মুফতি আবু দারদা
প্রশ্ন: মসজিদ পরিচালনার কমিটিতে থাকার জন্য সমাজের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে চেষ্টা করতে দেখা যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে মসজিদ কমিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কোনো মানদণ্ড আছে কি? জানালে উপকৃত হব। জালালুদ্দিন ফাহিম, নারায়ণগঞ্জ
উত্তর: মসজিদ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া উচিত। কোরআন-হাদিসে ভাষ্য থেকে এসব বৈশিষ্ট্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো—
» আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে।
» পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে।
» জামাতের সঙ্গে যথাযথভাবে সালাত আদায় করে।
» জাকাত দেয়।
» আল্লাহকে ভয় করে।
পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ইমান আনে আল্লাহ ও পরকালের ওপর। সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না।…’ (সুরা তাওবা: ১৮)
» মসজিদের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রাখে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যেসব গৃহকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তাঁর নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে সেই সব লোক, যাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম করা থেকে এবং জাকাত দেওয়া থেকে বিরত রাখে না।’ (সুরা নুর: ৩৬-৩৭)
» পদের লোভ থাকা যাবে না। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আমরা কোনো পদপ্রার্থী বা পদপ্রত্যাশীকে পদ দিই না।’
(বুখারি: ৭১৪৯)
» আমানতদার হতে হবে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত তার যথাযথ হকদারকে পৌঁছে দিতে...।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
» প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দীনি জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।’ (নাসায়ি: ২২৪)
» পাপাচারী ও অপবিত্র না হওয়া। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেখানে (মসজিদে কুবায়) এমন লোক আছে, যারা পবিত্রতা অর্জন ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’
(সুরা তাওবা: ১০৮) এই আয়াতে বাহ্যিক অপবিত্রতার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ অপবিত্রতার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মসজিদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রকাশ্য পাপ ও অপ্রকাশ্য অপবিত্রতামুক্ত হতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন,মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: মসজিদ পরিচালনার কমিটিতে থাকার জন্য সমাজের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে চেষ্টা করতে দেখা যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে মসজিদ কমিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কোনো মানদণ্ড আছে কি? জানালে উপকৃত হব। জালালুদ্দিন ফাহিম, নারায়ণগঞ্জ
উত্তর: মসজিদ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া উচিত। কোরআন-হাদিসে ভাষ্য থেকে এসব বৈশিষ্ট্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো—
» আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে।
» পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে।
» জামাতের সঙ্গে যথাযথভাবে সালাত আদায় করে।
» জাকাত দেয়।
» আল্লাহকে ভয় করে।
পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ইমান আনে আল্লাহ ও পরকালের ওপর। সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না।…’ (সুরা তাওবা: ১৮)
» মসজিদের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রাখে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যেসব গৃহকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তাঁর নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে সেই সব লোক, যাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম করা থেকে এবং জাকাত দেওয়া থেকে বিরত রাখে না।’ (সুরা নুর: ৩৬-৩৭)
» পদের লোভ থাকা যাবে না। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আমরা কোনো পদপ্রার্থী বা পদপ্রত্যাশীকে পদ দিই না।’
(বুখারি: ৭১৪৯)
» আমানতদার হতে হবে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত তার যথাযথ হকদারকে পৌঁছে দিতে...।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
» প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দীনি জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।’ (নাসায়ি: ২২৪)
» পাপাচারী ও অপবিত্র না হওয়া। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেখানে (মসজিদে কুবায়) এমন লোক আছে, যারা পবিত্রতা অর্জন ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’
(সুরা তাওবা: ১০৮) এই আয়াতে বাহ্যিক অপবিত্রতার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ অপবিত্রতার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মসজিদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রকাশ্য পাপ ও অপ্রকাশ্য অপবিত্রতামুক্ত হতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন,মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
মা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগে