কোনো বস্তুর অপবিত্র হওয়ার কোনো দলিল না থাকলে তা পবিত্রই বিবেচনা করা হয়। তবে যেসব মুরগি সবখানে বিচরণ করার সুযোগ পায়, সেগুলোর মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া বা পানি পান অথবা ব্যবহার করা অনুচিত। কারণ এসব মুরগি নাপাক বস্তু খেয়ে বেড়ায়।
শিকারী পাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পাখি শিকারী ও হিংস্র হওয়ার কারণে খাওয়া নাজায়েজ যেমন— ইগল, শকুন, কাক ইত্যাদি—সেসবের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। কারণ এসব পাখিও অপবিত্র জিনিস খেয়ে বেড়ায়। তবে এ ধরনের পাখি খাঁচায় বন্দী থাকলে এবং এগুলোর অপবিত্র বস্তু এড়িয়ে চলার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেলে, তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ হবে না।
কুকুর, শূকর ও হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্ট
শূকরের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। পবিত্র কোরআনে শূকরের সবকিছুই অপবিত্র বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই তা অপবিত্র।’ (সুরা আনআম: ১৪৫)
একইভাবে কুকুরের উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। কুকুর কোনো পাত্রে মুখ দিলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। কোনো কোনো হাদিসে তিনবার এবং কোনো হাদিসে পাঁচবার ধুয়ে ফেলার কথা এসেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কুকুর মুখ দেওয়ার কারণে পাত্র তিনবার ধুতে হবে।’ (দারকুতনি) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তা সাতবার ধুয়ে নাও, প্রথমবার মাটি দিয়ে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখ্য, ইসলামে শখের বশে কুকুর পোষা বৈধ নয়। কারণ ইসলামে শখ করে কুকুর পালন করা নিষেধ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।’ (বুখারি) তবে শিকার করা, ফসলের সুরক্ষা, পশুপাখির নিরাপত্তা, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারা দেওয়া এবং অপরাধী চিহ্নিত করার জন্য কুকুর পোষা বৈধ। (মুসলিম, তিরমিজি, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৪ / ২৪২)
অন্যান্য হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। তবে বন-জঙ্গলে বড় জলাধারের পানি পবিত্র। হাদিসে এসেছে, ইবনে ওমর (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মাঠে-ঘাটে জমে থাকা পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের বন্য জীবজন্তু ও হিংস্র পশু পান করে। (এসবের হুকুম কী)। তিনি বললেন, পানি দুই কুল্লা (এক কুল্লা ২২৭ লিটারের সমান) পরিমাণ হলে তা অপবিত্র হবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ)
বিড়ালের উচ্ছিষ্ট
বিড়াল হিংস্র পশুর অন্তর্ভুক্ত হলেও মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে এটির উচ্ছিষ্টের বিধানে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বিড়ালের মাংস খাওয়া জায়েজ না হলেও উচ্ছিষ্ট পবিত্র। তবে তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ। ব্যবহার না করাই উত্তম।
হাদিসে এসেছে, কাবশা বিনতে কাব ইবনে মালিক (রহ.) থেকে বর্ণিত, একদিন (তাঁর শ্বশুর) আবু কাতাদা তাঁর কাছে এলেন। কাবশা তাঁকে অজুর পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। তখন একটি বিড়াল এসে সেই পানি থেকে পান করতে শুরু করল। পান করা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি পাত্রটি বিড়ালটির জন্য কাত করে ধরলেন। কাবশা বলেন, আবু কাতাদা খেয়াল করলেন—আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি। তখন তিনি বললেন, ‘ভাতিজি, তুমি কি আশ্চর্য হচ্ছ?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। তা তোমাদের আশপাশে ঘন-ঘন বিচরণ করে। (সুতরাং এর উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়)।’ (আবু দাউদ)
তবে যদি বিড়াল ইঁদুর বা অন্য কোনো অপবিত্র বস্তু খাওয়ার পরপরই পানিতে মুখ দেয়, তাহলে সেই পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। অবশ্য কিছুক্ষণ পরে মুখ দিলে অপবিত্র হবে না।
অন্যান্য জীবজন্তুর উচ্ছিষ্ট
গাধা ও খচ্চরের উচ্ছিষ্ট সন্দেহযুক্ত। অর্থাৎ তা পবিত্র নাকি অপবিত্র—এ নিয়ে স্ববিরোধী দলিল থাকায় ফকিহদের কাছে বিষয়টি সন্দেহযুক্ত। অনেকেই পবিত্র বলেছেন, অনেকে বলেছেন অপবিত্র। সুতরাং তা ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে ঘোড়ার উচ্ছিষ্ট পবিত্র।
এ ছাড়া সাপ, ইঁদুর ইত্যাদি ঘরের ভেতর বিচরণ করা প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র এবং তা খাওয়া বা ব্যবহার করা নাজায়েজ।

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা ফিকহের কিতাবে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
মানুষের উচ্ছিষ্ট
মানুষের মুখ দেওয়া সব ধরনের পানাহারের উপকরণ ও পানি পবিত্র এবং তা খেতে এবং ব্যবহার করতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা নেই। মানুষটি মুসলমান হোক বা অমুসলিম, পবিত্র হোক বা অপবিত্র, ঋতুস্রাবের সময়ে হোক বা অন্য সময়ে—সব সময় মানুষের উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং খাওয়ার যোগ্য।
হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ঋতুস্রাবের সময় পানি পান করে (বাকি অংশটুকু) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই তা পান করতেন। কখনো আমি ঋতুস্রাব চলাকালে হাড়যুক্ত মাংস খেতাম; (কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ) মহানবী (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ রাখা স্থানে মুখ রেখেই খেতেন।’ (মুসলিম)
