আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।
আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে