মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে নবী হিসেবে হজরত হুদ (আ.)-কে প্রেরণ করেছিলেন।
আদ জাতির অবস্থান
কোরআনের বর্ণনা মতে, তাদের আবাসস্থল ছিল আহকাফ এলাকা। এ এলাকাটি হেজাজ, ইয়েমেন ও ইয়ামামার মধ্যবর্তী রাব-আল-খালির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে অগ্রসর হয়ে তারা ইয়েমেনের পশ্চিম সমুদ্রোপকূল এবং ওমান ও হাজরামাউত থেকে ইরাক পর্যন্ত নিজেদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বিস্তৃত করেছিল।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে এ সভ্যতার নিদর্শনাবলি দুনিয়ার বুক থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণ আরবের কোথাও কোথাও এখনো কিছু পুরাতন ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়—যেগুলোকে আদ জাতির নিদর্শন মনে করা হয়। হাজরামাউতে এক জায়গায় হজরত হুদ (আ.)-এর নামে একটি কবরও পরিচিত আছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এ কবরটি তাঁর কবর হিসেবে প্রমাণিত নয়, কিন্তু সেখানে তা নির্মাণ করা এবং দক্ষিণ আরবের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কম করে হলেও এতটুকু অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আঞ্চলিক ঐতিহ্য এই এলাকাকেই আদ জাতির এলাকা বলে চিহ্নিত করে।
কোরআনে আদ জাতির বৈশিষ্ট্য
১. শারীরিক দিক দিয়ে তারা ছিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান ও বলিষ্ঠ জাতি। তাদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর শারীরিক গঠনশৈলীতে তোমাদেরকে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেছি।’ (সুরা আরাফ: ৬৯)
২. সেকালে তারা ছিল নজিরবিহীন জাতি। তাদের সমকক্ষ অন্য কোনো জাতিই ছিল না। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সমকক্ষ কোনো জাতি শহরসমূহে সৃষ্টি করা হয়নি।’ (সুরা ফজর: ৮)
৩. স্থাপত্যশিল্পে তারা উন্নত ছিল। উঁচু উঁচু ভবন ও ভাস্কর্য নির্মাণ করত এবং এ জন্য তদানীন্তন বিশ্বে তারা বিখ্যাত ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি দেখোনি তোমার রব কী করেছেন সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী ইরমের আদদের সাথে।’ (সুরা ফজর: ৬-৭) অন্য আয়াতে এসেছে, নবী হুদ (আ.) তাদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘তোমাদের এ কী অবস্থা, প্রতিটি উঁচু জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছ অনর্থক! আর বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে!’ (সুরা শুআরা: ১২৮-১২৯)
৪. এ বস্তুগত উন্নতি ও শারীরিক শক্তি তাদের অহংকারী করে তুলেছিল এবং শক্তির গর্বে তারা মত্ত হয়ে উঠেছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আদ জাতি, তারা তো পৃথিবীতে সত্যের পথ থেকে সরে গিয়ে অহংকার করেছিল এবং বলেছিল, কে আছে আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।’ (সুরা ফুসসিলাত: ১৫)
৫. তাদের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ছিল কয়েকজন বড় বড় জালেমের হাতে। তাদের সামনে কেউ টুঁ-শব্দটিও উচ্চারণ করত না। শাসকগোষ্ঠী ছিল চরম স্বেচ্ছাচারী। গরিব প্রজাদের ওপর জুলুম করত। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তারা প্রতিটি সত্যের দুশমন জালেম হটকারীর হুকুম পালন করেছিল।’ (সুরা হুদ: ৫৯) হুদ (আ.) তাদের তিরস্কার করে বলেছিলেন, ‘...আর যখন কারও ওপর হাত ওঠাও, প্রবল স্বেচ্ছাচারী হয়ে হাত ওঠাও।' (সুরা শুআরা: ১৩০)
এ ছাড়া তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল না। এই অবিশ্বাসই তাদেরকে অপরাধী ও স্বেচ্ছাচারী করে তুলেছিল। আল্লাহ তাআলা হজরত হুদ (আ.)-কে তাদের কাছে প্রেরণ করেন। তিনি সাধ্যের সবটুকু ব্যয় করে তাদেরকে পাপাচার ও জুলুম পরিহার করে সত্য ও ইনসাফের দিকে ফিরে আসার দাওয়াত দেন। কিন্তু তারা তাঁর আহ্বান উপেক্ষা করে। ফলে তাদের ওপর নেমে আসে এক কঠিন আজাব।
যেভাবে ধ্বংস হয় আদ জাতি
পবিত্র কোরআনে আদ জাতির ওপর নেমে আসা আজাব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আদ জাতি (আল্লাহর একত্ববাদ) অস্বীকার করেছিল। এ জন্য তাদের ওপর আমার আজাব ও (পরবর্তীদের জন্য) আমার সতর্কবার্তা কেমন ছিল দেখ। আমি এক বিরামহীন অশুভ দিনে তাদের ওপর প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস পাঠালাম, যা তাদের ওপরে উঠিয়ে এমনভাবে ছুড়ে ফেলেছিল, যেন তারা সমূলে উৎপাটিত খেজুর বৃক্ষের কাণ্ড।’ (সুরা কমর: ১৮-২০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর আদকে কঠিন ঝঞ্ঝাবাত্যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, যা তিনি সাত রাত ও আট দিন ধরে বিরামহীনভাবে তাদের ওপর চাপিয়ে রেখেছিলেন। (তুমি সেখানে থাকলে) দেখতে পেতে তারা ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে আছে, যেন খেজুরের পুরোনো কাণ্ড।’ (সুরা হাক্কাহ: ৬-৭)
সূত্র: তাফসিরে কুরতুবি, কাসাসুল কোরআন ও তাফহিমুল কোরআন

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে নবী হিসেবে হজরত হুদ (আ.)-কে প্রেরণ করেছিলেন।
আদ জাতির অবস্থান
কোরআনের বর্ণনা মতে, তাদের আবাসস্থল ছিল আহকাফ এলাকা। এ এলাকাটি হেজাজ, ইয়েমেন ও ইয়ামামার মধ্যবর্তী রাব-আল-খালির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে অগ্রসর হয়ে তারা ইয়েমেনের পশ্চিম সমুদ্রোপকূল এবং ওমান ও হাজরামাউত থেকে ইরাক পর্যন্ত নিজেদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বিস্তৃত করেছিল।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে এ সভ্যতার নিদর্শনাবলি দুনিয়ার বুক থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণ আরবের কোথাও কোথাও এখনো কিছু পুরাতন ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়—যেগুলোকে আদ জাতির নিদর্শন মনে করা হয়। হাজরামাউতে এক জায়গায় হজরত হুদ (আ.)-এর নামে একটি কবরও পরিচিত আছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এ কবরটি তাঁর কবর হিসেবে প্রমাণিত নয়, কিন্তু সেখানে তা নির্মাণ করা এবং দক্ষিণ আরবের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কম করে হলেও এতটুকু অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আঞ্চলিক ঐতিহ্য এই এলাকাকেই আদ জাতির এলাকা বলে চিহ্নিত করে।
কোরআনে আদ জাতির বৈশিষ্ট্য
১. শারীরিক দিক দিয়ে তারা ছিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান ও বলিষ্ঠ জাতি। তাদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর শারীরিক গঠনশৈলীতে তোমাদেরকে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেছি।’ (সুরা আরাফ: ৬৯)
২. সেকালে তারা ছিল নজিরবিহীন জাতি। তাদের সমকক্ষ অন্য কোনো জাতিই ছিল না। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সমকক্ষ কোনো জাতি শহরসমূহে সৃষ্টি করা হয়নি।’ (সুরা ফজর: ৮)