হালাল পশুপাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পশুপাখির মাংস খাওয়া হালাল, সেসব পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার ও পানীয় পবিত্র। তা খাওয়া ও ব্যবহার করা জায়েজ। কারণ মৌলিকভাবে কোনো বস্তুর অপবিত্র হওয়ার কোনো দলিল না থাকলে তা পবিত্রই বিবেচনা করা হয়। তবে যেসব মুরগি সবখানে বিচরণ করার সুযোগ পায়, সেগুলোর মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া বা পানি পান অথবা ব্যবহার করা অনুচিত। কারণ এসব মুরগি নাপাক বস্তু খেয়ে বেড়ায়।
শিকারী পাখির উচ্ছিষ্ট
যেসব পাখি শিকারী ও হিংস্র হওয়ার কারণে খাওয়া নাজায়েজ যেমন— ইগল, শকুন, কাক ইত্যাদি—সেসবের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। কারণ এসব পাখিও অপবিত্র জিনিস খেয়ে বেড়ায়। তবে এ ধরনের পাখি খাঁচায় বন্দী থাকলে এবং এগুলোর অপবিত্র বস্তু এড়িয়ে চলার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেলে, তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ হবে না।
কুকুর, শূকর ও হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্ট
শূকরের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। পবিত্র কোরআনে শূকরের সবকিছুই অপবিত্র বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই তা অপবিত্র।’ (সুরা আনআম: ১৪৫)
একইভাবে কুকুরের উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। কুকুর কোনো পাত্রে মুখ দিলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। কোনো কোনো হাদিসে তিনবার এবং কোনো হাদিসে পাঁচবার ধুয়ে ফেলার কথা এসেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কুকুর মুখ দেওয়ার কারণে পাত্র তিনবার ধুতে হবে।’ (দারকুতনি) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তা সাতবার ধুয়ে নাও, প্রথমবার মাটি দিয়ে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখ্য, ইসলামে শখের বশে কুকুর পোষা বৈধ নয়। কারণ ইসলামে শখ করে কুকুর পালন করা নিষেধ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।’ (বুখারি) তবে শিকার করা, ফসলের সুরক্ষা, পশুপাখির নিরাপত্তা, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারা দেওয়া এবং অপরাধী চিহ্নিত করার জন্য কুকুর পোষা বৈধ। (মুসলিম, তিরমিজি, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৪ / ২৪২)
অন্যান্য হিংস্র পশুর উচ্ছিষ্টও অপবিত্র। তবে বন-জঙ্গলে বড় জলাধারের পানি পবিত্র। হাদিসে এসেছে, ইবনে ওমর (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মাঠে-ঘাটে জমে থাকা পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের বন্য জীবজন্তু ও হিংস্র পশু পান করে। (এসবের হুকুম কী)। তিনি বললেন, পানি দুই কুল্লা (এক কুল্লা ২২৭ লিটারের সমান) পরিমাণ হলে তা অপবিত্র হবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ)
বিড়ালের উচ্ছিষ্ট
বিড়াল হিংস্র পশুর অন্তর্ভুক্ত হলেও মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে এটির উচ্ছিষ্টের বিধানে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বিড়ালের মাংস খাওয়া জায়েজ না হলেও উচ্ছিষ্ট পবিত্র। তবে তা খাওয়া বা ব্যবহার করা মাকরুহ। ব্যবহার না করাই উত্তম।
হাদিসে এসেছে, কাবশা বিনতে কাব ইবনে মালিক (রহ.) থেকে বর্ণিত, একদিন (তাঁর শ্বশুর) আবু কাতাদা তাঁর কাছে এলেন। কাবশা তাঁকে অজুর পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। তখন একটি বিড়াল এসে সেই পানি থেকে পান করতে শুরু করল। পান করা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি পাত্রটি বিড়ালটির জন্য কাত করে ধরলেন। কাবশা বলেন, আবু কাতাদা খেয়াল করলেন—আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি। তখন তিনি বললেন, ‘ভাতিজি, তুমি কি আশ্চর্য হচ্ছ?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। তা তোমাদের আশপাশে ঘন-ঘন বিচরণ করে। (সুতরাং এর উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়)।’ (আবু দাউদ)
তবে যদি বিড়াল ইঁদুর বা অন্য কোনো অপবিত্র বস্তু খাওয়ার পরপরই পানিতে মুখ দেয়, তাহলে সেই পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। অবশ্য কিছুক্ষণ পরে মুখ দিলে অপবিত্র হবে না।
অন্যান্য জীবজন্তুর উচ্ছিষ্ট
গাধা ও খচ্চরের উচ্ছিষ্ট সন্দেহযুক্ত। অর্থাৎ তা পবিত্র নাকি অপবিত্র—এ নিয়ে স্ববিরোধী দলিল থাকায় ফকিহদের কাছে বিষয়টি সন্দেহযুক্ত। অনেকেই পবিত্র বলেছেন, অনেকে বলেছেন অপবিত্র। সুতরাং তা ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে ঘোড়ার উচ্ছিষ্ট পবিত্র।
এ ছাড়া সাপ, ইঁদুর ইত্যাদি ঘরের ভেতর বিচরণ করা প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র এবং তা খাওয়া বা ব্যবহার করা নাজায়েজ।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

কুকুর, বিড়ালসহ আমাদের চারপাশে বাস করা জীবজন্তু ও পশুপাখির মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া ও পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ এর সঙ্গে পবিত্রতা-অপবিত্রতার বিষয় জড়িত। সব ধরনের প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র নয়। কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট পবিত্র এবং কোন প্রাণীর উচ্ছিষ্ট অপবিত্র—তা
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে