বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস
জোবাইদুল ইসলাম
আরবি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। বিশ্বের প্রায় ২৪ কোটি মানুষের মাতৃভাষা আরবি। আরবি জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার একটি। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আরবিকে জাতিসংঘের ষষ্ঠ দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্বের প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে। আরবি ভাষার কদর বিশ্বজুড়ে। আরবি ভাষা মুসলমানদের প্রাণের ভাষা, ইবাদতের ভাষা, দোয়ার ভাষা, মোনাজাতের ভাষা। এই ভাষা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুলের ভাষা। এই ভাষাতেই নাজিল হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব পবিত্র কোরআন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘জিবরাইল এটি নিয়ে অবতরণ করেছে। তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারী হতে পারো। অবতীর্ণ করা হয়েছে সুস্পষ্ট আরবি ভাষায়।’ (সুরা শুআরা: ১৯৩-১৯৫)
সেকালের আরবে আরবি সাহিত্যের কদর ছিল বেশি। আরবি ভাষায় লেখা শ্রেষ্ঠ সাতটি কবিতা পবিত্র কাবাঘরের দেয়ালে ঝোলানো ছিল, যা ‘সাবআ আল-মুআল্লাকাত নামে পরিচিত ছিল। তৎকালে আরবি ভাষার কবিদের কদর ছিল আরবজুড়ে। আরবি ভাষার সাহিত্যসম্ভার ছিল খুবই সমৃদ্ধ।
আরবি ভাষা পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভাষাগুলোর একটি। ইসলামের মৌলিক বিধিবিধান থেকে শুরু করে সবকিছুই আরবি ভাষায় রচিত। ইতিপূর্বে আরবি ভাষায় রচিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বই, যা এখনো পুরো বিশ্বে সমাদৃত। আরবি ভাষায় লিখিত হাজার হাজার বই বাংলা, ইংরেজিসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং হচ্ছে। বিশেষ করে, ইসলামের মৌলিক বইগুলো আরবি ভাষায় রচিত।
আরবি ভাষার রয়েছে হাজারো গৌরবের অনুষঙ্গ। পবিত্র কোরআন ও হাদিস সম্পাদনা, সংকলন, সংরক্ষণ, প্রচার-প্রসারে আরবি ভাষা অপরিহার্য। আরবি ভাষার বিকাশে দক্ষ জনবল তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসে আরবি ভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবনপূর্বক আল্লাহ আমাদেরকে আরবি ভাষা শেখার এবং আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের তাওফিক দান করুন।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরবি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। বিশ্বের প্রায় ২৪ কোটি মানুষের মাতৃভাষা আরবি। আরবি জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার একটি। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আরবিকে জাতিসংঘের ষষ্ঠ দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্বের প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে। আরবি ভাষার কদর বিশ্বজুড়ে। আরবি ভাষা মুসলমানদের প্রাণের ভাষা, ইবাদতের ভাষা, দোয়ার ভাষা, মোনাজাতের ভাষা। এই ভাষা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুলের ভাষা। এই ভাষাতেই নাজিল হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব পবিত্র কোরআন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘জিবরাইল এটি নিয়ে অবতরণ করেছে। তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারী হতে পারো। অবতীর্ণ করা হয়েছে সুস্পষ্ট আরবি ভাষায়।’ (সুরা শুআরা: ১৯৩-১৯৫)
সেকালের আরবে আরবি সাহিত্যের কদর ছিল বেশি। আরবি ভাষায় লেখা শ্রেষ্ঠ সাতটি কবিতা পবিত্র কাবাঘরের দেয়ালে ঝোলানো ছিল, যা ‘সাবআ আল-মুআল্লাকাত নামে পরিচিত ছিল। তৎকালে আরবি ভাষার কবিদের কদর ছিল আরবজুড়ে। আরবি ভাষার সাহিত্যসম্ভার ছিল খুবই সমৃদ্ধ।
আরবি ভাষা পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভাষাগুলোর একটি। ইসলামের মৌলিক বিধিবিধান থেকে শুরু করে সবকিছুই আরবি ভাষায় রচিত। ইতিপূর্বে আরবি ভাষায় রচিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বই, যা এখনো পুরো বিশ্বে সমাদৃত। আরবি ভাষায় লিখিত হাজার হাজার বই বাংলা, ইংরেজিসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং হচ্ছে। বিশেষ করে, ইসলামের মৌলিক বইগুলো আরবি ভাষায় রচিত।
আরবি ভাষার রয়েছে হাজারো গৌরবের অনুষঙ্গ। পবিত্র কোরআন ও হাদিস সম্পাদনা, সংকলন, সংরক্ষণ, প্রচার-প্রসারে আরবি ভাষা অপরিহার্য। আরবি ভাষার বিকাশে দক্ষ জনবল তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসে আরবি ভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবনপূর্বক আল্লাহ আমাদেরকে আরবি ভাষা শেখার এবং আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের তাওফিক দান করুন।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে আসে এবং খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে—তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে উট সদকার সওয়াবও! হাদিস ও কোরআনের আলোকে আমরা জেনে নিতে পারি—এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কীভাবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।
১ দিন আগেজুমার নামাজ, যা ‘শুক্রবারের নামাজ’ নামে পরিচিত, ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এটি আদায় করেন, তাই একে জুমার নামাজ বলা হয়।
১ দিন আগেআল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
১ দিন আগে