৩. স্থাপত্যশিল্পে তারা উন্নত ছিল। উঁচু উঁচু ভবন ও ভাস্কর্য নির্মাণ করত এবং এ জন্য তদানীন্তন বিশ্বে তারা বিখ্যাত ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি দেখোনি তোমার রব কী করেছেন সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী ইরমের আদদের সাথে।’ (সুরা ফজর: ৬-৭) অন্য আয়াতে এসেছে, নবী হুদ (আ.) তাদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘তোমাদের এ কী অবস্থা, প্রতিটি উঁচু জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছ অনর্থক! আর বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে!’ (সুরা শুআরা: ১২৮-১২৯)
৪. এ বস্তুগত উন্নতি ও শারীরিক শক্তি তাদের অহংকারী করে তুলেছিল এবং শক্তির গর্বে তারা মত্ত হয়ে উঠেছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আদ জাতি, তারা তো পৃথিবীতে সত্যের পথ থেকে সরে গিয়ে অহংকার করেছিল এবং বলেছিল, কে আছে আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।’ (সুরা ফুসসিলাত: ১৫)
৫. তাদের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ছিল কয়েকজন বড় বড় জালেমের হাতে। তাদের সামনে কেউ টুঁ-শব্দটিও উচ্চারণ করত না। শাসকগোষ্ঠী ছিল চরম স্বেচ্ছাচারী। গরিব প্রজাদের ওপর জুলুম করত। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তারা প্রতিটি সত্যের দুশমন জালেম হটকারীর হুকুম পালন করেছিল।’ (সুরা হুদ: ৫৯) হুদ (আ.) তাদের তিরস্কার করে বলেছিলেন, ‘...আর যখন কারও ওপর হাত ওঠাও, প্রবল স্বেচ্ছাচারী হয়ে হাত ওঠাও।' (সুরা শুআরা: ১৩০)
এ ছাড়া তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল না। এই অবিশ্বাসই তাদেরকে অপরাধী ও স্বেচ্ছাচারী করে তুলেছিল। আল্লাহ তাআলা হজরত হুদ (আ.)-কে তাদের কাছে প্রেরণ করেন। তিনি সাধ্যের সবটুকু ব্যয় করে তাদেরকে পাপাচার ও জুলুম পরিহার করে সত্য ও ইনসাফের দিকে ফিরে আসার দাওয়াত দেন। কিন্তু তারা তাঁর আহ্বান উপেক্ষা করে। ফলে তাদের ওপর নেমে আসে এক কঠিন আজাব।
যেভাবে ধ্বংস হয় আদ জাতি
পবিত্র কোরআনে আদ জাতির ওপর নেমে আসা আজাব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আদ জাতি (আল্লাহর একত্ববাদ) অস্বীকার করেছিল। এ জন্য তাদের ওপর আমার আজাব ও (পরবর্তীদের জন্য) আমার সতর্কবার্তা কেমন ছিল দেখ। আমি এক বিরামহীন অশুভ দিনে তাদের ওপর প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস পাঠালাম, যা তাদের ওপরে উঠিয়ে এমনভাবে ছুড়ে ফেলেছিল, যেন তারা সমূলে উৎপাটিত খেজুর বৃক্ষের কাণ্ড।’ (সুরা কমর: ১৮-২০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর আদকে কঠিন ঝঞ্ঝাবাত্যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, যা তিনি সাত রাত ও আট দিন ধরে বিরামহীনভাবে তাদের ওপর চাপিয়ে রেখেছিলেন। (তুমি সেখানে থাকলে) দেখতে পেতে তারা ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে আছে, যেন খেজুরের পুরোনো কাণ্ড।’ (সুরা হাক্কাহ: ৬-৭)
সূত্র: তাফসিরে কুরতুবি, কাসাসুল কোরআন ও তাফহিমুল কোরআন
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে নবী হিসেবে হজরত হুদ (আ.)-কে প্রেরণ করেছিলেন।
আদ জাতির অবস্থান
কোরআনের বর্ণনা মতে, তাদের আবাসস্থল ছিল আহকাফ এলাকা। এ এলাকাটি হেজাজ, ইয়েমেন ও ইয়ামামার মধ্যবর্তী রাব-আল-খালির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে অগ্রসর হয়ে তারা ইয়েমেনের পশ্চিম সমুদ্রোপকূল এবং ওমান ও হাজরামাউত থেকে ইরাক পর্যন্ত নিজেদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বিস্তৃত করেছিল।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে এ সভ্যতার নিদর্শনাবলি দুনিয়ার বুক থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণ আরবের কোথাও কোথাও এখনো কিছু পুরাতন ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়—যেগুলোকে আদ জাতির নিদর্শন মনে করা হয়। হাজরামাউতে এক জায়গায় হজরত হুদ (আ.)-এর নামে একটি কবরও পরিচিত আছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এ কবরটি তাঁর কবর হিসেবে প্রমাণিত নয়, কিন্তু সেখানে তা নির্মাণ করা এবং দক্ষিণ আরবের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কম করে হলেও এতটুকু অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আঞ্চলিক ঐতিহ্য এই এলাকাকেই আদ জাতির এলাকা বলে চিহ্নিত করে।
কোরআনে আদ জাতির বৈশিষ্ট্য
১. শারীরিক দিক দিয়ে তারা ছিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান ও বলিষ্ঠ জাতি। তাদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর শারীরিক গঠনশৈলীতে তোমাদেরকে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেছি।’ (সুরা আরাফ: ৬৯)
২. সেকালে তারা ছিল নজিরবিহীন জাতি। তাদের সমকক্ষ অন্য কোনো জাতিই ছিল না। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সমকক্ষ কোনো জাতি শহরসমূহে সৃষ্টি করা হয়নি।’ (সুরা ফজর: ৮)
৩. স্থাপত্যশিল্পে তারা উন্নত ছিল। উঁচু উঁচু ভবন ও ভাস্কর্য নির্মাণ করত এবং এ জন্য তদানীন্তন বিশ্বে তারা বিখ্যাত ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি দেখোনি তোমার রব কী করেছেন সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী ইরমের আদদের সাথে।’ (সুরা ফজর: ৬-৭) অন্য আয়াতে এসেছে, নবী হুদ (আ.) তাদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘তোমাদের এ কী অবস্থা, প্রতিটি উঁচু জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছ অনর্থক! আর বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে!’ (সুরা শুআরা: ১২৮-১২৯)
৪. এ বস্তুগত উন্নতি ও শারীরিক শক্তি তাদের অহংকারী করে তুলেছিল এবং শক্তির গর্বে তারা মত্ত হয়ে উঠেছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আদ জাতি, তারা তো পৃথিবীতে সত্যের পথ থেকে সরে গিয়ে অহংকার করেছিল এবং বলেছিল, কে আছে আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।’ (সুরা ফুসসিলাত: ১৫)
৫. তাদের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ছিল কয়েকজন বড় বড় জালেমের হাতে। তাদের সামনে কেউ টুঁ-শব্দটিও উচ্চারণ করত না। শাসকগোষ্ঠী ছিল চরম স্বেচ্ছাচারী। গরিব প্রজাদের ওপর জুলুম করত। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তারা প্রতিটি সত্যের দুশমন জালেম হটকারীর হুকুম পালন করেছিল।’ (সুরা হুদ: ৫৯) হুদ (আ.) তাদের তিরস্কার করে বলেছিলেন, ‘...আর যখন কারও ওপর হাত ওঠাও, প্রবল স্বেচ্ছাচারী হয়ে হাত ওঠাও।' (সুরা শুআরা: ১৩০)
এ ছাড়া তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল না। এই অবিশ্বাসই তাদেরকে অপরাধী ও স্বেচ্ছাচারী করে তুলেছিল। আল্লাহ তাআলা হজরত হুদ (আ.)-কে তাদের কাছে প্রেরণ করেন। তিনি সাধ্যের সবটুকু ব্যয় করে তাদেরকে পাপাচার ও জুলুম পরিহার করে সত্য ও ইনসাফের দিকে ফিরে আসার দাওয়াত দেন। কিন্তু তারা তাঁর আহ্বান উপেক্ষা করে। ফলে তাদের ওপর নেমে আসে এক কঠিন আজাব।
যেভাবে ধ্বংস হয় আদ জাতি
পবিত্র কোরআনে আদ জাতির ওপর নেমে আসা আজাব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আদ জাতি (আল্লাহর একত্ববাদ) অস্বীকার করেছিল। এ জন্য তাদের ওপর আমার আজাব ও (পরবর্তীদের জন্য) আমার সতর্কবার্তা কেমন ছিল দেখ। আমি এক বিরামহীন অশুভ দিনে তাদের ওপর প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস পাঠালাম, যা তাদের ওপরে উঠিয়ে এমনভাবে ছুড়ে ফেলেছিল, যেন তারা সমূলে উৎপাটিত খেজুর বৃক্ষের কাণ্ড।’ (সুরা কমর: ১৮-২০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর আদকে কঠিন ঝঞ্ঝাবাত্যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, যা তিনি সাত রাত ও আট দিন ধরে বিরামহীনভাবে তাদের ওপর চাপিয়ে রেখেছিলেন। (তুমি সেখানে থাকলে) দেখতে পেতে তারা ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে আছে, যেন খেজুরের পুরোনো কাণ্ড।’ (সুরা হাক্কাহ: ৬-৭)
সূত্র: তাফসিরে কুরতুবি, কাসাসুল কোরআন ও তাফহিমুল কোরআন

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে নবী হিসেবে হজরত হুদ (আ.)-কে প্রেরণ করেছিলেন।
আদ জাতির অবস্থান
কোরআনের বর্ণনা মতে, তাদের আবাসস্থল ছিল আহকাফ এলাকা। এ এলাকাটি হেজাজ, ইয়েমেন ও ইয়ামামার মধ্যবর্তী রাব-আল-খালির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে অগ্রসর হয়ে তারা ইয়েমেনের পশ্চিম সমুদ্রোপকূল এবং ওমান ও হাজরামাউত থেকে ইরাক পর্যন্ত নিজেদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বিস্তৃত করেছিল।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে এ সভ্যতার নিদর্শনাবলি দুনিয়ার বুক থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণ আরবের কোথাও কোথাও এখনো কিছু পুরাতন ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়—যেগুলোকে আদ জাতির নিদর্শন মনে করা হয়। হাজরামাউতে এক জায়গায় হজরত হুদ (আ.)-এর নামে একটি কবরও পরিচিত আছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এ কবরটি তাঁর কবর হিসেবে প্রমাণিত নয়, কিন্তু সেখানে তা নির্মাণ করা এবং দক্ষিণ আরবের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কম করে হলেও এতটুকু অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আঞ্চলিক ঐতিহ্য এই এলাকাকেই আদ জাতির এলাকা বলে চিহ্নিত করে।
কোরআনে আদ জাতির বৈশিষ্ট্য
১. শারীরিক দিক দিয়ে তারা ছিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান ও বলিষ্ঠ জাতি। তাদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর শারীরিক গঠনশৈলীতে তোমাদেরকে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেছি।’ (সুরা আরাফ: ৬৯)
২. সেকালে তারা ছিল নজিরবিহীন জাতি। তাদের সমকক্ষ অন্য কোনো জাতিই ছিল না। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সমকক্ষ কোনো জাতি শহরসমূহে সৃষ্টি করা হয়নি।’ (সুরা ফজর: ৮)
৩. স্থাপত্যশিল্পে তারা উন্নত ছিল। উঁচু উঁচু ভবন ও ভাস্কর্য নির্মাণ করত এবং এ জন্য তদানীন্তন বিশ্বে তারা বিখ্যাত ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি দেখোনি তোমার রব কী করেছেন সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী ইরমের আদদের সাথে।’ (সুরা ফজর: ৬-৭) অন্য আয়াতে এসেছে, নবী হুদ (আ.) তাদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘তোমাদের এ কী অবস্থা, প্রতিটি উঁচু জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছ অনর্থক! আর বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে!’ (সুরা শুআরা: ১২৮-১২৯)
৪. এ বস্তুগত উন্নতি ও শারীরিক শক্তি তাদের অহংকারী করে তুলেছিল এবং শক্তির গর্বে তারা মত্ত হয়ে উঠেছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আদ জাতি, তারা তো পৃথিবীতে সত্যের পথ থেকে সরে গিয়ে অহংকার করেছিল এবং বলেছিল, কে আছে আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।’ (সুরা ফুসসিলাত: ১৫)
৫. তাদের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ছিল কয়েকজন বড় বড় জালেমের হাতে। তাদের সামনে কেউ টুঁ-শব্দটিও উচ্চারণ করত না। শাসকগোষ্ঠী ছিল চরম স্বেচ্ছাচারী। গরিব প্রজাদের ওপর জুলুম করত। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তারা প্রতিটি সত্যের দুশমন জালেম হটকারীর হুকুম পালন করেছিল।’ (সুরা হুদ: ৫৯) হুদ (আ.) তাদের তিরস্কার করে বলেছিলেন, ‘...আর যখন কারও ওপর হাত ওঠাও, প্রবল স্বেচ্ছাচারী হয়ে হাত ওঠাও।' (সুরা শুআরা: ১৩০)
এ ছাড়া তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল না। এই অবিশ্বাসই তাদেরকে অপরাধী ও স্বেচ্ছাচারী করে তুলেছিল। আল্লাহ তাআলা হজরত হুদ (আ.)-কে তাদের কাছে প্রেরণ করেন। তিনি সাধ্যের সবটুকু ব্যয় করে তাদেরকে পাপাচার ও জুলুম পরিহার করে সত্য ও ইনসাফের দিকে ফিরে আসার দাওয়াত দেন। কিন্তু তারা তাঁর আহ্বান উপেক্ষা করে। ফলে তাদের ওপর নেমে আসে এক কঠিন আজাব।
যেভাবে ধ্বংস হয় আদ জাতি
পবিত্র কোরআনে আদ জাতির ওপর নেমে আসা আজাব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আদ জাতি (আল্লাহর একত্ববাদ) অস্বীকার করেছিল। এ জন্য তাদের ওপর আমার আজাব ও (পরবর্তীদের জন্য) আমার সতর্কবার্তা কেমন ছিল দেখ। আমি এক বিরামহীন অশুভ দিনে তাদের ওপর প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস পাঠালাম, যা তাদের ওপরে উঠিয়ে এমনভাবে ছুড়ে ফেলেছিল, যেন তারা সমূলে উৎপাটিত খেজুর বৃক্ষের কাণ্ড।’ (সুরা কমর: ১৮-২০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর আদকে কঠিন ঝঞ্ঝাবাত্যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, যা তিনি সাত রাত ও আট দিন ধরে বিরামহীনভাবে তাদের ওপর চাপিয়ে রেখেছিলেন। (তুমি সেখানে থাকলে) দেখতে পেতে তারা ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে আছে, যেন খেজুরের পুরোনো কাণ্ড।’ (সুরা হাক্কাহ: ৬-৭)
সূত্র: তাফসিরে কুরতুবি, কাসাসুল কোরআন ও তাফহিমুল কোরআন

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের ক
২৪ জুলাই ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের ক
২৪ জুলাই ২০২৪
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৭ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের ক
২৪ জুলাই ২০২৪
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

মানবজাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য সভ্যতা। আবার স্রষ্টার অবাধ্যতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, পাপাচার ইত্যাদির কারণে সেগুলোর বিনাশও ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আদ সভ্যতা সেগুলোর অন্যতম। হজরত ইসা আ.-এর আনুমানিক দুই বা তিন হাজার বছর আগে এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের ক
২৪ জুলাই ২০২৪
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে